বিনোদন প্রতিবেদক
ভারতের প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী লতা মঙ্গেশকর মারা গেছেন। মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। চার সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন লতা মঙ্গেশকর। সম্প্রতি অবস্থার উন্নতিও হচ্ছিল। কিন্তু শনিবার আচমকা শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। আজ রোববার সকালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করে। এই কিংবদন্তি গায়িকা বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে বলেছেন বিভিন্ন বিষয়ে নিজের ভাবনা। সেই ভাবনাগুলো পাঠকদের সামনে তুলে ধরা হলো।
মৃত্যু নিয়ে ভাবনা
যখন মানুষ চলে যায় তখন একটা অদ্ভূত শূন্যতা ঘিরে ধরে। আমার এক খুব কাছের বন্ধু ছিল, কানাডায় থাকত। সে যখন মারা গেল, আমি খুবই ভেঙে পড়েছিলাম। চিকিৎসক অনেক আগেই আমাকে বলে দিয়েছেন আমি যেন কোনো মৃতদেহ দেখতে না যাই। আমার সব বন্ধুরাই একে একে চলে গেল, সোনালি দিনগুলো শেষ!
বোন আশা ভোসলে প্রসঙ্গে
আশা নিজের মতো গেয়েছিল বলেই আমার ছায়া হয়ে থাকেনি। আমাদের মধ্যে কখনও কোনো পেশাদারি প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল না। ও গান করার ক্ষেত্রে আমার থেকে একটি সম্পূর্ণ ভিন্ন কায়দা তৈরি করেছে। ও যা করতে পারত, আমি তা করতে পারতাম না।
পঁচাত্তরের বেশি সময় গানে
আমি তো জীবনে আর কিছু নিয়ে সময় কাটাইনি। আমার মনে হয়েছে আমার জীবনধারণ গান গাইবার জন্য, তাই গেয়ে গেছি। গান গাওয়া এমন আনন্দের ঝরণা, যে কখনও বিরক্তি দেয়নি। গান ছাড়া জীবনে তো কিছু শিখিওনি। বছরের তিনশ পঁয়ষট্টি দিনের চব্বিশ ঘণ্টা এটা নিয়েই বুঁদ হয়ে থাকি। সারাক্ষণ ভাবি, কী করে আরও ভালো গাইতে পারি।
ভরা পেটে রেকর্ডিং নয়
যে দিন রেকর্ডিং থাকে আমি তো সে দিন কিছু খাই না। ভরপেটে রেকর্ডিং হয় নাকি! শুধু চা খাই।
গলার ফ্রেশনেস
গলার সজীবতা থাকতেই হবে। সবসময় থাকতে হবে। আমার জীবনে এমন হয়েছে যে, টানা রেকর্ডিংয়ের শিডিউল। অথচ হঠাৎ করে আমার সাইনাসের প্রবলেম। আমি দ্রুত বলেছি, সব ক্যানসেল করছি। প্লিজ কিছু মনে করবেন না। আপনারা অন্য কাউকে দিয়ে প্লেব্যাক করিয়ে নিন। তারা অবাক হয়ে বলেছে, আপনার তো সাইনাস প্রবলেম। তার জন্য সব ক্যানসেল করছেন? আমি অনড় থেকেছি, কোয়ালিটির সঙ্গে কখনও কম্প্রোমাইজ করতে চাইনি। সাইনাসের সামান্য সমস্যাও গলাকে আক্রান্ত করতে পারে। ওই তাজা ভাবটাই তখন থাকবে না। সেই ঝুঁকি আমি নেব না। ঈশ্বর জানেন, কোনওদিন নিইনি।
নারীদের সম্মান
আসলে কর্মজীবী নারীদের সম্মান ও মর্যাদা দিতে হবে, একটু জায়গা দিতে হবে। যদি সেটা কেউ না দেয়, তাঁদের উচিত শিক্ষা দেওয়া উচিত।
অনুষ্ঠানে যাননি অনেক বছর
