বিনোদন প্রতিবেদক
ঢাকা: হুমায়ুন ফরীদি আজ ৬৯ বছর ছুঁতেন; যদি না ৯ বছর আগে হুট করে চলে যেতেন। ১৯৫২ সালের এই দিনে তিনি জন্মেছিলেন, ঢাকার নারিন্দায়। মঞ্চ, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র। সমানতালে তিন দশক দাপট ছিল এই অভিনেতার। ২০১২ সালে ফাল্গুনের প্রথম দিনে (১৩ ফেব্রুয়ারি) পৃথিবীর সব আলো পেছনে ফেলে তিনি চলে গেছেন না–ফেরার দেশে। অভিনয়ের মাধ্যমে আমৃত্যু ছড়িয়েছেন জীবনের বর্ণিল আলো। বহুমাত্রিক এই অভিনেতাকে তাঁর পরবর্তী প্রজন্ম কীভাবে মনে রাখছেন।
তিনি আমার অভিনয়ের বাবা
আফরান নিশো
আমার আইডল হুমায়ুন ফরীদি। তিনি একজন ভার্সেটাইল অভিনেতা। তাঁর সঙ্গে খুব বেশি অভিনয় করার সুযোগ হয়নি। অল্প কয়েকটি নাটকে একসঙ্গে কাজ করেছিলাম। তিনি জানতেন আমি তাঁকে অনেক পছন্দ করি। অভিনয়ের ফাঁকে তাঁর সঙ্গে অনেক আড্ডা দেওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে। ফরীদি ভাই বলতেন, ‘আমিও তোমাকে পছন্দ করি।’ অভিনয় নিয়ে আমাকে অনেক উপদেশ দিতেন, গাইডলাইন দিতেন। সেসব ভুলিনি। একটা বিষয়ে আমাদের খুব মিল ছিল। দুজনের পছন্দের মাছ একই ছিল। তাঁর বাড়ি থেকে রান্না করা খাবার খাওয়ার স্মৃতিও আছে। আজ ফরীদি ভাই নেই। কিন্তু, তাঁর উপদেশ এখনো আমার মনে আছে। ফরীদি ভাইকে অনেক হ্যান্ডসাম বলব না। তিনি বুঝিয়ে দিয়ে গেলেন, লুকটা অভিনেতার জন্য অত্যন্ত জরুরি না। তিনি আমার অভিনয়ের বাবা। আমি কখনোই তাঁকে ছাড়াতে পারব না। তবু স্বপ্ন, তাঁর মতো করে মানুষ আমাকেও মনে রাখবে, অভিনয়ের জন্য ভালোবাসবে।
তাকে ছাত্রজীবন থেকেই পেয়েছি
শহীদুজ্জামান সেলিম
আমার সৌভাগ্য যে তাঁর মতো মানুষকে ছাত্রজীবন থেকেই পেয়েছি। তখন তিনি ঢাকা থিয়েটারে অলরেডি জয়েন করেছেন। দু-একটা নাটকে অভিনয়ও করেছেন। তখনো আমি অভিনয়জীবন শুরু করিনি। আমার শুরুটাও হয়েছিল তাঁর হাত ধরে। তিনিই আমাকে প্রধান চরিত্রে নির্বাচন করেছিলেন, ১৯৮০ সালে আমাদের হলে একটি নাট্যোৎসবের নাটকে। তিনি আর আমি তো একই বিশ্ববিদ্যালয়ের। পরে যখন ঢাকা থিয়েটারে যোগ দিই, যখন তখন তাঁর সঙ্গে কথা বলার সুযোগ দিতেন। সহশিল্পী হিসেবে উনার সঙ্গে অভিনয় করেছি ‘কেরামত মঙ্গল’ নাটকে, টেলিভিশনেও কিছু কাজ করেছি। আমার সৌভাগ্য, যাঁর কাছ থেকে আমি কাজ শিখেছি, তাঁকে নিয়েই বেশ কিছু নাটক পরিচালনা করেছি। আমি যেহেতু এখনো অভিনয় পেশার সঙ্গে আছি, চেতনে বা অবচেতন মনে আমি তাঁকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি। কঠিন কোনো চরিত্র পেলে আমি উনার সঙ্গে কনসাল্ট করতাম। এখন আর জিজ্ঞেস করার কোনো মানুষ নেই। তাই উনার বলে যাওয়া কথাগুলোই স্মরণ করতে থাকি।
আমি যেন আরেকজন ফরীদি
