নাদিম মজিদ
ড. রউফুল আলম। যুক্তরাষ্ট্রের দুরারোগ্য রোগের চিকিৎসার অগ্রদূত প্রতিষ্ঠান পিটিসি থেরাপিউটিকসে সিনিয়র বিজ্ঞানী হিসেবে কাজ করছেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করে মাস্টার্স এবং পিএইচডি করেছেন সুইডেনের স্টকহোম ইউনিভার্সিটি থেকে। পোস্ট ডক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়ায়। সম্প্রতি বাংলাদেশে এসেছেন। তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন নাদিম মজিদ
প্রশ্ন: বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে উন্নত দেশে উচ্চশিক্ষা নিয়ে বেশ আগ্রহ তৈরি হয়েছে। আপনার মতে, তাদের কোন পর্যায়ে বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিতে যাওয়া উচিত?
ড. রউফুল আলম: দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে বিদেশে পিএইচডি করার জন্য যাওয়া সম্ভবত ফলপ্রসূ দুটি কারণে। প্রথমত, আন্ডারগ্র্যাজুয়েট লেভেলে বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্কলারশিপের সংখ্যা কম থাকে।
দ্বিতীয়ত, বাইরের দেশের পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর একটি বিষয় থাকে। আঠারো বছর বয়সে একজন শিক্ষার্থীর টিনএজ বয়স শেষ হয় না। দেশের বাইরে একদম নতুন পরিবেশে তার খাপ খাওয়ানো কঠিন হয়। সে তুলনায় তেইশ-চব্বিশ বছর বয়সে একজন উচ্চশিক্ষা নিতে দেশের বাইরে গেলে সেখানকার পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো তুলনামূলকভাবে সহজ হয়। তবে চলমান সময়ে ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা করে অনেকে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট করছে বিদেশে। এবং অনেক ভালো করছে। কে কখন যাবে বিষয়টা নির্ভর করে ব্যক্তিগত প্রেক্ষাপটের ওপর।
প্রশ্ন: একজন ভালো গবেষক হওয়ার জন্য একজন ভালো মেন্টরের অধীনে থাকা বেশ জরুরি। বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?
ড. রউফুল আলম: বর্তমান সময়ে ভালো গবেষক হতে চাইলে ভালো পিএইচডি থাকা প্রয়োজন। একজন ভালো গবেষক হওয়ার জন্য অবশ্যই একজন ভালো মেন্টরের অধীনে থাকতে হয়। আমরা যদি পদার্থবিজ্ঞানী এবং নোবেল বিজয়ী রাদারফোর্ডের কথা চিন্তা করি। তাঁর মেন্টর ছিলেন স্যার জে জে থমসন। তিনি ইলেকট্রন, আইসোটোপ এবং ভর বর্ণালিবীক্ষণ যন্ত্র আবিষ্কারের জন্য বিখ্যাত। তিনিও ছিলেন নোবেল লরিয়েট। আবার নিলস বোর, সেসিল ফ্র্যাঙ্কওয়েলেরে মতো বিজ্ঞানীরা কাজ করেছিলেন বিজ্ঞানী রাদারফোর্ডের অধীনে। তাঁরা ভালো গবেষক হিসেবে তৈরি হয়েছেন; কারণ, তাঁদের মেন্টররা ভালো ছিলেন। আরেকটি বিষয় উল্লেখ করা প্রয়োজন। ভালো গবেষক হওয়ার জন্য পিএইচডি গুরুত্বপূর্ণ না হলেও পিএইচডি করলে একজন ব্যক্তি গবেষক হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ধাপগুলো হাতেকলমে শিখতে পারেন।
প্রশ্ন: বিদেশে মাস্টার্স বা পিএইচডি করার জন্য কি গ্র্যাজুয়েশনের ফলাফলে প্রথম, দ্বিতীয় বা তৃতীয় হতে হয়?
