অনলাইন ডেস্ক
ভারতে এক জুনিয়র আইনজীবীর ওভারটাইম কাজের পরদিন অফিসে দেরিতে হবে জানিয়ে একটি বার্তা পাঠান সিনিয়র আইনজীবীকে। বার্তাটি সহজভাবে নেননি সিনিয়র আইনজীবী। তিনি প্রকাশ্য জুনিয়র আইনজীবীর সমালোচনা করেছেন। এতে দেশটিতে কর্মস্থলের সংস্কৃতি নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে।
এ ঘটনায় প্রথাগত কাজের প্রত্যাশার সঙ্গে নতুন প্রজন্মের কাজ ও বিশ্রামের ভারসাম্যর প্রজন্মগত দূরত্ব সামনে এসেছে।
ওভারটাইম কাজ করায় পরদিন দেরিতে অফিসে আসার বিষয়টি সিনিয়র আইনজীবীর কাছে আশ্চর্যজনক লাগে। এতে বোঝা যায়, দীর্ঘ সময় কাজ করার পুরোনো সংস্কৃতির সঙ্গে নতুন প্রজন্মের মানসিক স্বাস্থ্য, দক্ষতা ও নমনীয়তার চিন্তাভাবনা মিলছে না। সিনিয়র আইনজীবীর এই অবস্থানের বিরুদ্ধে অনেকে সমালোচনা করেছেন। তাঁরা জুনিয়রের কাজের ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টাকে সমর্থন জানিয়ে কর্মস্থলের অসুস্থ সংস্কৃতির সমালোচনা করেছেন।
যেভাবে ঘটনার শুরু
সিনিয়র আইনজীবী আয়ুশী দোশী সামাজিক মাধ্যমে জুনিয়র আইনজীবীর পাঠানো বার্তার একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করেন। যেখানে জুনিয়র আইনজীবী ওভারটাইম কাজের কারণে পরের দিন দেরিতে অফিসে যোগ দেওয়ার কথা জানান। স্ক্রিনশট পোস্ট করে আয়ুশী বলেন, ‘আজকের ছেলে-মেয়েরা অন্যরকম। ওভারটাইম কাজ করেছে, তাই পরদিন দেরি করে অফিসে আসবে! আমি একেবারে বাকরুদ্ধ!’
আয়ুশীর মন্তব্যে বোঝা যায়, তিনি জুনিয়রের অনুরোধে অসন্তুষ্ট ছিলেন। তাঁর পোস্টে পরোক্ষভাবে বলা হয়, আজকের প্রজন্মের কাজের প্রতি আগের মতো অঙ্গীকার নেই। ‘আজকের ছেলে-মেয়েরা অন্যরকম’—মন্তব্যে প্রজন্মগত দূরত্ব প্রকাশ পেয়েছে। আগের প্রজন্মের চেয়ে নতুন প্রজন্ম কাজ-বিশ্রামের ভারসাম্য রক্ষা করতে চায়।
সামাজিক মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া
আয়ুশীর পোস্টটি দ্রুত সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ও কর্মস্থলের সংস্কৃতি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। অনেক ব্যবহারকারী এই প্রতিক্রিয়াকে নেতিবাচক নেতৃত্বের উদাহরণ ও কর্মস্থলের অসুস্থ সংস্কৃতি বলে মনে করেন।
একজন মন্তব্যকারী বলেন, নতুন প্রজন্ম ক্লান্তি কাটাতে সচেতন ও কাজের চাপের সঙ্গে জীবনের অন্যান্য অনুষঙ্গের ভারসাম্য রক্ষার চেষ্টা করেন। জুনিয়র কর্মস্থলে মানসিক স্বাস্থ্য ও কাজ-বিশ্রামের ভারসাম্যকে গুরুত্ব দিয়েছে।
