জার্মানিতে বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে ইউনি-অ্যাসিস্ট। এই ওয়েবসাইটে বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচনের জন্য বিভিন্ন ফি নির্ধারণ করা হয়। এ ছাড়া প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কো-অর্ডিনেটরকে ই-মেইল করলে তারা জানিয়ে দেয়। তবে ইউনি-অ্যাসিস্ট হচ্ছে সবচেয়ে ভালো মাধ্যম। এ ছাড়া ডাড স্কলারশিপের মধ্যে দেওয়া থাকে কীভাবে আবেদন করতে হয়। অনেক সময় ই-মেইলে ভর্তি হওয়া যায়। ডাড স্কলারশিপে বিশ্ববিদ্যালয় সিলেক্ট করে ভর্তি হওয়া যায়। জার্মানিতে বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে ডাড আর ইউনি-অ্যাসিস্ট সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম।
জার্মানিতে স্কলারশিপ
জার্মানিতে ডাড হচ্ছে সবচেয়ে বড় স্কলারশিপ প্ল্যাটফর্ম। এতে বেসিক সায়েন্স, যেমন ফিজিকস, ম্যাথ, কেমিস্ট্রি, বায়োকেমিস্ট্রি, বায়োটেকনোলজি এবং ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ের ওপর স্কলারশিপ বেশি দেওয়া হয়। মেডিকেল বিষয়ে মোটামুটি কম। এ ছাড়া ইরাসমাস-মুন্ডাস স্কলারশিপ, আইনস্টাইন ইন্টারন্যাশনাল ফেলোশিপ, হামবোল্ট রিসার্চ ফেলোশিপ, হেনরিখ বোল স্কলারশিপ ইত্যাদি স্কলারশিপে পড়া যায়। স্কলারশিপে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি ফ্রি থাকে। এ ছাড়া ইউনিভার্সিটি বেজড স্কলারশিপ রয়েছে। সেগুলো জার্মান সম্পর্কে জানা এবং জার্মান ল্যাঙ্গুয়েজ লেভেল কতটুকু, তার ওপর নির্ভর করে। তবে ডাডই সবচেয়ে বড় স্কলারশিপ।
আবেদনের যোগ্যতা
জার্মানিতে আবেদনের জন্য পাসপোর্ট, এনআইডি, জন্মসনদ, নাগরিক সনদ লাগবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও ভিসার জন্যও কাগজপত্র লাগবে। আবেদনের ক্ষেত্রে অনার্সে আবেদন না করাই ভালো। কারণ, এতে তেমন স্কলারশিপ পাওয়া যায় না। পাশাপাশি খরচও অনেক বেশি। স্নাতকোত্তরে আবেদনের জন্য স্নাতকের ট্রান্সস্ক্রিপ্ট, কাজের অভিজ্ঞতা, মোটিভেশনাল লেটার, ইউরোপাস ফরম্যাটের সিভি, রিকমেন্ডেশন লেটার, আইইএলটিএস স্কোর ন্যূনতম ৬ হতে হবে। কোনো ব্যান্ডে ৬-এর নিচে থাকা যাবে না। নির্দিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় অনুযায়ী যোগ্যতা পূরণ করতে হবে। এতে আইইএলটিএস স্কোর ন্যূনতম ৬ এবং স্নাতকের ফল সিজিপিএ ৩ পয়েন্ট হলে ভালো হয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয় অনুযায়ী এর থেকে কম স্কোর ও পয়েন্টে হওয়া যায়।
কোন সময় আবেদন
জার্মানিতে উইন্টার সেশন অক্টোবরে এবং স্প্রিং সেশন শুরু হয় ফেব্রুয়ারিতে। জার্মানি উইন্টারে সবচেয়ে বেশি কোর্স অফার করে। ইউনি-অ্যাসিস্টে সব ডেডলাইন দেওয়া থাকে। তা ছাড়া তারা এ নিয়মই ফলো করে। বছরের দুই সেমিস্টারে আবেদন করা যায়। এতে ভিসা জটিলতা হলে অন্য সেমিস্টারে যাওয়ার সুযোগ থাকে। ইয়ার রাউন্ডে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় সুযোগ দেয়। এতে আবেদনের জন্য সেমিস্টার শুরু হওয়ার দুই-তিন মাস আগে সার্কুলার জারি করা হয়। সেখানে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আবেদন করতে বলা হয়।
যেভাবে আবেদন
