কাজী ফাইজুল করীম
প্রস্তুতির শুরুতেই নিজের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, বিসিএস জীবনে একবারই দেব এবং পছন্দের ক্যাডার পাব। নিজের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। কষ্টের পর কাঙ্ক্ষিত ফল পেয়েছি। সে জন্য মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে হাজার শুকরিয়া। এভাবেই নিজের স্বপ্নের পথ ধরে চলার কথা বলছিলেন কাজী ফাইজুল করীম। ৪০তম বিসিএসে প্রথম অংশগ্রহণ করে পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন তিনি। অর্জন করে নিয়েছেন প্রথম স্থান। বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও ক্যারিয়ার-ভাবনা নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
আমি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের লাস্ট সেমিস্টারে, তখনই মনস্থির করেছিলাম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারে যোগ দেব। তাই শেষ সেমিস্টারের পরীক্ষা শেষ হয়ে যাওয়ার পর একদিনের জন্যও ক্যাম্পাসে বসে থাকিনি। পরদিনই আমার বাসা কুমিল্লায় চলে আসি এবং বিসিএসের সিলেবাস ধরে পড়াশোনা শুরু করি।
নোট করে পড়াশোনা
প্রিলিতে টিকে যাওয়ার পর লিখিত পরীক্ষার জন্য সিলেবাস ধরে ধরে প্রতিটি টপিকের ওপর বিস্তারিত পড়াশোনা করেছি। শুধু বাজারের প্রচলিত বইয়ের ওপর নির্ভর করে প্রস্তুতি নিইনি। টপিক রিলেটেড যতটুকু তথ্য ইন্টারনেট ও পত্রিকায় পেয়েছি, সংগ্রহ করেছি। বিস্তারিত ও নোট করে পড়াশোনা করার ফলে লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি অনেক ভালো হয়েছিল। এভাবে প্রস্তুতি নিতে অনেক ধৈর্য ও সময়ের প্রয়োজন হলেও আমি বিসিএসের প্রস্তুতিকালীন আমার লাইফস্টাইল এমনভাবে পরিবর্তন করে নিয়েছিলাম যেন আমি বিসিএস প্রস্তুতিতে সারা দিনের সর্বোচ্চ সময়টুকু দিতে পারি।
সব বিষয়ে সমান গুরুত্ব
বিসিএস লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি হতে হবে সাজানো ও পরিকল্পনামাফিক। এলোমেলোভাবে সিলেবাস শেষ করলে হবে না। টপিক ধরে ধরে বুঝে পড়তে হবে। এ ক্ষেত্রে বাজার থেকে প্রচলিত যেকোনো প্রকাশনীর এক সেট বই কিনে প্রস্তুতি শুরু করতে হবে। বেশির ভাগ পরীক্ষার্থী কোনো একটি বিষয়ের ওপর বেশি সময় ব্যয় করে বাকি বিষয়গুলো ফেলে রাখেন। এটা না করে সব বিষয়ে সমান গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
নম্বর ছেড়ে আসা যাবে না
অনেকের মধ্যেই প্রিলিমিনারি পাস হবে কি হবে না, এই কনফিউশনে প্রিলির রেজাল্টের আগে পর্যন্ত লিখিত পরীক্ষার তেমন কোনো প্রস্তুতি না নিয়ে বসে থাকে। এটা না করে প্রিলির পরীক্ষা দেওয়ার
পরপরই লিখিত বিষয়ের প্রস্তুতি শুরু করতে হবে। লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস অনুযায়ী প্রতিদিনের সময় ভাগ করে নিয়ে প্রতিটি টপিকের ওপর তথ্যনির্ভর প্রস্তুতি নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলিতে পর্যাপ্ত ডেটা, কোটেশন, ম্যাপ ব্যবহার করতে হবে। হাতের লেখা স্পষ্ট রাখতে হবে যেন এক্সামিনার খাতা কাটতে গিয়ে বিরক্ত না হন। ম্যাথ ও মেন্টাল অ্যাবিলিটির জন্য বিগত বছরের প্রশ্নগুলো বিশ্লেষণ করে বেশি করে চর্চা করা আবশ্যক। বাংলা ১ম ও ২য় পত্রে ভালো প্রস্তুতির জন্য কিছু সহায়ক বই ব্যবহার করা যেতে পারে, যা আপনার প্রস্তুতিকে করবে আরও শাণিত। ইংরেজিতে প্যাসেজ মনোযোগ দিয়ে কয়েকবার পড়তে হবে যেন প্যাসেজের মূলভাব আপনার মাথায় গেঁথে যায়। গ্রামার ও ভোকাবুলারির ওপর জোর দিতে হবে। লিখিত পরীক্ষায় কোনো নম্বর ছেড়ে আসা যাবে না। তাই পরীক্ষার হলে টাইম ম্যানেজমেন্ট অতীব গুরুত্বপূর্ণ।
