ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০তম উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে তিনি এ দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ইলিয়াস শান্ত।
ইলিয়াস শান্ত
প্রশ্ন: গত ২২ সেপ্টেম্বর খুলেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। নবীন শিক্ষার্থীদেরও ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম কেমন চলছে, শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কেমন?
উপাচার্য: একটা অনিশ্চিত সময় অতিক্রম করে সবার সহযোগিতায় আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পাঠদান কার্যক্রম শুরু করতে পেরেছি। পাঠদান শুরুর পর থেকে শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখতে পাচ্ছি। ক্লাস শুরুর পরপরই আমরা নিয়মিতভাবে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলছি। অভিভাবকদের সঙ্গেও বিভিন্ন পর্যায়ে আমার কথা হয়েছে। এটা সত্যি যে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে একটা অনিশ্চয়তা ছিল, যেটা সময়ের ব্যবধানে কেটে যাচ্ছে। আমি তিনটি বিভাগে খোঁজ নিয়ে দেখেছি, এসব বিভাগে নিয়মিত ৮৬-৯০ ভাগ শিক্ষার্থী শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত হচ্ছেন। নতুন শিক্ষাবর্ষে যাঁরা ভর্তি হয়েছেন, তাঁরাও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে ক্লাসে থাকছেন।
প্রশ্ন: সিন্ডিকেট এক সিদ্ধান্তে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের দলীয় রাজনীতি বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছে। শুধু শিক্ষার্থীরা নন, শিক্ষক-কর্মচারীদেরও দলীয় রাজনীতি বন্ধ করা হয়েছে...
উপাচার্য: দলীয় রাজনীতির বিষয়ে সিন্ডিকেটে আলোচনা হয়েছে। তবে আমরা এখনো এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত দিইনি। যেটা হয়েছে সেটা হলো নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা। আমরা এটা এর আগেও বহুবার বলেছি, ক্যাম্পাসে দলীয় রাজনীতির বিষয়ে অংশীজনদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেই আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাব। তবে লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি বলতে আমরা যে কাঠামোর সঙ্গে পরিচিত, বিগত বছরগুলোতে যে রাজনীতির নামে অপরাজনীতির চর্চা হয়েছে, যেটার মাধ্যমে আমাদের যে কঠিন ও তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে, সেটাকে অবশ্যই বিবেচনায় নিতে হবে। এ ধরনের রাজনীতি চলতে দেওয়া যাবে না।
প্রশ্ন: এখন ডাকসু নিয়ে জোর আলোচনা চলছে। সর্বশেষ ২০১৯ সালে ডাকসু এবং ১৮টি হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনের ৫ বছর পার হয়ে গেছে। নিয়মিত ডাকসু নির্বাচন আয়োজন সম্ভব হচ্ছে না কেন? এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেবেন?
উপাচার্য: আমাদের নীতিগত ও সংবিধিবদ্ধ যেসব ব্যবস্থা আছে, সেগুলোর আওতায় ডাকসু এবং ডাকসুকে কেন্দ্র করে নেতৃত্ব তৈরির যে গণতান্ত্রিক চর্চা, সেটি আমরা সবাই ভালোভাবে অবগত। ডাকসুকে যত দ্রুত সম্ভব ক্রিয়াশীল করতে সচেষ্ট আছি। তবে বর্তমানে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ডাকসু নির্বাচন নিয়ে অংশীজনের সঙ্গে আলাপ করতে চাই। বিশেষ করে আমাদের ছাত্র-শিক্ষক, অভিভাবক, বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই—সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে এ বিষয়ে একটা সিদ্ধান্ত নেব। তবে ডাকসুর প্রয়োজনীয়তা আমরা সবাই অনুভব করি।
প্রশ্ন: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এই আন্দোলন সফল হয়েছে। আন্দোলনে ঢাবি থেকে যাঁরা নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাঁদের দুজন এখন সরকারে আছেন। সামনের সারির বাকি দুজন ছায়া সরকারের ভূমিকায়। তাঁদের কারও কারও এখনো পড়ালেখা শেষ হয়নি। তাঁদের ভবিষ্যৎ জীবন কেমন হবে?