আবেদনের ক্ষেত্রে প্রথমেই ইউনি-অ্যাসিস্টে একটা অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। ইউজার নেম এবং পাসওয়ার্ড সংরক্ষিত রাখতে হবে। ওয়েবসাইটে সাবজেক্ট চয়েস বারে ক্লিক করলে ইউনিভার্সিটি, স্কলারশিপে আবেদন—সব তথ্যই চলে আসবে। আবেদনের ক্ষেত্রে প্রথমবারের জন্য কোনো টাকা দিতে হবে না। তবে বেশি আবেদন করলে ইউনিভার্সিটি অনুযায়ী ৩০০-৭০০ ইউরো খরচ গুনতে হবে। উচ্চমানের ইউনিভার্সিটিতে আবেদনে খরচটা একটু বেশি আসে। শহরের বাইরের ক্যাম্পাসগুলোতে আবেদনের খরচ কম। ওয়েবসাইট অনুযায়ী আবেদন করতে হবে। এতে ইন্টারন্যাশনাল মাস্টারকার্ড বা ভিসা কার্ড লাগবে। টাকা ইউরোতে কনভার্ট করে আবেদন করা যাবে। প্রধানত অনলাইন বেজড আবেদন করতে হয়।
জার্মান ভাষা শিখব
জার্মান ভাষা শেখা ভালো। তাই বলে জার্মান ভাষা শেখা নেই এবং যাওয়ার আগে জার্মান ভাষা শিখতে হবে, এমন নয়। জার্মানিতে থাকতে জার্মান ভাষা শেখার অনেক সুযোগ রয়েছে। জার্মানিতে ইন্টারন্যাশনাল শিক্ষার্থীদের ভাষার কোর্স করানো হয় এবং ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব রয়েছে। তা ছাড়া প্রাইভেটভাবে জার্মান ভাষা শেখা যায়। স্টুডেন্টদের জন্য মাস্টার্স প্রোগ্রাম ইংরেজি বেজড হয়ে থাকে। যাঁরা জার্মানিতে যাবেন অনার্সের শেষ দিকে এসে জার্মান ভাষা শিখতে পারেন। ঢাকায় গ্যোটে ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাঙ্গুয়েজ ইনস্টিটিউটে জার্মান ভাষা শেখানো হয়। এ ছাড়া অনলাইনে জার্মান ভাষা শেখার জন্য ইউটিউবে ভিডিও আছে। জার্মান ভাষা শিখে গেলে ছাত্র অবস্থায় চাকরি পাওয়া, ডাক্তার দেখানো, শপিং করা—এ ধরনের জায়গায় সুবিধা পাওয়া যাবে। ভাষা শিখে গেলে অন্যদের তুলনায় এগিয়ে থাকা যাবে। তবে ভাষা না শিখলেও তেমন সমস্যা নেই।
পড়ালেখার পাশাপাশি কাজ
জার্মানিতে লেখাপড়ার পাশাপাশি সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা কাজ করার সুযোগ থাকবে। বড় শহরগুলোতে কাজের সুযোগ বেশি। আর ছোট শহরে কাজের সুযোগ কম। গ্রীষ্মকালে তিন মাস বন্ধ থাকে, তখন চাইলে ফুলটাইম কাজ করা যাবে। অনেক সময় ইউনিভার্সিটিগুলোতে কাজের সুযোগ থাকে। প্রথমদিকে ক্যাফেটেরিয়া, ক্লিনিং, ওয়েটার এসব ছোটখাটো কাজ করতে হয়। এ ছাড়া হোটেল, রেস্তোরাঁ, বারে কাজসহ ফুড ডেলিভারি হিসেবে কাজ করা যায়। তবে লেখাপড়ার ক্ষতি করে কাজ করা ঠিক নয়। দুই বছরের মাস্টার্স কোর্স পাঁচ বছরের মধ্যে করতে না পারলে জার্মানি ছাড়তে হবে। স্টুডেন্টরা পড়াশোনা করছেন কি না, ভিসা ঠিক আছে কি না; তারা এসব তদারকি করে। বিদেশে নিজের সম্মান রাখার পাশাপাশি দেশের সম্মানও রাখবে। ইউনিভার্সিটির কাছাকাছি কাজ পাওয়াটা ভাগ্যের ব্যাপার। আমি নিজেও রেস্টুরেন্টে কাজ করেছি। আবার পড়াশোনার ক্ষতি হলে কাজ বাদ দিয়েছি।
জার্মানিতে চাকরির সুযোগ
