দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাস রাজধানীর ৬৯ মহাখালী ‘দি সিভিল ইঞ্জিনিয়ার্স টাওয়ার’ সুবিশাল ভবনে অবস্থিত। পুরো ক্যাম্পাসে রয়েছে শীতাতপনিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা, সিসিটিভি, মাল্টিমিডিয়া প্রোজেক্টর সুবিধাসংবলিত ক্লাসরুম, ওয়াই-ফাই সংযোগসহ সব ধরনের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা। ধূমপানমুক্ত এবং স্বাস্থ্যকর ক্যাম্পাস। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করা শিক্ষার্থীদের ইন্টার্নশিপ ছাড়াও যোগ্য প্রার্থীদের চাকরির সুযোগ দিতে প্রস্তুত কর্তৃপক্ষ। বিস্তারিত জানাচ্ছেন জুবায়ের আহম্মেদ।
 
অনুষদ ও বিভাগ
ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটি (আইএসইউ) প্রতিষ্ঠাক্রম অনুসারে দেশের ১০০তম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনটি অনুষদের অধীনে মোট চারটি বিভাগ চালু রয়েছে। এর মধ্যে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের অধীনে ব্যাচেলর অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (বিবিএ) ও মাস্টার্স অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এমবিএ) প্রোগ্রাম চালু রয়েছে। ফ্যাকাল্টি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের অধীনে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ রয়েছে। অন্যদিকে ফ্যাকাল্টি অব হিউম্যানিটিজ অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেস অনুষদের অধীনে বিএ (অনার্স) ইন ইংলিশ, এম এ ইন ইংলিশ অ্যান্ড কালচারাল স্টাডিজ প্রোগ্রামগুলো চালু রয়েছে। একই অনুষদের অধীনে কোর্স অন প্রি-ইউনিভার্সিটি ইংলিশ পরিচালিত হয়।

• সাড়ে ৩ লাখ টাকায় বোর্ড থেকে এসএসসির সনদ!

স্কলারশিপ, ওয়েভার ও অন্যান্য
ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটিতে রয়েছে স্কলারশিপ, বৃত্তি এবং ওয়েভারের সুযোগ। শতভাগ স্কলারশিপ বা ওয়েভার থেকে শুরু করে আংশিক মওকুফসহ শিক্ষার্থীদের মোট ১৪টি ক্যাটাগরিতে স্কলারশিপ, বৃত্তি এবং ওয়েভার প্রদান করা হয়। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা। রয়েছে হাতে-কলমে শিক্ষাদানের জন্য আধুনিক দুটি ফিজিকস ও কেমিস্ট্রি ল্যাব। এ ছাড়া কম্পিউটার ল্যাব, টেক্সটাইল ল্যাব ও ল্যাঙ্গুগয়েজ ল্যাবও রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে। ভবনের অষ্টম তলায় রয়েছে সমৃদ্ধ সুপরিসর শীতাতপনিয়ন্ত্রিত লাইব্রেরি। লাইব্রেরিতে রয়েছে বিপুলসংখ্যক বই এবং ই-বুকস। আরও আছে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিভিন্ন জার্নাল। 

গবেষণায় গুরুত্ব ও মানসম্মত পাঠদান
ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটি গবেষণাকে গুরুত্ব দিয়ে সম্প্রতি ‘আইএসইউ সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড পাবলিকেশন’ নামে একটি গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছে। এই গবেষণা কেন্দ্রের অধীনে দুটি আন্তর্জাতিক মানের জার্নাল প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা রয়েছে। এর প্রথম ভলিউম প্রকাশের জন্য গবেষণা কমিটি আহ্বান করা হয়েছে। মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা, ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য, ইএলটি, ফলিত ভাষাতত্ত্ব, অর্থনীতি, সিএসই, সিএসআইটি, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, অ্যাকাউন্টিং, ব্যবসায় প্রশাসন, ইইই, ফিন্যান্স, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, আইন ও বিচার, সামাজিক বিজ্ঞান, বিপণন, গণিত, পরিসংখ্যান ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কিত গবেষণাপত্র প্রকাশের জন্য গ্রহণযোগ্য হবে। ইউজিসির নির্দেশিকা অনুসারে আন্তর্জাতিক মানের পাঠ্যক্রম; দেশ-বিদেশে নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রিপ্রাপ্ত উচ্চ যোগ্যতাসম্পন্ন এবং অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলী; ইংরেজি ভাষার দক্ষতার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা; মানসম্মত শিক্ষাদানে অঙ্গীকারবদ্ধ থাকা; ক্লাসরুমকেন্দ্রিক এবং শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ আইএসইউতে বিদ্যমান। 

