বিনোদন প্রতিবেদক
ঢাকা: টিকটক গ্রুপ খুলে সেখানে পোস্ট করা হতো আকর্ষণীয় ভিডিও। সেই ভিডিওতে যেসব মেয়ে লাইক-কমেন্ট বা শেয়ার করতেন, তাঁদের টার্গেট করা হতো। দেখানো হতো ভিডিও তৈরি করে টিকটকে জনপ্রিয়তা বাড়ানোর প্রলোভন। একপর্যায়ে ভার্চ্যুয়াল মাধ্যম থেকে সরাসরি সাক্ষাৎ করা হতো টার্গেট করা তরুণীদের সঙ্গে। এরপর বিভিন্ন স্পটে নিয়ে তাঁদের দিয়ে টিকটক ভিডিও বানিয়ে করা হতো সুসম্পর্ক। নাচ-গানসহ মাদকসেবনের অভ্যাস করানোর চেষ্টা করা হতো। বেঙ্গালুরুতে নির্যাতিত বাংলাদেশি তরুণী ছাড়াও অনেককে এভাবে টিকটকের ফাঁদে ফেলে ভারতে পাচার করা হতো। বাধ্য করা হতো দেহব্যবসায়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, টিকটকের কার্যক্রম শুরুর পর থেকে এই প্রলোভনে পাচার শুরু হয়েছে। উঠতি বয়সী কিশোরী-তরুণীদের মডেল বা স্টার বানানোর প্রলোভন দেখিয়ে ফাঁদে ফেলে পাচার করছে একটি চক্র। এ জন্য টিকটককে তাঁরা নেতিবাচক হিসেবেই দেখছেন। টিকটককেন্দ্রিক অপচেষ্টা বন্ধে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে বলেও জানান। প্রযুক্তির ভালো–খারাপ দিক বিবেচনা করা আমাদের আজকাল দুরূহ হয়ে উঠছে। অনেক তারকা অভিনয়শিল্পী টিকটককে বেছে নিয়েছেন নিরেট আনন্দের খোরাক হিসেবে।
দিলারা হানিফ পূর্ণিমা
যখন টিকটকে ঢুকি। ব্যাপারটি বেশ উপভোগ্য। ওখানে বোরিং লাগে না। ইউটিউবার হিসেবে জনপ্রিয় বেশ কয়েকজন ওখানে আছে। ওদেরগুলো আমার কাছে একটু বেশি ভালো লাগে। আমার আর মেয়ের ভিডিওটি সবচেয়ে বেশি রেসপন্স পেয়েছে। এটা আসলে কমবেশি রেসপন্স পাওয়ার জন্য করছি না। আমি ইনস্টাগ্রামে বেশি থাকি। টিকটক যেটা আমার মেয়ের সঙ্গে করেছি, ওটা সলো করতে গিয়েছিলাম। তখন দেখি আমার মেয়ে আমাকে অনেক জ্বালাচ্ছে। করতেই দিচ্ছে না। এরপর ওকে নিয়ে করতেই বাধ্য হলাম। সাধারণত আমি শপিংমলে গেলে মুখ ঢেকে যাই ওড়না দিয়ে। আর আমার মেয়েকে তো এতটুকু বয়সে বোরকা পরানো বা ওড়না পরানো সম্ভব নয়। অনেক সময়ই হয়, ওকে নিয়ে একটা ফাস্টফুডের দোকানে গেলাম খাবার নেওয়ার জন্য। ওখানে খাবার দোকানে যারা বসে ছিল, সবাই বলতেছিল, ওই যে পূর্ণিমার মেয়ে। তাদের বুঝতে অসুবিধা হলো না, আমিই যে মেয়ের সঙ্গে আছি। এখন যেটা ঝামেলা হয়েছে, মেয়ে পরিচিতি পেয়ে গেছে। আমি ওকে নিলে আর লুকিয়ে থাকতে পারি না। চার-পাঁচটি ভিডিও করা হয়েছে। অনেক দিন ধরে করছি না। পুরোনোগুলোই ঘুরেফিরে ভাইরাল হচ্ছে। তবে আজকাল টিকটক নিয়ে যেসব অভিযোগ শুনছি, তাতে রুচি উঠে যাচ্ছে।