যে সাবজেক্টে উচ্চশিক্ষা নেবে জার্মানিতে সেই সাবজেক্টে চাকরি খুঁজতে হবে। সে জন্য পড়াশোনার পর প্রায় ১৮ মাস জার্মান সরকার সময় দিয়ে থাকে। এর মধ্যে জার্মান ভাষা বি-১ লেভেলে নিয়ে গেলে সেটা প্রমাণ করতে হবে। চাকরির সুবাদে জার্মানিতে সেটেল্ড হওয়া যায়। লেখাপড়ার পাশাপাশি অনেক বাংলাদেশি সেখানে চাকরি করছেন। তবে চাকরি খুঁজে না পেলে নিরাশ হওয়ার কিছু নেই। অনেক সাবজেক্টে পড়াশোনার পাশাপাশি ইন্টার্নশিপ করতে হয়। গ্র্যাজুয়েশনের পর সেসব প্রতিষ্ঠানে এমনিতে চাকরি হয়ে যায়। প্রতিষ্ঠানগুলো তখন ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর ক্ষেত্রে সহযোগিতা করে থাকে। এ ছাড়া অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে। ভাষা সমস্যা ও শারীরিক অক্ষমতা না থাকলে ১৮ মাসের মধ্যে জার্মানিতে চাকরি পাওয়া কঠিন বিষয় নয়।
অনুলিখন: আনিসুল ইসলাম নাঈম
জার্মানিতে বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে ইউনি-অ্যাসিস্ট। এই ওয়েবসাইটে বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচনের জন্য বিভিন্ন ফি নির্ধারণ করা হয়। এ ছাড়া প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কো-অর্ডিনেটরকে ই-মেইল করলে তারা জানিয়ে দেয়। তবে ইউনি-অ্যাসিস্ট হচ্ছে সবচেয়ে ভালো মাধ্যম। এ ছাড়া ডাড স্কলারশিপের মধ্যে দেওয়া থাকে কীভাবে আবেদন করতে হয়। অনেক সময় ই-মেইলে ভর্তি হওয়া যায়। ডাড স্কলারশিপে বিশ্ববিদ্যালয় সিলেক্ট করে ভর্তি হওয়া যায়। জার্মানিতে বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে ডাড আর ইউনি-অ্যাসিস্ট সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম।
জার্মানিতে স্কলারশিপ
জার্মানিতে ডাড হচ্ছে সবচেয়ে বড় স্কলারশিপ প্ল্যাটফর্ম। এতে বেসিক সায়েন্স, যেমন ফিজিকস, ম্যাথ, কেমিস্ট্রি, বায়োকেমিস্ট্রি, বায়োটেকনোলজি এবং ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ের ওপর স্কলারশিপ বেশি দেওয়া হয়। মেডিকেল বিষয়ে মোটামুটি কম। এ ছাড়া ইরাসমাস-মুন্ডাস স্কলারশিপ, আইনস্টাইন ইন্টারন্যাশনাল ফেলোশিপ, হামবোল্ট রিসার্চ ফেলোশিপ, হেনরিখ বোল স্কলারশিপ ইত্যাদি স্কলারশিপে পড়া যায়। স্কলারশিপে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি ফ্রি থাকে। এ ছাড়া ইউনিভার্সিটি বেজড স্কলারশিপ রয়েছে। সেগুলো জার্মান সম্পর্কে জানা এবং জার্মান ল্যাঙ্গুয়েজ লেভেল কতটুকু, তার ওপর নির্ভর করে। তবে ডাডই সবচেয়ে বড় স্কলারশিপ।
আবেদনের যোগ্যতা
জার্মানিতে আবেদনের জন্য পাসপোর্ট, এনআইডি, জন্মসনদ, নাগরিক সনদ লাগবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও ভিসার জন্যও কাগজপত্র লাগবে। আবেদনের ক্ষেত্রে অনার্সে আবেদন না করাই ভালো। কারণ, এতে তেমন স্কলারশিপ পাওয়া যায় না। পাশাপাশি খরচও অনেক বেশি। স্নাতকোত্তরে আবেদনের জন্য স্নাতকের ট্রান্সস্ক্রিপ্ট, কাজের অভিজ্ঞতা, মোটিভেশনাল লেটার, ইউরোপাস ফরম্যাটের সিভি, রিকমেন্ডেশন লেটার, আইইএলটিএস স্কোর ন্যূনতম ৬ হতে হবে। কোনো ব্যান্ডে ৬-এর নিচে থাকা যাবে না। নির্দিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় অনুযায়ী যোগ্যতা পূরণ করতে হবে। এতে আইইএলটিএস স্কোর ন্যূনতম ৬ এবং স্নাতকের ফল সিজিপিএ ৩ পয়েন্ট হলে ভালো হয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয় অনুযায়ী এর থেকে কম স্কোর ও পয়েন্টে হওয়া যায়।
কোন সময় আবেদন
