মো. মোত্তালেব হোসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন। পড়াশোনা শেষ করে প্রথম বিজেএস পরীক্ষায় পাস করতে না পারলেও একসময় এ স্বপ্ন সত্যিতে রূপান্তরিত করেন। ১৫তম বিজেএসে ৮ম মেধাক্রমে তিনি সহকারী জজ হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত হন। বিচারক হওয়ার দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন মুহূর্তেই পূরণ হয় তাঁর। এ স্বপ্ন এক দিনে পূরণ হয়নি। অতিক্রম করতে হয়েছে দীর্ঘ সময় ও উদ্বেগের কঠিন মুহূর্তগুলো। বিজেএস জয়ের গল্প ও নতুনদের প্রতি তাঁর অভিজ্ঞতালব্ধ পরামর্শ নিয়েছেন শাহ বিলিয়া জুলফিকার।
বাবা সব সময়ই বলতেন, পড়ালেখা করে ‘হাকিম’ হতে হবে। কলেজে পড়াকালীন সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষক মোস্তফা কামাল স্যারও বিচারকদের মর্যাদা সম্পর্কে ধারণা দিয়ে বিচারক হতে উৎসাহিত করেন। কিন্তু এটা জানতাম, আইনে পড়াশোনা না করলে বিচারক হওয়া যাবে না। তাই স্নাতকে পড়ার বিষয় হিসেবে আইনকে বেছে নিই। ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় ঢাবি খ ইউনিটে পঞ্চম, জবি খ ইউনিটে দ্বিতীয় এবং রাবির বি ইউনিটে (আইন) তৃতীয় হয়ে দেশের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আইন পড়ার সুযোগ পাই। ভর্তি হই প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে।
ব্যর্থতা থেকেই প্রস্তুতি শুরু
স্নাতক সম্পন্ন করার পর করোনা মহামারির কারণে দেশব্যাপী চলমান লকডাউন ও আনুষঙ্গিক পরিস্থিতিসহ ব্যক্তিগত জীবনে নানাবিধ সমস্যায় লেখাপড়া ভালোভাবে চালিয়ে যেতে পারিনি। তাই ২০২১ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত চতুর্দশ বিজেএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ফেল করি। এটি ছিল আমার প্রথম বিজেএস পরীক্ষা। ফেল করার পর অত্যন্ত মর্মপীড়া অনুভব করি এবং পরবর্তী পরীক্ষা ভালোভাবে দেওয়ার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হই। পড়াশোনা এবং প্রস্তুতি নতুনভাবে শুরু করি।
যেভাবে প্রস্তুতি নিয়েছি
প্রস্তুতির জন্য প্রথমেই আমি বিজেএস পরীক্ষার বিস্তারিত সিলেবাস সংগ্রহ করি। পূর্ববর্তী বছরের প্রশ্ন এবং সমাধান সংগ্রহ করে পড়তে থাকি। এতে বিজেএস পরীক্ষায় কী ধরনের প্রশ্ন আসে, তা নিয়ে আমার ভালো ধারণা হয়। তারপর সিলেবাস ধরে এক এক করে সব ধরনের আইন ও সাধারণ বিষয়গুলো পড়তে থাকি। পড়াশোনা মোটামুটি আয়ত্তে এলে আমি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নোট করতে শুরু করি। পরীক্ষার আগে সেগুলো রিভাইজ করি। তা ছাড়া লিখিত পরীক্ষায় প্রশ্নের উত্তরে সংশ্লিষ্ট আইনের বিধান ও প্রাসঙ্গিক
মামলার রায় সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করে উত্তর করতে হয়। তাই আইনের গুরুত্বপূর্ণ ধারাসহ কিছু কেস রেফারেন্স মুখস্থ করি।
যাঁদের পাশে পেয়েছি
বিজেএস প্রস্তুতিকালীন নাতিদীর্ঘ অথচ দুরূহ এই সময়টাতে আমি যাঁকে সবচেয়ে বেশি পাশে পেয়েছি, তিনি হলেন আমার মা। সব সময় আমাকে দৃশ্যমান, অদৃশ্য সাপোর্ট দিয়ে গেছেন। আমার সব মনোযোগ পড়ালেখায় কেন্দ্রীভূত করার চেষ্টা করে গেছেন। এ ছাড়া আমার অনেক শিক্ষক, মুরব্বি, সিনিয়র-জুনিয়র, বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা সাপোর্ট দিয়ে গেছেন। যুগ্ম জেলা জজ মো’তাছিম বিল্যাহ স্যার সব সময় সাহস দিয়ে গেছেন।
নতুনদের জন্য পরামর্শ
যেকোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ভালো করার জন্য সেই পরীক্ষার প্রশ্নপদ্ধতি ও সিলেবাস সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকা দরকার। তাই সিলেবাস হাতে রেখে পড়াশোনা করাই বাঞ্ছনীয়। পড়াশোনার পাশাপাশি প্রিলিমিনারি পরীক্ষার জন্য মডেল টেস্ট, লিখিত পরীক্ষার জন্য লেখার চর্চা করা এবং মৌখিক পরীক্ষার আগে মক ভাইভা দেওয়া খুব কাজে দেয়। এলোপাতাড়ি পড়ালেখা না করে, সাজিয়ে-গুছিয়ে, কৌশলী হয়ে পড়া উত্তম। আর এ জন্য মূল আইনগুলো পড়ার ক্ষেত্রে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। পরীক্ষার আগে নিজেকে একটা রুটিনের মধ্যে এনে সুশৃঙ্খলভাবে পড়াশোনা করা উচিত।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
বর্তমানে বিচার বিভাগের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো মামলাজট। একজন বিচারক হয়ে নিজ সামর্থ্য ও শক্তির মধ্যে থেকে সর্বোচ্চসংখ্যক মামলা নিষ্পত্তি করতে চাই। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মানুষের বিচারপ্রাপ্তির মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে চাই। কাজ ও শ্রমের মাধ্যমে বিচার বিভাগে নিজের একটি ইতিবাচক অবস্থান তৈরি করতে চাই।
মো. মোত্তালেব হোসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন। পড়াশোনা শেষ করে প্রথম বিজেএস পরীক্ষায় পাস করতে না পারলেও একসময় এ স্বপ্ন সত্যিতে রূপান্তরিত করেন। ১৫তম বিজেএসে ৮ম মেধাক্রমে তিনি সহকারী জজ হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত হন। বিচারক হওয়ার দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন মুহূর্তেই পূরণ হয় তাঁর। এ স্বপ্ন এক দিনে পূরণ হয়নি। অতিক্রম করতে হয়েছে দীর্ঘ সময় ও উদ্বেগের কঠিন মুহূর্তগুলো। বিজেএস জয়ের গল্প ও নতুনদের প্রতি তাঁর অভিজ্ঞতালব্ধ পরামর্শ নিয়েছেন শাহ বিলিয়া জুলফিকার।
বাবা সব সময়ই বলতেন, পড়ালেখা করে ‘হাকিম’ হতে হবে। কলেজে পড়াকালীন সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষক মোস্তফা কামাল স্যারও বিচারকদের মর্যাদা সম্পর্কে ধারণা দিয়ে বিচারক হতে উৎসাহিত করেন। কিন্তু এটা জানতাম, আইনে পড়াশোনা না করলে বিচারক হওয়া যাবে না। তাই স্নাতকে পড়ার বিষয় হিসেবে আইনকে বেছে নিই। ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় ঢাবি খ ইউনিটে পঞ্চম, জবি খ ইউনিটে দ্বিতীয় এবং রাবির বি ইউনিটে (আইন) তৃতীয় হয়ে দেশের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আইন পড়ার সুযোগ পাই। ভর্তি হই প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে।
ব্যর্থতা থেকেই প্রস্তুতি শুরু
স্নাতক সম্পন্ন করার পর করোনা মহামারির কারণে দেশব্যাপী চলমান লকডাউন ও আনুষঙ্গিক পরিস্থিতিসহ ব্যক্তিগত জীবনে নানাবিধ সমস্যায় লেখাপড়া ভালোভাবে চালিয়ে যেতে পারিনি। তাই ২০২১ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত চতুর্দশ বিজেএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ফেল করি। এটি ছিল আমার প্রথম বিজেএস পরীক্ষা। ফেল করার পর অত্যন্ত মর্মপীড়া অনুভব করি এবং পরবর্তী পরীক্ষা ভালোভাবে দেওয়ার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হই। পড়াশোনা এবং প্রস্তুতি নতুনভাবে শুরু করি।
যেভাবে প্রস্তুতি নিয়েছি
প্রস্তুতির জন্য প্রথমেই আমি বিজেএস পরীক্ষার বিস্তারিত সিলেবাস সংগ্রহ করি। পূর্ববর্তী বছরের প্রশ্ন এবং সমাধান সংগ্রহ করে পড়তে থাকি। এতে বিজেএস পরীক্ষায় কী ধরনের প্রশ্ন আসে, তা নিয়ে আমার ভালো ধারণা হয়। তারপর সিলেবাস ধরে এক এক করে সব ধরনের আইন ও সাধারণ বিষয়গুলো পড়তে থাকি। পড়াশোনা মোটামুটি আয়ত্তে এলে আমি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নোট করতে শুরু করি। পরীক্ষার আগে সেগুলো রিভাইজ করি। তা ছাড়া লিখিত পরীক্ষায় প্রশ্নের উত্তরে সংশ্লিষ্ট আইনের বিধান ও প্রাসঙ্গিক