বিদ্যা সিনহা মিম
আমি টিকটক বেশ পরেই শুরু করেছি। প্রথম প্রথম অন্যদের টিকটক দেখে আমার বেশ লাগত। পরে নিজেই শুরু করি। দর্শক দারুণ ফিডব্যাক দেন। তাই আগ্রহ নিয়েই করি। আজকাল পোশাক চেঞ্জিং, কিংবা লুক চেঞ্জিং অপশনটা আমার বেশ ভালো লাগে। মাত্র কয়েক সেকেন্ডের ভিডিওর জন্য আমাকে অনেক কষ্ট করতে হয়। ৫-৭টি পোশাক বদল, মেকআপ, গেটআপ করা কিন্তু চাট্টিখানি কথা না। তারপরও করি, কারণ দর্শক এখন এগুলোই সবচেয়ে বেশি উপভোগ করছে। সবটাই দর্শকের ভালোবাসা পাওয়ার জন্য।
অহনা
দুষ্টুমি করেই শুরু। একেবারেই সিরিয়াস কোনো বিষয় নয়। সব সময় তো নিজেরা নতুন নতুন সংলাপে অভিনয় করি। ভাবলাম অন্যের সংলাপে নিজে কেমন করি। অনেককেই দেখলাম অ্যাপটা ইউজ করে এমন মজার কাণ্ড ঘটাচ্ছে। তখন আসলে আমিও সেখানে যোগ দিলাম। টিকটকে যে শুধু সেলিব্রেটি তা নয়, অনেক সাধারণ মানুষও আছেন। অনেক সময়ই অনেক সুন্দর সুন্দর মেয়েদের চোখে পড়ে। তাদের টিকটক খুবই ভালো লাগে। এটা আসলে অনলাইনের নতুন একটা ফানি জায়গা বলব। সেলিব্রেটিদের মধ্যে আমার পূর্ণিমা আপুরটা খুবই ভালো লাগে। ওনার মেয়েকে নিয়ে যেটা করেছিলেন। ইশ্! খুবই সুন্দর হয়েছিল। ফেসবুকে আমি খুব বেশি অ্যাকটিভ না। সময় নষ্ট করে অবশ্যই এটা করা উচিত নয়। আর কেউ যদি কারও ফাঁদে পড়ে, সেটা অবশ্যই প্রযুক্তির দোষ না। এই যুগে নিজেদেরও সতর্ক হতে হবে প্রচুর। কারণ এখন ভালো–খারাপটা খুব কাছাকাছি থাকে আমাদের।
মুমতাহিনা টয়া
আমি মিউজিক্যালি থেকেই ছিলাম। মিউজিক্যালির কোম্পানির নামটা পরিবর্তন হয়ে টিকটক হলো। বাংলাদেশে মিউজিক্যালি খুব বেশি পপুলারও ছিল না। আমি ও ইউটিউবার সৌভিকরা করতাম। সেটা ২০১৩-১৪ সালের ঘটনা। এখন খুব বেশি নিয়মিত না ওখানে। যখন মন চায়, ওখানে গিয়ে একটু মজা করি। যেগুলো ডায়লগ বেইসড। মানুষের কাছে জনপ্রিয় সংলাপ। ওগুলো সাধারণত বেশি পপুলার হয়। ভিডিওর ক্ষেত্রে ফেসবুকের চেয়ে এখানে বেশি রেসপন্স পাওয়া যায়। কারণ মানুষ সারাক্ষণ দেখতে থাকে। একেকটা ভিডিও পাঁচ–ছয় লাখের বেশি মানুষ দেখছে। অনেকেরটাই বেশ ভালো লাগে। আমার ১০ থেকে ১৫টি ভিডিও আপলোড করা হয়েছে। প্রতিটিতেই পাঁচ লক্ষাধিক ভিউ আছে। টিকটকটা সাধারণত করা হয় আমরা যখন শুটিংয়ে থাকি। অবসরে তেমন কিছু করার থাকে না। তখন নিজের রিফ্রেশমেন্টের জন্য ওখানে ঢোকা ও এরকম ফানি কিছু তৈরি করা হয়। এটা আসলে সম্পূর্ণটাই নিজের ফানের জন্য। এমন নয় যে এখানে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে থাকতে হবে বা অন্যকিছু। মানুষ তো নিয়মিতই আমাদের পর্দায় পরফর্ম করতে দেখছেন। সেখানে টিকটকের বিষয়টা কিছুটা বাড়তি মজা দিল। দেশি–বিদেশি সংলাপগুলো থেকে টিকটক করা হয়। সর্বশেষ অহনা আপুর সঙ্গে ‘যাও পাখি বলো’ একটি ভিডিও করেছিলাম।
