কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে চলমান পরিস্থিতির কারণে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। কবে নাগাদ আবার শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে, ফিরে আসবে স্বাভাবিক অবস্থা, সেটা কেউ জানেন না। এমন অবস্থায় উল্লাসহীন নিস্তব্ধ প্রাণের ক্যাম্পাস নিয়ে লিখেছেন ৪ ক্যাম্পাসের ৪ জন শিক্ষার্থী।
চারপাশে এখন শুধুই নিস্তব্ধতা
উচ্চশিক্ষার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এটি সব সময় মুখর থাকত শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের পদচারণে। তবে দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস দেখলে মনে হবে ধ্বংস হওয়া নগরের এক অংশবিশেষ। টিএসসিতে নেই কোনো সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের আয়োজন। অথচ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ জায়গা শিক্ষার্থীদের আড্ডায় সরগরম থাকত দীর্ঘ রাত পর্যন্ত। মল চত্বর ও ফোয়ারার চারপাশে এখন শুধুই নিস্তব্ধতা। শ্রেণিকক্ষের বেঞ্চগুলোতে ধুলোর আস্তরণ বাড়ছে।
ছাত্ররাজনীতির আঁতুড়ঘর মধুর ক্যানটিনে ঝুলছে তালা। হাকিম চত্বরের শান্ত পরিবেশ হার মানিয়েছে করোনার সময়কেও। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাল বাসগুলো এবার যেন অবকাশের সুযোগ পেয়েছে। ক্যাম্পাসের প্রাণীগুলোর দিন কাটছে অনাহারে-অর্ধাহারে। কার্জন হলের ভুতুড়ে পরিবেশ দেখলে কে বলবে, এখানেই বিকেলের পর জমে উঠত তরুণ-তরুণীর হাজারো বিরহ বা ভালোবাসার উপাখ্যান।
২৫৪ একরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এখন শুধুই যেন রূপকথার গল্পের প্রতিনিধিত্ব করছে। এখন ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের প্রবেশ অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত। আবাসিক শিক্ষার্থীরা হল ছেড়েছেন। যেসব শিক্ষক এখনো ক্যাম্পাসে অবস্থান করছেন, তাঁরাও প্রাণহীন ক্যাম্পাসে কষ্টে আছেন।
মো. সৈয়দুর রহমান,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
চিরচেনা ক্যাম্পাসে বিষণ্নতার সুর
পদ্মার তীরে গড়ে ওঠা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় নদীর স্রোতের মতোই প্রাণচঞ্চল থাকে। এর প্রতিটি ভবন, ক্লাসরুম, রাস্তা ও চায়ের দোকানগুলো প্রায় ৩৩ হাজার শিক্ষার্থীর পদচারণে মুখর থাকে সকাল থেকে। তবে হঠাৎ থমকে দাঁড়িয়েছে এ স্বাভাবিকতা।
ভবনগুলো যেন উঁকি মারছে নির্বাক দানবের মতো। রাস্তাগুলো দেখলে মনে হবে, এ যেন কোনো অচিন পথে যাত্রার নীরব মহাসড়ক। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বেশির ভাগ শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস ছেড়েছেন। কিছু শিক্ষার্থী রয়ে গেছেন। কিন্তু ক্যাম্পাসের সেই উচ্ছ্বাস আর নেই। তবে ক্যাম্পাসে পুলিশের উপস্থিতি আর মাঝেমধ্যে শিক্ষার্থীদের ধরপাকড়, হঠাৎ দেওয়া স্লোগান আর মিছিল এবং শিক্ষার্থীদের ছাড়িয়ে নিতে শিক্ষকদের কর্মতৎপরতায় চমকে ওঠে ক্যাম্পাস। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থানীয় শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের প্রাণীদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করেছেন। তবে কবে নাগাদ শিক্ষা কার্যক্রম আবার শুরু হবে, ফিরে আসবে স্বাভাবিকতা, সেটা কেউ জানেন না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর শিক্ষকেরা দ্রুত সিলেবাস শেষ করতে চাইলে তার চাপ প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের আরও বিপাকে ফেলবে। সবার একটাই কামনা, দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসগুলো শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আনাগোনায় ভরে উঠুক।