উপাচার্য: যেকোনো বিবেচনায় আমাদের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এ প্রক্রিয়ায় যাঁরা জড়িত ছিলেন, তাঁদের সবার প্রতিই আমাদের অভিবাদন এবং কৃতজ্ঞতা আছে। এ বিপ্লবে যাঁরা সরাসরি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অংশ নিয়েছেন, তাঁদের প্রতি আমরা সব সময় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে রাখব। তাঁদের সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগও হচ্ছে। যাঁরা সরাসরি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নন, কিন্তু এই আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন, তাঁদের প্রত্যেকের প্রতিও আমাদের সমান শ্রদ্ধা-সম্মান রয়েছে। এখনো হাসপাতালগুলোতে যাঁরা গুরুতর আহত অবস্থায় রয়েছেন, আমরা তাঁদের বিষয়েও সচেতন রয়েছি। আমাদের শিক্ষার্থীদের মধ্যে যাঁরা সরাসরি এই আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন, তাঁদের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছি। এই আন্দোলনে অংশ নেওয়া বিপ্লবীদের স্মরণ করার জন্য বিশেষায়িত ক্লাবগুলোর মাধ্যমে কিছু মূল্যবান ছবি সংগ্রহ করেছি। কিছু গ্রাফিতি বিভিন্ন পর্যায় থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। জাতিসংঘের যে দলটি এই অভ্যুত্থান নিয়ে তদন্ত করছে, তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ আছে। তাদের এসব সরবরাহ করব। আমরা নিজেরাও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যে ঘটনাগুলো ঘটেছে, সেগুলো তদন্তে একটি কমিটি করেছি। এ কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই অভ্যুত্থানের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য একটি কর্নার করার চিন্তা রয়েছে। একই সঙ্গে এ বিষয়ে কিছু সভা-সেমিনার ও একাডেমিক আলোচনা আমরা নিয়মিত চালিয়ে যাচ্ছি। অর্থাৎ আমরা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে একাডেমিক এবং এক্সট্রা কারিকুলার—দুই দিক থেকেই স্মরণ করতে চাই, তাঁদের অবদানকে স্বীকার করতে চাই।
প্রশ্ন: এ আন্দোলনে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীসহ শিক্ষক-কর্মকর্তাদের একটি বড় অংশ বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল। এদের অনেকের বিরুদ্ধে আরও নানা ধরনের অভিযোগও রয়েছে...
উপাচার্য: এ বিষয়ে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। তারা সব পক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করছে। কিছু ক্ষেত্রে মোটামুটি সমঝোতা হয়েছে। কোনো ক্ষেত্রে সমঝোতা হয়নি। সে ক্ষেত্রে তদন্ত কমিটি ও আইনি প্রক্রিয়া শুরু হবে। একটি বিষয় পরিষ্কার, যারা গুরুতর অপরাধে জড়িত, তাদের আইন অনুযায়ী বিচার হবে। যেসব জায়গায় দ্বন্দ্ব নিরসনের মাধ্যমে শান্তি স্থাপন সম্ভব, সেখানে সেটাই করা হবে।
প্রশ্ন: সম্প্রতি যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী টাইমস হায়ার এডুকেশনের র্যাঙ্কিং প্রকাশিত হয়েছে। ২০২৫ সালের বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাঙ্কিংয়ে প্রথম ৮০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই। তবে তালিকায় ১০০০-এর মধ্য আছে পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়। এই পাঁচটির মধ্যেও নেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ঢাবির অবস্থান ১০০১-১২০০তমের মধ্যে...