আনিসুর রহমান মিলন
আমাকে দেখে অনেকেই বলেন, ‘আমরা আরেকটা হুমায়ুন ফরীদিকে পেয়েছি।’ ২২ বছর ধরেই শুনছি। বিশেষ করে যখন নেগেটিভ রোল করি, তখন ফরীদি ভাই আমার মধ্যে অনেকটাই ভর করেন। প্রতিদিনই কোনো না কোনো সেটে অভিনয় নিয়ে আলোচনা হলে ফরীদি ভাই চলে আসেন। সিনেমার সেটে এটা বেশি হয়। যাঁর জন্য মনে হয় ফরীদি ভাই এখনো আমাদের সঙ্গেই আছেন। উনার কাছ থেকে অনেক কিছু পেয়েছি। আমার প্রথম সিনেমার শুটিংয়ের আগে উনি আমাকে পানির বোতলসহ একটা সেট কিনে দিয়েছিলেন। শুটিংয়ে গেলে একজন অভিনেতার যা যা লাগে, সব আছে সেই সেটে। উনি মারা যাওয়ার পর আমি ওটা তুলে রেখেছি। ব্যবহার করলে হয়তো হারিয়ে ফেলব। নষ্ট করে ফেলব। বাসায় যত্ন করে রেখেছি, মনে পড়লে ওগুলো বের করে দেখি।
তাঁর মতো ম্যাজিক আর কারও মধ্যে নেই
রওনক হাসান
উনি মারা যাওয়ার ১৫-২০ দিন আগে আমার সঙ্গে এক শুটিং হাউসে দেখা হয়েছিল। আমি চলে যাচ্ছিলাম আর উনি ঢুকছিলেন। সালাম দিলাম, কুশল বিনিময় করলাম। উনি তখন হঠাৎ করে বললেন, ‘তোমার অভিনয়ে আমার প্রভাব আছে।’ বললাম, জি ভাই, আপনি তো অভিনয়ের কিছুই বাকি রাখেননি। তখন উনি বললেন, ‘না না, তোমার মধ্যে তো প্রভাব আছে। অমুক-অমুক তো হুবহু কপি করে। তখন আমি চুপ। উনি আমার গাড়ি দেখিয়ে বললেন, ‘এটা তোমার গাড়ি?’ বললাম, জি ভাই। শুনে বললেন, ‘তোমার টেস্ট ভালো। একসময় আমারও এই গাড়ি ছিল।’ এ কথা বলে হো হো হো শব্দে হেসে হেঁটে চলে গেলেন। উনার সঙ্গে আমার শেষ দেখা বা শেষ কথা ছিল ওটাই।
অনেকেই ভালো অভিনয় করেন; আমিও অভিনয় করি, কিন্তু ম্যাজিকটা পাই না, যেটা ফরীদি ভাইয়ের ছিল। এখনো যখন তাঁর কোনো কাজ দেখি, প্রতিদিনই নতুন কিছু শিখি। উনি কীভাবে পোজ দিতেন, কীভাবে ডেলিভারি দিতেন—সেগুলো আসলে বিস্ময়কর। অসামান্য প্রতিভা না থাকলে এগুলো করা সম্ভব না। ওনার অভিনয় আমার মধ্যে কতটা আছে সেটা দর্শকই বলতে পারবে। তবে আমি বলব, তাঁর পরবর্তী প্রজন্মের অভিনেতাদের মধ্যে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ফরীদি ভাই আছেনই।
ঢাকা: হুমায়ুন ফরীদি আজ ৬৯ বছর ছুঁতেন; যদি না ৯ বছর আগে হুট করে চলে যেতেন। ১৯৫২ সালের এই দিনে তিনি জন্মেছিলেন, ঢাকার নারিন্দায়। মঞ্চ, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র। সমানতালে তিন দশক দাপট ছিল এই অভিনেতার। ২০১২ সালে ফাল্গুনের প্রথম দিনে (১৩ ফেব্রুয়ারি) পৃথিবীর সব আলো পেছনে ফেলে তিনি চলে গেছেন না–ফেরার দেশে। অভিনয়ের মাধ্যমে আমৃত্যু ছড়িয়েছেন জীবনের বর্ণিল আলো। বহুমাত্রিক এই অভিনেতাকে তাঁর পরবর্তী প্রজন্ম কীভাবে মনে রাখছেন।
তিনি আমার অভিনয়ের বাবা
আফরান নিশো