বহু বছর আগে আমি একবার রাজ কাপুরের জন্মদিনে গিয়েছিলাম। আর কোনও ফাংশনে যাইনি। আমি বলেই দিই যে, অত ভিড়ে আমি কমফর্টেবল ফিল করি না। আমাকে ডেকে কী লাভ? আমি স্রেফ এক কোণে গিয়ে মুখ গুঁজে বসে থাকব। সেটা আনন্দ অনুষ্ঠানে কাঙ্ক্ষিতও নয়। ওরা তখন বোঝে।
লতার গানে সেরা
লিপ ভালো দিয়েছে এ রকম অনেকেই আছে। তবে সেরা তিনজন বললে— মীনা কুমারী, নূতন আর মাধুরী। নার্গিস খুব ভালো ছিল। মধুবালা, ওয়াহিদা, রেখা, কাজল, রানি। কিন্তু আমি যে তিনজনের কথা বললাম, এরা প্রত্যেকেই নিজেরা ভালো গাইত বলে অ্যাডভান্টেজ ছিল।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, হিন্দুস্থান টাইমস, সংবাদ প্রতিদিন
লতা মঙ্গেশকর সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
ভারতের প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী লতা মঙ্গেশকর মারা গেছেন। মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। চার সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন লতা মঙ্গেশকর। সম্প্রতি অবস্থার উন্নতিও হচ্ছিল। কিন্তু শনিবার আচমকা শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। আজ রোববার সকালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করে। এই কিংবদন্তি গায়িকা বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে বলেছেন বিভিন্ন বিষয়ে নিজের ভাবনা। সেই ভাবনাগুলো পাঠকদের সামনে তুলে ধরা হলো।
মৃত্যু নিয়ে ভাবনা
যখন মানুষ চলে যায় তখন একটা অদ্ভূত শূন্যতা ঘিরে ধরে। আমার এক খুব কাছের বন্ধু ছিল, কানাডায় থাকত। সে যখন মারা গেল, আমি খুবই ভেঙে পড়েছিলাম। চিকিৎসক অনেক আগেই আমাকে বলে দিয়েছেন আমি যেন কোনো মৃতদেহ দেখতে না যাই। আমার সব বন্ধুরাই একে একে চলে গেল, সোনালি দিনগুলো শেষ!
বোন আশা ভোসলে প্রসঙ্গে
আশা নিজের মতো গেয়েছিল বলেই আমার ছায়া হয়ে থাকেনি। আমাদের মধ্যে কখনও কোনো পেশাদারি প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল না। ও গান করার ক্ষেত্রে আমার থেকে একটি সম্পূর্ণ ভিন্ন কায়দা তৈরি করেছে। ও যা করতে পারত, আমি তা করতে পারতাম না।
পঁচাত্তরের বেশি সময় গানে
আমি তো জীবনে আর কিছু নিয়ে সময় কাটাইনি। আমার মনে হয়েছে আমার জীবনধারণ গান গাইবার জন্য, তাই গেয়ে গেছি। গান গাওয়া এমন আনন্দের ঝরণা, যে কখনও বিরক্তি দেয়নি। গান ছাড়া জীবনে তো কিছু শিখিওনি। বছরের তিনশ পঁয়ষট্টি দিনের চব্বিশ ঘণ্টা এটা নিয়েই বুঁদ হয়ে থাকি। সারাক্ষণ ভাবি, কী করে আরও ভালো গাইতে পারি।
ভরা পেটে রেকর্ডিং নয়
যে দিন রেকর্ডিং থাকে আমি তো সে দিন কিছু খাই না। ভরপেটে রেকর্ডিং হয় নাকি! শুধু চা খাই।
গলার ফ্রেশনেস
