জহিরুল ইসলাম
সামনেই আসছে ৪৫তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা। বৃহৎ চাকরির বাজারের এ পরীক্ষায় এবার বসবে প্রায় ৩ লাখ ১৮ হাজার পরীক্ষার্থী। এত এত পরীক্ষার্থীর মধ্যে প্রিলিতে মাত্র ৪ থেকে ৮ শতাংশ পাস করে। অনেকে পড়াশোনা করেও প্রিলিতে আশানুরূপ ফলাফল করতে পারে না। ফলস্বরূপ ফেল আসে। বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হওয়া ও সঠিক প্রস্তুতির আদ্যোপান্ত নিয়ে থাকছে আজকের আলোচনা।
বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা বা যেকোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সিলেবাস সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা জরুরি। বাজারের গাইড বইগুলোতে সাধারণভাবেই বিসিএস প্রিলিমিনারি, ব্যাংক প্রিলিমিনারি, অন্যান্য পরীক্ষার প্রিলিমিনারি, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক, শিক্ষক নিবন্ধন—এসব নিয়োগের প্রশ্ন ও আলোচনা একত্রে থাকে। তাই বইগুলো অতিরিক্ত অপ্রয়োজনীয় তথ্যে ভরপুর। ফলে বিপিএসসির সিলেবাস অনুসরণ না করলে প্রস্তুতি দীর্ঘ ও কষ্টসাধ্য হবে। বিসিএসের সিলেবাসের এক কপি প্রিন্ট করে আপনার পড়ার টেবিলে রাখুন।
প্রশ্ন বিশ্লেষণ না করে পড়া
প্রত্যেক বিসিএস পরীক্ষার্থী বিগত বছরের প্রশ্ন পড়ে থাকে, তবে অনেকেই প্রশ্ন বিশ্লেষণ না করে পড়ে। যে বছরে প্রশ্নটি হয়েছিল, সেই বছর গুরুত্বপূর্ণ কী কী ঘটনা ঘটেছিল, তার সঙ্গে প্রশ্নের প্রাসঙ্গিকতা কেমন ছিল?
যেমন—একজন শিক্ষার্থী ৪৫তম বিসিএসের (২০২৩ সালের পরীক্ষা) প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং বিভিন্ন সমরাস্ত্র, যুদ্ধবিমান ও ড্রোন সম্পর্কে পড়ছে। এত সব অস্ত্র, যুদ্ধবিমান ও ড্রোন বিষয়ে না পড়ে; Bayraktar TB 2 drone, Javelin Missile, M142 High Mobility Artillery Rocket System অথবা HIMARS সম্পর্কে পড়ল। কেননা এসব রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এটা সত্য যে বিসিএস লিখিত প্রস্তুতির ৫০-৬০ শতাংশ প্রস্তুতি প্রিলিমিনারির প্রস্তুতির সময় সম্পন্ন হয়ে যায়। কিন্তু যারা প্রথমবার প্রস্তুতি নিচ্ছে, তারা যদি একই সময়ে রিটেনের প্রস্তুতি নেয়, তবে তা তার জন্য সুফল বয়ে আনবে না।
কেউ ভালোভাবে প্রিলিমিনারি প্রস্তুতি নিলে তার অজান্তেই রিটেনের পড়াশোনায় এগিয়ে থাকবে। তাই ভালো সিদ্ধান্ত হচ্ছে শুধু প্রিলিমিনারির প্রস্তুতি নেওয়া।
দুইয়ের অধিক বই পড়া এবং অতিরিক্ত তুলনা করা
যে কেউ বেশি পড়তে পারলে তা ভালো এবং তা তাকে এগিয়ে রাখবে। তবে অল্প সময়ে অল্প পরিশ্রমে প্রস্তুতির প্রধান অন্তরায় হচ্ছে দুই বা ততোধিক বই পড়া এবং তথ্যে ভুল অনুসন্ধান করা ও তুলনা করা। এসব কারণে সময়ের অপচয় যেমন হয়; তথ্যের ব্যাপারে সংশয়ও তৈরি হয়। কোনো একটি বই বা লেকচার শিটের ওপর ভিত্তি করে প্রস্তুতি নিন এবং কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেলে তা আপনার বই বা শিটে লিখে রাখুন।
মডেল টেস্ট না দেওয়া
