মুসাররাত আবির
পরীক্ষার আর বেশি দিন বাকি নেই। কিন্তু সিলেবাস তো এখনো শেষ হয়নি! তাহলে কী করা যায়—এমন দুশ্চিন্তা কিন্তু প্রায় শিক্ষার্থীদের মাঝেই দেখা যায়। সারা বছর ঠিকমতো পড়াশোনা না করে অনেকে পরীক্ষার মাত্র কয়েক দিন আগে পড়তে বসে। সামনেই এইচএসসি পরীক্ষা। তাই তোমরা যারা এখনো কীভাবে সিলেবাস শেষ করবে বলে চিন্তা করছ, তাদের জন্য এই লেখা।
বেছে বেছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো পড়ো
যখন হাতে সময় কম থাকে, তখন চাইলেও পুরো বই কিংবা নোট পড়ে শেষ করা যায় না। তাই যেসব টপিক না পড়লেই নয়, যেমন মৌলিক ধারণা, সূত্র, গ্রাফ, থিওরি ইত্যাদি রিভিশন দিয়ে ফেলো। এভাবে বেশ কিছু সময় বেঁচে যাবে। বিগত বছরের এইচএসসির প্রশ্ন সমাধান করতে ভুলবে না। কারণ, এগুলো দেখলেও কমন টপিক সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যায়।
সময় ভাগ করে নাও
একটানা পড়তে থাকলে দিন শেষে কিছুই মনে থাকবে না। তাই সময়কে কয়েকটি ব্লকে ভাগ করে নাও। এ ক্ষেত্রে পমোডোরো টেকনিক ব্যবহার করতে পারো। এই পদ্ধতিতে টানা ২৫-৩০ মিনিট পড়ার পর ৫ মিনিটের বিরতি নেওয়া হয়। এভাবে অল্প অল্প করে পড়লে পড়া অনেকক্ষণ মনে থাকবে।
সারমর্ম বের করো
যেকোনো কঠিন ধারণাকে সহজে মনে রাখতে চাইলে সেটিকে ছোট করে ফেলতে পারো। যেমন চ্যাটজিপিটিকে সেই কঠিন অংশের সারমর্ম বের করতে বললে সে কিন্তু একদম অল্প কথায় যেকোনো জটিল বিষয় খুব সহজে তোমাকে বোঝাতে পারবে। তা ছাড়া বই বা প্রশ্নব্যাংকের পেছনেও কিন্তু অনেক সময় অধ্যায়ভিত্তিক সারমর্ম দেওয়া থাকে। তুমি কোনো জিনিস ততক্ষণ পর্যন্ত মনে রাখতে পারবে না, যতক্ষণ না সেই জিনিসটা তুমি খুব সহজে বুঝতে পারছ। তা ছাড়া ফাইনম্যান টেকনিকের সাহায্যে তুমি যেকোনো জটিল বিষয় মনে রাখার জন্য নিজের মতো নোটও নিতে পারো।
একসঙ্গে একাধিক কাজ করা থেকে বিরত থাকা
পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় মাল্টিটাস্কিং বিষয়টা এড়িয়ে চলো। এতে করে মস্তিষ্কে অযথা চাপ পড়ে, আর পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটে। তা ছাড়া ফোকাসও নষ্ট হয়। এ জন্য যখন যে বিষয়টা পড়বেন, সেটার ওপরে সব মনোযোগ দাও।
কোলাহলমুক্ত পরিবেশে পড়ো
তোমার পড়ার জায়গাটা যেন একদম নীরব থাকে। পড়ার মাঝে অযথা আওয়াজ করা হলে মনোযোগ সেদিকে চলে যাবে। ফলে পড়া হবে না। একই সঙ্গে ফোনের নোটিফিকেশনও বন্ধ করে রাখো।
পরীক্ষার ফরম্যাট নিয়ে ধারণা রাখো
তোমার পরীক্ষায় কেমন প্রশ্ন আসবে, সেটা জানাটা খুবই জরুরি। ধরো, একটা অধ্যায় থেকে সচরাচর কোনো প্রশ্ন কখনো আসেনি, সেটাকে এড়িয়ে যেই অধ্যায় থেকে একাধিকবার প্রশ্ন চলে এসেছে, সেটায় বেশি জোর দাও। কারণ, বোর্ড পরীক্ষায় বেশির ভাগ সময় একটা নির্দিষ্ট ফরম্যাট অনুসরণ করা হয়। তা ছাড়া প্রথম দিকে যেসব বিষয়ের পরীক্ষা থাকবে, সেগুলোতে সবচেয়ে বেশি জোর দিতে হবে। একই সঙ্গে যেই বিষয়গুলোর আগে কোনো বন্ধ নেই, সেগুলোর পড়াও আগেভাগে পড়ে ফেলতে হবে।