চাকরি সম্পর্কিত সংবাদ পেতে - এখানে ক্লিক করুন
ভাইভা বোর্ডের প্রস্তুতি
ভাইভার জন্য আসলে বেশি কিছু পড়ে লাভ নেই। ভাইভা বোর্ডকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তার জন্য মানসিক প্রস্তুতি নিতে হবে। নার্ভাস হয়ে যাওয়া ও অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস দুটিই ভাইভা বোর্ডে ক্ষতিকর। তাই নিজের পালস নিয়ন্ত্রণ করে বোর্ডকে কনভিন্স করে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। ভাইভা বোর্ডে আপনার উত্তর থেকে পুনরায় প্রশ্ন করা হয়। তাই উত্তর দেওয়ার সময় সতর্ক থাকতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে সম্যক ধারণা রাখতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্যারিশমেটিক নেতৃত্বে বাংলাদেশের সফল অগ্রযাত্রা সম্পর্কে পড়াশোনা করতে হবে।
অনুলিখন: আনিসুল ইসলাম নাঈম
বিসিএস সম্পর্কিত পড়ুন:
প্রস্তুতির শুরুতেই নিজের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, বিসিএস জীবনে একবারই দেব এবং পছন্দের ক্যাডার পাব। নিজের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। কষ্টের পর কাঙ্ক্ষিত ফল পেয়েছি। সে জন্য মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে হাজার শুকরিয়া। এভাবেই নিজের স্বপ্নের পথ ধরে চলার কথা বলছিলেন কাজী ফাইজুল করীম। ৪০তম বিসিএসে প্রথম অংশগ্রহণ করে পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন তিনি। অর্জন করে নিয়েছেন প্রথম স্থান। বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও ক্যারিয়ার-ভাবনা নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
আমি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের লাস্ট সেমিস্টারে, তখনই মনস্থির করেছিলাম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারে যোগ দেব। তাই শেষ সেমিস্টারের পরীক্ষা শেষ হয়ে যাওয়ার পর একদিনের জন্যও ক্যাম্পাসে বসে থাকিনি। পরদিনই আমার বাসা কুমিল্লায় চলে আসি এবং বিসিএসের সিলেবাস ধরে পড়াশোনা শুরু করি।
নোট করে পড়াশোনা
প্রিলিতে টিকে যাওয়ার পর লিখিত পরীক্ষার জন্য সিলেবাস ধরে ধরে প্রতিটি টপিকের ওপর বিস্তারিত পড়াশোনা করেছি। শুধু বাজারের প্রচলিত বইয়ের ওপর নির্ভর করে প্রস্তুতি নিইনি। টপিক রিলেটেড যতটুকু তথ্য ইন্টারনেট ও পত্রিকায় পেয়েছি, সংগ্রহ করেছি। বিস্তারিত ও নোট করে পড়াশোনা করার ফলে লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি অনেক ভালো হয়েছিল। এভাবে প্রস্তুতি নিতে অনেক ধৈর্য ও সময়ের প্রয়োজন হলেও আমি বিসিএসের প্রস্তুতিকালীন আমার লাইফস্টাইল এমনভাবে পরিবর্তন করে নিয়েছিলাম যেন আমি বিসিএস প্রস্তুতিতে সারা দিনের সর্বোচ্চ সময়টুকু দিতে পারি।
সব বিষয়ে সমান গুরুত্ব
বিসিএস লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি হতে হবে সাজানো ও পরিকল্পনামাফিক। এলোমেলোভাবে সিলেবাস শেষ করলে হবে না। টপিক ধরে ধরে বুঝে পড়তে হবে। এ ক্ষেত্রে বাজার থেকে প্রচলিত যেকোনো প্রকাশনীর এক সেট বই কিনে প্রস্তুতি শুরু করতে হবে। বেশির ভাগ পরীক্ষার্থী কোনো একটি বিষয়ের ওপর বেশি সময় ব্যয় করে বাকি বিষয়গুলো ফেলে রাখেন। এটা না করে সব বিষয়ে সমান গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
নম্বর ছেড়ে আসা যাবে না
অনেকের মধ্যেই প্রিলিমিনারি পাস হবে কি হবে না, এই কনফিউশনে প্রিলির রেজাল্টের আগে পর্যন্ত লিখিত পরীক্ষার তেমন কোনো প্রস্তুতি না নিয়ে বসে থাকে। এটা না করে প্রিলির পরীক্ষা দেওয়ার
পরপরই লিখিত বিষয়ের প্রস্তুতি শুরু করতে হবে। লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস অনুযায়ী প্রতিদিনের সময় ভাগ করে নিয়ে প্রতিটি টপিকের ওপর তথ্যনির্ভর প্রস্তুতি নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলিতে পর্যাপ্ত ডেটা, কোটেশন, ম্যাপ ব্যবহার করতে হবে। হাতের লেখা স্পষ্ট রাখতে হবে যেন এক্সামিনার খাতা কাটতে গিয়ে বিরক্ত না হন। ম্যাথ ও মেন্টাল অ্যাবিলিটির জন্য বিগত বছরের প্রশ্নগুলো বিশ্লেষণ করে বেশি করে চর্চা করা আবশ্যক। বাংলা ১ম ও ২য় পত্রে ভালো প্রস্তুতির জন্য কিছু সহায়ক বই ব্যবহার করা যেতে পারে, যা আপনার প্রস্তুতিকে করবে আরও শাণিত। ইংরেজিতে প্যাসেজ মনোযোগ দিয়ে কয়েকবার পড়তে হবে যেন প্যাসেজের মূলভাব আপনার মাথায় গেঁথে যায়। গ্রামার ও ভোকাবুলারির ওপর জোর দিতে হবে। লিখিত পরীক্ষায় কোনো নম্বর ছেড়ে আসা যাবে না। তাই পরীক্ষার হলে টাইম ম্যানেজমেন্ট অতীব গুরুত্বপূর্ণ।
চাকরি সম্পর্কিত সংবাদ পেতে - এখানে ক্লিক করুন
ভাইভা বোর্ডের প্রস্তুতি
ভাইভার জন্য আসলে বেশি কিছু পড়ে লাভ নেই। ভাইভা বোর্ডকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তার জন্য মানসিক প্রস্তুতি নিতে হবে। নার্ভাস হয়ে যাওয়া ও অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস দুটিই ভাইভা বোর্ডে ক্ষতিকর। তাই নিজের পালস নিয়ন্ত্রণ করে বোর্ডকে কনভিন্স করে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। ভাইভা বোর্ডে আপনার উত্তর থেকে পুনরায় প্রশ্ন করা হয়। তাই উত্তর দেওয়ার সময় সতর্ক থাকতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে সম্যক ধারণা রাখতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্যারিশমেটিক নেতৃত্বে বাংলাদেশের সফল অগ্রযাত্রা সম্পর্কে পড়াশোনা করতে হবে।
অনুলিখন: আনিসুল ইসলাম নাঈম
বিসিএস সম্পর্কিত পড়ুন:
বিগত কয়েক বছর ধরে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য অফুরন্ত সম্ভাবনার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে হাঙ্গেরি। দেশটিতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা আধুনিক শিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি ক্যারিয়ার গঠনেরও সুযোগ পাচ্ছেন।
২০ ঘণ্টা আগেসংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ আয়োজন হলো বিতর্ক। ক্রমেই এটি জনপ্রিয় হচ্ছে। সব প্রতিযোগিতায় জয়-পরাজয় রয়েছে। বিতর্কও এর ব্যতিক্রম নয়। একজন উঁচুমানের বিতার্কিকও পরাজয়ের সম্মুখীন হতে পারেন।
২০ ঘণ্টা আগেআমেরিকান ব্যবসায়ী এবং লেখক রবার্ট তোরু কিয়োসাকির লেখা ‘রিচ ড্যাড পুওর ড্যাড’ বইটি ১৯৯৭ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। বইটি প্রকাশ হওয়ার পর থেকে ব্যক্তিগত আর্থিক উন্নতির বইয়ের ক্যাটাগরিতে বিশ্বের সর্বাধিক বিক্রীত হিসেবে স্বীকৃত।
২০ ঘণ্টা আগেরাশেদ হোসেন রনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন। ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন বদলে একসময় বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন বোনা শুরু করেন তিনি। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে রনি সফলও হয়েছেন।
২০ ঘণ্টা আগে