সালহা খানম নাদিয়া
মিউজিক্যালিটা তখন বলিউড বা বাংলাদেশে ততটা আসেনি। তখন আমার ছোট ভাই আলিফ, ওকে দেখতাম হলিউড হিরো বা ওখানকার ছেলেদের ফলো করত। আমাকে একটা ভিডিও দেখিয়ে বলল– আপু, এটা বানিয়ে দেও আমাকে। আমিও ওই ভিডিওটার লুকের মতো ওকে সাজিয়ে দিলাম। বেশ মজারই হলো। দেখা যাচ্ছে এখন শুটিংয়ের লাইট হচ্ছে বা বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে, হাতে কোনো কাজ নেই, তখন কো–আর্টিস্টদের নিয়েও করে ফেলি। সাবিলাকে নিয়ে একটা বানিয়েছিলাম, বসে আছি বলি চল একটা হিন্দি ডায়লগ বলব। সাতবার ট্রাই করার পর মনমতো হয়েছিল। তৌসিফের গায়ে হলুদে যাওয়ার আগে হিন্দি একটা গানে করলাম। আমার মাও খুব পছন্দ করে। মাকে নিয়ে একটা করেছিলাম ‘বুইরা সতিন’। এমন অনেকেই আছে, আমাকে দেখে উৎসাহ পায়। সামনে মোশাররফ ভাইকে নিয়ে একটা করার ইচ্ছে আছে। আমাকে সবাই আদর করে। আর আমিও সবার কাছে গিয়ে এখন এই আবদারটা করি। আর আমার কলেজ ফ্রেন্ড–স্কুল ফ্রেন্ডদের নিয়েও নিয়মিত করা হয়। তবে এর নেগেটিভিটি যত বাড়ছে, তত আগ্রহ হারিয়ে ফেলছি। আসলে প্রতারকেরা সবকিছুতেই নিজেদের ফন্দি আটবে। সেটা থেকে কে কতটা বেঁচে থাকতে পারি, সেটাই বড় বিষয়।
এ ছাড়া চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি, বিদ্যা সিনহা সাহা মিম, পূজা চেরি, দীঘি, ছোট পর্দার নায়িকা মেহজাবিন চৌধুরী, সাফা কবির, তানজিন তিশা, তৌসিফ, নিলয় আলমগীর, অহনা, গায়ক ইমরান মাহমুদুল, ইউটিউবার সালমান মুক্তাদির, মডেল জেসিয়া ইসলাম টিকটকে দারুণ জনপ্রিয়।
ঢাকা: টিকটক গ্রুপ খুলে সেখানে পোস্ট করা হতো আকর্ষণীয় ভিডিও। সেই ভিডিওতে যেসব মেয়ে লাইক-কমেন্ট বা শেয়ার করতেন, তাঁদের টার্গেট করা হতো। দেখানো হতো ভিডিও তৈরি করে টিকটকে জনপ্রিয়তা বাড়ানোর প্রলোভন। একপর্যায়ে ভার্চ্যুয়াল মাধ্যম থেকে সরাসরি সাক্ষাৎ করা হতো টার্গেট করা তরুণীদের সঙ্গে। এরপর বিভিন্ন স্পটে নিয়ে তাঁদের দিয়ে টিকটক ভিডিও বানিয়ে করা হতো সুসম্পর্ক। নাচ-গানসহ মাদকসেবনের অভ্যাস করানোর চেষ্টা করা হতো। বেঙ্গালুরুতে নির্যাতিত বাংলাদেশি তরুণী ছাড়াও অনেককে এভাবে টিকটকের ফাঁদে ফেলে ভারতে পাচার করা হতো। বাধ্য করা হতো দেহব্যবসায়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, টিকটকের