বিনোদন ডেস্ক
গানে উচ্চশিক্ষার জন্য দীর্ঘদিন ভারতে ছিলেন কক্সবাজারের সন্তান সমরজিৎ রায়। পেয়েছেন পণ্ডিত ডি বি পালুস্কার অ্যাওয়ার্ডসহ একাধিক সম্মাননা। গুণী অনেক শিল্পীর সান্নিধ্য সমৃদ্ধ করেছে তাঁকে। শুদ্ধ গান চর্চার স্বপ্ন নিয়ে শুরু করেছেন গানের স্কুল। সিনেমার গানের পাশাপাশি তৈরী করছেন নিজের মৌলিক গান। গতকাল গাইলেন ‘সুবীর নন্দী স্মরণোৎসব’–এ।
‘সুবীর নন্দী স্মরণোৎসব’–এ গাইলেন। ব্যক্তিগতভাবে কেমন সম্পর্ক ছিল তাঁর সঙ্গে?
কিংবদন্তি শিল্পী সুবীর নন্দীর সঙ্গে অনেক অনুষ্ঠানে একসঙ্গে গাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে। বাংলা গানকে তিনি অনেক উঁচুতে নিয়ে গেছেন। সমৃদ্ধ করেছেন। ওনার সঙ্গে একটা গানে তবলাও বাজিয়ে ছিলাম। অনুষ্ঠান শেষে আমার তবলাবাদনের ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন তিনি। তাঁর পরিবারের সঙ্গেও আমার ভালো সম্পর্ক। বিশেষ করে ওনার মেয়ে ফাল্গুনী নন্দীর সঙ্গে এখনো আমার যোগাযোগ হয়।
কলকাতার একটা ডকুমেন্টারি ফিল্মে গাইলেন…
সারদা দেবীর জন্মস্থানে মাতৃমন্দির প্রতিষ্ঠার শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে তাঁকে নিয়ে হিন্দি, বাংলা ও ইংরেজি—এই তিন ভাষায় তৈরি হয়েছে এই তথ্যচিত্রটি। হিন্দি এবং বাংলা ভার্সনের জন্য গান গেয়েছি আমি। গানটির সুরও আমার করা। এখন পর্যন্ত গানটির শিরোনাম ‘ধীরে সমীরে’। পরে শিরোনামটি পরিবর্তনও করা হতে পারে। এই তথ্যচিত্রে অন্য একটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন কলকাতার প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী শ্রীকান্ত আচার্য। তথ্যচিত্রটি প্রযোজনা করেছে পশ্চিমবঙ্গের শ্রী শ্রী মাতৃমন্দির জয়রামবাটি। পরিচালনায় অনুপ রায় চৌধুরী। আকাশবাণী কলকাতার বিখ্যাত বাচিক শিল্পীরা এতে অংশগ্রহণ করেছেন। সারদা মায়ের চরিত্রে অংশ নিয়েছেন কলকাতার নাট্যজগতের প্রখ্যাত অভিনেত্রী শ্রীমতি ভদ্রা বসু।
বাংলাদেশের একটি সিনেমাতেও তো প্লেব্যাক করলেন...
হ্যাঁ। ভারতে থাকতে অনেক বছর আগে মৈথিলি ভাষার একটা সিনেমায় গিয়েছিলাম। এবার প্রথমবারের মতো বাংলা সিনেমায় গান গাইলাম। ড. সোহানী হোসেনের প্রযোজনায় ‘অন্তরাত্মা’ সিনেমায় ন্যান্সির সঙ্গে গেয়েছি। সুর ও সংগীত করেছেন কলকাতার ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত। প্রযোজক সোহানী আপা আমার গানের ভীষণ ভক্ত। অনেক বছর ধরে উনি আমার গান পছন্দ করেন। ওনার অনেক দিনের ইচ্ছে ছিল তাঁর সিনেমায় আমাকে দিয়ে গাওয়াবেন। আমিও অপেক্ষায় ছিলাম এমন কোনো গান হোক যে শুরুর কথাটা আজীবন বলতে পারি। সুর–সংগীত মিলিয়ে খুব ভালো হয়েছে গানটি। শাকিব খানের লিপে যাবে গানটি।
গান নিয়ে অন্যান্য ব্যস্ততা কী?
