শাহ বিলিয়া জুলফিকার
ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বা ‘উন্নয়ন অধ্যয়ন’ উচ্চশিক্ষায় একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি জ্ঞানের ক্ষেত্র। সামাজিক বিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ সব তত্ত্ব ও প্রায়োগিক বিষয়বস্তুর অর্থবহ একত্রীকরণের মাধ্যমে এ বিষয়টি সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক বিজ্ঞানে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী বেশ জনপ্রিয়। এ বিষয়টি বিষয়ভিত্তিক জ্ঞানার্জনের পাশাপাশি উন্নয়ন গবেষণাসংশ্লিষ্ট জ্ঞানার্জনেও তাই গুরুত্বপূর্ণ। প্রাথমিকভাবে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে মানবিক বিভাগ পড়ে আসা শিক্ষার্থীদের জন্য হলেও বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক—তিনটি বিভাগের শিক্ষার্থীরাই বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় মেধাতালিকায় প্রথম দিকে থাকা শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দের শীর্ষে রাখছে এ বিষয়টিকে।
যাত্রা শুরু
ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিষয়টি বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনেকটা নতুন হলেও বিশ্বে অনেক আগে থেকে এটি বিদ্যমান ছিল। মূলত ১৯৫০-এর দশকে ইউরোপের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এ বিষয়ে পাঠদান শুরু হয়েছিল। সময়ের পরিক্রমায় বাংলাদেশে ২০০২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রফেশনাল মাস্টার্স ডিগ্রি চালুর মাধ্যমে এই বিভাগের যাত্রা শুরু হয়। পরে ২০০৭-০৮ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক পর্যায়ে প্রথমবারের মতো ভর্তির কার্যক্রম শুরু করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বিভাগ। স্বায়ত্তশাসিত ও সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম এ বিভাগটি চালু হলেও, পরবর্তী সময়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসে (BUP) ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ চালু করা হয়। তা ছাড়া নর্থ সাউথ, ব্র্যাক, ইস্ট ওয়েস্ট, ইনডিপেনডেন্ট ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মতো বেশ কয়েকটি স্বনামধন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েও এ বিষয়ে পঠন-পাঠন চালু রয়েছে।
যা পড়ানো হয়
ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিষয়টি এ ধারণা দেয় যে উন্নয়ন মানে শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়ন নয়, উন্নয়নের বহুমাত্রিক ধারণাকে কেন্দ্র করেই এ বিষয়টির মাঝে রাজনীতি, অর্থনীতি, পরিবেশ, সমাজবিজ্ঞান, সংস্কৃতি, প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তা, পাবলিক পলিসি, জেন্ডার, প্রজেক্ট ব্যবস্থাপনা এবং সামাজিক গবেষণাপদ্ধতির মতো বিষয়গুলো পড়ানো হয়। সামাজিক বিজ্ঞানের তাত্ত্বিক, প্রায়োগিক ও গবেষণা শিক্ষাকে অর্থবহভাবে একত্রীকরণের মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ে এমন পরিপূর্ণ শিক্ষার সুযোগ সাধারণত অন্যান্য ডিসিপ্লিনে খুব একটা নেই।
গবেষণা ও উচ্চশিক্ষা