আমার আইডল হুমায়ুন ফরীদি। তিনি একজন ভার্সেটাইল অভিনেতা। তাঁর সঙ্গে খুব বেশি অভিনয় করার সুযোগ হয়নি। অল্প কয়েকটি নাটকে একসঙ্গে কাজ করেছিলাম। তিনি জানতেন আমি তাঁকে অনেক পছন্দ করি। অভিনয়ের ফাঁকে তাঁর সঙ্গে অনেক আড্ডা দেওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে। ফরীদি ভাই বলতেন, ‘আমিও তোমাকে পছন্দ করি।’ অভিনয় নিয়ে আমাকে অনেক উপদেশ দিতেন, গাইডলাইন দিতেন। সেসব ভুলিনি। একটা বিষয়ে আমাদের খুব মিল ছিল। দুজনের পছন্দের মাছ একই ছিল। তাঁর বাড়ি থেকে রান্না করা খাবার খাওয়ার স্মৃতিও আছে। আজ ফরীদি ভাই নেই। কিন্তু, তাঁর উপদেশ এখনো আমার মনে আছে। ফরীদি ভাইকে অনেক হ্যান্ডসাম বলব না। তিনি বুঝিয়ে দিয়ে গেলেন, লুকটা অভিনেতার জন্য অত্যন্ত জরুরি না। তিনি আমার অভিনয়ের বাবা। আমি কখনোই তাঁকে ছাড়াতে পারব না। তবু স্বপ্ন, তাঁর মতো করে মানুষ আমাকেও মনে রাখবে, অভিনয়ের জন্য ভালোবাসবে।
তাকে ছাত্রজীবন থেকেই পেয়েছি
শহীদুজ্জামান সেলিম
আমার সৌভাগ্য যে তাঁর মতো মানুষকে ছাত্রজীবন থেকেই পেয়েছি। তখন তিনি ঢাকা থিয়েটারে অলরেডি জয়েন করেছেন। দু-একটা নাটকে অভিনয়ও করেছেন। তখনো আমি অভিনয়জীবন শুরু করিনি। আমার শুরুটাও হয়েছিল তাঁর হাত ধরে। তিনিই আমাকে প্রধান চরিত্রে নির্বাচন করেছিলেন, ১৯৮০ সালে আমাদের হলে একটি নাট্যোৎসবের নাটকে। তিনি আর আমি তো একই বিশ্ববিদ্যালয়ের। পরে যখন ঢাকা থিয়েটারে যোগ দিই, যখন তখন তাঁর সঙ্গে কথা বলার সুযোগ দিতেন। সহশিল্পী হিসেবে উনার সঙ্গে অভিনয় করেছি ‘কেরামত মঙ্গল’ নাটকে, টেলিভিশনেও কিছু কাজ করেছি। আমার সৌভাগ্য, যাঁর কাছ থেকে আমি কাজ শিখেছি, তাঁকে নিয়েই বেশ কিছু নাটক পরিচালনা করেছি। আমি যেহেতু এখনো অভিনয় পেশার সঙ্গে আছি, চেতনে বা অবচেতন মনে আমি তাঁকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি। কঠিন কোনো চরিত্র পেলে আমি উনার সঙ্গে কনসাল্ট করতাম। এখন আর জিজ্ঞেস করার কোনো মানুষ নেই। তাই উনার বলে যাওয়া কথাগুলোই স্মরণ করতে থাকি।
আমি যেন আরেকজন ফরীদি
আনিসুর রহমান মিলন
আমাকে দেখে অনেকেই বলেন, ‘আমরা আরেকটা হুমায়ুন ফরীদিকে পেয়েছি।’ ২২ বছর ধরেই শুনছি। বিশেষ করে যখন নেগেটিভ রোল করি, তখন ফরীদি ভাই আমার মধ্যে অনেকটাই ভর করেন। প্রতিদিনই কোনো না কোনো সেটে অভিনয় নিয়ে আলোচনা হলে ফরীদি ভাই চলে আসেন। সিনেমার সেটে এটা বেশি হয়। যাঁর জন্য মনে হয় ফরীদি ভাই এখনো আমাদের সঙ্গেই আছেন। উনার কাছ থেকে অনেক কিছু পেয়েছি। আমার প্রথম সিনেমার শুটিংয়ের আগে উনি আমাকে পানির বোতলসহ একটা সেট কিনে দিয়েছিলেন। শুটিংয়ে গেলে একজন অভিনেতার যা যা লাগে, সব আছে সেই সেটে। উনি মারা যাওয়ার পর আমি ওটা তুলে রেখেছি। ব্যবহার করলে হয়তো হারিয়ে ফেলব। নষ্ট করে ফেলব। বাসায় যত্ন করে রেখেছি, মনে পড়লে ওগুলো বের করে দেখি।