কিংবদন্তি শিল্পী হৈমন্তী শুক্লার সঙ্গে ‘সুর ছায়া’ নামে অনলাইনে একটা গানের স্কুল শুরু করেছি। প্রথম ব্যাচের ক্লাস চলছে তিন মাস ধরে। ওটাতে আমরা চেষ্টা করি যাঁরা ইতিমধ্যে গানে ক্যারিয়ার শুরু করেছেন, গান নিয়েই এগোতে চান। তাঁদের বিভিন্ন টেকনিক্যাল বিষয় নিয়ে শিক্ষা দিতে। গানের ক্ষেত্রে ‘অ্যাডভান্স লেভেল’ যদি বলি সেই শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে।
মৌলিক গান প্রকাশের পরিকল্পনা কী?
কিছু মৌলিক গান তৈরি আছে। যেগুলো একে একে ইউটিউবেই প্রকাশ করব। বড় বাজেটের ভিডিও করার ইচ্ছে নেই। প্রয়োজনীয় আয়োজন নিয়ে ছিমছাম ভিডিও করি আমি।
সবাই তো ভিডিওর দিকেই ঝুঁকছে...
পুরোনো দিনে কিন্তু মানুষ শুধু গানই শুনত। গান শুনে একটা দৃশ্য কল্পনা করত। গানটার মধ্যে ডুবে যেতে পারত। এখন ভিডিওর প্রতি অতি মনোযোগী হওয়ার ফলে গানটার আর মূল্য থাকে না। গানগুলো আমাদের মনের মধ্যে আর পৌঁছায় না। কী গাইলাম, কী সুর হলো—এগুলো নিয়ে আর আলোচনা হয় না। ওই ভিডিওর দৃশ্যের মধ্যে আমরা থেকে যাই। আমি মনে করি গানটার মূল্যটা বেশি। সে ক্ষেত্রে আমি কী গাইছি সেটার দিকে মনোযোগী হতে হবে একজন শিল্পী হিসেবে।
ভারতে উচ্চাঙ্গসংগীতের শিক্ষক ছিলেন। গান নিয়ে আপনার বিস্তর পড়াশোনা। এই প্রজন্মের জন্য কী করছেন?
দিল্লিতে যখন ছিলাম, তখন সেখানে হাজারখানেক ছাত্রছাত্রী ছিল। এরপরে কিন্তু আমার মধ্যে একটা ব্যাপার কাজ করত আমার দেশের জন্য কী করলাম! সেই বোধ থেকেই দেশে ফিরে আসা। দেশে অনেক তরুণ-তরুণী গানে আগ্রহী। কিন্তু শুদ্ধভাবে চর্চা করতে পারছে না। তাদের জন্যই স্কুল খুললাম। হৈমন্তী শুক্লার মতো খ্যাতিমানদের সঙ্গেও পরিচয় করিয়ে দিতে চাই নতুন প্রজন্মকে।
গানে উচ্চশিক্ষার জন্য দীর্ঘদিন ভারতে ছিলেন কক্সবাজারের সন্তান সমরজিৎ রায়। পেয়েছেন পণ্ডিত ডি বি পালুস্কার অ্যাওয়ার্ডসহ একাধিক সম্মাননা। গুণী অনেক শিল্পীর সান্নিধ্য সমৃদ্ধ করেছে তাঁকে। শুদ্ধ গান চর্চার স্বপ্ন নিয়ে শুরু করেছেন গানের স্কুল। সিনেমার গানের পাশাপাশি তৈরী করছেন নিজের মৌলিক গান। গতকাল গাইলেন ‘সুবীর নন্দী স্মরণোৎসব’–এ।
‘সুবীর নন্দী স্মরণোৎসব’–এ গাইলেন। ব্যক্তিগতভাবে কেমন সম্পর্ক ছিল তাঁর সঙ্গে?