ড. রউফুল আলম: এমন কোনো বিষয় নেই। আমি নিজেও স্নাতক পর্যায়ের ফলাফলে প্রথম দিককার শিক্ষার্থী ছিলাম না। মাস্টার্সে প্রথম হয়েছিলাম। সত্যি কথা হলো, বিদেশের প্রফেসররা মাস্টার্স বা পিএইচডি পর্যায়ের শিক্ষার্থীর একাডেমিক ফলাফলে শীর্ষ পর্যায়ের শিক্ষার্থী খোঁজেন না। তাঁরা খোঁজেন এমন শিক্ষার্থী, যে তাঁর ল্যাবে বা প্রকল্পে যোগদান করলে তাঁর গবেষণা কার্যক্রম সুন্দরভাবে পরিচালিত হবে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিশ্বমানের গবেষণা হয় না। এ দেশে বিশ্বমানের গবেষণা তৈরি করার জন্য সরকারের কী করণীয় বলে আপনি মনে করেন।
ড. রউফুল আলম: এ ক্ষেত্রে আমি সৌদি আরবের কিং আবদুল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদাহরণ দিতে পারি। একসময় সৌদি আরব অর্থ এবং তেলসম্পদে এগিয়ে থাকলেও দেখল, তাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভালো কোনো গবেষণা হচ্ছে না। সেসব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তারা ভালো কোনো গবেষক পাচ্ছে না। ভালো গবেষক তৈরির জন্য তারা ১০ বিলিয়ন ডলারের প্রাথমিক ফান্ড নিয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উপাচার্য এবং শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিতে থাকল বিশ্বের ভালো বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এবং ল্যাবের প্রফেসরদের। তাদের বর্তমান প্রেসিডেন্টও হংকং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট টনি এফ চ্যান। তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালো ভালো ল্যাব তৈরি করে দিল। এখন তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্বমানের গবেষণা হচ্ছে। জ্ঞানভিত্তিক জাতি হিসেবে তারা এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের দেশেও একই কাজ করতে হবে। উদাহরণ হিসেবে, পাঁচ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে একটি উচ্চশিক্ষা প্রকল্প নিতে হবে। শিক্ষক হিসেবে থাকবেন বিশ্বের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং ল্যাবের গবেষক। বাংলাদেশের ভালো শিক্ষার্থীদের সেখানে সুযোগ দিতে হবে। একজন ভালো গবেষক হিসেবে তৈরি হলে তাঁকে স্বীকৃতি দিতে হবে। চাকরির ক্ষেত্রে ইনক্রিমেন্ট দিতে হবে।
আমাদের সরকার যদি এভাবে চিন্তা করে, তাহলে এ দেশ থেকে ভালো ভালো গবেষক তৈরি হবে।
প্রশ্ন: আপনি নিজে রসায়নে পড়াশোনা করেছেন। বাংলাদেশে রসায়নে পড়ুয়াদের ক্যারিয়ারের সম্ভাবনা কতটুকু দেখছেন?
ড. রউফুল আলম: বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিষয় হিসেবে রসায়ন বেশ পুরোনো। যুগের সঙ্গে চাহিদা মিলিয়ে এ বিষয়ের ওপর উল্লেখযোগ্য কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে না। তবে আশার বিষয় হলো, আমাদের দেশ ওষুধ উৎপাদনে শতভাগের কাছাকাছি। কিন্তু ওষুধ তৈরির কাঁচামালের জন্য আমরা চীন, ভারতসহ বেশ কিছু দেশের ওপর নির্ভরশীল। এ নির্ভরশীলতা দূর করতে বর্তমানে মুন্সিগঞ্জে একটি (অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্টস) এপিআই পার্ক তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এটি রসায়ন পড়ুয়াদের জন্য একটি বড় ধরনের সুখবর। বর্তমানে বাংলাদেশে ওষুধের বাজার ৬ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু এ বাজার পুরোপুরি নিজেদের দেশে রাখতে হলে দরকার পার্ক তৈরির পাশাপাশি প্রয়োজনীয় জনশক্তিও প্রস্তুত রাখা। না হয় পার্ক বাংলাদেশে থাকবে, কিন্তু পার্কের কর্তাব্যক্তিরা গার্মেন্টস শিল্পের মতো বাইরের দেশ থেকে আসবেন। এ বিষয়ে এখন থেকেই সরকারের কাজ করা প্রয়োজন।
এ ধরনের বিশেষ বিশেষ সেক্টরকে নিয়ে আলাদা করে সরকার ও উদ্যোক্তাদের কাজ করতে হবে।
ড. রউফুল আলম। যুক্তরাষ্ট্রের দুরারোগ্য রোগের চিকিৎসার অগ্রদূত প্রতিষ্ঠান পিটিসি থেরাপিউটিকসে সিনিয়র বিজ্ঞানী হিসেবে কাজ করছেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করে মাস্টার্স এবং পিএইচডি করেছেন সুইডেনের স্টকহোম ইউনিভার্সিটি থেকে। পোস্ট ডক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়ায়। সম্প্রতি বাংলাদেশে এসেছেন। তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন নাদিম মজিদ
প্রশ্ন: বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে উন্নত দেশে উচ্চশিক্ষা নিয়ে বেশ আগ্রহ তৈরি হয়েছে। আপনার মতে, তাদের কোন পর্যায়ে বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিতে যাওয়া উচিত?
