জলবায়ু সম্মেলন
সৈয়দ ঋয়াদ, আজারবাইজান থেকে
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে এই গ্রহকে রক্ষা করতে হলে দেশগুলোকে তেল, গ্যাস ও কয়লার মতো জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার থেকে সরে আসতে হবে বলে মত দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মধ্য এশীয় দেশ আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। কপ২৯ জলবায়ু সম্মেলনে অংশ নিতে গত সোমবার চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে এখানে এসেছেন ড. ইউনূস। আজ বুধবার তাঁর জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর কথা তুলে ধরার কথা।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস গতকাল বাকুর অলিম্পিক স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি এ সময় বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন একটি বড় সমস্যা। বিশ্ব উষ্ণায়ন এককভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। এর জন্য শুধু অর্থায়ন নয়, পাশাপাশি এখনই জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে জাতিসংঘের প্রতিটি সদস্যরাষ্ট্রকে সরে আসতে হবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এটি করা সম্ভব।’
পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, ড. ইউনূস জাতিসংঘ আয়োজিত এ জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনে শুধু নিজ দেশ নয়, ভারত, নেপাল, ভুটানসহ ‘গ্লোবাল সাউথের’ ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর অবস্থান তুলে ধরবেন। বাকুতে ইতিমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎ হয়েছে প্রধান উপদেষ্টার। তাঁদের কাছে জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশের ক্ষতির নানা বিষয় তুলে ধরছেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, ‘বাংলাদেশ গুরুতর জলবায়ু ঝুঁকিতে রয়েছে। এটি আমাদের জীবনযাপনকে দুর্বিষহ করে তুলছে, অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। চলতি বছর দেশে ছয়টি বড় বন্যা হয়েছে। আমরা গত ৪০ বছরে কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুরসহ কিছু জায়গায় কোনো দিন এমন বন্যার কথা শুনিনি।’
প্রেস সচিব বলেন, সম্মেলনে বাংলাদেশের ক্ষতির বিষয়গুলো তুলে ধরার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের ধনী দেশগুলো থেকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে পাওয়া ৩ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার এবং ঋণ হিসেবে পাওয়া ২৫৮ মিলিয়ন ডলার প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। উন্নত দেশগুলো যে জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ায় এবং সমৃদ্ধ উত্তর গোলার্ধে যে সভ্যতা গড়ে তোলা হয়েছে, তার দায় মেটাচ্ছে বাংলাদেশের মতো দক্ষিণ গোলার্ধের অনুন্নত দেশগুলো। অথচ বাংলাদেশের কার্বন নিঃসরণ খুবই নগণ্য।
বাংলাদেশের বিভিন্ন পরিবেশবিষয়ক সংগঠন, এনজিও এবং জলবায়ু নিয়ে কাজ করা সাংবাদিকেরা এ সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। এসব প্রতিনিধিকে দেশের ভয়াবহ জলবায়ু ক্ষতির চিত্র বৈশ্বিক এ ফোরামে তুলে ধরার অনুরোধ করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব।
জলবায়ুবিষয়ক প্রতিবেদনগুলোতে দেখা যায়, প্রতিবছর বাংলাদেশে জলবায়ুসংক্রান্ত ক্ষতি হচ্ছে ১২ বিলিয়ন ডলার। আর ক্ষতিপূরণ হিসেবে আসছে ৩ বিলিয়ন ডলার। অন্তত সাড়ে ৮ বিলিয়ন ডলারের মতো ব্যবধান থেকে যাচ্ছে।
শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে ড. ইউনূসের সাক্ষাৎ
জলবায়ু পরিবর্তন শীর্ষ সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে কর্মব্যস্ত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ দিন তিনি অন্তত ২০টি দেশের শীর্ষ নেতা এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে দেখা করেছেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জু, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার প্রেসিডেন্ট দানিস বেসিরোভিচ, সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান, ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট শিনা আনসারি, ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো, ব্রাজিলের পরিবেশমন্ত্রী মেরিনা সিলভা, আলবেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী এডি রামা, মন্টিনিগ্রোর প্রেসিডেন্ট জ্যাকব মিলাতোভিচ, বার্বাডোজের প্রধানমন্ত্রী মিয়া মটলি, ঘানার প্রেসিডেন্ট নানা আকুফো-আডোর ও জার্মানি ও চিলির শীর্ষ নেতা।
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে এই গ্রহকে রক্ষা করতে হলে দেশগুলোকে তেল, গ্যাস ও কয়লার মতো জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার থেকে সরে আসতে হবে বলে মত দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মধ্য এশীয় দেশ আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। কপ২৯ জলবায়ু সম্মেলনে অংশ নিতে গত সোমবার চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে এখানে এসেছেন ড. ইউনূস। আজ বুধবার তাঁর জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর কথা তুলে ধরার কথা।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস গতকাল বাকুর অলিম্পিক স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি এ সময় বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন একটি বড় সমস্যা। বিশ্ব উষ্ণায়ন এককভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। এর জন্য শুধু অর্থায়ন নয়, পাশাপাশি এখনই জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে জাতিসংঘের প্রতিটি সদস্যরাষ্ট্রকে সরে আসতে হবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এটি করা সম্ভব।’
পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, ড. ইউনূস জাতিসংঘ আয়োজিত এ জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনে শুধু নিজ দেশ নয়, ভারত, নেপাল, ভুটানসহ ‘গ্লোবাল সাউথের’ ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর অবস্থান তুলে ধরবেন। বাকুতে ইতিমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎ হয়েছে প্রধান উপদেষ্টার। তাঁদের কাছে জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশের ক্ষতির নানা বিষয় তুলে ধরছেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, ‘বাংলাদেশ গুরুতর জলবায়ু ঝুঁকিতে রয়েছে। এটি আমাদের জীবনযাপনকে দুর্বিষহ করে তুলছে, অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। চলতি বছর দেশে ছয়টি বড় বন্যা হয়েছে। আমরা গত ৪০ বছরে কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুরসহ কিছু জায়গায় কোনো দিন এমন বন্যার কথা শুনিনি।’
প্রেস সচিব বলেন, সম্মেলনে বাংলাদেশের ক্ষতির বিষয়গুলো তুলে ধরার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের ধনী দেশগুলো থেকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে পাওয়া ৩ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার এবং ঋণ হিসেবে পাওয়া ২৫৮ মিলিয়ন ডলার প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। উন্নত দেশগুলো যে জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ায় এবং সমৃদ্ধ উত্তর গোলার্ধে যে সভ্যতা গড়ে তোলা হয়েছে, তার দায় মেটাচ্ছে বাংলাদেশের মতো দক্ষিণ গোলার্ধের অনুন্নত দেশগুলো। অথচ বাংলাদেশের কার্বন নিঃসরণ খুবই নগণ্য।
বাংলাদেশের বিভিন্ন পরিবেশবিষয়ক সংগঠন, এনজিও এবং জলবায়ু নিয়ে কাজ করা সাংবাদিকেরা এ সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। এসব প্রতিনিধিকে দেশের ভয়াবহ জলবায়ু ক্ষতির চিত্র বৈশ্বিক এ ফোরামে তুলে ধরার অনুরোধ করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব।
জলবায়ুবিষয়ক প্রতিবেদনগুলোতে দেখা যায়, প্রতিবছর বাংলাদেশে জলবায়ুসংক্রান্ত ক্ষতি হচ্ছে ১২ বিলিয়ন ডলার। আর ক্ষতিপূরণ হিসেবে আসছে ৩ বিলিয়ন ডলার। অন্তত সাড়ে ৮ বিলিয়ন ডলারের মতো ব্যবধান থেকে যাচ্ছে।
শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে ড. ইউনূসের সাক্ষাৎ
জলবায়ু পরিবর্তন শীর্ষ সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে কর্মব্যস্ত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ দিন তিনি অন্তত ২০টি দেশের শীর্ষ নেতা এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে দেখা করেছেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জু, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার প্রেসিডেন্ট দানিস বেসিরোভিচ, সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান, ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট শিনা আনসারি, ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো, ব্রাজিলের পরিবেশমন্ত্রী মেরিনা সিলভা, আলবেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী এডি রামা, মন্টিনিগ্রোর প্রেসিডেন্ট জ্যাকব মিলাতোভিচ, বার্বাডোজের প্রধানমন্ত্রী মিয়া মটলি, ঘানার প্রেসিডেন্ট নানা আকুফো-আডোর ও জার্মানি ও চিলির শীর্ষ নেতা।
আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে (কপ-২৯) দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর জলবায়ু ও পরিবেশ সাংবাদিকদের সংগঠন ‘সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম’ (সাকজেএফ) এর নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগেসেন্টমার্টিনের প্রবাল রক্ষায় সেখানে ভ্রমণের ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ আরোপকে কেন্দ্র করে গত কিছুদিন ধরেই আলোচনায় দ্বীপটি । এরই মধ্যে এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রবাল আবিষ্কৃত হলো প্রশান্ত মহাসাগরে। অসংখ্য ক্ষুদ্র প্রাণী একসঙ্গে যুক্ত হয়ে একটি প্রাচীরের পরিবর্তে একটি বিশালাকায় প্রবাল গঠন করেছে সেখা
১৮ ঘণ্টা আগেঢাকার বাতাস আজও অস্বাস্থ্যকর। বায়ুদূষণের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ওপরে উঠে দাঁড়িয়েছে পাঁচ এ। সকালে পরিমাপ অনুযায়ী ঢাকার বায়ুদূষণের স্কোর ১২৩। অন্যদিকে একদিনের ব্যবধানে আবারও বায়ুদূষণের শীর্ষে পাকিস্তানের লাহোর। গুরুতর বায়ুদূষণের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। এ ছাড়া দূষণের শীর্ষ পাঁচ দেশের
১ দিন আগে‘পরিবেশ উপদেষ্টা বিদেশি পরামর্শে চলছেন কিন্তু দেশের মানুষের পরামর্শ ও দাবিদাওয়াকে পাত্তা দিচ্ছেন না। বিদেশি জার্নালের পরামর্শে তিনি নিজ দেশের পর্যটনশিল্প ও দ্বীপবাসীকে একটা মারাত্মক ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। যেটা কোনো দেশপ্রেমিক মানুষের কাজ হতে পারে না।’
২ দিন আগে