ইলিয়াস আহমেদ, ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ছাত্রলীগ এবং অ্যাম্বুলেন্স চালকদের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধ চলছে। এ বিরোধের জেরে হাসপাতালের ভেতর থেকে সব অ্যাম্বুলেন্স বাইরে সরিয়ে নিয়েছে চালকেরা। এতে আগের মতো রোগী নিয়ে চালকদের টানাটানি ও সিন্ডিকেট করে ভাড়া বাড়ানো বন্ধ হয়েছে। এ ছাড়া প্রায়ই ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ অসহায়দের সহযোগিতায় হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। এতে দুই পক্ষের বিরোধে রোগী ও তাদের স্বজনদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।
কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সম্প্রতি এক ছাত্রলীগ কর্মীর আত্মীয় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেলে এক অ্যাম্বুলেন্স চালক লাশ বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়। এ নিয়েই বিরোধের শুরু। পরে ক্যাম্পাসে ফিরে ওই নেতাসহ কয়েকজন মিলে কয়েকজন অ্যাম্বুলেন্স চালককে ডাকেন। তাঁদের কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে ছাত্রলীগ চালকদের ক্যাম্পাসের মধ্যে অ্যাম্বুলেন্স রাখতে নিষেধ করে। কিন্তু, চালকেরা স্থানীয় হওয়ায় এ নিষেধ তাঁরা মানতে চায়নি। পরে গত ৬ জুলাই মেডিকেল কলেজ শাখার নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে চাঁদার অভিযোগ তুলে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে বিক্ষোভ করে। এই ঘটনায় মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডা. আফতাব উদ্দিনকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। একই সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্স ক্যাম্পাসের বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত হয়।
প্রায় সময় হাসপাতালে আত্মীয়-স্বজনের চিকিৎসা করাতে আসা শেরপুরের শরাফ উদ্দিন বলেন, ময়মনসিংহ হাসপাতালের এখনকার পরিবেশের মত ভালো পরিবেশ কোনো দিন দেখিনি। রোগী দেখলেই আগে অ্যাম্বুলেন্স চালকেরা টানাটানি করত। সিন্ডিকেট করে ভাড়াও বেশি নিত। এখন ইমারজেন্সির সামনে অ্যাম্বুলেন্স না থাকায় আর হয়রানির স্বীকার হতে হচ্ছে না। এমন পরিবেশই হাসপাতালের জন্য ভালো।
অ্যাম্বুলেন্স চালক মো. হামিদুর রহমান মিয়া বলেন, প্রায় ২০ বছর ধরে অ্যাম্বুলেন্স চালাই। কোনো দিন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অথবা ছাত্রলীগের সঙ্গে বিরোধের ঘটনা ঘটেনি। সম্প্রতি বিরোধের ঘটনাকে অ্যাম্বুলেন্স চালকদেরই দায়ী করলেন তিনি। তিনি বলেন, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজকে কেন্দ্র করে শত শত অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। ইমারজেন্সির সামনে অনেকগুলো অ্যাম্বুলেন্স দাঁড়ানো থাকত। মানুষের যেমন হাতের পাঁচটি আঙুল সমান নয় তেমনি সব মানুষের আচার ব্যবহারও এক নয়। অ্যাম্বুলেন্স চালকেরা বেশির ভাব অশিক্ষিত। তাই হয়তো কোন শিক্ষার্থীকে কিছু বলে থাকতে পারে। কিন্তু মেডিকেলে পড়ে ছাত্ররা অ্যাম্বুলেন্স চালকদের কাছে টাকা চাঁদা দাবি করবে এটা বিশ্বাস হয় না।
মো. ফরহাদ আলম নামে আরেক অ্যাম্বুলেন্স চালক বলেন, আমাদের সঙ্গে এ পর্যন্ত কারও কোন বিরোধ হয়নি। কিন্তু হঠাৎ করে কি হলো তা বুঝে উঠতে পারিনি। মনে হচ্ছে নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এটির সমাধান করাই ভালো হবে।