কিংবদন্তি শিল্পী সুবীর নন্দীর সঙ্গে অনেক অনুষ্ঠানে একসঙ্গে গাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে। বাংলা গানকে তিনি অনেক উঁচুতে নিয়ে গেছেন। সমৃদ্ধ করেছেন। ওনার সঙ্গে একটা গানে তবলাও বাজিয়ে ছিলাম। অনুষ্ঠান শেষে আমার তবলাবাদনের ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন তিনি। তাঁর পরিবারের সঙ্গেও আমার ভালো সম্পর্ক। বিশেষ করে ওনার মেয়ে ফাল্গুনী নন্দীর সঙ্গে এখনো আমার যোগাযোগ হয়।
কলকাতার একটা ডকুমেন্টারি ফিল্মে গাইলেন…
সারদা দেবীর জন্মস্থানে মাতৃমন্দির প্রতিষ্ঠার শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে তাঁকে নিয়ে হিন্দি, বাংলা ও ইংরেজি—এই তিন ভাষায় তৈরি হয়েছে এই তথ্যচিত্রটি। হিন্দি এবং বাংলা ভার্সনের জন্য গান গেয়েছি আমি। গানটির সুরও আমার করা। এখন পর্যন্ত গানটির শিরোনাম ‘ধীরে সমীরে’। পরে শিরোনামটি পরিবর্তনও করা হতে পারে। এই তথ্যচিত্রে অন্য একটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন কলকাতার প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী শ্রীকান্ত আচার্য। তথ্যচিত্রটি প্রযোজনা করেছে পশ্চিমবঙ্গের শ্রী শ্রী মাতৃমন্দির জয়রামবাটি। পরিচালনায় অনুপ রায় চৌধুরী। আকাশবাণী কলকাতার বিখ্যাত বাচিক শিল্পীরা এতে অংশগ্রহণ করেছেন। সারদা মায়ের চরিত্রে অংশ নিয়েছেন কলকাতার নাট্যজগতের প্রখ্যাত অভিনেত্রী শ্রীমতি ভদ্রা বসু।
বাংলাদেশের একটি সিনেমাতেও তো প্লেব্যাক করলেন...
হ্যাঁ। ভারতে থাকতে অনেক বছর আগে মৈথিলি ভাষার একটা সিনেমায় গিয়েছিলাম। এবার প্রথমবারের মতো বাংলা সিনেমায় গান গাইলাম। ড. সোহানী হোসেনের প্রযোজনায় ‘অন্তরাত্মা’ সিনেমায় ন্যান্সির সঙ্গে গেয়েছি। সুর ও সংগীত করেছেন কলকাতার ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত। প্রযোজক সোহানী আপা আমার গানের ভীষণ ভক্ত। অনেক বছর ধরে উনি আমার গান পছন্দ করেন। ওনার অনেক দিনের ইচ্ছে ছিল তাঁর সিনেমায় আমাকে দিয়ে গাওয়াবেন। আমিও অপেক্ষায় ছিলাম এমন কোনো গান হোক যে শুরুর কথাটা আজীবন বলতে পারি। সুর–সংগীত মিলিয়ে খুব ভালো হয়েছে গানটি। শাকিব খানের লিপে যাবে গানটি।
গান নিয়ে অন্যান্য ব্যস্ততা কী?
কিংবদন্তি শিল্পী হৈমন্তী শুক্লার সঙ্গে ‘সুর ছায়া’ নামে অনলাইনে একটা গানের স্কুল শুরু করেছি। প্রথম ব্যাচের ক্লাস চলছে তিন মাস ধরে। ওটাতে আমরা চেষ্টা করি যাঁরা ইতিমধ্যে গানে ক্যারিয়ার শুরু করেছেন, গান নিয়েই এগোতে চান। তাঁদের বিভিন্ন টেকনিক্যাল বিষয় নিয়ে শিক্ষা দিতে। গানের ক্ষেত্রে ‘অ্যাডভান্স লেভেল’ যদি বলি সেই শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে।
মৌলিক গান প্রকাশের পরিকল্পনা কী?
কিছু মৌলিক গান তৈরি আছে। যেগুলো একে একে ইউটিউবেই প্রকাশ করব। বড় বাজেটের ভিডিও করার ইচ্ছে নেই। প্রয়োজনীয় আয়োজন নিয়ে ছিমছাম ভিডিও করি আমি।
সবাই তো ভিডিওর দিকেই ঝুঁকছে...
