মো. আশিকুর রহমান
পৃথিবীতে গত কয়েক দশক ধরে যেভাবে পরিবর্তন সাধিত হয়েছে, তা কল্পনাতীত। আগামী কয়েক দশকেও এমন অভূতপূর্ব পরিবর্তন সাধিত হবে। সেই পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে হলে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ ও জাতীয়ভাবে স্মার্ট বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে।
মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে
শিক্ষার্থীদের মধ্যে কিছু ভ্রান্ত ধারণা বদ্ধমূল হয়ে জমে গেছে। অধিকাংশ শিক্ষার্থীকে অবজেকটিভ হচ্ছে পাস করে একটা চাকরি করতে হবে। তারা কখনো চিন্তা করবে না চাকরি ছাড়াও আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারি। যারা পড়াশোনা করছে, সবাই তো চাকরি পাবে না। অনেককেই দেখা যাবে, কদিন আগেও বেকার ছিল, এখন আউটসোর্সিং করে কোটি টাকা কামাচ্ছে, ১০০-২০০ জনকে কর্মসংস্থান দিয়েছে। চাকরিই কেন করতে হবে? আমার স্বপ্নটা বড় থাকা উচিত।
চাকরিপ্রাপ্তিই জীবনের সব নয়
আমাদের দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ শিক্ষার্থী একটা ভুল ধারণা নিয়ে আগাচ্ছে। চাকরি পেতেই হবে। চাকরি পেলে জীবন সফল, চাকরি না পেলে জীবন ব্যর্থ, তাকে দিয়ে কিছুই হবে না—এই ধারণা উল্লেখযোগ্যসংখ্যক অভিভাবকের মধ্যে চেপে বসেছে। সন্তান জিপিএ-৫ পেলে বিশাল সন্তুষ্টি। ৫-এর জায়গায় ৪.৯ পেলে অভিভাবকদের বক্তব্য হচ্ছে, ‘তোকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না। তুই তো পাঁচ পাস নাই।’ এভাবে আমাদের কোমলমতি বাচ্চাদের মেন্টালিটি, মোরালিটি, স্বপ্নকে নষ্ট করে দিচ্ছি। আমরা তাকে শিখিয়ে দিলাম, তাকে দিয়ে কিছুই হবে না। বারবার এটা বলতে বলতে বাচ্চারা বিশ্বাস করতে শুরু করবে, তাকে দিয়ে কিছুই হবে না। এভাবে নিজের ছেলেমেয়েদের কনফিডেন্স লেভেলটা আমরা ধ্বংস করে দিচ্ছি। এই কনফিডেন্স লেভেলটা যদি সাসটেইন করতে পারা না যায়, তাহলে আমাদের ছেলেমেয়েরা কিছুই করতে পারবে না। কাজেই কনফিডেন্স বিল্ডআপ করতে হবে।
সার্টিফিকেট-নির্ভর পড়াশোনা নয়
আমাদের ছেলেমেয়েরা মনে করে সার্টিফিকেট থাকলেই চাকরি পাওয়া যাবে। চাকরির জন্য একটা সার্টিফিকেট দরকার, একজন মামা দরকার, আর ঘুষ দেওয়ার জন্য টাকা দরকার। আমাদের ছেলেমেয়েদের এই কনসেপ্ট থেকে বের হয়ে আসতে হবে। বিল গেটসের সার্টিফিকেট ছিল না, মার্ক জাকারবার্গের সার্টিফিকেট ছিল না, নিউটনের সার্টিফিকেট ছিল না। কাজেই আমাদের ছেলেমেয়েদের বিশ্বাস করতে হবে, সার্টিফিকেট একটা কাগজ ভিন্ন কিছু নয়। সার্টিফিকেট আমাকে একটা রিকগনিশন দিচ্ছে। আমরা বিভিন্ন প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করি, রিকগনিশন হিসেবে একটা ক্রেস্ট দেয়। তেমনি একজন শিক্ষার্থী চার বছর পড়াশোনা করেছে, এ জন্য তাকে রিকগনিশন হিসেবে একটা সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। এটা কারও ক্যাপাবিলিটিকে ইন্ডিকেট করে না।
বর্তমান যুগে সার্টিফিকেট-সর্বস্ব ডিগ্রি দিয়ে টেকা যাবে না। তাকে ক্রিয়েটিভ হতে হবে, স্মার্ট হতে হবে। আমাদের ছেলেমেয়েরা যেন সার্টিফিকেটের জন্য পড়াশোনা না করে। জানার জন্য পড়াশোনা করুক, উদ্ভাবনের জন্য পড়াশোনা করুক, আগামীর প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিজেদের খাপ খাওয়াতে পড়াশোনা করুক, সময়োপযোগী দক্ষতা অর্জনে পড়াশোনা করুক।
ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম, উপাচার্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়
অনুলিখন: মো. আশিকুর রহমান
পৃথিবীতে গত কয়েক দশক ধরে যেভাবে পরিবর্তন সাধিত হয়েছে, তা কল্পনাতীত। আগামী কয়েক দশকেও এমন অভূতপূর্ব পরিবর্তন সাধিত হবে। সেই পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে হলে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ ও জাতীয়ভাবে স্মার্ট বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে।
মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে
শিক্ষার্থীদের মধ্যে কিছু ভ্রান্ত ধারণা বদ্ধমূল হয়ে জমে গেছে। অধিকাংশ শিক্ষার্থীকে অবজেকটিভ হচ্ছে পাস করে একটা চাকরি করতে হবে। তারা কখনো চিন্তা করবে না চাকরি ছাড়াও আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারি। যারা পড়াশোনা করছে, সবাই তো চাকরি পাবে না। অনেককেই দেখা যাবে, কদিন আগেও বেকার ছিল, এখন আউটসোর্সিং করে কোটি টাকা কামাচ্ছে, ১০০-২০০ জনকে কর্মসংস্থান দিয়েছে। চাকরিই কেন করতে হবে? আমার স্বপ্নটা বড় থাকা উচিত।