উপাচার্য: আমরা র্যাঙ্কিংকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছি। এ পদক্ষেপের অংশ হিসেবে আমাদের সম্মানিত উপ–উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদের নেতৃত্বে একটি বিশেষায়িত দল এখন কাজ করছে। এর বাইরে আমাদের যাঁরা ভালো গবেষক রয়েছেন, তাঁদের স্বীকৃতি দেওয়া শুরু করেছি। আমরা গবেষণা খাতে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছি। সম্প্রতি প্রকাশিত বিশ্বসেরা ২ শতাংশ গবেষকের তালিকায় ১০ জন গবেষক জায়গা পেয়েছেন। এটি যেমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য গৌরবের, অন্যদিকে দেশবাসীর জন্য একটি আনন্দের খবর। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অফিশিয়ালি স্বীকৃতি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। আমরা গবেষণার জন্য আলাদা কিছু বৃত্তি এবং বিশেষ ফান্ড দেওয়ার চেষ্টা করছি। আমাদের আগের প্রশাসন এ বিষয়ে কিছু উদ্যোগ নিয়েছিল। তাদের ভালো উদ্যোগগুলোকে আমরা আরও প্রসারিত করার চেষ্টা করছি। র্যাঙ্কিং নিয়ে বড় দাগে কথা হচ্ছে, আমরা কোনো রকম অজুহাত দেখাতে চাচ্ছি না। ঢাবি যেহেতু সর্ব জনতার বিশ্ববিদ্যালয়, সেহেতু সবার কাছে প্রত্যাশা একটু বেশিই। সবাই আমাদের দিকে তাকিয়ে থাকেন। সুতরাং, আমরা র্যাঙ্কিংয়ে ভালো করলে সবাই যেমন খুশি হন, সেটা আমরা অত্যন্ত সম্মানের সঙ্গে মনে রাখি। আমরা যখন ভালো করি না, তখন তারা দুঃখিত হন। সেটাতেও আমরা সচেতন থাকি। এ বিষয়ে আমাদের উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে। আমাদের এটাও মাথায় রাখতে হবে, র্যাঙ্কিংয়ের পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে এ দেশের জাতীয় জীবনে বেশ কিছু কাজে ভূমিকা পালন করতে হয়। এ ক্ষেত্রে আমাদের র্যাঙ্কিংকেন্দ্রিক একাডেমিক যে কাজ, তার মধ্যে নিজেদের সীমাবদ্ধ রাখা যায় না। আমাদের অনেক বড় সামাজিক পরিসরে কাজ করতে হয়। এ কারণে সারা বছর র্যাঙ্কিংকেন্দ্রিক আমাদের একই ধরনের গুরুত্ব নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। তবু আমরা বলতে চাই, র্যাঙ্কিংয়ের বিষয়টি আমাদের অগ্রাধিকারের মধ্যেই রয়েছে।
প্রশ্ন: আবাসনব্যবস্থায় বড় সংস্কার হয়েছে বলা যায়। অছাত্রদের হল ত্যাগের নির্দেশনার পর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের সিট বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। এতে নিয়মিত শিক্ষার্থীরা খুশি। তবে ছাত্রীদের আবাসন নিয়ে এখনো সংকট রয়েছে। তাঁরা জানিয়েছেন, কিছু কিছু হলে এখনো ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি ছাত্রী অবস্থান করছেন...
উপাচার্য: আমাদের হল প্রশাসন স্মরণকালের বছরগুলোর মধ্যে প্রথমবারের মতো হলের ওপর নিয়ন্ত্রণ পেয়েছে। বহু বহু বছর পর আমরা প্রথমবারের মতো চেষ্টা করছি, হল প্রশাসন হলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সিট বরাদ্দ দিচ্ছে। ফলত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন বণ্টনে একরকম ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমরা মোটামুটি শিক্ষার্থীদের চাহিদা এবং মেরিট দুটোকে গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষার্থীদের হল বরাদ্দ দিচ্ছি। শিক্ষার্থীরা এখন হলগুলোতে শান্তিপূর্ণ অবস্থান বজায় রেখেছেন। গণরুমের সংস্কৃতি সম্পূর্ণভাবে দূর হয়েছে। তবু সংকট থেকেই যাচ্ছে। আমাদের নারী শিক্ষার্থীরা আবাসিক হল নিয়ে ভুগছেন। আমি এ বিষয়টি নিয়ে প্রতিদিন কাজ করার চেষ্টা করছি। এখন আমাদের যেটা হয়েছে, সেটা হলো আমাদের মোট শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রীর সংখ্যা শতকরা ৫১-৫৩ ভাগ। ধীরে ধীরে ছাত্রীরা এখন মেজরিটির দিকে যাচ্ছে। জাতীয় দিক বিবেচনায় এতে আমরা অত্যন্ত খুশি। কিন্তু ছাত্রীরা