ড. রউফুল আলম: দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে বিদেশে পিএইচডি করার জন্য যাওয়া সম্ভবত ফলপ্রসূ দুটি কারণে। প্রথমত, আন্ডারগ্র্যাজুয়েট লেভেলে বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্কলারশিপের সংখ্যা কম থাকে।
দ্বিতীয়ত, বাইরের দেশের পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর একটি বিষয় থাকে। আঠারো বছর বয়সে একজন শিক্ষার্থীর টিনএজ বয়স শেষ হয় না। দেশের বাইরে একদম নতুন পরিবেশে তার খাপ খাওয়ানো কঠিন হয়। সে তুলনায় তেইশ-চব্বিশ বছর বয়সে একজন উচ্চশিক্ষা নিতে দেশের বাইরে গেলে সেখানকার পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো তুলনামূলকভাবে সহজ হয়। তবে চলমান সময়ে ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা করে অনেকে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট করছে বিদেশে। এবং অনেক ভালো করছে। কে কখন যাবে বিষয়টা নির্ভর করে ব্যক্তিগত প্রেক্ষাপটের ওপর।
প্রশ্ন: একজন ভালো গবেষক হওয়ার জন্য একজন ভালো মেন্টরের অধীনে থাকা বেশ জরুরি। বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?
ড. রউফুল আলম: বর্তমান সময়ে ভালো গবেষক হতে চাইলে ভালো পিএইচডি থাকা প্রয়োজন। একজন ভালো গবেষক হওয়ার জন্য অবশ্যই একজন ভালো মেন্টরের অধীনে থাকতে হয়। আমরা যদি পদার্থবিজ্ঞানী এবং নোবেল বিজয়ী রাদারফোর্ডের কথা চিন্তা করি। তাঁর মেন্টর ছিলেন স্যার জে জে থমসন। তিনি ইলেকট্রন, আইসোটোপ এবং ভর বর্ণালিবীক্ষণ যন্ত্র আবিষ্কারের জন্য বিখ্যাত। তিনিও ছিলেন নোবেল লরিয়েট। আবার নিলস বোর, সেসিল ফ্র্যাঙ্কওয়েলেরে মতো বিজ্ঞানীরা কাজ করেছিলেন বিজ্ঞানী রাদারফোর্ডের অধীনে। তাঁরা ভালো গবেষক হিসেবে তৈরি হয়েছেন; কারণ, তাঁদের মেন্টররা ভালো ছিলেন। আরেকটি বিষয় উল্লেখ করা প্রয়োজন। ভালো গবেষক হওয়ার জন্য পিএইচডি গুরুত্বপূর্ণ না হলেও পিএইচডি করলে একজন ব্যক্তি গবেষক হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ধাপগুলো হাতেকলমে শিখতে পারেন।
প্রশ্ন: বিদেশে মাস্টার্স বা পিএইচডি করার জন্য কি গ্র্যাজুয়েশনের ফলাফলে প্রথম, দ্বিতীয় বা তৃতীয় হতে হয়?