পুরোনো দিনে কিন্তু মানুষ শুধু গানই শুনত। গান শুনে একটা দৃশ্য কল্পনা করত। গানটার মধ্যে ডুবে যেতে পারত। এখন ভিডিওর প্রতি অতি মনোযোগী হওয়ার ফলে গানটার আর মূল্য থাকে না। গানগুলো আমাদের মনের মধ্যে আর পৌঁছায় না। কী গাইলাম, কী সুর হলো—এগুলো নিয়ে আর আলোচনা হয় না। ওই ভিডিওর দৃশ্যের মধ্যে আমরা থেকে যাই। আমি মনে করি গানটার মূল্যটা বেশি। সে ক্ষেত্রে আমি কী গাইছি সেটার দিকে মনোযোগী হতে হবে একজন শিল্পী হিসেবে।
ভারতে উচ্চাঙ্গসংগীতের শিক্ষক ছিলেন। গান নিয়ে আপনার বিস্তর পড়াশোনা। এই প্রজন্মের জন্য কী করছেন?
দিল্লিতে যখন ছিলাম, তখন সেখানে হাজারখানেক ছাত্রছাত্রী ছিল। এরপরে কিন্তু আমার মধ্যে একটা ব্যাপার কাজ করত আমার দেশের জন্য কী করলাম! সেই বোধ থেকেই দেশে ফিরে আসা। দেশে অনেক তরুণ-তরুণী গানে আগ্রহী। কিন্তু শুদ্ধভাবে চর্চা করতে পারছে না। তাদের জন্যই স্কুল খুললাম। হৈমন্তী শুক্লার মতো খ্যাতিমানদের সঙ্গেও পরিচয় করিয়ে দিতে চাই নতুন প্রজন্মকে।
এক যুগ আগে বর্ণমালা নামের ব্যান্ড গঠন করেছিলেন সংগীতশিল্পী সাবরিনা পড়শী। নিজের ব্যান্ড নিয়ে প্রথমবার সৌদি আরবে কনসার্ট করতে যাচ্ছেন তিনি। ২৩ নভেম্বর সৌদি আরবের রিয়াদ শহরের আল-সুওয়াইদি পার্কে গান শোনাবে বর্ণমালা।
২ ঘণ্টা আগেহাসিব চৌধুরীর ‘ফ্ল্যাট ১৪৩’ গল্প অবলম্বনে তৈরি হয়েছে ওয়েব সিরিজ ‘ফ্রেঞ্জি’। চার তরুণের বন্ধুত্ব, ভালোবাসা, আনন্দ ও বিষাদের গল্প নিয়ে এগিয়েছে গল্প। বানিয়েছেন জাহিদ প্রীতম। ২০ নভেম্বর ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বিঞ্জে মুক্তি পাবে সিরিজটি। বৃহস্পতিবার ট্রেলার প্রকাশ করে জানানো হয় সিরিজ মুক্তির তারিখ।
৩ ঘণ্টা আগেসিনেমার গল্প চুড়ান্ত হওয়ার পর প্রথমে মান্নাকেই ভেবেছিলেন কাজী হায়াৎ। তবে প্রযোজক ডিপজলের সঙ্গে সে সময় মান্নার দূরত্ব চলছিল। তাই মান্নাকে নিতে রাজি ছিলেন না ডিপজল। ভাবা হচ্ছিল, রুবেল কিংবা হুমায়ূন ফরীদির কথা।
১৩ ঘণ্টা আগেপুরোনো ভিডিও এডিট করে মিথ্যা ক্যাপশন জুড়ে দেওয়ায় বিব্রত অভিনেত্রী। মিম বলেন, ‘জুয়েলারি শোরুমের ভিডিওটি জোড়াতালি দিয়ে অনেকেই লিখছেন, আমি মবের শিকার হয়েছি। আমাকে উদ্বোধনে বাধা দেওয়া হয়েছে। আসলে তেমন কোনো কিছু আমার সঙ্গে ঘটেনি।’
১৩ ঘণ্টা আগে