এগিয়ে এলেও তাদের জন্য আমাদের হলের সংখ্যা মাত্র ৫টি। এটার মানে হচ্ছে, আমাদের হল পর্যাপ্ত না। পর্যাপ্ত অবকাঠামোর অভাব থাকায় এ সমস্যার সরাসরি কোনো সমাধান বা ম্যাজিক বুলেট বলতে যা বোঝায়, সেটি আমাদের হাতে নেই। আমরা এখন যেটি করছি, সেটা হলো প্রথম সুযোগে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হল নির্মাণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা অলরেডি বিভিন্ন বন্ধুদেশের সঙ্গে এ বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করেছি। দেশের সরকার এবং ইউজিসির সঙ্গেও আমাদের এ বিষয়ে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। ইউজিসি আমাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করছে। আমরা আশাবাদী, ছাত্রীদের জন্য একটা হল অচিরেই নির্মাণকাজ শুরু করতে পারব। ছেলেদের হলে অবকাঠোমোও কীভাবে আরও বাড়ানো যায়, সে বিষয়ে চেষ্টা করছি। তবে এ ক্ষেত্রে আমরা মেয়েদের অগ্রাধিকার দিচ্ছি। প্রাথমিক ব্যবস্থাপনায় আমরা মেয়েদের হলগুলোর ফাঁকা স্থানে নতুন কিছু বেড সংযোজন করা যায় কি না সে বিষয়ে কাজ করছি।
প্রশ্ন: গত ২২ সেপ্টেম্বর খুলেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। নবীন শিক্ষার্থীদেরও ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম কেমন চলছে, শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কেমন?
উপাচার্য: একটা অনিশ্চিত সময় অতিক্রম করে সবার সহযোগিতায় আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পাঠদান কার্যক্রম শুরু করতে পেরেছি। পাঠদান শুরুর পর থেকে শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখতে পাচ্ছি। ক্লাস শুরুর পরপরই আমরা নিয়মিতভাবে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলছি। অভিভাবকদের সঙ্গেও বিভিন্ন পর্যায়ে আমার কথা হয়েছে। এটা সত্যি যে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে একটা অনিশ্চয়তা ছিল, যেটা সময়ের ব্যবধানে কেটে যাচ্ছে। আমি তিনটি বিভাগে খোঁজ নিয়ে দেখেছি, এসব বিভাগে নিয়মিত ৮৬-৯০ ভাগ শিক্ষার্থী শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত হচ্ছেন। নতুন শিক্ষাবর্ষে যাঁরা ভর্তি হয়েছেন, তাঁরাও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে ক্লাসে থাকছেন।
প্রশ্ন: সিন্ডিকেট এক সিদ্ধান্তে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের দলীয় রাজনীতি বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছে। শুধু শিক্ষার্থীরা নন, শিক্ষক-কর্মচারীদেরও দলীয় রাজনীতি বন্ধ করা হয়েছে...
উপাচার্য: দলীয় রাজনীতির বিষয়ে সিন্ডিকেটে আলোচনা হয়েছে। তবে আমরা এখনো এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত দিইনি। যেটা হয়েছে সেটা হলো নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা। আমরা এটা এর আগেও বহুবার বলেছি, ক্যাম্পাসে দলীয় রাজনীতির বিষয়ে অংশীজনদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেই আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাব। তবে লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি বলতে আমরা যে কাঠামোর সঙ্গে পরিচিত, বিগত বছরগুলোতে যে রাজনীতির নামে অপরাজনীতির চর্চা হয়েছে, যেটার মাধ্যমে আমাদের যে কঠিন ও তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে, সেটাকে অবশ্যই বিবেচনায় নিতে হবে। এ ধরনের রাজনীতি চলতে দেওয়া যাবে না।
প্রশ্ন: এখন ডাকসু নিয়ে জোর আলোচনা চলছে। সর্বশেষ ২০১৯ সালে ডাকসু এবং ১৮টি হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনের ৫ বছর পার হয়ে গেছে। নিয়মিত ডাকসু নির্বাচন আয়োজন সম্ভব হচ্ছে না কেন? এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেবেন?