প্রায়োগিক সামাজিক বিজ্ঞানের বিষয় হিসেবে উন্নয়ন অধ্যয়ন খুবই চমকপ্রদ একটি পড়াশোনার বিষয়। উন্নয়নকর্মী বা উন্নয়ন গবেষক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে চাইলে এ বিষয়ে পড়াশোনার বিকল্প নেই। ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের শিক্ষার্থীরা সরকারি ও বেসরকারি দুই খাতেই তাদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাকে কাজে লাগাতে পারে অনায়াসে। এ বিষয়ের স্নাতকেরা পরে অর্থনীতি, রাজনীতি, সামাজিক উন্নয়ন, মানব উন্নয়ন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন, প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তা, পাবলিক পলিসি, জেন্ডার, প্রজেক্ট ব্যবস্থাপনা, দারিদ্রতা ও টেকসই উন্নয়ন বিষয়ে দেশে-বিদেশে উচ্চশিক্ষা এবং গবেষণায় নিয়োজিত হতে পারে খুব সহজেই। উপরন্তু বিদেশে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে ইউরোপ ও অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নয়ন অধ্যয়ন কিংবা এ-সংশ্লিষ্ট নানান বিষয়ে বিভিন্ন বৃত্তি নিয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করার সুযোগ রয়েছে। সামাজিক বিজ্ঞানের অন্য সব বিষয়ের মধ্যে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি নানান বৃত্তি নিয়ে বিদেশে পড়তে যাওয়ার সুযোগ উন্নয়ন অধ্যয়ন বিষয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক বেশি।
চাকরির সুযোগ
উন্নয়ন সম্পর্কে বহুমাত্রিক তাত্ত্বিক ও প্রায়োগিক জ্ঞান থাকায় উন্নয়ন অধ্যয়ন বিষয়ের শিক্ষার্থীরা সরকারি-বেসরকারি, লাভজনক-অলাভজনক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে খুব সহজেই তাদের লব্ধ জ্ঞানের সঠিক প্রয়োগ করতে পারে। উন্নয়নের নানা দিকের মধ্যে পাবলিক পলিসি, পাবলিক ফিন্যান্স, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট, অর্থনীতি, রাজনৈতিক অর্থনীতি, রাজনীতি, সরকার এবং জনপ্রশাসনসহ নানান বহুমাত্রিক বিষয়ে জ্ঞান থাকায় ‘উন্নয়ন অধ্যয়ন’ বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী শিক্ষার্থীরা সহজেই সরকারি প্রতিষ্ঠানের মাঠপর্যায় থেকে শুরু করে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়। উল্লিখিত বিষয়গুলোর পাশাপাশি ব্যাংকিং ও ফিন্যান্স এবং এনজিও ও অলাভজনক খাত সম্পর্কে জ্ঞান থাকায় এ বিষয়ের শিক্ষার্থীরা সহজেই বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন এনজিও এবং জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা ও অন্যান্য উন্নয়নমুখী প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সক্ষমতা অর্জন করে। এ ছাড়া উন্নয়ন ও সামাজিক গবেষণা বিষয়ে তাত্ত্বিক ও প্রায়োগিক জ্ঞান লাভের কারণে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দেশি-বিদেশি গবেষণাপ্রতিষ্ঠানে কাজের সুযোগ লাভ করে থাকে। সর্বোপরি, বিদেশে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে এ বিষয়ে পড়াশোনা ও গবেষণার বিস্তর সুযোগ থাকায় তা এই বিষয়ের শিক্ষার্থীদের দেশে-বিদেশে উচ্চশিক্ষা, গবেষণা ও চাকরির ক্ষেত্রও প্রসারিত করে থাকে।
অনুলিখন: শাহ বিলিয়া জুলফিকার
ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বা ‘উন্নয়ন অধ্যয়ন’ উচ্চশিক্ষায় একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি জ্ঞানের ক্ষেত্র। সামাজিক বিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ সব তত্ত্ব ও প্রায়োগিক বিষয়বস্তুর অর্থবহ একত্রীকরণের মাধ্যমে এ বিষয়টি সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক বিজ্ঞানে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী বেশ জনপ্রিয়। এ বিষয়টি বিষয়ভিত্তিক জ্ঞানার্জনের পাশাপাশি উন্নয়ন গবেষণাসংশ্লিষ্ট জ্ঞানার্জনেও তাই গুরুত্বপূর্ণ। প্রাথমিকভাবে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে মানবিক বিভাগ পড়ে আসা শিক্ষার্থীদের জন্য হলেও বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক—তিনটি বিভাগের শিক্ষার্থীরাই বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় মেধাতালিকায় প্রথম দিকে থাকা শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দের শীর্ষে রাখছে এ বিষয়টিকে।