ড. রউফুল আলম: এমন কোনো বিষয় নেই। আমি নিজেও স্নাতক পর্যায়ের ফলাফলে প্রথম দিককার শিক্ষার্থী ছিলাম না। মাস্টার্সে প্রথম হয়েছিলাম। সত্যি কথা হলো, বিদেশের প্রফেসররা মাস্টার্স বা পিএইচডি পর্যায়ের শিক্ষার্থীর একাডেমিক ফলাফলে শীর্ষ পর্যায়ের শিক্ষার্থী খোঁজেন না। তাঁরা খোঁজেন এমন শিক্ষার্থী, যে তাঁর ল্যাবে বা প্রকল্পে যোগদান করলে তাঁর গবেষণা কার্যক্রম সুন্দরভাবে পরিচালিত হবে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিশ্বমানের গবেষণা হয় না। এ দেশে বিশ্বমানের গবেষণা তৈরি করার জন্য সরকারের কী করণীয় বলে আপনি মনে করেন।
ড. রউফুল আলম: এ ক্ষেত্রে আমি সৌদি আরবের কিং আবদুল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদাহরণ দিতে পারি। একসময় সৌদি আরব অর্থ এবং তেলসম্পদে এগিয়ে থাকলেও দেখল, তাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভালো কোনো গবেষণা হচ্ছে না। সেসব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তারা ভালো কোনো গবেষক পাচ্ছে না। ভালো গবেষক তৈরির জন্য তারা ১০ বিলিয়ন ডলারের প্রাথমিক ফান্ড নিয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উপাচার্য এবং শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিতে থাকল বিশ্বের ভালো বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এবং ল্যাবের প্রফেসরদের। তাদের বর্তমান প্রেসিডেন্টও হংকং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট টনি এফ চ্যান। তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালো ভালো ল্যাব তৈরি করে দিল। এখন তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্বমানের গবেষণা হচ্ছে। জ্ঞানভিত্তিক জাতি হিসেবে তারা এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের দেশেও একই কাজ করতে হবে। উদাহরণ হিসেবে, পাঁচ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে একটি উচ্চশিক্ষা প্রকল্প নিতে হবে। শিক্ষক হিসেবে থাকবেন বিশ্বের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং ল্যাবের গবেষক। বাংলাদেশের ভালো শিক্ষার্থীদের সেখানে সুযোগ দিতে হবে। একজন ভালো গবেষক হিসেবে তৈরি হলে তাঁকে স্বীকৃতি দিতে হবে। চাকরির ক্ষেত্রে ইনক্রিমেন্ট দিতে হবে।
আমাদের সরকার যদি এভাবে চিন্তা করে, তাহলে এ দেশ থেকে ভালো ভালো গবেষক তৈরি হবে।
প্রশ্ন: আপনি নিজে রসায়নে পড়াশোনা করেছেন। বাংলাদেশে রসায়নে পড়ুয়াদের ক্যারিয়ারের সম্ভাবনা কতটুকু দেখছেন?
ড. রউফুল আলম: বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিষয় হিসেবে রসায়ন বেশ পুরোনো। যুগের সঙ্গে চাহিদা মিলিয়ে এ বিষয়ের ওপর উল্লেখযোগ্য কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে না। তবে আশার বিষয় হলো, আমাদের দেশ ওষুধ উৎপাদনে শতভাগের কাছাকাছি। কিন্তু ওষুধ তৈরির কাঁচামালের জন্য আমরা চীন, ভারতসহ বেশ কিছু দেশের ওপর নির্ভরশীল। এ নির্ভরশীলতা দূর করতে বর্তমানে মুন্সিগঞ্জে একটি (অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্টস) এপিআই পার্ক তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এটি রসায়ন পড়ুয়াদের জন্য একটি বড় ধরনের সুখবর। বর্তমানে বাংলাদেশে ওষুধের বাজার ৬ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু এ বাজার পুরোপুরি নিজেদের দেশে রাখতে হলে দরকার পার্ক তৈরির পাশাপাশি প্রয়োজনীয় জনশক্তিও প্রস্তুত রাখা। না হয় পার্ক বাংলাদেশে থাকবে, কিন্তু পার্কের কর্তাব্যক্তিরা গার্মেন্টস শিল্পের মতো বাইরের দেশ থেকে আসবেন। এ বিষয়ে এখন থেকেই সরকারের কাজ করা প্রয়োজন।
এ ধরনের বিশেষ বিশেষ সেক্টরকে নিয়ে আলাদা করে সরকার ও উদ্যোক্তাদের কাজ করতে হবে।
বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল-কলেজ) শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ইলেকট্রিক ফান্ড ট্রান্সফারের (ইএফটি) মাধ্যমে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ফলে নির্দিষ্ট সময়ে শিক্ষক-কর্মচারীরা স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে বেতন-ভাতা ব্যাংক হিসাব থেকে উত্তোলন করতে পারবেন
৩ ঘণ্টা আগে২০২৬ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার সিলেবাস নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্তে হয়নি বলে জানিয়েছে আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। আজ শুক্রবার আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এ তথ্য জানান
৪ ঘণ্টা আগেআগামী বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হবে আগামী ১ ডিসেম্বর। বিলম্ব ফি ছাড়া ফরম পূরণ করা যাবে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর ফি পরিশোধ করা যাবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর বিলম্ব ফিসহ ফি জমা দেওয়া যাবে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত
৪ ঘণ্টা আগেসাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি ২০২৪ সালের ফল সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়েছে। ১৩ ও ১৪ নভেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়টির মাল্টিপার হলে আয়োজিত মোট চারটি সেশনে বিভিন্ন বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেওয়া হয়।
৯ ঘণ্টা আগে