উপাচার্য: আমাদের নীতিগত ও সংবিধিবদ্ধ যেসব ব্যবস্থা আছে, সেগুলোর আওতায় ডাকসু এবং ডাকসুকে কেন্দ্র করে নেতৃত্ব তৈরির যে গণতান্ত্রিক চর্চা, সেটি আমরা সবাই ভালোভাবে অবগত। ডাকসুকে যত দ্রুত সম্ভব ক্রিয়াশীল করতে সচেষ্ট আছি। তবে বর্তমানে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ডাকসু নির্বাচন নিয়ে অংশীজনের সঙ্গে আলাপ করতে চাই। বিশেষ করে আমাদের ছাত্র-শিক্ষক, অভিভাবক, বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই—সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে এ বিষয়ে একটা সিদ্ধান্ত নেব। তবে ডাকসুর প্রয়োজনীয়তা আমরা সবাই অনুভব করি।
প্রশ্ন: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এই আন্দোলন সফল হয়েছে। আন্দোলনে ঢাবি থেকে যাঁরা নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাঁদের দুজন এখন সরকারে আছেন। সামনের সারির বাকি দুজন ছায়া সরকারের ভূমিকায়। তাঁদের কারও কারও এখনো পড়ালেখা শেষ হয়নি। তাঁদের ভবিষ্যৎ জীবন কেমন হবে?
উপাচার্য: যেকোনো বিবেচনায় আমাদের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এ প্রক্রিয়ায় যাঁরা জড়িত ছিলেন, তাঁদের সবার প্রতিই আমাদের অভিবাদন এবং কৃতজ্ঞতা আছে। এ বিপ্লবে যাঁরা সরাসরি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অংশ নিয়েছেন, তাঁদের প্রতি আমরা সব সময় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে রাখব। তাঁদের সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগও হচ্ছে। যাঁরা সরাসরি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নন, কিন্তু এই আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন, তাঁদের প্রত্যেকের প্রতিও আমাদের সমান শ্রদ্ধা-সম্মান রয়েছে। এখনো হাসপাতালগুলোতে যাঁরা গুরুতর আহত অবস্থায় রয়েছেন, আমরা তাঁদের বিষয়েও সচেতন রয়েছি। আমাদের শিক্ষার্থীদের মধ্যে যাঁরা সরাসরি এই আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন, তাঁদের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছি। এই আন্দোলনে অংশ নেওয়া বিপ্লবীদের স্মরণ করার জন্য বিশেষায়িত ক্লাবগুলোর মাধ্যমে কিছু মূল্যবান ছবি সংগ্রহ করেছি। কিছু গ্রাফিতি বিভিন্ন পর্যায় থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। জাতিসংঘের যে দলটি এই অভ্যুত্থান নিয়ে তদন্ত করছে, তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ আছে। তাদের এসব সরবরাহ করব। আমরা নিজেরাও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যে ঘটনাগুলো ঘটেছে, সেগুলো তদন্তে একটি কমিটি করেছি। এ কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই অভ্যুত্থানের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য একটি কর্নার করার চিন্তা রয়েছে। একই সঙ্গে এ বিষয়ে কিছু সভা-সেমিনার ও একাডেমিক আলোচনা আমরা নিয়মিত চালিয়ে যাচ্ছি। অর্থাৎ আমরা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে একাডেমিক এবং এক্সট্রা কারিকুলার—দুই দিক থেকেই স্মরণ করতে চাই, তাঁদের অবদানকে স্বীকার করতে চাই।
প্রশ্ন: এ আন্দোলনে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীসহ শিক্ষক-কর্মকর্তাদের একটি বড় অংশ বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল। এদের অনেকের বিরুদ্ধে আরও নানা ধরনের অভিযোগও রয়েছে...