কার্যক্রম শুরুর পর থেকে এই প্রলোভনে পাচার শুরু হয়েছে। উঠতি বয়সী কিশোরী-তরুণীদের মডেল বা স্টার বানানোর প্রলোভন দেখিয়ে ফাঁদে ফেলে পাচার করছে একটি চক্র। এ জন্য টিকটককে তাঁরা নেতিবাচক হিসেবেই দেখছেন। টিকটককেন্দ্রিক অপচেষ্টা বন্ধে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে বলেও জানান। প্রযুক্তির ভালো–খারাপ দিক বিবেচনা করা আমাদের আজকাল দুরূহ হয়ে উঠছে। অনেক তারকা অভিনয়শিল্পী টিকটককে বেছে নিয়েছেন নিরেট আনন্দের খোরাক হিসেবে।
দিলারা হানিফ পূর্ণিমা
যখন টিকটকে ঢুকি। ব্যাপারটি বেশ উপভোগ্য। ওখানে বোরিং লাগে না। ইউটিউবার হিসেবে জনপ্রিয় বেশ কয়েকজন ওখানে আছে। ওদেরগুলো আমার কাছে একটু বেশি ভালো লাগে। আমার আর মেয়ের ভিডিওটি সবচেয়ে বেশি রেসপন্স পেয়েছে। এটা আসলে কমবেশি রেসপন্স পাওয়ার জন্য করছি না। আমি ইনস্টাগ্রামে বেশি থাকি। টিকটক যেটা আমার মেয়ের সঙ্গে করেছি, ওটা সলো করতে গিয়েছিলাম। তখন দেখি আমার মেয়ে আমাকে অনেক জ্বালাচ্ছে। করতেই দিচ্ছে না। এরপর ওকে নিয়ে করতেই বাধ্য হলাম। সাধারণত আমি শপিংমলে গেলে মুখ ঢেকে যাই ওড়না দিয়ে। আর আমার মেয়েকে তো এতটুকু বয়সে বোরকা পরানো বা ওড়না পরানো সম্ভব নয়। অনেক সময়ই হয়, ওকে নিয়ে একটা ফাস্টফুডের দোকানে গেলাম খাবার নেওয়ার জন্য। ওখানে খাবার দোকানে যারা বসে ছিল, সবাই বলতেছিল, ওই যে পূর্ণিমার মেয়ে। তাদের বুঝতে অসুবিধা হলো না, আমিই যে মেয়ের সঙ্গে আছি। এখন যেটা ঝামেলা হয়েছে, মেয়ে পরিচিতি পেয়ে গেছে। আমি ওকে নিলে আর লুকিয়ে থাকতে পারি না। চার-পাঁচটি ভিডিও করা হয়েছে। অনেক দিন ধরে করছি না। পুরোনোগুলোই ঘুরেফিরে ভাইরাল হচ্ছে। তবে আজকাল টিকটক নিয়ে যেসব অভিযোগ শুনছি, তাতে রুচি উঠে যাচ্ছে।
বিদ্যা সিনহা মিম
আমি টিকটক বেশ পরেই শুরু করেছি। প্রথম প্রথম অন্যদের টিকটক দেখে আমার বেশ লাগত। পরে নিজেই শুরু করি। দর্শক দারুণ ফিডব্যাক দেন। তাই আগ্রহ নিয়েই করি। আজকাল পোশাক চেঞ্জিং, কিংবা লুক চেঞ্জিং অপশনটা আমার বেশ ভালো লাগে। মাত্র কয়েক সেকেন্ডের ভিডিওর জন্য আমাকে অনেক কষ্ট করতে হয়। ৫-৭টি পোশাক বদল, মেকআপ, গেটআপ করা কিন্তু চাট্টিখানি কথা না। তারপরও করি, কারণ দর্শক এখন এগুলোই সবচেয়ে বেশি উপভোগ করছে। সবটাই দর্শকের ভালোবাসা পাওয়ার জন্য।
অহনা