অ্যাম্বুলেন্স চালক মালিক সমিতির সভাপতি সেলিম সারোয়ার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা অ্যাম্বুলেন্স ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। মানুষের সেবায় কাজ করছি, কারও বিরুদ্ধে লাগার জন্য না। কিন্তু ছাত্রলীগ ডেকে নিয়ে চাঁদা দাবি করবে এটা ভাবনার বাইরে ছিল। এ নিয়ে আমরা আন্দোলন অব্যাহত রাখতে চেয়েছিলাম। স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে আন্দোলন থেকে সরে এসেছি। অ্যাম্বুলেন্স চালকেরা একটু ভুল ভ্রান্তি যদিও করে থাকে তাহলে আমাদের বললেই হতো। কিন্তু এ নিয়ে চাঁদা দাবি করা ঠিক হয়নি। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলনও করা হয়েছে।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি অনুপম সাহা বলেন, অ্যাম্বুলেন্স চালকদের বাড়াবাড়ি ভিত্তিহীন। তারা অন্যায় করে সাধু সাজার চেষ্টা করছে। এ নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানিয়েছে। ছাত্রলীগ কারও প্রতিপক্ষ নয়, সকলের সহযোগী। আমাদের মেয়ে শিক্ষার্থীরা হাসপাতালে যাওয়া আসার সময় অ্যাম্বুলেন্স চালকেরা প্রায়ই খারাপ মন্তব্য করত। এ কারণে তাদের বলা হয়েছিল অ্যাম্বুলেন্স হাসপাতালের ভেতরে না রাখতে। কিন্তু তারা স্থানীয় ক্ষমতার প্রভাব কাটিয়ে ছাত্রলীগের ওপর অপবাদ দিয়ে এটিকে একটি ইস্যুতে রূপান্তরিত করতে চেয়েছে। কিন্তু, করোনা মহামারিতে ছাত্রলীগ সাধারণ মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. চিত্তরঞ্জন দেবনাথ বলেন, ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে অধ্যাপক ডা. আফতাব উদ্দিনকে প্রধান করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা রয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) রিপোর্ট হাতে পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ছাত্রলীগ এবং অ্যাম্বুলেন্স চালকদের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধ চলছে। এ বিরোধের জেরে হাসপাতালের ভেতর থেকে সব অ্যাম্বুলেন্স বাইরে সরিয়ে নিয়েছে চালকেরা। এতে আগের মতো রোগী নিয়ে চালকদের টানাটানি ও সিন্ডিকেট করে ভাড়া বাড়ানো বন্ধ হয়েছে। এ ছাড়া প্রায়ই ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ অসহায়দের সহযোগিতায় হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। এতে দুই পক্ষের বিরোধে রোগী ও তাদের স্বজনদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।
কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সম্প্রতি এক ছাত্রলীগ কর্মীর আত্মীয় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেলে এক অ্যাম্বুলেন্স চালক লাশ বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়। এ নিয়েই বিরোধের শুরু। পরে ক্যাম্পাসে ফিরে ওই নেতাসহ কয়েকজন মিলে কয়েকজন অ্যাম্বুলেন্স চালককে ডাকেন। তাঁদের কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে ছাত্রলীগ চালকদের ক্যাম্পাসের মধ্যে অ্যাম্বুলেন্স রাখতে নিষেধ করে। কিন্তু, চালকেরা স্থানীয় হওয়ায় এ নিষেধ তাঁরা মানতে চায়নি। পরে গত ৬ জুলাই মেডিকেল কলেজ শাখার নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে চাঁদার অভিযোগ তুলে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে বিক্ষোভ করে। এই ঘটনায় মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডা. আফতাব উদ্দিনকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। একই সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্স ক্যাম্পাসের বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত হয়।
প্রায় সময় হাসপাতালে আত্মীয়-স্বজনের চিকিৎসা করাতে আসা শেরপুরের শরাফ উদ্দিন বলেন, ময়মনসিংহ হাসপাতালের এখনকার পরিবেশের মত ভালো পরিবেশ কোনো দিন দেখিনি। রোগী দেখলেই আগে অ্যাম্বুলেন্স চালকেরা টানাটানি করত। সিন্ডিকেট করে ভাড়াও বেশি নিত। এখন ইমারজেন্সির সামনে অ্যাম্বুলেন্স না থাকায় আর হয়রানির স্বীকার হতে হচ্ছে না। এমন পরিবেশই হাসপাতালের জন্য ভালো।