আধুনিক কর্মস্থলে তরুণ কর্মীরা মানসিক স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দেন ও অযৌক্তিক কাজের চাপ এড়ানোর চেষ্টা করেন। অনেক শিল্পে মানসিক স্বাস্থ্য ও কাজ-বিশ্রামের ভারসাম্যের গুরুত্ব ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাই এই প্রবণতা গুরুত্বপূর্ণ।
অন্য একজন মন্তব্য করেন, আয়ুশী মূলত আইনের মতো পেশায় ‘বিষময় শোষণ’ সংস্কৃতিকে আরও উৎসাহিত করছেন। কর্মীদের কেবল কাজ নয়, কাজের সময়ের প্রতি মূল্য দেওয়া উচিত। জুনিয়র যদি অতিরিক্ত সময় কাজ করেন, তবে তাকে পরদিন একটু দেরিতে আসতে দেওয়া উচিত, এটি তার প্রাপ্য।
আয়ুশির জবাব ও নতুন বিতর্ক
তরুণ কর্মীর কাজের সময় নিয়ে আলোচনার পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন সিনিয়র আইনজীবী আয়ুশী দোশী। এর জবাবে আয়ুশি পরবর্তী পোস্টে বিষয়টি পরিষ্কার করেন। তিনি জানান, জুনিয়রকে একটি কাজ দেওয়া হয়েছিল যা সাধারণত একদিনের জন্য বরাদ্দ থাকে, কিন্তু কঠিন সময়সীমা থাকায় কাজটি সময়মতো শেষ করা যায়নি। কাজের সময় সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত হলেও জুনিয়রকে আরও দেড় ঘণ্টা অতিরিক্ত সময় ধরে কাজ করতে হয়। তবে আয়ুশির দাবি, তাঁর আপত্তি ছিল এই কারণে যে, কাজের সময়ে জুনিয়র মনোযোগ হারিয়ে ফোনে সময় কাটাচ্ছিলেন, যা তাঁর মতে ‘মূল্যবান সময়ের অপচয়’।
আয়ুশির বক্তব্যের মূল প্রতিপাদ্য ছিল, সময়সীমা পূরণের জন্য অতিরিক্ত সময় দেওয়া প্রয়োজন হতে পারে, তবে জুনিয়র যথাযথভাবে সময় কাজে লাগাতে পারেননি। আয়ুশির দৃষ্টিতে এটি সমস্যাজনক ছিল। তাঁর মতে, যদি কাজটি নির্ধারিত সময়েই সম্পন্ন করা যেত, তবে পরদিন দেরি করে অফিসে আসার প্রয়োজন হতো না।
কাজের দক্ষতা ও ব্যক্তিগত সুস্থতা
এই ঘটনার পর সামাজিক মাধ্যমে তুমুল প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়। অনেকেই জুনিয়রের পক্ষে সমর্থন জানিয়ে বলেন, তরুণ প্রজন্ম সারাক্ষণ কাজ করার পরিবর্তে কাজের দক্ষতার ওপর জোর দেন।
একজন মন্তব্য করেন, অফিসের সময়ের ব্যক্তিগত সময়ের সংঘাত সৃষ্টি করা উচিত নয়। এ ধরনের মন্তব্য আধুনিক কর্মসংস্কৃতির পরিবর্তনকে নির্দেশ করে, যেখানে কর্মীদের ব্যক্তিগত প্রয়োজনকে সম্মান করা ও সময়ের সুষম ব্যবস্থাপনা প্রাধান্য পায়।
কর্মস্থলে প্রজন্মগত দূরত্ব
এ ঘটনায় কর্মক্ষেত্রের নতুন প্রত্যাশা ও নতুন প্রজন্মের ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি ফুটে উঠেছে। নতুন প্রজন্ম কাজের সময় নমনীয়তা, মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা ও ব্যক্তিগত সময়ের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের পক্ষে মত দিচ্ছেন। অন্যদিকে, আইন ও অর্থনীতির মতো ক্ষেত্রগুলোতে এখনো কঠোর ও ঐতিহ্যবাহী কর্মসংস্কৃতি প্রচলিত।