উপাচার্য: এ বিষয়ে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। তারা সব পক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করছে। কিছু ক্ষেত্রে মোটামুটি সমঝোতা হয়েছে। কোনো ক্ষেত্রে সমঝোতা হয়নি। সে ক্ষেত্রে তদন্ত কমিটি ও আইনি প্রক্রিয়া শুরু হবে। একটি বিষয় পরিষ্কার, যারা গুরুতর অপরাধে জড়িত, তাদের আইন অনুযায়ী বিচার হবে। যেসব জায়গায় দ্বন্দ্ব নিরসনের মাধ্যমে শান্তি স্থাপন সম্ভব, সেখানে সেটাই করা হবে।
প্রশ্ন: সম্প্রতি যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী টাইমস হায়ার এডুকেশনের র্যাঙ্কিং প্রকাশিত হয়েছে। ২০২৫ সালের বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাঙ্কিংয়ে প্রথম ৮০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই। তবে তালিকায় ১০০০-এর মধ্য আছে পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়। এই পাঁচটির মধ্যেও নেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ঢাবির অবস্থান ১০০১-১২০০তমের মধ্যে...
উপাচার্য: আমরা র্যাঙ্কিংকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছি। এ পদক্ষেপের অংশ হিসেবে আমাদের সম্মানিত উপ–উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদের নেতৃত্বে একটি বিশেষায়িত দল এখন কাজ করছে। এর বাইরে আমাদের যাঁরা ভালো গবেষক রয়েছেন, তাঁদের স্বীকৃতি দেওয়া শুরু করেছি। আমরা গবেষণা খাতে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছি। সম্প্রতি প্রকাশিত বিশ্বসেরা ২ শতাংশ গবেষকের তালিকায় ১০ জন গবেষক জায়গা পেয়েছেন। এটি যেমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য গৌরবের, অন্যদিকে দেশবাসীর জন্য একটি আনন্দের খবর। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অফিশিয়ালি স্বীকৃতি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। আমরা গবেষণার জন্য আলাদা কিছু বৃত্তি এবং বিশেষ ফান্ড দেওয়ার চেষ্টা করছি। আমাদের আগের প্রশাসন এ বিষয়ে কিছু উদ্যোগ নিয়েছিল। তাদের ভালো উদ্যোগগুলোকে আমরা আরও প্রসারিত করার চেষ্টা করছি। র্যাঙ্কিং নিয়ে বড় দাগে কথা হচ্ছে, আমরা কোনো রকম অজুহাত দেখাতে চাচ্ছি না। ঢাবি যেহেতু সর্ব জনতার বিশ্ববিদ্যালয়, সেহেতু সবার কাছে প্রত্যাশা একটু বেশিই। সবাই আমাদের দিকে তাকিয়ে থাকেন। সুতরাং, আমরা র্যাঙ্কিংয়ে ভালো করলে সবাই যেমন খুশি হন, সেটা আমরা অত্যন্ত সম্মানের সঙ্গে মনে রাখি। আমরা যখন ভালো করি না, তখন তারা দুঃখিত হন। সেটাতেও আমরা সচেতন থাকি। এ বিষয়ে আমাদের উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে। আমাদের এটাও মাথায় রাখতে হবে, র্যাঙ্কিংয়ের পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে এ দেশের জাতীয় জীবনে বেশ কিছু কাজে ভূমিকা পালন করতে হয়। এ ক্ষেত্রে আমাদের র্যাঙ্কিংকেন্দ্রিক একাডেমিক যে কাজ, তার মধ্যে নিজেদের সীমাবদ্ধ রাখা যায় না। আমাদের অনেক বড় সামাজিক পরিসরে কাজ করতে হয়। এ কারণে সারা বছর র্যাঙ্কিংকেন্দ্রিক আমাদের একই ধরনের গুরুত্ব নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। তবু আমরা বলতে চাই, র্যাঙ্কিংয়ের বিষয়টি আমাদের অগ্রাধিকারের মধ্যেই রয়েছে।
প্রশ্ন: আবাসনব্যবস্থায় বড় সংস্কার হয়েছে বলা যায়। অছাত্রদের হল ত্যাগের নির্দেশনার পর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের সিট বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। এতে নিয়মিত শিক্ষার্থীরা খুশি। তবে ছাত্রীদের আবাসন নিয়ে এখনো সংকট রয়েছে। তাঁরা জানিয়েছেন, কিছু কিছু হলে এখনো ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি ছাত্রী অবস্থান করছেন...