গলার সজীবতা থাকতেই হবে। সবসময় থাকতে হবে। আমার জীবনে এমন হয়েছে যে, টানা রেকর্ডিংয়ের শিডিউল। অথচ হঠাৎ করে আমার সাইনাসের প্রবলেম। আমি দ্রুত বলেছি, সব ক্যানসেল করছি। প্লিজ কিছু মনে করবেন না। আপনারা অন্য কাউকে দিয়ে প্লেব্যাক করিয়ে নিন। তারা অবাক হয়ে বলেছে, আপনার তো সাইনাস প্রবলেম। তার জন্য সব ক্যানসেল করছেন? আমি অনড় থেকেছি, কোয়ালিটির সঙ্গে কখনও কম্প্রোমাইজ করতে চাইনি। সাইনাসের সামান্য সমস্যাও গলাকে আক্রান্ত করতে পারে। ওই তাজা ভাবটাই তখন থাকবে না। সেই ঝুঁকি আমি নেব না। ঈশ্বর জানেন, কোনওদিন নিইনি।
নারীদের সম্মান
আসলে কর্মজীবী নারীদের সম্মান ও মর্যাদা দিতে হবে, একটু জায়গা দিতে হবে। যদি সেটা কেউ না দেয়, তাঁদের উচিত শিক্ষা দেওয়া উচিত।
অনুষ্ঠানে যাননি অনেক বছর
বহু বছর আগে আমি একবার রাজ কাপুরের জন্মদিনে গিয়েছিলাম। আর কোনও ফাংশনে যাইনি। আমি বলেই দিই যে, অত ভিড়ে আমি কমফর্টেবল ফিল করি না। আমাকে ডেকে কী লাভ? আমি স্রেফ এক কোণে গিয়ে মুখ গুঁজে বসে থাকব। সেটা আনন্দ অনুষ্ঠানে কাঙ্ক্ষিতও নয়। ওরা তখন বোঝে।
লতার গানে সেরা
লিপ ভালো দিয়েছে এ রকম অনেকেই আছে। তবে সেরা তিনজন বললে— মীনা কুমারী, নূতন আর মাধুরী। নার্গিস খুব ভালো ছিল। মধুবালা, ওয়াহিদা, রেখা, কাজল, রানি। কিন্তু আমি যে তিনজনের কথা বললাম, এরা প্রত্যেকেই নিজেরা ভালো গাইত বলে অ্যাডভান্টেজ ছিল।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, হিন্দুস্থান টাইমস, সংবাদ প্রতিদিন
লতা মঙ্গেশকর সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
সিনেমার গল্প চুড়ান্ত হওয়ার পর প্রথমে মান্নাকেই ভেবেছিলেন কাজী হায়াৎ। তবে প্রযোজক ডিপজলের সঙ্গে সে সময় মান্নার দূরত্ব চলছিল। তাই মান্নাকে নিতে রাজি ছিলেন না ডিপজল। ভাবা হচ্ছিল, রুবেল কিংবা হুমায়ূন ফরীদির কথা।
৭ ঘণ্টা আগেপুরোনো ভিডিও এডিট করে মিথ্যা ক্যাপশন জুড়ে দেওয়ায় বিব্রত অভিনেত্রী। মিম বলেন, ‘জুয়েলারি শোরুমের ভিডিওটি জোড়াতালি দিয়ে অনেকেই লিখছেন, আমি মবের শিকার হয়েছি। আমাকে উদ্বোধনে বাধা দেওয়া হয়েছে। আসলে তেমন কোনো কিছু আমার সঙ্গে ঘটেনি।’
৭ ঘণ্টা আগেবিদেশে তুমুল অভ্যর্থনা পেলেও নিজের দেশ ভারতেই কনসার্ট করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়লেন দিলজিৎ। তেলেঙ্গানা সরকার নোটিশ পাঠিয়ে তাঁকে সতর্ক করেছে, মাদকদ্রব্যের প্রচার করা হয়, এমন কোনো গান তিনি যেন কনসার্টে না করেন।
৯ ঘণ্টা আগেচার দশকের ক্যারিয়ার আমির খানের। বলিউডের মাসালা সিনেমার ভিড়ে খানিকটা অন্য ধরনের কাজের কথা উঠলেই আসে তাঁর নাম। নিজের কাজ নিয়ে এতটাই খুঁতখুঁতে থাকেন যে আমিরের আরেক নাম হয়ে গেছে মিস্টার পারফেকশনিস্ট। তবে তাঁর এই সাফল্যের পালে বেশ বড়সড় ধাক্কা লাগে ‘লাল সিং চাড্ডা’র সময়।
১০ ঘণ্টা আগে