এহসানুল হক দিনার,পরিসংখ্যান বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
শূন্যতার চাদরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
‘গানের ক্যাম্পাস’ নামে খ্যাত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এখন নিস্তব্ধতার চাদরে ঢেকে রেখেছে নিজেকে। চলমান আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর আবাসিক হলগুলো বন্ধ থাকায় নেই শিক্ষার্থীদের আনাগোনা। বর্তমানে ২৯ হাজার শিক্ষার্থীর এই ক্যাম্পাস যেন জনমানবহীন কোনো পাহাড়ি উপত্যকা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি চত্বর প্রকাশ করছে তার নীরব অভিমান। এখানকার সবুজ প্রকৃতি মেলে ধরতে পারছে না নিজেকে। শাটল ট্রেনে সিট পাওয়ার জন্য চিরচেনা সেই প্রতিযোগিতা নেই, স্টেশনে নেই আড্ডা কিংবা তর্কের শোরগোল। সেন্ট্রাল ফিল্ডেও এখন আর দেখা যায় না কারও উপস্থিতি।
দেশে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে সবাই উদ্বিগ্ন। শিক্ষার্থীরা আশা করছেন, শিগগির সবকিছু স্বাভাবিক হবে। শিক্ষকেরাও উন্মুখ হয়ে আছেন এই নিস্তব্ধতার চাদর ভেদ করে শ্রেণিকক্ষের পরিবেশে ফেরার। তবে বিশ্ববিদ্যালয় খুললেও চলমান পরিস্থিতির ক্ষত শিক্ষার্থীদের মনে থেকে যাবে বহুকাল।
আরিয়ান হোসেন ,দর্শন বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
নীরবে কাঁদছে প্রাণ ও প্রকৃতি
ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই শিক্ষার্থীদের পদচারণে মুখর হতো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিদিন সকালে বন্ধুদের সঙ্গে হলের ডাইনিংয়ে নাশতা খাওয়া, একসঙ্গে ক্লাসে যাওয়া, সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চ, খেলার মাঠ, ক্যাফেটেরিয়া চত্বর, শহীদ মিনার, অমর একুশের পাদদেশসহ বিভিন্ন জায়গায় জমে ওঠা আড্ডা ও গানের আসর এখন আর নেই। সাম্প্রতিক আন্দোলন সম্পূর্ণ বদলে দিয়েছে জাবি ক্যাম্পাসের সেই চিরচেনা রূপ।
বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের ঘোষণায় প্রশাসনের নির্দেশে হল ত্যাগ করেছেন কিছু শিক্ষার্থী। স্থবির ক্যাম্পাস দেখলে মনে হবে যেন ভূতের বাড়ি। বর্ষায় মেঘের গর্জন যেন প্রতিধ্বনি হয়ে ফিরে যাচ্ছে। ক্যাম্পাসের লেকের লাল পদ্মগুলোর দিকে তাকালেই মনে হচ্ছে, যেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মতো প্রকৃতিও জানাচ্ছে প্রতিবাদ। শিক্ষার্থী ও পশুপাখিদের অলিখিত এক বন্ধনে আবদ্ধ থাকা এই ক্যাম্পাস হারাচ্ছে জীববৈচিত্র্য। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের কারণে শিক্ষার্থীরা সেশনজট নিয়ে আশঙ্কায় সময় পার করছেন। নিহত শিক্ষার্থী ও ক্ষয়ক্ষতির সুষ্ঠু তদন্ত ও উপযুক্ত সমাধানের মাধ্যমে স্বাভাবিক হোক দেশ, ক্যাম্পাসে ফিরে আসুক সেই চিরচেনা রূপ—সেই প্রত্যাশা শিক্ষার্থীদের।
নাজমুল হাসান সিয়াম, শিক্ষার্থী, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে চলমান পরিস্থিতির কারণে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। কবে নাগাদ আবার শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে, ফিরে আসবে স্বাভাবিক অবস্থা, সেটা কেউ জানেন না। এমন অবস্থায় উল্লাসহীন নিস্তব্ধ প্রাণের ক্যাম্পাস নিয়ে লিখেছেন ৪ ক্যাম্পাসের ৪ জন শিক্ষার্থী।
চারপাশে এখন শুধুই নিস্তব্ধতা
উচ্চশিক্ষার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এটি সব সময় মুখর থাকত শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের পদচারণে। তবে দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস দেখলে মনে হবে ধ্বংস হওয়া নগরের এক অংশবিশেষ। টিএসসিতে নেই কোনো সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের আয়োজন। অথচ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ জায়গা শিক্ষার্থীদের আড্ডায় সরগরম থাকত দীর্ঘ রাত পর্যন্ত। মল চত্বর ও ফোয়ারার চারপাশে এখন শুধুই নিস্তব্ধতা। শ্রেণিকক্ষের বেঞ্চগুলোতে ধুলোর আস্তরণ বাড়ছে।
ছাত্ররাজনীতির আঁতুড়ঘর মধুর ক্যানটিনে ঝুলছে তালা। হাকিম চত্বরের শান্ত পরিবেশ হার মানিয়েছে করোনার সময়কেও। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাল বাসগুলো এবার যেন অবকাশের সুযোগ পেয়েছে। ক্যাম্পাসের প্রাণীগুলোর দিন কাটছে অনাহারে-অর্ধাহারে। কার্জন হলের ভুতুড়ে পরিবেশ দেখলে কে বলবে, এখানেই বিকেলের পর জমে উঠত তরুণ-তরুণীর হাজারো বিরহ বা ভালোবাসার উপাখ্যান।
২৫৪ একরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এখন শুধুই যেন রূপকথার গল্পের প্রতিনিধিত্ব করছে। এখন ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের প্রবেশ অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত। আবাসিক শিক্ষার্থীরা হল ছেড়েছেন। যেসব শিক্ষক এখনো ক্যাম্পাসে অবস্থান করছেন, তাঁরাও প্রাণহীন ক্যাম্পাসে কষ্টে আছেন।
মো. সৈয়দুর রহমান,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
চিরচেনা ক্যাম্পাসে বিষণ্নতার সুর
পদ্মার তীরে গড়ে ওঠা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় নদীর স্রোতের মতোই প্রাণচঞ্চল থাকে। এর প্রতিটি ভবন, ক্লাসরুম, রাস্তা ও চায়ের দোকানগুলো প্রায় ৩৩ হাজার শিক্ষার্থীর পদচারণে মুখর থাকে সকাল থেকে। তবে হঠাৎ থমকে দাঁড়িয়েছে এ স্বাভাবিকতা।
ভবনগুলো যেন উঁকি মারছে নির্বাক দানবের মতো। রাস্তাগুলো দেখলে মনে হবে, এ যেন কোনো অচিন পথে যাত্রার নীরব মহাসড়ক। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বেশির ভাগ শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস ছেড়েছেন। কিছু শিক্ষার্থী রয়ে গেছেন। কিন্তু ক্যাম্পাসের সেই উচ্ছ্বাস আর নেই। তবে ক্যাম্পাসে পুলিশের উপস্থিতি আর মাঝেমধ্যে শিক্ষার্থীদের ধরপাকড়, হঠাৎ দেওয়া স্লোগান আর মিছিল এবং শিক্ষার্থীদের ছাড়িয়ে নিতে শিক্ষকদের কর্মতৎপরতায় চমকে ওঠে ক্যাম্পাস। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থানীয় শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের প্রাণীদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করেছেন। তবে কবে নাগাদ শিক্ষা কার্যক্রম আবার শুরু হবে, ফিরে আসবে স্বাভাবিকতা, সেটা কেউ জানেন না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর শিক্ষকেরা দ্রুত সিলেবাস শেষ করতে চাইলে তার চাপ প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের আরও বিপাকে ফেলবে। সবার একটাই কামনা, দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসগুলো শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আনাগোনায় ভরে উঠুক।
এহসানুল হক দিনার,পরিসংখ্যান বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
শূন্যতার চাদরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
‘গানের ক্যাম্পাস’ নামে খ্যাত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এখন নিস্তব্ধতার চাদরে ঢেকে রেখেছে নিজেকে। চলমান আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর আবাসিক হলগুলো বন্ধ থাকায় নেই শিক্ষার্থীদের আনাগোনা। বর্তমানে ২৯ হাজার শিক্ষার্থীর এই ক্যাম্পাস যেন জনমানবহীন কোনো পাহাড়ি উপত্যকা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি চত্বর প্রকাশ করছে তার নীরব অভিমান। এখানকার সবুজ প্রকৃতি মেলে ধরতে পারছে না নিজেকে। শাটল ট্রেনে সিট পাওয়ার জন্য চিরচেনা সেই প্রতিযোগিতা নেই, স্টেশনে নেই আড্ডা কিংবা তর্কের শোরগোল। সেন্ট্রাল ফিল্ডেও এখন আর দেখা যায় না কারও উপস্থিতি।
দেশে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে সবাই উদ্বিগ্ন। শিক্ষার্থীরা আশা করছেন, শিগগির সবকিছু স্বাভাবিক হবে। শিক্ষকেরাও উন্মুখ হয়ে আছেন এই নিস্তব্ধতার চাদর ভেদ করে শ্রেণিকক্ষের পরিবেশে ফেরার। তবে বিশ্ববিদ্যালয় খুললেও চলমান পরিস্থিতির ক্ষত শিক্ষার্থীদের মনে থেকে যাবে বহুকাল।
আরিয়ান হোসেন ,দর্শন বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
নীরবে কাঁদছে প্রাণ ও প্রকৃতি
ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই শিক্ষার্থীদের পদচারণে মুখর হতো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিদিন সকালে বন্ধুদের সঙ্গে হলের ডাইনিংয়ে নাশতা খাওয়া, একসঙ্গে ক্লাসে যাওয়া, সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চ, খেলার মাঠ, ক্যাফেটেরিয়া চত্বর, শহীদ মিনার, অমর একুশের পাদদেশসহ বিভিন্ন জায়গায় জমে ওঠা আড্ডা ও গানের আসর এখন আর নেই। সাম্প্রতিক আন্দোলন সম্পূর্ণ বদলে দিয়েছে জাবি ক্যাম্পাসের সেই চিরচেনা রূপ।
বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের ঘোষণায় প্রশাসনের নির্দেশে হল ত্যাগ করেছেন কিছু শিক্ষার্থী। স্থবির ক্যাম্পাস দেখলে মনে হবে যেন ভূতের বাড়ি। বর্ষায় মেঘের গর্জন যেন প্রতিধ্বনি হয়ে ফিরে যাচ্ছে। ক্যাম্পাসের লেকের লাল পদ্মগুলোর দিকে তাকালেই মনে হচ্ছে, যেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মতো প্রকৃতিও জানাচ্ছে প্রতিবাদ। শিক্ষার্থী ও পশুপাখিদের অলিখিত এক বন্ধনে আবদ্ধ থাকা এই ক্যাম্পাস হারাচ্ছে জীববৈচিত্র্য। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের কারণে শিক্ষার্থীরা সেশনজট নিয়ে আশঙ্কায় সময় পার করছেন। নিহত শিক্ষার্থী ও ক্ষয়ক্ষতির সুষ্ঠু তদন্ত ও উপযুক্ত সমাধানের মাধ্যমে স্বাভাবিক হোক দেশ, ক্যাম্পাসে ফিরে আসুক সেই চিরচেনা রূপ—সেই প্রত্যাশা শিক্ষার্থীদের।
নাজমুল হাসান সিয়াম, শিক্ষার্থী, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
বিগত কয়েক বছর ধরে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য অফুরন্ত সম্ভাবনার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে হাঙ্গেরি। দেশটিতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা আধুনিক শিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি ক্যারিয়ার গঠনেরও সুযোগ পাচ্ছেন।
৩৫ মিনিট আগেসংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ আয়োজন হলো বিতর্ক। ক্রমেই এটি জনপ্রিয় হচ্ছে। সব প্রতিযোগিতায় জয়-পরাজয় রয়েছে। বিতর্কও এর ব্যতিক্রম নয়। একজন উঁচুমানের বিতার্কিকও পরাজয়ের সম্মুখীন হতে পারেন।
৩৫ মিনিট আগেআমেরিকান ব্যবসায়ী এবং লেখক রবার্ট তোরু কিয়োসাকির লেখা ‘রিচ ড্যাড পুওর ড্যাড’ বইটি ১৯৯৭ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। বইটি প্রকাশ হওয়ার পর থেকে ব্যক্তিগত আর্থিক উন্নতির বইয়ের ক্যাটাগরিতে বিশ্বের সর্বাধিক বিক্রীত হিসেবে স্বীকৃত।
৩৬ মিনিট আগেরাশেদ হোসেন রনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন। ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন বদলে একসময় বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন বোনা শুরু করেন তিনি। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে রনি সফলও হয়েছেন।
৩৯ মিনিট আগে