• শিক্ষিত প্রতিবন্ধী তরুণীর চাকরির ব্যবস্থা করলেন উপজেলা চেয়ারম্যান

চাকরির সুযোগ
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের জন্য থাকছে স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের ৩০টির অধিক সহযোগী প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুযোগ। এ ছাড়া বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ক্রেডিট ট্রান্সফারের সুবিধা রয়েছে।

সহশিক্ষা কার্যক্রম
পড়াশোনার পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের মানসিক বিকাশের জন্য নানা রকম পাঠ্যক্রমবহির্ভূত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ডিবেট ক্লাব, বিজনেস ক্লাব, সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার ক্লাব, কালচারাল ক্লাব, আইটি ক্লাব ইত্যাদির মাধ্যমে দক্ষ করে তোলা হয় শিক্ষার্থীদের। ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্টের অংশ হিসেবে ক্যারিয়ার পরামর্শ; একাডেমিক পরামর্শ; জীবনবৃত্তান্ত লেখার দক্ষতা বৃদ্ধি; সাক্ষাৎকার দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ-সম্পর্কিত বিষয়ে বক্তৃতা সিরিজ/অধিবেশন, পেশাদার কর্মশালা এবং সেমিনারের পাশাপাশি আয়োজন করা হয় ক্যারিয়ার মেলার।

• গুগলে চাকরির ডাক পেয়েছেন ঢাবি শিক্ষার্থী সাফায়েত 

ভর্তি তথ্য ও যোগাযোগ
আইএসইউতে জানুয়ারি-জুন এবং জুলাই-ডিসেম্বর বছরে দুটি সেমিস্টারের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। আরও তথ্যের 
জন্য আইএসইউর ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।

প্রফেসর ড. আব্দুল আউয়াল খান
উপাচার্য, ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটি (আইএসইউ)।
প্রতিষ্ঠানটিকে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে দেশের অন্যতম সুপ্রতিষ্ঠিত প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ চলছে। এ ছাড়া সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে উন্নয়নকাজে পরিপূর্ণ সহায়তা করছেন উদ্যোক্তারা। মেধা, যোগ্যতা ও অধিকারের ভিত্তিতে ছাত্রছাত্রীদের জন্য ১৪টি বিভিন্ন ধরনের স্কলারশিপ ও টিউশন ফি ওয়েভারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিতের পাশাপাশি শিক্ষা সহায়ক নিয়মশৃঙ্খলায় কঠোর নজরদারি রয়েছে। হঠাৎ আবির্ভূত করোনা মহামারি আমাদের শিক্ষাকার্যক্রম ব্যাহত করতে পারেনি। অত্যন্ত যত্নসহকারে ও দক্ষতার সঙ্গে শিক্ষকেরা অনলাইনভিত্তিক পাঠদান ও পরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমরা আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে দেশের প্রথমসারির একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে উন্নীত হব। সোনার বাংলা গড়ে তুলতে হলে মানসম্মত শিক্ষাদান, শিক্ষার্থীবান্ধব ক্যাম্পাসের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে হবে। আমরা সে পথে এগোচ্ছি।’ 

আরও পড়ুন:

• গন্তব্যে পৌঁছাতে পারাই বড় কথা
• মেয়েদের জন্য স্টেম স্কলারশিপ
• চিকিৎসকদের জন্য ফুল-ফান্ডিং
• পাঠ্যবইয়ের বাইরে কিছু আসে না
• প্রস্তুতির এখনই সময়
• বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা