অনলাইন ডেস্ক
ভারতের রাজধানী দিল্লি এবং এর সংলগ্ন এলাকাগুলোতে বায়ুদূষণ ভয়াবহ মাত্রায় পৌঁছেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে শহরের বেশির ভাগ এলাকায় বাতাসের গুণমান সূচক (একিউআই) ৫০০ ছাড়িয়ে গেছে। এটি চলতি মরসুমে সর্বোচ্চ এবং ‘অতি ভয়ানক’ পর্যায়ে রয়েছে। ধোঁয়াশার চাদরে ঢাকা দিল্লি শহর, দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ার ফলে পরিবহন ব্যবস্থাও বিপর্যস্ত হয়েছে। এর পরে আছে পাকিস্তানের শহর লাহোর, এ শহরের বাতাসের মান সূচক আজ ৩৯৫।
এদিকে আজ ঢাকার বাতাসের মান সূচক ১৫৪, বা অস্বাস্থ্যকর। সে হিসাবে আজ বাতাসের মান সূচকে ঢাকার অবস্থান ১০ তম।
যেভাবে মাপা হয় বায়ুদূষণের মাত্রা
বাতাসের গুণমান সূচক (একিউআই) দিয়ে বায়ুর দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করা হয়।
—০—৫০: ভালো
—৫১—১০০: সন্তোষজনক
—১০১—২০০: মাঝারি
—২০১—৩০০: খারাপ
—৩০১—৪০০: খুব খারাপ
—৪০১—৪৫০: ভয়ানক
—৪৫০ +: অতি ভয়ানক
আজ মঙ্গলবার সকালে দিল্লির বেশ কিছু অঞ্চলে একিউআই ৫০০ ছাড়িয়েছে। আনন্দ বিহার, অশোক বিহার, ধ্যানচাঁদ স্টেডিয়াম, এবং জাহাঙ্গিরপুরীতে এই সূচক সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। দ্বারকায় সর্বনিম্ন একিউআই ছিল ৪৮০, যা এখনও ‘অতি ভয়ানক’ বলে বিবেচিত।
বিশেষ করে দিওয়ালি থেকে দিল্লির বাতাসের দূষণ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। দূষণের কারণে বিদ্যালয় বন্ধের মতো সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে কর্তৃপক্ষকে। মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।
দূষণ মোকাবিলায় দিল্লি প্রশাসনের ব্যবস্থা
দিল্লি সরকার দূষণ নিয়ন্ত্রণে গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যানের (জিআরএপি) চতুর্থ স্তর কার্যকর করেছে। এর আওতায় নেওয়া হয়েছে কড়াকড়ি পদক্ষেপ:
—অত্যাবশ্যকীয় পণ্যবাহী ট্রাক ছাড়া অন্য কোনো ট্রাক রাজধানীতে ঢুকতে পারবে না।
—নির্মাণকাজ পুরোপুরি বন্ধ রাখা হয়েছে।
—শুধু বৈদ্যুতিক, সিএনজি এবং ডিজেলচালিত বিএস ৬ যানবাহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
—দূষণ নিয়ন্ত্রণে শীর্ষ আদালতের নির্দেশে জিআরএপি–৪ মেনে চলতে হবে। আদালতের অনুমতি ছাড়া এই বিধি শিথিল করা যাবে না।
পরিবহন ব্যবস্থায় বিপর্যয়
দূষণের কারণে দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় ট্রেন এবং উড়োজাহাজ পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে।
—২২টি ট্রেন নির্ধারিত সময়ের চেয়ে দেরিতে চলছে।
—৯টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে।
—উড়োজাহাজ পরিষেবা: দিল্লি, অমৃতসর এবং চণ্ডীগড়ের ফ্লাইটগুলো বিলম্বিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এমন পরিস্থিতির কারণ