কোনো কোচিং সেন্টারে মডেল টেস্টে অংশগ্রহণ করা সাধারণত ১৫ থেকে ২০টি, যাতে আপনি সারা দেশে প্রস্তুতি গ্রহণকারী প্রার্থীদের সঙ্গে আপনার তুলনামূলক অবস্থান বুঝতে পারেন। মডেল টেস্টের মাধ্যমে পরীক্ষার হলে যে ধরনের সম্ভাব্য সমস্যা হতে পারে, কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। যেমন:
দৈনিক পত্রিকা না পড়ে বাজারে প্রচলিত অন্য কিছু পড়া
প্রতিদিন পত্রিকায় একবার চোখ বুলিয়ে নিলে আপনি সবচেয়ে আপডেট থাকবেন এবং এটা আপনাকে বিসিএস পরীক্ষায় এগিয়ে রাখবে। আপনি সচেতনভাবে বা অসচেতনভাবে অনেক ব্যাপারে জেনে যাবেন, যা আপনার কাজে লাগবে। এর পরিবর্তে এক মাসের সম্পাদকীয় বা অন্য কিছু পড়তে গেলেই আপনার প্রেশার মনে হবে এবং মনে রাখতে পারবেন না। একটি ভালো পত্রিকা পড়লেই যথেষ্ট হবে, একাধিক পত্রিকা পড়ে সময় নষ্ট করার প্রয়োজন নেই।
হলে কোন বিষয়ে প্রথমে উত্তর করবেন
১৫ থেকে ২০টি মডেল টেস্ট অনুশীলনের মাধ্যমে আপনাকে সিদ্ধান্তে আসতে হবে আপনি কোন বিষয়ের উত্তর প্রথমে করবেন। তারপর কোন বিষয়ে এবং সবশেষ কোন বিষয়ে উত্তর করবেন। এ ক্ষেত্রে ১ নম্বর প্রশ্ন থেকে ২০০ নম্বর প্রশ্ন পর্যন্ত যাওয়া একটা পদ্ধতি হতে
পারে। তবে গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতার জন্য আপনার একটা উপযুক্ত ক্রম ও সময় নির্ধারণ করতে হবে।
আরও যত কারণ
সর্বোপরি প্রিলিমিনারি একটি প্রকৃত অর্থেই প্রাথমিক বাছাই পরীক্ষা। এটি হালকাভাবে নেওয়ারও সুযোগ যেমন কম, তেমনি অনেক বেশি নম্বর পেতে হবে—এমন ভাবনা ঠিক না।
জহিরুল ইসলাম, সহকারী পুলিশ সুপার, ৩৮তম বিসিএস।
অনুলিখন: আনিসুল ইসলাম নাঈম
সামনেই আসছে ৪৫তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা। বৃহৎ চাকরির বাজারের এ পরীক্ষায় এবার বসবে প্রায় ৩ লাখ ১৮ হাজার পরীক্ষার্থী। এত এত পরীক্ষার্থীর মধ্যে প্রিলিতে মাত্র ৪ থেকে ৮ শতাংশ পাস করে। অনেকে পড়াশোনা করেও প্রিলিতে আশানুরূপ ফলাফল করতে পারে না। ফলস্বরূপ ফেল আসে। বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হওয়া ও সঠিক প্রস্তুতির আদ্যোপান্ত নিয়ে থাকছে আজকের আলোচনা।
বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা বা যেকোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সিলেবাস সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা জরুরি। বাজারের গাইড বইগুলোতে সাধারণভাবেই বিসিএস প্রিলিমিনারি, ব্যাংক প্রিলিমিনারি, অন্যান্য পরীক্ষার প্রিলিমিনারি, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক, শিক্ষক নিবন্ধন—এসব নিয়োগের প্রশ্ন ও আলোচনা একত্রে থাকে। তাই বইগুলো অতিরিক্ত অপ্রয়োজনীয় তথ্যে ভরপুর। ফলে বিপিএসসির সিলেবাস অনুসরণ না করলে প্রস্তুতি দীর্ঘ ও কষ্টসাধ্য হবে। বিসিএসের সিলেবাসের এক কপি প্রিন্ট করে আপনার পড়ার টেবিলে রাখুন।
প্রশ্ন বিশ্লেষণ না করে পড়া
প্রত্যেক বিসিএস পরীক্ষার্থী বিগত বছরের প্রশ্ন পড়ে থাকে, তবে অনেকেই প্রশ্ন বিশ্লেষণ না করে পড়ে। যে বছরে প্রশ্নটি হয়েছিল, সেই বছর গুরুত্বপূর্ণ কী কী ঘটনা ঘটেছিল, তার সঙ্গে প্রশ্নের প্রাসঙ্গিকতা কেমন ছিল?
