প্রতিনিধি, খোকসা (কুষ্টিয়া)
কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় আশির দশকে পাটের গোডাউন ভেঙে প্রথমে প্রেক্ষাগৃহ তৈরি করা হয়েছিল। কর্মব্যস্ততার ফাঁকে নানা পেশার মানুষের সিনেমা দেখার আনন্দকে সঙ্গী করে চলতে থাকে মর্নিং, ম্যাটিনি ও নাইট শো। এরপর অল্প সময়ের মধ্যে এক কিলোমিটারের মধ্যে তিনটি প্রেক্ষাগৃহের জন্ম হয়। এরপর দুই যুগ দর্শক বিনোদন দিয়ে চলতে থাকে সুবর্ণা, অপর্ণা ও মনামী সিনেমা হল (প্রেক্ষাগৃহ)।
কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় মানহীন চলচ্চিত্র, নোংরা পরিবেশ, অব্যবস্থাপনা ও অর্থের অভাবে অপর্ণা প্রেক্ষাগৃহটি বন্ধ হয়েছে এক বছর আগেই। এবার বন্ধ থাকা প্রেক্ষাগৃহটি ভেঙে গোডাউন তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর আগে খোকসার সুবর্ণা প্রেক্ষাগৃহের অবকাঠামো ভেঙে একটি অংশ গোডাউনে পরিণত করা হয়।
নিয়মিত খোকসার প্রেক্ষাগৃহগুলোয় সিনেমা দেখতেন রবিউল ইসলাম (৫৫)। তিনি জানান, আকাশ সংস্কৃতির আগ্রাসন আর সিনেমার সঙ্গে অশ্লীল কাটপিস সংযোজনের কারণে দর্শকেরা প্রেক্ষাগৃহ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। এতে ক্রমাগত লোকসানের মুখে পড়ে সিনেমার প্রদর্শনী বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন প্রেক্ষাগৃহের মালিকেরা।
কথা হয় সুবর্ণা ও অপর্ণা প্রেক্ষাগৃহের মালিক আমজাদ হোসেন খোকনের সঙ্গে। তিনি জানান, সুবর্ণা প্রেক্ষাগৃহটি ১১ বছর আগেই বন্ধ হয়ে গেছে। পরে সেটি ভেঙে একটি অংশে গোডাউন করা হয়েছে। ভবনটির বাকি অংশ এখন পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। অপরদিকে এক বছর ধরে অপর্ণা প্রেক্ষাগৃহটিও বন্ধ রয়েছে। এ জন্য তিনি আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার জন্য প্রেক্ষাগৃহটি ভেঙে গোডাউনে রূপান্তর করার উদ্যোগ নিয়েছেন। বাকি অংশ একটি ব্যাংকের কাছে ভাড়া দিয়েছেন।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, প্রেক্ষাগৃহ বন্ধের পেছনে একদিকে প্রযুক্তির অপব্যবহার, অন্যদিকে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র দায়ী। পরিকল্পিতভাবে চলচ্চিত্রশিল্পকে ধ্বংস করা হয়েছে।
সরকার প্রণোদনার মাধ্যমে সিনেমা ব্যবসার সুদিন ফেরাতে চায়। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রণোদনার ঋণের সুদ ৪ শতাংশ বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে ৯ শতাংশে গিয়ে দাঁড়াবে। ফলে সিনেমা ব্যবসা আর ঘুরে দাঁড়াবে না।’
সুবর্ণা ও অপর্ণা ছাড়াও খোকসায় আশির দশকে নির্মিত মনামী প্রেক্ষাগৃহটি খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে। কিছুদিন আগেও ঈদ ও পূজার উৎসবে দর্শক হলেও এখন আর কেউ সিনেমা দেখতে প্রেক্ষাগৃহে আসে না।
কেবল ভালো মানের ছবি নয় প্রেক্ষাগৃহের পরিবেশ উন্নত করা গেলে আবারও দর্শক প্রেক্ষাগৃহমুখী হবেন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় আশির দশকে পাটের গোডাউন ভেঙে প্রথমে প্রেক্ষাগৃহ তৈরি করা হয়েছিল। কর্মব্যস্ততার ফাঁকে নানা পেশার মানুষের সিনেমা দেখার আনন্দকে সঙ্গী করে চলতে থাকে মর্নিং, ম্যাটিনি ও নাইট শো। এরপর অল্প সময়ের মধ্যে এক কিলোমিটারের মধ্যে তিনটি প্রেক্ষাগৃহের জন্ম হয়। এরপর দুই যুগ দর্শক বিনোদন দিয়ে চলতে থাকে সুবর্ণা, অপর্ণা ও মনামী সিনেমা হল (প্রেক্ষাগৃহ)।
কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় মানহীন চলচ্চিত্র, নোংরা পরিবেশ, অব্যবস্থাপনা ও অর্থের অভাবে অপর্ণা প্রেক্ষাগৃহটি বন্ধ হয়েছে এক বছর আগেই। এবার বন্ধ থাকা প্রেক্ষাগৃহটি ভেঙে গোডাউন তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর আগে খোকসার সুবর্ণা প্রেক্ষাগৃহের অবকাঠামো ভেঙে একটি অংশ গোডাউনে পরিণত করা হয়।
নিয়মিত খোকসার প্রেক্ষাগৃহগুলোয় সিনেমা দেখতেন রবিউল ইসলাম (৫৫)। তিনি জানান, আকাশ সংস্কৃতির আগ্রাসন আর সিনেমার সঙ্গে অশ্লীল কাটপিস সংযোজনের কারণে দর্শকেরা প্রেক্ষাগৃহ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। এতে ক্রমাগত লোকসানের মুখে পড়ে সিনেমার প্রদর্শনী বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন প্রেক্ষাগৃহের মালিকেরা।
কথা হয় সুবর্ণা ও অপর্ণা প্রেক্ষাগৃহের মালিক আমজাদ হোসেন খোকনের সঙ্গে। তিনি জানান, সুবর্ণা প্রেক্ষাগৃহটি ১১ বছর আগেই বন্ধ হয়ে গেছে। পরে সেটি ভেঙে একটি অংশে গোডাউন করা হয়েছে। ভবনটির বাকি অংশ এখন পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। অপরদিকে এক বছর ধরে অপর্ণা প্রেক্ষাগৃহটিও বন্ধ রয়েছে। এ জন্য তিনি আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার জন্য প্রেক্ষাগৃহটি ভেঙে গোডাউনে রূপান্তর করার উদ্যোগ নিয়েছেন। বাকি অংশ একটি ব্যাংকের কাছে ভাড়া দিয়েছেন।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, প্রেক্ষাগৃহ বন্ধের পেছনে একদিকে প্রযুক্তির অপব্যবহার, অন্যদিকে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র দায়ী। পরিকল্পিতভাবে চলচ্চিত্রশিল্পকে ধ্বংস করা হয়েছে।
সরকার প্রণোদনার মাধ্যমে সিনেমা ব্যবসার সুদিন ফেরাতে চায়। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রণোদনার ঋণের সুদ ৪ শতাংশ বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে ৯ শতাংশে গিয়ে দাঁড়াবে। ফলে সিনেমা ব্যবসা আর ঘুরে দাঁড়াবে না।’
সুবর্ণা ও অপর্ণা ছাড়াও খোকসায় আশির দশকে নির্মিত মনামী প্রেক্ষাগৃহটি খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে। কিছুদিন আগেও ঈদ ও পূজার উৎসবে দর্শক হলেও এখন আর কেউ সিনেমা দেখতে প্রেক্ষাগৃহে আসে না।
কেবল ভালো মানের ছবি নয় প্রেক্ষাগৃহের পরিবেশ উন্নত করা গেলে আবারও দর্শক প্রেক্ষাগৃহমুখী হবেন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সিনেমার গল্প চুড়ান্ত হওয়ার পর প্রথমে মান্নাকেই ভেবেছিলেন কাজী হায়াৎ। তবে প্রযোজক ডিপজলের সঙ্গে সে সময় মান্নার দূরত্ব চলছিল। তাই মান্নাকে নিতে রাজি ছিলেন না ডিপজল। ভাবা হচ্ছিল, রুবেল কিংবা হুমায়ূন ফরীদির কথা।
৬ ঘণ্টা আগেপুরোনো ভিডিও এডিট করে মিথ্যা ক্যাপশন জুড়ে দেওয়ায় বিব্রত অভিনেত্রী। মিম বলেন, ‘জুয়েলারি শোরুমের ভিডিওটি জোড়াতালি দিয়ে অনেকেই লিখছেন, আমি মবের শিকার হয়েছি। আমাকে উদ্বোধনে বাধা দেওয়া হয়েছে। আসলে তেমন কোনো কিছু আমার সঙ্গে ঘটেনি।’
৬ ঘণ্টা আগেবিদেশে তুমুল অভ্যর্থনা পেলেও নিজের দেশ ভারতেই কনসার্ট করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়লেন দিলজিৎ। তেলেঙ্গানা সরকার নোটিশ পাঠিয়ে তাঁকে সতর্ক করেছে, মাদকদ্রব্যের প্রচার করা হয়, এমন কোনো গান তিনি যেন কনসার্টে না করেন।
৭ ঘণ্টা আগেচার দশকের ক্যারিয়ার আমির খানের। বলিউডের মাসালা সিনেমার ভিড়ে খানিকটা অন্য ধরনের কাজের কথা উঠলেই আসে তাঁর নাম। নিজের কাজ নিয়ে এতটাই খুঁতখুঁতে থাকেন যে আমিরের আরেক নাম হয়ে গেছে মিস্টার পারফেকশনিস্ট। তবে তাঁর এই সাফল্যের পালে বেশ বড়সড় ধাক্কা লাগে ‘লাল সিং চাড্ডা’র সময়।
৯ ঘণ্টা আগে