বিশেষজ্ঞদের মতে, দিল্লির বায়ুদূষণ প্রধানত ফসলের খড় (নাড়া) পোড়ানো, যানবাহনের দূষণ এবং শিল্পাঞ্চলের ধোঁয়ার কারণে। শীতকালে তাপমাত্রা কমে গেলে ধোঁয়া ওপরের স্তরে উঠতে পারে না, ফলে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয় এবং দূষণ আরও তীব্র আকার ধারণ করে।
সুপ্রিম কোর্টের কঠোর নির্দেশ
গতকাল সোমবার ভারতের শীর্ষ আদালত দূষণ নিয়ন্ত্রণে বিলম্বের জন্য সরকারের সমালোচনা করে বলেছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জিআরএপি–৪ কার্যকর রাখতে হবে। আদালত আরও জানিয়েছে, দিল্লির একিউআই ৩০০–এর নিচে নেমে এলেও জিআরএপি–৪ শিথিল করা যাবে না।
দিল্লির এই ভয়াবহ দূষণ মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। শ্বাসকষ্ট, ফুসফুসের সংক্রমণ, এবং অন্যান্য শারীরিক সমস্যার ঝুঁকি বাড়ছে।
ভারতের রাজধানী দিল্লি এবং এর সংলগ্ন এলাকাগুলোতে বায়ুদূষণ ভয়াবহ মাত্রায় পৌঁছেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে শহরের বেশির ভাগ এলাকায় বাতাসের গুণমান সূচক (একিউআই) ৫০০ ছাড়িয়ে গেছে। এটি চলতি মরসুমে সর্বোচ্চ এবং ‘অতি ভয়ানক’ পর্যায়ে রয়েছে। ধোঁয়াশার চাদরে ঢাকা দিল্লি শহর, দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ার ফলে পরিবহন ব্যবস্থাও বিপর্যস্ত হয়েছে। এর পরে আছে পাকিস্তানের শহর লাহোর, এ শহরের বাতাসের মান সূচক আজ ৩৯৫।
এদিকে আজ ঢাকার বাতাসের মান সূচক ১৫৪, বা অস্বাস্থ্যকর। সে হিসাবে আজ বাতাসের মান সূচকে ঢাকার অবস্থান ১০ তম।
যেভাবে মাপা হয় বায়ুদূষণের মাত্রা
বাতাসের গুণমান সূচক (একিউআই) দিয়ে বায়ুর দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করা হয়।
—০—৫০: ভালো
—৫১—১০০: সন্তোষজনক
—১০১—২০০: মাঝারি
—২০১—৩০০: খারাপ
—৩০১—৪০০: খুব খারাপ
—৪০১—৪৫০: ভয়ানক
—৪৫০ +: অতি ভয়ানক
আজ মঙ্গলবার সকালে দিল্লির বেশ কিছু অঞ্চলে একিউআই ৫০০ ছাড়িয়েছে। আনন্দ বিহার, অশোক বিহার, ধ্যানচাঁদ স্টেডিয়াম, এবং জাহাঙ্গিরপুরীতে এই সূচক সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। দ্বারকায় সর্বনিম্ন একিউআই ছিল ৪৮০, যা এখনও ‘অতি ভয়ানক’ বলে বিবেচিত।
বিশেষ করে দিওয়ালি থেকে দিল্লির বাতাসের দূষণ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। দূষণের কারণে বিদ্যালয় বন্ধের মতো সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে কর্তৃপক্ষকে। মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।
দূষণ মোকাবিলায় দিল্লি প্রশাসনের ব্যবস্থা
দিল্লি সরকার দূষণ নিয়ন্ত্রণে গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যানের (জিআরএপি) চতুর্থ স্তর কার্যকর করেছে। এর আওতায় নেওয়া হয়েছে কড়াকড়ি পদক্ষেপ:
—অত্যাবশ্যকীয় পণ্যবাহী ট্রাক ছাড়া অন্য কোনো ট্রাক রাজধানীতে ঢুকতে পারবে না।
—নির্মাণকাজ পুরোপুরি বন্ধ রাখা হয়েছে।
—শুধু বৈদ্যুতিক, সিএনজি এবং ডিজেলচালিত বিএস ৬ যানবাহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