আয়ুশীর যুক্তি ছিল, জুনিয়রের এমন আচরণ প্রথাগত কর্মপ্রত্যাশা ও শৃঙ্খলা নষ্ট করছে। আইন পেশায় প্রচলিত ‘কঠোর পরিশ্রমী’ হওয়ার সংস্কৃতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। যেটি অনেকের মতে, সফলতার জন্য প্রয়োজনীয়। অন্যদিকে জুনিয়রের সমর্থকদের মতে, কাজের গুণগত মান ও ফলাফলই মুখ্য, কতক্ষণ কাজ করেছে তা নয়।
জেনারেশন জি-র নমনীয়তা ও প্রথাগত অফিস সংস্কৃতি
জেনারেশন জি কর্মীরা নমনীয়তা, মানসিক স্বাস্থ্য ও উৎপাদনশীলতাকে অগ্রাধিকার দেন, যেখানে আগের প্রজন্ম দীর্ঘ সময় কাজ করা ও অফিস কঠোর নিয়মকানুন মেনে চলাকে মূল্য দেন। তাই আয়ুষী পেশাগত শৃঙ্খলা মেনে চলাকে গুরুত্ব দিলেও জেনারেশন জি জুনিয়রের আচরণকে আরও ভারসাম্যপূর্ণ ও আধুনিক বলে মনে করছেন।
পরিশেষে, এই বিতর্ক কর্মক্ষেত্রের সংস্কৃতি পুনর্বিবেচনার প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরেছে। যেখানে উৎপাদনশীলতার প্রত্যাশা ব্যক্তিগত কল্যাণের প্রতি শ্রদ্ধার সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ রাখতে হবে ও আধুনিক সময়ে কাজের ভারসাম্যের পরিবর্তিত মনোভাবের সঙ্গে পুরোনোদের খাপ খাওয়াতে হবে।
ভারতে এক জুনিয়র আইনজীবীর ওভারটাইম কাজের পরদিন অফিসে দেরিতে হবে জানিয়ে একটি বার্তা পাঠান সিনিয়র আইনজীবীকে। বার্তাটি সহজভাবে নেননি সিনিয়র আইনজীবী। তিনি প্রকাশ্য জুনিয়র আইনজীবীর সমালোচনা করেছেন। এতে দেশটিতে কর্মস্থলের সংস্কৃতি নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে।
এ ঘটনায় প্রথাগত কাজের প্রত্যাশার সঙ্গে নতুন প্রজন্মের কাজ ও বিশ্রামের ভারসাম্যর প্রজন্মগত দূরত্ব সামনে এসেছে।
ওভারটাইম কাজ করায় পরদিন দেরিতে অফিসে আসার বিষয়টি সিনিয়র আইনজীবীর কাছে আশ্চর্যজনক লাগে। এতে বোঝা যায়, দীর্ঘ সময় কাজ করার পুরোনো সংস্কৃতির সঙ্গে নতুন প্রজন্মের মানসিক স্বাস্থ্য, দক্ষতা ও নমনীয়তার চিন্তাভাবনা মিলছে না। সিনিয়র আইনজীবীর এই অবস্থানের বিরুদ্ধে অনেকে সমালোচনা করেছেন। তাঁরা জুনিয়রের কাজের ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টাকে সমর্থন জানিয়ে কর্মস্থলের অসুস্থ সংস্কৃতির সমালোচনা করেছেন।
যেভাবে ঘটনার শুরু
সিনিয়র আইনজীবী আয়ুশী দোশী সামাজিক মাধ্যমে জুনিয়র আইনজীবীর পাঠানো বার্তার একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করেন। যেখানে জুনিয়র আইনজীবী ওভারটাইম কাজের কারণে পরের দিন দেরিতে অফিসে যোগ দেওয়ার কথা জানান। স্ক্রিনশট পোস্ট করে আয়ুশী বলেন, ‘আজকের ছেলে-মেয়েরা অন্যরকম। ওভারটাইম কাজ করেছে, তাই পরদিন দেরি করে অফিসে আসবে! আমি একেবারে বাকরুদ্ধ!’