চাকরিপ্রাপ্তিই জীবনের সব নয়
আমাদের দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ শিক্ষার্থী একটা ভুল ধারণা নিয়ে আগাচ্ছে। চাকরি পেতেই হবে। চাকরি পেলে জীবন সফল, চাকরি না পেলে জীবন ব্যর্থ, তাকে দিয়ে কিছুই হবে না—এই ধারণা উল্লেখযোগ্যসংখ্যক অভিভাবকের মধ্যে চেপে বসেছে। সন্তান জিপিএ-৫ পেলে বিশাল সন্তুষ্টি। ৫-এর জায়গায় ৪.৯ পেলে অভিভাবকদের বক্তব্য হচ্ছে, ‘তোকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না। তুই তো পাঁচ পাস নাই।’ এভাবে আমাদের কোমলমতি বাচ্চাদের মেন্টালিটি, মোরালিটি, স্বপ্নকে নষ্ট করে দিচ্ছি। আমরা তাকে শিখিয়ে দিলাম, তাকে দিয়ে কিছুই হবে না। বারবার এটা বলতে বলতে বাচ্চারা বিশ্বাস করতে শুরু করবে, তাকে দিয়ে কিছুই হবে না। এভাবে নিজের ছেলেমেয়েদের কনফিডেন্স লেভেলটা আমরা ধ্বংস করে দিচ্ছি। এই কনফিডেন্স লেভেলটা যদি সাসটেইন করতে পারা না যায়, তাহলে আমাদের ছেলেমেয়েরা কিছুই করতে পারবে না। কাজেই কনফিডেন্স বিল্ডআপ করতে হবে।
সার্টিফিকেট-নির্ভর পড়াশোনা নয়
আমাদের ছেলেমেয়েরা মনে করে সার্টিফিকেট থাকলেই চাকরি পাওয়া যাবে। চাকরির জন্য একটা সার্টিফিকেট দরকার, একজন মামা দরকার, আর ঘুষ দেওয়ার জন্য টাকা দরকার। আমাদের ছেলেমেয়েদের এই কনসেপ্ট থেকে বের হয়ে আসতে হবে। বিল গেটসের সার্টিফিকেট ছিল না, মার্ক জাকারবার্গের সার্টিফিকেট ছিল না, নিউটনের সার্টিফিকেট ছিল না। কাজেই আমাদের ছেলেমেয়েদের বিশ্বাস করতে হবে, সার্টিফিকেট একটা কাগজ ভিন্ন কিছু নয়। সার্টিফিকেট আমাকে একটা রিকগনিশন দিচ্ছে। আমরা বিভিন্ন প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করি, রিকগনিশন হিসেবে একটা ক্রেস্ট দেয়। তেমনি একজন শিক্ষার্থী চার বছর পড়াশোনা করেছে, এ জন্য তাকে রিকগনিশন হিসেবে একটা সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। এটা কারও ক্যাপাবিলিটিকে ইন্ডিকেট করে না।
বর্তমান যুগে সার্টিফিকেট-সর্বস্ব ডিগ্রি দিয়ে টেকা যাবে না। তাকে ক্রিয়েটিভ হতে হবে, স্মার্ট হতে হবে। আমাদের ছেলেমেয়েরা যেন সার্টিফিকেটের জন্য পড়াশোনা না করে। জানার জন্য পড়াশোনা করুক, উদ্ভাবনের জন্য পড়াশোনা করুক, আগামীর প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিজেদের খাপ খাওয়াতে পড়াশোনা করুক, সময়োপযোগী দক্ষতা অর্জনে পড়াশোনা করুক।
ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম, উপাচার্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়
অনুলিখন: মো. আশিকুর রহমান
বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল-কলেজ) শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ইলেকট্রিক ফান্ড ট্রান্সফারের (ইএফটি) মাধ্যমে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ফলে নির্দিষ্ট সময়ে শিক্ষক-কর্মচারীরা স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে বেতন-ভাতা ব্যাংক হিসাব থেকে উত্তোলন করতে পারবেন
১ ঘণ্টা আগে২০২৬ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার সিলেবাস নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্তে হয়নি বলে জানিয়েছে আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। আজ শুক্রবার আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এ তথ্য জানান
২ ঘণ্টা আগেআগামী বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হবে আগামী ১ ডিসেম্বর। বিলম্ব ফি ছাড়া ফরম পূরণ করা যাবে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর ফি পরিশোধ করা যাবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর বিলম্ব ফিসহ ফি জমা দেওয়া যাবে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত
২ ঘণ্টা আগেসাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি ২০২৪ সালের ফল সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়েছে। ১৩ ও ১৪ নভেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়টির মাল্টিপার হলে আয়োজিত মোট চারটি সেশনে বিভিন্ন বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেওয়া হয়।
৮ ঘণ্টা আগে