—দূষণ নিয়ন্ত্রণে শীর্ষ আদালতের নির্দেশে জিআরএপি–৪ মেনে চলতে হবে। আদালতের অনুমতি ছাড়া এই বিধি শিথিল করা যাবে না।
পরিবহন ব্যবস্থায় বিপর্যয়
দূষণের কারণে দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় ট্রেন এবং উড়োজাহাজ পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে।
—২২টি ট্রেন নির্ধারিত সময়ের চেয়ে দেরিতে চলছে।
—৯টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে।
—উড়োজাহাজ পরিষেবা: দিল্লি, অমৃতসর এবং চণ্ডীগড়ের ফ্লাইটগুলো বিলম্বিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এমন পরিস্থিতির কারণ
বিশেষজ্ঞদের মতে, দিল্লির বায়ুদূষণ প্রধানত ফসলের খড় (নাড়া) পোড়ানো, যানবাহনের দূষণ এবং শিল্পাঞ্চলের ধোঁয়ার কারণে। শীতকালে তাপমাত্রা কমে গেলে ধোঁয়া ওপরের স্তরে উঠতে পারে না, ফলে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয় এবং দূষণ আরও তীব্র আকার ধারণ করে।
সুপ্রিম কোর্টের কঠোর নির্দেশ
গতকাল সোমবার ভারতের শীর্ষ আদালত দূষণ নিয়ন্ত্রণে বিলম্বের জন্য সরকারের সমালোচনা করে বলেছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জিআরএপি–৪ কার্যকর রাখতে হবে। আদালত আরও জানিয়েছে, দিল্লির একিউআই ৩০০–এর নিচে নেমে এলেও জিআরএপি–৪ শিথিল করা যাবে না।
দিল্লির এই ভয়াবহ দূষণ মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। শ্বাসকষ্ট, ফুসফুসের সংক্রমণ, এবং অন্যান্য শারীরিক সমস্যার ঝুঁকি বাড়ছে।
বাংলাদেশের পরিবেশ, বন, জলবায়ু পরিবর্তন ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য শক্তিশালী অভিযোজন তহবিল নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি উন্নত দেশগুলোর কাছে অভিযোজন তহবিল বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
১৪ ঘণ্টা আগেশৈবাল থেকে জৈব জ্বালানি উৎপাদন নিয়ে মার্কিন প্রতিষ্ঠান ভিরিডোসের সঙ্গে দীর্ঘসময় ধরে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছিল আমেরিকার বহুজাতিক তেল ও গ্যাস করপোরেশন এক্সন–মোবিল। গত বছর তারা এ গবেষণার অংশীদারত্ব ছেড়ে দিলে জ্বালানি খাতে আলোড়ন পড়ে যায়। এক্সন–মোবিল অর্থ উপার্জনের আরও ভালো সুযোগের সন্ধানে শৈবাল থেকে জৈব...
২ দিন আগেদূষণের বিরুদ্ধে লড়ে যাওয়া জোট ‘কিক বিগ পলিউটার্স আউট’–এর এক বিশ্লেষণে দেখা যায়, এই বছরের আয়োজক দেশ আজারবাইজান, আগামী বছরের আয়োজক ব্রাজিল এবং তুরস্ক ছাড়া প্রতিটি দেশ থেকে কপ সম্মেলনের প্রতিনিধির চেয়ে জীবাশ্ম জ্বালানি লবিস্টদের (তদবিরের লোকজন) সংখ্যা বেশি।
২ দিন আগেজঙ্গলে গিয়েছেন ঘুরতে। সেখানে বাঘ দেখাটা নিঃসন্দেহে রোমাঞ্চকর এক ব্যাপার। কিন্তু হঠাৎ যদি দেখেন আপনার সামনেই মরণপণ লড়াইয়ে নেমেছে দুই বাঘ, নিশ্চয় আত্মারাম খাঁচাছাড়া হওয়ার জোগাড় হবে। খুব বেশি সাহসী হলে রোমাঞ্চটা আরও বেশি উপভোগ করবেন। এমন এক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন ভারতের এক জঙ্গলে বেড়াতে যাওয়া কিছু প
২ দিন আগে