দুষ্টুমি করেই শুরু। একেবারেই সিরিয়াস কোনো বিষয় নয়। সব সময় তো নিজেরা নতুন নতুন সংলাপে অভিনয় করি। ভাবলাম অন্যের সংলাপে নিজে কেমন করি। অনেককেই দেখলাম অ্যাপটা ইউজ করে এমন মজার কাণ্ড ঘটাচ্ছে। তখন আসলে আমিও সেখানে যোগ দিলাম। টিকটকে যে শুধু সেলিব্রেটি তা নয়, অনেক সাধারণ মানুষও আছেন। অনেক সময়ই অনেক সুন্দর সুন্দর মেয়েদের চোখে পড়ে। তাদের টিকটক খুবই ভালো লাগে। এটা আসলে অনলাইনের নতুন একটা ফানি জায়গা বলব। সেলিব্রেটিদের মধ্যে আমার পূর্ণিমা আপুরটা খুবই ভালো লাগে। ওনার মেয়েকে নিয়ে যেটা করেছিলেন। ইশ্! খুবই সুন্দর হয়েছিল। ফেসবুকে আমি খুব বেশি অ্যাকটিভ না। সময় নষ্ট করে অবশ্যই এটা করা উচিত নয়। আর কেউ যদি কারও ফাঁদে পড়ে, সেটা অবশ্যই প্রযুক্তির দোষ না। এই যুগে নিজেদেরও সতর্ক হতে হবে প্রচুর। কারণ এখন ভালো–খারাপটা খুব কাছাকাছি থাকে আমাদের।
মুমতাহিনা টয়া
আমি মিউজিক্যালি থেকেই ছিলাম। মিউজিক্যালির কোম্পানির নামটা পরিবর্তন হয়ে টিকটক হলো। বাংলাদেশে মিউজিক্যালি খুব বেশি পপুলারও ছিল না। আমি ও ইউটিউবার সৌভিকরা করতাম। সেটা ২০১৩-১৪ সালের ঘটনা। এখন খুব বেশি নিয়মিত না ওখানে। যখন মন চায়, ওখানে গিয়ে একটু মজা করি। যেগুলো ডায়লগ বেইসড। মানুষের কাছে জনপ্রিয় সংলাপ। ওগুলো সাধারণত বেশি পপুলার হয়। ভিডিওর ক্ষেত্রে ফেসবুকের চেয়ে এখানে বেশি রেসপন্স পাওয়া যায়। কারণ মানুষ সারাক্ষণ দেখতে থাকে। একেকটা ভিডিও পাঁচ–ছয় লাখের বেশি মানুষ দেখছে। অনেকেরটাই বেশ ভালো লাগে। আমার ১০ থেকে ১৫টি ভিডিও আপলোড করা হয়েছে। প্রতিটিতেই পাঁচ লক্ষাধিক ভিউ আছে। টিকটকটা সাধারণত করা হয় আমরা যখন শুটিংয়ে থাকি। অবসরে তেমন কিছু করার থাকে না। তখন নিজের রিফ্রেশমেন্টের জন্য ওখানে ঢোকা ও এরকম ফানি কিছু তৈরি করা হয়। এটা আসলে সম্পূর্ণটাই নিজের ফানের জন্য। এমন নয় যে এখানে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে থাকতে হবে বা অন্যকিছু। মানুষ তো নিয়মিতই আমাদের পর্দায় পরফর্ম করতে দেখছেন। সেখানে টিকটকের বিষয়টা কিছুটা বাড়তি মজা দিল। দেশি–বিদেশি সংলাপগুলো থেকে টিকটক করা হয়। সর্বশেষ অহনা আপুর সঙ্গে ‘যাও পাখি বলো’ একটি ভিডিও করেছিলাম।
সালহা খানম নাদিয়া
মিউজিক্যালিটা তখন বলিউড বা বাংলাদেশে ততটা আসেনি। তখন আমার ছোট ভাই আলিফ, ওকে দেখতাম হলিউড হিরো বা ওখানকার ছেলেদের ফলো করত। আমাকে একটা ভিডিও দেখিয়ে বলল– আপু, এটা বানিয়ে দেও আমাকে। আমিও ওই ভিডিওটার লুকের মতো ওকে সাজিয়ে দিলাম। বেশ মজারই হলো। দেখা যাচ্ছে এখন শুটিংয়ের লাইট হচ্ছে বা বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে, হাতে কোনো কাজ নেই, তখন কো–আর্টিস্টদের নিয়েও করে ফেলি। সাবিলাকে