আগের পড়া রিভিউ করো
যেহেতু শেষ মুহূর্তে এসে একসঙ্গে অনেক কিছু পড়তে হচ্ছে, তাই পরদিন সেই পড়া ভুলে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। এমন পরিস্থিতি এড়িতে চলতে প্রতিদিন ২০-৩০ মিনিট আগের পড়া রিভিউর জন্য রাখা উচিত। এ ক্ষেত্রে নোট দেখতে পারো।
গোল সেট করো
প্রতিদিন কী কী পড়বে, সেটার একটা রুটিন আগের দিন রাতেই ঠিক করে ফেলো। একবারে ১০-১২টা অধ্যায় শেষ করার টার্গেট না নিয়ে ৩-৪টা করে অধ্যায় শেষ করো।
পরীক্ষার আর বেশি দিন বাকি নেই। কিন্তু সিলেবাস তো এখনো শেষ হয়নি! তাহলে কী করা যায়—এমন দুশ্চিন্তা কিন্তু প্রায় শিক্ষার্থীদের মাঝেই দেখা যায়। সারা বছর ঠিকমতো পড়াশোনা না করে অনেকে পরীক্ষার মাত্র কয়েক দিন আগে পড়তে বসে। সামনেই এইচএসসি পরীক্ষা। তাই তোমরা যারা এখনো কীভাবে সিলেবাস শেষ করবে বলে চিন্তা করছ, তাদের জন্য এই লেখা।
বেছে বেছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো পড়ো
যখন হাতে সময় কম থাকে, তখন চাইলেও পুরো বই কিংবা নোট পড়ে শেষ করা যায় না। তাই যেসব টপিক না পড়লেই নয়, যেমন মৌলিক ধারণা, সূত্র, গ্রাফ, থিওরি ইত্যাদি রিভিশন দিয়ে ফেলো। এভাবে বেশ কিছু সময় বেঁচে যাবে। বিগত বছরের এইচএসসির প্রশ্ন সমাধান করতে ভুলবে না। কারণ, এগুলো দেখলেও কমন টপিক সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যায়।
সময় ভাগ করে নাও
একটানা পড়তে থাকলে দিন শেষে কিছুই মনে থাকবে না। তাই সময়কে কয়েকটি ব্লকে ভাগ করে নাও। এ ক্ষেত্রে পমোডোরো টেকনিক ব্যবহার করতে পারো। এই পদ্ধতিতে টানা ২৫-৩০ মিনিট পড়ার পর ৫ মিনিটের বিরতি নেওয়া হয়। এভাবে অল্প অল্প করে পড়লে পড়া অনেকক্ষণ মনে থাকবে।
সারমর্ম বের করো
যেকোনো কঠিন ধারণাকে সহজে মনে রাখতে চাইলে সেটিকে ছোট করে ফেলতে পারো। যেমন চ্যাটজিপিটিকে সেই কঠিন অংশের সারমর্ম বের করতে বললে সে কিন্তু একদম অল্প কথায় যেকোনো জটিল বিষয় খুব সহজে তোমাকে বোঝাতে পারবে। তা ছাড়া বই বা প্রশ্নব্যাংকের পেছনেও কিন্তু অনেক সময় অধ্যায়ভিত্তিক সারমর্ম দেওয়া থাকে। তুমি কোনো জিনিস ততক্ষণ পর্যন্ত মনে রাখতে পারবে না, যতক্ষণ না সেই জিনিসটা তুমি খুব সহজে বুঝতে পারছ। তা ছাড়া ফাইনম্যান টেকনিকের সাহায্যে তুমি যেকোনো জটিল বিষয় মনে রাখার জন্য নিজের মতো নোটও নিতে পারো।
একসঙ্গে একাধিক কাজ করা থেকে বিরত থাকা
পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় মাল্টিটাস্কিং বিষয়টা এড়িয়ে চলো। এতে করে মস্তিষ্কে অযথা চাপ পড়ে, আর পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটে। তা ছাড়া ফোকাসও নষ্ট হয়। এ জন্য যখন যে বিষয়টা পড়বেন, সেটার ওপরে সব মনোযোগ দাও।
কোলাহলমুক্ত পরিবেশে পড়ো