অ্যাম্বুলেন্স চালক মো. হামিদুর রহমান মিয়া বলেন, প্রায় ২০ বছর ধরে অ্যাম্বুলেন্স চালাই। কোনো দিন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অথবা ছাত্রলীগের সঙ্গে বিরোধের ঘটনা ঘটেনি। সম্প্রতি বিরোধের ঘটনাকে অ্যাম্বুলেন্স চালকদেরই দায়ী করলেন তিনি। তিনি বলেন, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজকে কেন্দ্র করে শত শত অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। ইমারজেন্সির সামনে অনেকগুলো অ্যাম্বুলেন্স দাঁড়ানো থাকত। মানুষের যেমন হাতের পাঁচটি আঙুল সমান নয় তেমনি সব মানুষের আচার ব্যবহারও এক নয়। অ্যাম্বুলেন্স চালকেরা বেশির ভাব অশিক্ষিত। তাই হয়তো কোন শিক্ষার্থীকে কিছু বলে থাকতে পারে। কিন্তু মেডিকেলে পড়ে ছাত্ররা অ্যাম্বুলেন্স চালকদের কাছে টাকা চাঁদা দাবি করবে এটা বিশ্বাস হয় না।
মো. ফরহাদ আলম নামে আরেক অ্যাম্বুলেন্স চালক বলেন, আমাদের সঙ্গে এ পর্যন্ত কারও কোন বিরোধ হয়নি। কিন্তু হঠাৎ করে কি হলো তা বুঝে উঠতে পারিনি। মনে হচ্ছে নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এটির সমাধান করাই ভালো হবে।
অ্যাম্বুলেন্স চালক মালিক সমিতির সভাপতি সেলিম সারোয়ার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা অ্যাম্বুলেন্স ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। মানুষের সেবায় কাজ করছি, কারও বিরুদ্ধে লাগার জন্য না। কিন্তু ছাত্রলীগ ডেকে নিয়ে চাঁদা দাবি করবে এটা ভাবনার বাইরে ছিল। এ নিয়ে আমরা আন্দোলন অব্যাহত রাখতে চেয়েছিলাম। স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে আন্দোলন থেকে সরে এসেছি। অ্যাম্বুলেন্স চালকেরা একটু ভুল ভ্রান্তি যদিও করে থাকে তাহলে আমাদের বললেই হতো। কিন্তু এ নিয়ে চাঁদা দাবি করা ঠিক হয়নি। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলনও করা হয়েছে।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি অনুপম সাহা বলেন, অ্যাম্বুলেন্স চালকদের বাড়াবাড়ি ভিত্তিহীন। তারা অন্যায় করে সাধু সাজার চেষ্টা করছে। এ নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানিয়েছে। ছাত্রলীগ কারও প্রতিপক্ষ নয়, সকলের সহযোগী। আমাদের মেয়ে শিক্ষার্থীরা হাসপাতালে যাওয়া আসার সময় অ্যাম্বুলেন্স চালকেরা প্রায়ই খারাপ মন্তব্য করত। এ কারণে তাদের বলা হয়েছিল অ্যাম্বুলেন্স হাসপাতালের ভেতরে না রাখতে। কিন্তু তারা স্থানীয় ক্ষমতার প্রভাব কাটিয়ে ছাত্রলীগের ওপর অপবাদ দিয়ে এটিকে একটি ইস্যুতে রূপান্তরিত করতে চেয়েছে। কিন্তু, করোনা মহামারিতে ছাত্রলীগ সাধারণ মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. চিত্তরঞ্জন দেবনাথ বলেন, ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে অধ্যাপক ডা. আফতাব উদ্দিনকে প্রধান করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা রয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) রিপোর্ট হাতে পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিগত কয়েক বছর ধরে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য অফুরন্ত সম্ভাবনার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে হাঙ্গেরি। দেশটিতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা আধুনিক শিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি ক্যারিয়ার গঠনেরও সুযোগ পাচ্ছেন।
১৮ মিনিট আগেসংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ আয়োজন হলো বিতর্ক। ক্রমেই এটি জনপ্রিয় হচ্ছে। সব প্রতিযোগিতায় জয়-পরাজয় রয়েছে। বিতর্কও এর ব্যতিক্রম নয়। একজন উঁচুমানের বিতার্কিকও পরাজয়ের সম্মুখীন হতে পারেন।
১৯ মিনিট আগেআমেরিকান ব্যবসায়ী এবং লেখক রবার্ট তোরু কিয়োসাকির লেখা ‘রিচ ড্যাড পুওর ড্যাড’ বইটি ১৯৯৭ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। বইটি প্রকাশ হওয়ার পর থেকে ব্যক্তিগত আর্থিক উন্নতির বইয়ের ক্যাটাগরিতে বিশ্বের সর্বাধিক বিক্রীত হিসেবে স্বীকৃত।
১৯ মিনিট আগেরাশেদ হোসেন রনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন। ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন বদলে একসময় বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন বোনা শুরু করেন তিনি। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে রনি সফলও হয়েছেন।
২২ মিনিট আগে