আয়ুশীর মন্তব্যে বোঝা যায়, তিনি জুনিয়রের অনুরোধে অসন্তুষ্ট ছিলেন। তাঁর পোস্টে পরোক্ষভাবে বলা হয়, আজকের প্রজন্মের কাজের প্রতি আগের মতো অঙ্গীকার নেই। ‘আজকের ছেলে-মেয়েরা অন্যরকম’—মন্তব্যে প্রজন্মগত দূরত্ব প্রকাশ পেয়েছে। আগের প্রজন্মের চেয়ে নতুন প্রজন্ম কাজ-বিশ্রামের ভারসাম্য রক্ষা করতে চায়।
সামাজিক মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া
আয়ুশীর পোস্টটি দ্রুত সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ও কর্মস্থলের সংস্কৃতি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। অনেক ব্যবহারকারী এই প্রতিক্রিয়াকে নেতিবাচক নেতৃত্বের উদাহরণ ও কর্মস্থলের অসুস্থ সংস্কৃতি বলে মনে করেন।
একজন মন্তব্যকারী বলেন, নতুন প্রজন্ম ক্লান্তি কাটাতে সচেতন ও কাজের চাপের সঙ্গে জীবনের অন্যান্য অনুষঙ্গের ভারসাম্য রক্ষার চেষ্টা করেন। জুনিয়র কর্মস্থলে মানসিক স্বাস্থ্য ও কাজ-বিশ্রামের ভারসাম্যকে গুরুত্ব দিয়েছে।
আধুনিক কর্মস্থলে তরুণ কর্মীরা মানসিক স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দেন ও অযৌক্তিক কাজের চাপ এড়ানোর চেষ্টা করেন। অনেক শিল্পে মানসিক স্বাস্থ্য ও কাজ-বিশ্রামের ভারসাম্যের গুরুত্ব ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাই এই প্রবণতা গুরুত্বপূর্ণ।
অন্য একজন মন্তব্য করেন, আয়ুশী মূলত আইনের মতো পেশায় ‘বিষময় শোষণ’ সংস্কৃতিকে আরও উৎসাহিত করছেন। কর্মীদের কেবল কাজ নয়, কাজের সময়ের প্রতি মূল্য দেওয়া উচিত। জুনিয়র যদি অতিরিক্ত সময় কাজ করেন, তবে তাকে পরদিন একটু দেরিতে আসতে দেওয়া উচিত, এটি তার প্রাপ্য।
আয়ুশির জবাব ও নতুন বিতর্ক
তরুণ কর্মীর কাজের সময় নিয়ে আলোচনার পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন সিনিয়র আইনজীবী আয়ুশী দোশী। এর জবাবে আয়ুশি পরবর্তী পোস্টে বিষয়টি পরিষ্কার করেন। তিনি জানান, জুনিয়রকে একটি কাজ দেওয়া হয়েছিল যা সাধারণত একদিনের জন্য বরাদ্দ থাকে, কিন্তু কঠিন সময়সীমা থাকায় কাজটি সময়মতো শেষ করা যায়নি। কাজের সময় সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত হলেও জুনিয়রকে আরও দেড় ঘণ্টা অতিরিক্ত সময় ধরে কাজ করতে হয়। তবে আয়ুশির দাবি, তাঁর আপত্তি ছিল এই কারণে যে, কাজের সময়ে জুনিয়র মনোযোগ হারিয়ে ফোনে সময় কাটাচ্ছিলেন, যা তাঁর মতে ‘মূল্যবান সময়ের অপচয়’।
আয়ুশির বক্তব্যের মূল প্রতিপাদ্য ছিল, সময়সীমা পূরণের জন্য অতিরিক্ত সময় দেওয়া প্রয়োজন হতে পারে, তবে জুনিয়র যথাযথভাবে সময় কাজে লাগাতে পারেননি। আয়ুশির দৃষ্টিতে এটি সমস্যাজনক ছিল। তাঁর মতে, যদি কাজটি নির্ধারিত সময়েই সম্পন্ন করা যেত, তবে পরদিন দেরি করে অফিসে আসার প্রয়োজন হতো না।
কাজের দক্ষতা ও ব্যক্তিগত সুস্থতা
এই ঘটনার পর সামাজিক মাধ্যমে তুমুল প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়। অনেকেই জুনিয়রের পক্ষে সমর্থন জানিয়ে বলেন, তরুণ প্রজন্ম সারাক্ষণ কাজ করার পরিবর্তে কাজের দক্ষতার ওপর জোর দেন।