তোমার পড়ার জায়গাটা যেন একদম নীরব থাকে। পড়ার মাঝে অযথা আওয়াজ করা হলে মনোযোগ সেদিকে চলে যাবে। ফলে পড়া হবে না। একই সঙ্গে ফোনের নোটিফিকেশনও বন্ধ করে রাখো।
পরীক্ষার ফরম্যাট নিয়ে ধারণা রাখো
তোমার পরীক্ষায় কেমন প্রশ্ন আসবে, সেটা জানাটা খুবই জরুরি। ধরো, একটা অধ্যায় থেকে সচরাচর কোনো প্রশ্ন কখনো আসেনি, সেটাকে এড়িয়ে যেই অধ্যায় থেকে একাধিকবার প্রশ্ন চলে এসেছে, সেটায় বেশি জোর দাও। কারণ, বোর্ড পরীক্ষায় বেশির ভাগ সময় একটা নির্দিষ্ট ফরম্যাট অনুসরণ করা হয়। তা ছাড়া প্রথম দিকে যেসব বিষয়ের পরীক্ষা থাকবে, সেগুলোতে সবচেয়ে বেশি জোর দিতে হবে। একই সঙ্গে যেই বিষয়গুলোর আগে কোনো বন্ধ নেই, সেগুলোর পড়াও আগেভাগে পড়ে ফেলতে হবে।
আগের পড়া রিভিউ করো
যেহেতু শেষ মুহূর্তে এসে একসঙ্গে অনেক কিছু পড়তে হচ্ছে, তাই পরদিন সেই পড়া ভুলে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। এমন পরিস্থিতি এড়িতে চলতে প্রতিদিন ২০-৩০ মিনিট আগের পড়া রিভিউর জন্য রাখা উচিত। এ ক্ষেত্রে নোট দেখতে পারো।
গোল সেট করো
প্রতিদিন কী কী পড়বে, সেটার একটা রুটিন আগের দিন রাতেই ঠিক করে ফেলো। একবারে ১০-১২টা অধ্যায় শেষ করার টার্গেট না নিয়ে ৩-৪টা করে অধ্যায় শেষ করো।
২০২৬ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার সিলেবাস নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্তে হয়নি বলে জানিয়েছে আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। আজ শুক্রবার আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এ তথ্য জানান
১৫ মিনিট আগেআগামী বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হবে আগামী ১ ডিসেম্বর। বিলম্ব ফি ছাড়া ফরম পূরণ করা যাবে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর ফি পরিশোধ করা যাবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর বিলম্ব ফিসহ ফি জমা দেওয়া যাবে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত
৩৫ মিনিট আগেসাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি ২০২৪ সালের ফল সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়েছে। ১৩ ও ১৪ নভেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়টির মাল্টিপার হলে আয়োজিত মোট চারটি সেশনে বিভিন্ন বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেওয়া হয়।
৬ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল এবং গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের আইকিউএসি’র যৌথ উদ্যোগে ‘প্রিপারেশন ফর অ্যাক্রেডিটেশন: ডকুমেন্টেশন অ্যান্ড এভিডেন্স’ শীর্ষক একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার গ্রিন ইউনিভার্সিটির সিন্ডিকেট রুমে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
২০ ঘণ্টা আগে