নিয়ে একটা বানিয়েছিলাম, বসে আছি বলি চল একটা হিন্দি ডায়লগ বলব। সাতবার ট্রাই করার পর মনমতো হয়েছিল। তৌসিফের গায়ে হলুদে যাওয়ার আগে হিন্দি একটা গানে করলাম। আমার মাও খুব পছন্দ করে। মাকে নিয়ে একটা করেছিলাম ‘বুইরা সতিন’। এমন অনেকেই আছে, আমাকে দেখে উৎসাহ পায়। সামনে মোশাররফ ভাইকে নিয়ে একটা করার ইচ্ছে আছে। আমাকে সবাই আদর করে। আর আমিও সবার কাছে গিয়ে এখন এই আবদারটা করি। আর আমার কলেজ ফ্রেন্ড–স্কুল ফ্রেন্ডদের নিয়েও নিয়মিত করা হয়। তবে এর নেগেটিভিটি যত বাড়ছে, তত আগ্রহ হারিয়ে ফেলছি। আসলে প্রতারকেরা সবকিছুতেই নিজেদের ফন্দি আটবে। সেটা থেকে কে কতটা বেঁচে থাকতে পারি, সেটাই বড় বিষয়।
এ ছাড়া চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি, বিদ্যা সিনহা সাহা মিম, পূজা চেরি, দীঘি, ছোট পর্দার নায়িকা মেহজাবিন চৌধুরী, সাফা কবির, তানজিন তিশা, তৌসিফ, নিলয় আলমগীর, অহনা, গায়ক ইমরান মাহমুদুল, ইউটিউবার সালমান মুক্তাদির, মডেল জেসিয়া ইসলাম টিকটকে দারুণ জনপ্রিয়।
গত বছর এপ্রিলে ইন্টারন্যাশনাল একাডেমি অব ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়ার উদ্যোগে আয়োজিত ‘ইকো ফিল্ম ল্যাব: ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম রেসিডেন্সি’র অংশ হিসেবে সুব্রত সরকার ও অভিনেতা মনোজ প্রামাণিক নির্মাণ করেছেন স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা ‘হইতে সুরমা’।
৫ ঘণ্টা আগেভারতে এক জুনিয়র আইনজীবীর ওভারটাইম কাজের পরদিন অফিসে দেরিতে হবে জানিয়ে একটি বার্তা পাঠান সিনিয়র আইনজীবীকে। বার্তাটি সহজভাবে নেননি সিনিয়র আইনজীবী। তিনি প্রকাশ্য জুনিয়র আইনজীবীর সমালোচনা করেছেন। এতে দেশটিতে কর্মস্থলের সংস্কৃতি নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগেচলতি মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত সিডনি, মেলবোর্ন ও অ্যাডিলেডে কয়েকটি কনসার্ট করেছেন। ফিরেই ব্যস্ত হয়েছেন দেশের মঞ্চে। ১৫ নভেম্বর সেনা প্রাঙ্গণে গেয়েছেন ‘ঢাকা রেট্রো’ কনসার্টে। এবার জেমস জানালেন নতুন খবর।
১৭ ঘণ্টা আগেচার দশকের বেশি সময় ধরে সিনেমার সঙ্গে জড়িয়ে আছেন আমির খান। মনপ্রাণ দিয়ে এত দিন শুধু কাজই করে গেছেন মিস্টার পারফেকশনিস্ট। কাজের ব্যস্ততায় পরিবারের দিকে খেয়াল রাখার তেমন সুযোগ পাননি। ফলে সন্তানদের সঙ্গে তাঁর এক ধরনের দূরত্ব রয়ে গেছে। এই দূরত্ব দূর করতে উদ্যোগী হয়েছেন আমিরকন্যা ইরা খান। বাবাকে নিয়ে মানস
১৭ ঘণ্টা আগে