যেমন—একজন শিক্ষার্থী ৪৫তম বিসিএসের (২০২৩ সালের পরীক্ষা) প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং বিভিন্ন সমরাস্ত্র, যুদ্ধবিমান ও ড্রোন সম্পর্কে পড়ছে। এত সব অস্ত্র, যুদ্ধবিমান ও ড্রোন বিষয়ে না পড়ে; Bayraktar TB 2 drone, Javelin Missile, M142 High Mobility Artillery Rocket System অথবা HIMARS সম্পর্কে পড়ল। কেননা এসব রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এটা সত্য যে বিসিএস লিখিত প্রস্তুতির ৫০-৬০ শতাংশ প্রস্তুতি প্রিলিমিনারির প্রস্তুতির সময় সম্পন্ন হয়ে যায়। কিন্তু যারা প্রথমবার প্রস্তুতি নিচ্ছে, তারা যদি একই সময়ে রিটেনের প্রস্তুতি নেয়, তবে তা তার জন্য সুফল বয়ে আনবে না।
কেউ ভালোভাবে প্রিলিমিনারি প্রস্তুতি নিলে তার অজান্তেই রিটেনের পড়াশোনায় এগিয়ে থাকবে। তাই ভালো সিদ্ধান্ত হচ্ছে শুধু প্রিলিমিনারির প্রস্তুতি নেওয়া।
দুইয়ের অধিক বই পড়া এবং অতিরিক্ত তুলনা করা
যে কেউ বেশি পড়তে পারলে তা ভালো এবং তা তাকে এগিয়ে রাখবে। তবে অল্প সময়ে অল্প পরিশ্রমে প্রস্তুতির প্রধান অন্তরায় হচ্ছে দুই বা ততোধিক বই পড়া এবং তথ্যে ভুল অনুসন্ধান করা ও তুলনা করা। এসব কারণে সময়ের অপচয় যেমন হয়; তথ্যের ব্যাপারে সংশয়ও তৈরি হয়। কোনো একটি বই বা লেকচার শিটের ওপর ভিত্তি করে প্রস্তুতি নিন এবং কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেলে তা আপনার বই বা শিটে লিখে রাখুন।
মডেল টেস্ট না দেওয়া
কোনো কোচিং সেন্টারে মডেল টেস্টে অংশগ্রহণ করা সাধারণত ১৫ থেকে ২০টি, যাতে আপনি সারা দেশে প্রস্তুতি গ্রহণকারী প্রার্থীদের সঙ্গে আপনার তুলনামূলক অবস্থান বুঝতে পারেন। মডেল টেস্টের মাধ্যমে পরীক্ষার হলে যে ধরনের সম্ভাব্য সমস্যা হতে পারে, কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। যেমন:
দৈনিক পত্রিকা না পড়ে বাজারে প্রচলিত অন্য কিছু পড়া
প্রতিদিন পত্রিকায় একবার চোখ বুলিয়ে নিলে আপনি সবচেয়ে আপডেট থাকবেন এবং এটা আপনাকে বিসিএস পরীক্ষায় এগিয়ে রাখবে। আপনি সচেতনভাবে বা অসচেতনভাবে অনেক ব্যাপারে জেনে যাবেন, যা আপনার কাজে লাগবে। এর পরিবর্তে এক মাসের সম্পাদকীয় বা অন্য কিছু পড়তে গেলেই আপনার প্রেশার মনে হবে এবং মনে রাখতে পারবেন না। একটি ভালো পত্রিকা পড়লেই যথেষ্ট হবে, একাধিক পত্রিকা পড়ে সময় নষ্ট করার প্রয়োজন নেই।
হলে কোন বিষয়ে প্রথমে উত্তর করবেন
১৫ থেকে ২০টি মডেল টেস্ট অনুশীলনের মাধ্যমে আপনাকে সিদ্ধান্তে আসতে হবে আপনি কোন বিষয়ের উত্তর প্রথমে করবেন। তারপর কোন বিষয়ে এবং সবশেষ কোন বিষয়ে উত্তর করবেন। এ ক্ষেত্রে ১ নম্বর প্রশ্ন থেকে ২০০ নম্বর প্রশ্ন পর্যন্ত যাওয়া একটা পদ্ধতি হতে
পারে। তবে গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতার জন্য আপনার একটা উপযুক্ত ক্রম ও সময় নির্ধারণ করতে হবে।
আরও যত কারণ
সর্বোপরি প্রিলিমিনারি একটি প্রকৃত অর্থেই প্রাথমিক বাছাই পরীক্ষা। এটি হালকাভাবে নেওয়ারও সুযোগ যেমন কম, তেমনি অনেক বেশি নম্বর পেতে হবে—এমন ভাবনা ঠিক না।
জহিরুল ইসলাম, সহকারী পুলিশ সুপার, ৩৮তম বিসিএস।
অনুলিখন: আনিসুল ইসলাম নাঈম
বিগত কয়েক বছর ধরে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য অফুরন্ত সম্ভাবনার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে হাঙ্গেরি। দেশটিতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা আধুনিক শিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি ক্যারিয়ার গঠনেরও সুযোগ পাচ্ছেন।
১০ ঘণ্টা আগেসংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ আয়োজন হলো বিতর্ক। ক্রমেই এটি জনপ্রিয় হচ্ছে। সব প্রতিযোগিতায় জয়-পরাজয় রয়েছে। বিতর্কও এর ব্যতিক্রম নয়। একজন উঁচুমানের বিতার্কিকও পরাজয়ের সম্মুখীন হতে পারেন।
১০ ঘণ্টা আগেআমেরিকান ব্যবসায়ী এবং লেখক রবার্ট তোরু কিয়োসাকির লেখা ‘রিচ ড্যাড পুওর ড্যাড’ বইটি ১৯৯৭ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। বইটি প্রকাশ হওয়ার পর থেকে ব্যক্তিগত আর্থিক উন্নতির বইয়ের ক্যাটাগরিতে বিশ্বের সর্বাধিক বিক্রীত হিসেবে স্বীকৃত।
১০ ঘণ্টা আগেরাশেদ হোসেন রনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন। ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন বদলে একসময় বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন বোনা শুরু করেন তিনি। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে রনি সফলও হয়েছেন।
১০ ঘণ্টা আগে