তাঁর মতো ম্যাজিক আর কারও মধ্যে নেই
রওনক হাসান
উনি মারা যাওয়ার ১৫-২০ দিন আগে আমার সঙ্গে এক শুটিং হাউসে দেখা হয়েছিল। আমি চলে যাচ্ছিলাম আর উনি ঢুকছিলেন। সালাম দিলাম, কুশল বিনিময় করলাম। উনি তখন হঠাৎ করে বললেন, ‘তোমার অভিনয়ে আমার প্রভাব আছে।’ বললাম, জি ভাই, আপনি তো অভিনয়ের কিছুই বাকি রাখেননি। তখন উনি বললেন, ‘না না, তোমার মধ্যে তো প্রভাব আছে। অমুক-অমুক তো হুবহু কপি করে। তখন আমি চুপ। উনি আমার গাড়ি দেখিয়ে বললেন, ‘এটা তোমার গাড়ি?’ বললাম, জি ভাই। শুনে বললেন, ‘তোমার টেস্ট ভালো। একসময় আমারও এই গাড়ি ছিল।’ এ কথা বলে হো হো হো শব্দে হেসে হেঁটে চলে গেলেন। উনার সঙ্গে আমার শেষ দেখা বা শেষ কথা ছিল ওটাই।
অনেকেই ভালো অভিনয় করেন; আমিও অভিনয় করি, কিন্তু ম্যাজিকটা পাই না, যেটা ফরীদি ভাইয়ের ছিল। এখনো যখন তাঁর কোনো কাজ দেখি, প্রতিদিনই নতুন কিছু শিখি। উনি কীভাবে পোজ দিতেন, কীভাবে ডেলিভারি দিতেন—সেগুলো আসলে বিস্ময়কর। অসামান্য প্রতিভা না থাকলে এগুলো করা সম্ভব না। ওনার অভিনয় আমার মধ্যে কতটা আছে সেটা দর্শকই বলতে পারবে। তবে আমি বলব, তাঁর পরবর্তী প্রজন্মের অভিনেতাদের মধ্যে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ফরীদি ভাই আছেনই।
সিনেমার গল্প চুড়ান্ত হওয়ার পর প্রথমে মান্নাকেই ভেবেছিলেন কাজী হায়াৎ। তবে প্রযোজক ডিপজলের সঙ্গে সে সময় মান্নার দূরত্ব চলছিল। তাই মান্নাকে নিতে রাজি ছিলেন না ডিপজল। ভাবা হচ্ছিল, রুবেল কিংবা হুমায়ূন ফরীদির কথা।
৩ ঘণ্টা আগেপুরোনো ভিডিও এডিট করে মিথ্যা ক্যাপশন জুড়ে দেওয়ায় বিব্রত অভিনেত্রী। মিম বলেন, ‘জুয়েলারি শোরুমের ভিডিওটি জোড়াতালি দিয়ে অনেকেই লিখছেন, আমি মবের শিকার হয়েছি। আমাকে উদ্বোধনে বাধা দেওয়া হয়েছে। আসলে তেমন কোনো কিছু আমার সঙ্গে ঘটেনি।’
৩ ঘণ্টা আগেবিদেশে তুমুল অভ্যর্থনা পেলেও নিজের দেশ ভারতেই কনসার্ট করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়লেন দিলজিৎ। তেলেঙ্গানা সরকার নোটিশ পাঠিয়ে তাঁকে সতর্ক করেছে, মাদকদ্রব্যের প্রচার করা হয়, এমন কোনো গান তিনি যেন কনসার্টে না করেন।
৫ ঘণ্টা আগেচার দশকের ক্যারিয়ার আমির খানের। বলিউডের মাসালা সিনেমার ভিড়ে খানিকটা অন্য ধরনের কাজের কথা উঠলেই আসে তাঁর নাম। নিজের কাজ নিয়ে এতটাই খুঁতখুঁতে থাকেন যে আমিরের আরেক নাম হয়ে গেছে মিস্টার পারফেকশনিস্ট। তবে তাঁর এই সাফল্যের পালে বেশ বড়সড় ধাক্কা লাগে ‘লাল সিং চাড্ডা’র সময়।
৬ ঘণ্টা আগে