একজন মন্তব্য করেন, অফিসের সময়ের ব্যক্তিগত সময়ের সংঘাত সৃষ্টি করা উচিত নয়। এ ধরনের মন্তব্য আধুনিক কর্মসংস্কৃতির পরিবর্তনকে নির্দেশ করে, যেখানে কর্মীদের ব্যক্তিগত প্রয়োজনকে সম্মান করা ও সময়ের সুষম ব্যবস্থাপনা প্রাধান্য পায়।
কর্মস্থলে প্রজন্মগত দূরত্ব
এ ঘটনায় কর্মক্ষেত্রের নতুন প্রত্যাশা ও নতুন প্রজন্মের ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি ফুটে উঠেছে। নতুন প্রজন্ম কাজের সময় নমনীয়তা, মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা ও ব্যক্তিগত সময়ের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের পক্ষে মত দিচ্ছেন। অন্যদিকে, আইন ও অর্থনীতির মতো ক্ষেত্রগুলোতে এখনো কঠোর ও ঐতিহ্যবাহী কর্মসংস্কৃতি প্রচলিত।
আয়ুশীর যুক্তি ছিল, জুনিয়রের এমন আচরণ প্রথাগত কর্মপ্রত্যাশা ও শৃঙ্খলা নষ্ট করছে। আইন পেশায় প্রচলিত ‘কঠোর পরিশ্রমী’ হওয়ার সংস্কৃতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। যেটি অনেকের মতে, সফলতার জন্য প্রয়োজনীয়। অন্যদিকে জুনিয়রের সমর্থকদের মতে, কাজের গুণগত মান ও ফলাফলই মুখ্য, কতক্ষণ কাজ করেছে তা নয়।
জেনারেশন জি-র নমনীয়তা ও প্রথাগত অফিস সংস্কৃতি
জেনারেশন জি কর্মীরা নমনীয়তা, মানসিক স্বাস্থ্য ও উৎপাদনশীলতাকে অগ্রাধিকার দেন, যেখানে আগের প্রজন্ম দীর্ঘ সময় কাজ করা ও অফিস কঠোর নিয়মকানুন মেনে চলাকে মূল্য দেন। তাই আয়ুষী পেশাগত শৃঙ্খলা মেনে চলাকে গুরুত্ব দিলেও জেনারেশন জি জুনিয়রের আচরণকে আরও ভারসাম্যপূর্ণ ও আধুনিক বলে মনে করছেন।
পরিশেষে, এই বিতর্ক কর্মক্ষেত্রের সংস্কৃতি পুনর্বিবেচনার প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরেছে। যেখানে উৎপাদনশীলতার প্রত্যাশা ব্যক্তিগত কল্যাণের প্রতি শ্রদ্ধার সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ রাখতে হবে ও আধুনিক সময়ে কাজের ভারসাম্যের পরিবর্তিত মনোভাবের সঙ্গে পুরোনোদের খাপ খাওয়াতে হবে।
চলতি মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত সিডনি, মেলবোর্ন ও অ্যাডিলেডে কয়েকটি কনসার্ট করেছেন। ফিরেই ব্যস্ত হয়েছেন দেশের মঞ্চে। ১৫ নভেম্বর সেনা প্রাঙ্গণে গেয়েছেন ‘ঢাকা রেট্রো’ কনসার্টে। এবার জেমস জানালেন নতুন খবর।
৬ ঘণ্টা আগেচার দশকের বেশি সময় ধরে সিনেমার সঙ্গে জড়িয়ে আছেন আমির খান। মনপ্রাণ দিয়ে এত দিন শুধু কাজই করে গেছেন মিস্টার পারফেকশনিস্ট। কাজের ব্যস্ততায় পরিবারের দিকে খেয়াল রাখার তেমন সুযোগ পাননি। ফলে সন্তানদের সঙ্গে তাঁর এক ধরনের দূরত্ব রয়ে গেছে। এই দূরত্ব দূর করতে উদ্যোগী হয়েছেন আমিরকন্যা ইরা খান। বাবাকে নিয়ে মানস
৬ ঘণ্টা আগেসত্যজিৎ রায়, ‘পথের পাঁচালী’, অপু ও দুর্গা—যেন ইতিহাসের একই সুতোয় বাঁধা। সত্যজিৎ রায় যেমন মনে গেঁথে আছে সিনেমাপ্রেমী মানুষের মনে, তেমনি আছে কিশোরী দুর্গা। সেই কিশোরী চরিত্রটিতে যিনি অভিনয় করেছিলেন তিনি উমা। পুরো নাম উমা দাশগুপ্ত। ওই একটি মাত্র সিনেমাতেই অভিনয় করেছিলেন তিনি, আর তাতেই পেয়েছেন জগৎজোড়া..
১০ ঘণ্টা আগেপ্রায় তিন দশক পর সিনেমার সিক্যুয়েল প্রসঙ্গে ইঙ্গিত দিলেন পরিচালক রাকেশ রোশন। তবে এই চরিত্রে থাকবে না শাহরুখ ও সালমান। তবে এই চরিত্রে কাদের নেবেন পরিচালক?
১৩ ঘণ্টা আগে