মামলার রায় সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করে উত্তর করতে হয়। তাই আইনের গুরুত্বপূর্ণ ধারাসহ কিছু কেস রেফারেন্স মুখস্থ করি।
যাঁদের পাশে পেয়েছি
বিজেএস প্রস্তুতিকালীন নাতিদীর্ঘ অথচ দুরূহ এই সময়টাতে আমি যাঁকে সবচেয়ে বেশি পাশে পেয়েছি, তিনি হলেন আমার মা। সব সময় আমাকে দৃশ্যমান, অদৃশ্য সাপোর্ট দিয়ে গেছেন। আমার সব মনোযোগ পড়ালেখায় কেন্দ্রীভূত করার চেষ্টা করে গেছেন। এ ছাড়া আমার অনেক শিক্ষক, মুরব্বি, সিনিয়র-জুনিয়র, বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা সাপোর্ট দিয়ে গেছেন। যুগ্ম জেলা জজ মো’তাছিম বিল্যাহ স্যার সব সময় সাহস দিয়ে গেছেন।
নতুনদের জন্য পরামর্শ
যেকোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ভালো করার জন্য সেই পরীক্ষার প্রশ্নপদ্ধতি ও সিলেবাস সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকা দরকার। তাই সিলেবাস হাতে রেখে পড়াশোনা করাই বাঞ্ছনীয়। পড়াশোনার পাশাপাশি প্রিলিমিনারি পরীক্ষার জন্য মডেল টেস্ট, লিখিত পরীক্ষার জন্য লেখার চর্চা করা এবং মৌখিক পরীক্ষার আগে মক ভাইভা দেওয়া খুব কাজে দেয়। এলোপাতাড়ি পড়ালেখা না করে, সাজিয়ে-গুছিয়ে, কৌশলী হয়ে পড়া উত্তম। আর এ জন্য মূল আইনগুলো পড়ার ক্ষেত্রে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। পরীক্ষার আগে নিজেকে একটা রুটিনের মধ্যে এনে সুশৃঙ্খলভাবে পড়াশোনা করা উচিত।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
বর্তমানে বিচার বিভাগের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো মামলাজট। একজন বিচারক হয়ে নিজ সামর্থ্য ও শক্তির মধ্যে থেকে সর্বোচ্চসংখ্যক মামলা নিষ্পত্তি করতে চাই। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মানুষের বিচারপ্রাপ্তির মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে চাই। কাজ ও শ্রমের মাধ্যমে বিচার বিভাগে নিজের একটি ইতিবাচক অবস্থান তৈরি করতে চাই।
সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি ২০২৪ সালের ফল সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়েছে। গত ১৩ ও ১৪ নভেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়টির মাল্টিপার হলে আয়োজিত মোট চারটি সেশনে বিভিন্ন বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেওয়া হয়।
১ ঘণ্টা আগেরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে অনশন করছেন শিক্ষার্থীরা। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জোহা চত্বরে অবস্থান নিয়ে আমরণ অনশন শুরু করেন তিন শিক্ষার্থী। পরে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হন।
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল এবং গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের আইকিউএসি’র যৌথ উদ্যোগে ‘প্রিপারেশন ফর অ্যাক্রেডিটেশন: ডকুমেন্টেশন অ্যান্ড এভিডেন্স’ শীর্ষক একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার গ্রিন ইউনিভার্সিটির সিন্ডিকেট রুমে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
১৫ ঘণ্টা আগেএইচএসসি পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফল পুনর্নিরীক্ষণে ৯ টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে ৪ হাজার ৪০৫ জন শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে। ফেল থেকে পাস করেছেন ৮৭২ জন, নতুন করে জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন ৫৯২ জন। আর ফেল থেকে জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন ২ জন।
১৮ ঘণ্টা আগে