উপাচার্য: আমাদের হল প্রশাসন স্মরণকালের বছরগুলোর মধ্যে প্রথমবারের মতো হলের ওপর নিয়ন্ত্রণ পেয়েছে। বহু বহু বছর পর আমরা প্রথমবারের মতো চেষ্টা করছি, হল প্রশাসন হলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সিট বরাদ্দ দিচ্ছে। ফলত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন বণ্টনে একরকম ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমরা মোটামুটি শিক্ষার্থীদের চাহিদা এবং মেরিট দুটোকে গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষার্থীদের হল বরাদ্দ দিচ্ছি। শিক্ষার্থীরা এখন হলগুলোতে শান্তিপূর্ণ অবস্থান বজায় রেখেছেন। গণরুমের সংস্কৃতি সম্পূর্ণভাবে দূর হয়েছে। তবু সংকট থেকেই যাচ্ছে। আমাদের নারী শিক্ষার্থীরা আবাসিক হল নিয়ে ভুগছেন। আমি এ বিষয়টি নিয়ে প্রতিদিন কাজ করার চেষ্টা করছি। এখন আমাদের যেটা হয়েছে, সেটা হলো আমাদের মোট শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রীর সংখ্যা শতকরা ৫১-৫৩ ভাগ। ধীরে ধীরে ছাত্রীরা এখন মেজরিটির দিকে যাচ্ছে। জাতীয় দিক বিবেচনায় এতে আমরা অত্যন্ত খুশি। কিন্তু ছাত্রীরা এগিয়ে এলেও তাদের জন্য আমাদের হলের সংখ্যা মাত্র ৫টি। এটার মানে হচ্ছে, আমাদের হল পর্যাপ্ত না। পর্যাপ্ত অবকাঠামোর অভাব থাকায় এ সমস্যার সরাসরি কোনো সমাধান বা ম্যাজিক বুলেট বলতে যা বোঝায়, সেটি আমাদের হাতে নেই। আমরা এখন যেটি করছি, সেটা হলো প্রথম সুযোগে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হল নির্মাণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা অলরেডি বিভিন্ন বন্ধুদেশের সঙ্গে এ বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করেছি। দেশের সরকার এবং ইউজিসির সঙ্গেও আমাদের এ বিষয়ে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। ইউজিসি আমাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করছে। আমরা আশাবাদী, ছাত্রীদের জন্য একটা হল অচিরেই নির্মাণকাজ শুরু করতে পারব। ছেলেদের হলে অবকাঠোমোও কীভাবে আরও বাড়ানো যায়, সে বিষয়ে চেষ্টা করছি। তবে এ ক্ষেত্রে আমরা মেয়েদের অগ্রাধিকার দিচ্ছি। প্রাথমিক ব্যবস্থাপনায় আমরা মেয়েদের হলগুলোর ফাঁকা স্থানে নতুন কিছু বেড সংযোজন করা যায় কি না সে বিষয়ে কাজ করছি।
বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল এবং গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের আইকিউএসি’র যৌথ উদ্যোগে ‘প্রিপারেশন ফর অ্যাক্রেডিটেশন: ডকুমেন্টেশন অ্যান্ড এভিডেন্স’ শীর্ষক একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার গ্রিন ইউনিভার্সিটির সিন্ডিকেট রুমে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
৯ ঘণ্টা আগেএইচএসসি পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফল পুনর্নিরীক্ষণে ৯ টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে ৪ হাজার ৪০৫ জন শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে। ফেল থেকে পাস করেছেন ৮৭২ জন, নতুন করে জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন ৫৯২ জন। আর ফেল থেকে জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন ২ জন।
১২ ঘণ্টা আগেমেরিন ফিশারিজ একাডেমি (এমএফএ) বা বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ একাডেমি (বিএমএফএ) মৎস্য শিল্প, বণিক জাহাজ এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট মেরিটাইম শিল্পগুলোতে প্রবেশ করতে আগ্রহী ক্যাডেটদের জন্য বাংলাদেশ সরকারের একটি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান। এটি বাংলাদেশের একমাত্র সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বা
১৭ ঘণ্টা আগে২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) স্নাতক প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির রেজিস্ট্রার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এবিএম ফয়সাল বাতেন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১৮ ঘণ্টা আগে