যাত্রা শুরু
ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিষয়টি বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনেকটা নতুন হলেও বিশ্বে অনেক আগে থেকে এটি বিদ্যমান ছিল। মূলত ১৯৫০-এর দশকে ইউরোপের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এ বিষয়ে পাঠদান শুরু হয়েছিল। সময়ের পরিক্রমায় বাংলাদেশে ২০০২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রফেশনাল মাস্টার্স ডিগ্রি চালুর মাধ্যমে এই বিভাগের যাত্রা শুরু হয়। পরে ২০০৭-০৮ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক পর্যায়ে প্রথমবারের মতো ভর্তির কার্যক্রম শুরু করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বিভাগ। স্বায়ত্তশাসিত ও সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম এ বিভাগটি চালু হলেও, পরবর্তী সময়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসে (BUP) ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ চালু করা হয়। তা ছাড়া নর্থ সাউথ, ব্র্যাক, ইস্ট ওয়েস্ট, ইনডিপেনডেন্ট ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মতো বেশ কয়েকটি স্বনামধন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েও এ বিষয়ে পঠন-পাঠন চালু রয়েছে।
যা পড়ানো হয়
ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিষয়টি এ ধারণা দেয় যে উন্নয়ন মানে শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়ন নয়, উন্নয়নের বহুমাত্রিক ধারণাকে কেন্দ্র করেই এ বিষয়টির মাঝে রাজনীতি, অর্থনীতি, পরিবেশ, সমাজবিজ্ঞান, সংস্কৃতি, প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তা, পাবলিক পলিসি, জেন্ডার, প্রজেক্ট ব্যবস্থাপনা এবং সামাজিক গবেষণাপদ্ধতির মতো বিষয়গুলো পড়ানো হয়। সামাজিক বিজ্ঞানের তাত্ত্বিক, প্রায়োগিক ও গবেষণা শিক্ষাকে অর্থবহভাবে একত্রীকরণের মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ে এমন পরিপূর্ণ শিক্ষার সুযোগ সাধারণত অন্যান্য ডিসিপ্লিনে খুব একটা নেই।
গবেষণা ও উচ্চশিক্ষা
প্রায়োগিক সামাজিক বিজ্ঞানের বিষয় হিসেবে উন্নয়ন অধ্যয়ন খুবই চমকপ্রদ একটি পড়াশোনার বিষয়। উন্নয়নকর্মী বা উন্নয়ন গবেষক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে চাইলে এ বিষয়ে পড়াশোনার বিকল্প নেই। ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের শিক্ষার্থীরা সরকারি ও বেসরকারি দুই খাতেই তাদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাকে কাজে লাগাতে পারে অনায়াসে। এ বিষয়ের স্নাতকেরা পরে অর্থনীতি, রাজনীতি, সামাজিক উন্নয়ন, মানব উন্নয়ন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন, প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তা, পাবলিক পলিসি, জেন্ডার, প্রজেক্ট ব্যবস্থাপনা, দারিদ্রতা ও টেকসই উন্নয়ন বিষয়ে দেশে-বিদেশে উচ্চশিক্ষা এবং গবেষণায় নিয়োজিত হতে পারে খুব সহজেই। উপরন্তু বিদেশে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে ইউরোপ ও অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নয়ন অধ্যয়ন কিংবা এ-সংশ্লিষ্ট নানান বিষয়ে বিভিন্ন বৃত্তি নিয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করার সুযোগ রয়েছে। সামাজিক বিজ্ঞানের অন্য সব বিষয়ের মধ্যে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি নানান বৃত্তি নিয়ে বিদেশে পড়তে যাওয়ার সুযোগ উন্নয়ন অধ্যয়ন বিষয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক বেশি।
চাকরির সুযোগ
উন্নয়ন সম্পর্কে বহুমাত্রিক তাত্ত্বিক ও প্রায়োগিক জ্ঞান থাকায় উন্নয়ন অধ্যয়ন বিষয়ের শিক্ষার্থীরা সরকারি-বেসরকারি, লাভজনক-অলাভজনক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে খুব সহজেই তাদের লব্ধ জ্ঞানের সঠিক প্রয়োগ করতে পারে। উন্নয়নের নানা দিকের মধ্যে পাবলিক পলিসি, পাবলিক ফিন্যান্স, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট, অর্থনীতি, রাজনৈতিক অর্থনীতি, রাজনীতি, সরকার এবং জনপ্রশাসনসহ নানান বহুমাত্রিক বিষয়ে জ্ঞান থাকায় ‘উন্নয়ন অধ্যয়ন’ বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী শিক্ষার্থীরা সহজেই সরকারি প্রতিষ্ঠানের মাঠপর্যায় থেকে শুরু করে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়। উল্লিখিত বিষয়গুলোর পাশাপাশি ব্যাংকিং ও ফিন্যান্স এবং এনজিও ও অলাভজনক খাত সম্পর্কে জ্ঞান থাকায় এ বিষয়ের শিক্ষার্থীরা সহজেই বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন এনজিও এবং জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা ও অন্যান্য উন্নয়নমুখী প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সক্ষমতা অর্জন করে। এ ছাড়া উন্নয়ন ও সামাজিক গবেষণা বিষয়ে তাত্ত্বিক ও প্রায়োগিক জ্ঞান লাভের কারণে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দেশি-বিদেশি গবেষণাপ্রতিষ্ঠানে কাজের সুযোগ লাভ করে থাকে। সর্বোপরি, বিদেশে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে এ বিষয়ে পড়াশোনা ও গবেষণার বিস্তর সুযোগ থাকায় তা এই বিষয়ের শিক্ষার্থীদের দেশে-বিদেশে উচ্চশিক্ষা, গবেষণা ও চাকরির ক্ষেত্রও প্রসারিত করে থাকে।
অনুলিখন: শাহ বিলিয়া জুলফিকার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্তি থেকে ঐতিহ্যবাহী কলেজগুলোকে আলাদা করে একটি স্বতন্ত্র-প্রাতিষ্ঠানিক রূপ কীভাবে দেওয়া যায় সে জন্য একটি কমিটি করেছিলাম। এ কমিটির প্রাথমিক প্রতিবেদনের কাজ শেষ পর্যায়ে। এখন অতি শিগগিরই একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি করতে যাচ্ছি। যারা এই কলেজগুলোকে একটা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেবে...
১ ঘণ্টা আগেউন্নত শিক্ষাব্যবস্থা, প্রযুক্তি ও গবেষণার জন্য জার্মানি শিক্ষার্থীদের কাছে একটি স্বপ্নের দেশ। জার্মানির অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনা মূল্যে টিউশন ফি এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ডিগ্রি পাওয়ার সুযোগ দেশটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে...
৯ ঘণ্টা আগেইউনিভার্সিটি অব সেন্ট্রাল ল্যাঙ্কাশায়ারের (ইউসিএলএএন) একমাত্র অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠানটির ইউকে ডিগ্রি প্রোগ্রাম চালু করেছে ইউনিভার্সাল কলেজ বাংলাদেশ (ইউসিবি)। রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত ইউসিবি
২১ ঘণ্টা আগেআকর্ষণীয় ছাড়ে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে ভর্তি চলছে। আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এই ভর্তি চলবে। এ সময়ে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ওয়েভার ছাড়াও অতিরিক্ত ৫-১০ শতাংশ (সর্বোচ্চ ৫৮ হাজার টাকা) ছাড়ে স্প্রিং সেমিস্টার ২০২৫-এ ভর্তি হতে পারবেন। গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে ব্যাচেলর ও মাস্টার্স প্রোগ্রামগুলোর মধ্যে রয়েছে—
১ দিন আগে