জার্মানিতে উইন্টার সেশন অক্টোবরে এবং স্প্রিং সেশন শুরু হয় ফেব্রুয়ারিতে। জার্মানি উইন্টারে সবচেয়ে বেশি কোর্স অফার করে। ইউনি-অ্যাসিস্টে সব ডেডলাইন দেওয়া থাকে। তা ছাড়া তারা এ নিয়মই ফলো করে। বছরের দুই সেমিস্টারে আবেদন করা যায়। এতে ভিসা জটিলতা হলে অন্য সেমিস্টারে যাওয়ার সুযোগ থাকে। ইয়ার রাউন্ডে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় সুযোগ দেয়। এতে আবেদনের জন্য সেমিস্টার শুরু হওয়ার দুই-তিন মাস আগে সার্কুলার জারি করা হয়। সেখানে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আবেদন করতে বলা হয়।
যেভাবে আবেদন
আবেদনের ক্ষেত্রে প্রথমেই ইউনি-অ্যাসিস্টে একটা অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। ইউজার নেম এবং পাসওয়ার্ড সংরক্ষিত রাখতে হবে। ওয়েবসাইটে সাবজেক্ট চয়েস বারে ক্লিক করলে ইউনিভার্সিটি, স্কলারশিপে আবেদন—সব তথ্যই চলে আসবে। আবেদনের ক্ষেত্রে প্রথমবারের জন্য কোনো টাকা দিতে হবে না। তবে বেশি আবেদন করলে ইউনিভার্সিটি অনুযায়ী ৩০০-৭০০ ইউরো খরচ গুনতে হবে। উচ্চমানের ইউনিভার্সিটিতে আবেদনে খরচটা একটু বেশি আসে। শহরের বাইরের ক্যাম্পাসগুলোতে আবেদনের খরচ কম। ওয়েবসাইট অনুযায়ী আবেদন করতে হবে। এতে ইন্টারন্যাশনাল মাস্টারকার্ড বা ভিসা কার্ড লাগবে। টাকা ইউরোতে কনভার্ট করে আবেদন করা যাবে। প্রধানত অনলাইন বেজড আবেদন করতে হয়।
জার্মান ভাষা শিখব
জার্মান ভাষা শেখা ভালো। তাই বলে জার্মান ভাষা শেখা নেই এবং যাওয়ার আগে জার্মান ভাষা শিখতে হবে, এমন নয়। জার্মানিতে থাকতে জার্মান ভাষা শেখার অনেক সুযোগ রয়েছে। জার্মানিতে ইন্টারন্যাশনাল শিক্ষার্থীদের ভাষার কোর্স করানো হয় এবং ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব রয়েছে। তা ছাড়া প্রাইভেটভাবে জার্মান ভাষা শেখা যায়। স্টুডেন্টদের জন্য মাস্টার্স প্রোগ্রাম ইংরেজি বেজড হয়ে থাকে। যাঁরা জার্মানিতে যাবেন অনার্সের শেষ দিকে এসে জার্মান ভাষা শিখতে পারেন। ঢাকায় গ্যোটে ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাঙ্গুয়েজ ইনস্টিটিউটে জার্মান ভাষা শেখানো হয়। এ ছাড়া অনলাইনে জার্মান ভাষা শেখার জন্য ইউটিউবে ভিডিও আছে। জার্মান ভাষা শিখে গেলে ছাত্র অবস্থায় চাকরি পাওয়া, ডাক্তার দেখানো, শপিং করা—এ ধরনের জায়গায় সুবিধা পাওয়া যাবে। ভাষা শিখে গেলে অন্যদের তুলনায় এগিয়ে থাকা যাবে। তবে ভাষা না শিখলেও তেমন সমস্যা নেই।
পড়ালেখার পাশাপাশি কাজ
জার্মানিতে লেখাপড়ার পাশাপাশি সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা কাজ করার সুযোগ থাকবে। বড় শহরগুলোতে কাজের সুযোগ বেশি। আর ছোট শহরে কাজের সুযোগ কম। গ্রীষ্মকালে তিন মাস বন্ধ থাকে, তখন চাইলে ফুলটাইম কাজ করা যাবে। অনেক সময় ইউনিভার্সিটিগুলোতে কাজের সুযোগ থাকে। প্রথমদিকে ক্যাফেটেরিয়া, ক্লিনিং, ওয়েটার এসব ছোটখাটো কাজ করতে হয়। এ ছাড়া হোটেল, রেস্তোরাঁ, বারে কাজসহ ফুড ডেলিভারি হিসেবে কাজ করা যায়। তবে লেখাপড়ার ক্ষতি করে কাজ করা ঠিক নয়। দুই বছরের মাস্টার্স কোর্স পাঁচ বছরের মধ্যে করতে না পারলে জার্মানি ছাড়তে হবে। স্টুডেন্টরা পড়াশোনা করছেন কি না, ভিসা ঠিক আছে কি না; তারা এসব তদারকি করে। বিদেশে নিজের সম্মান রাখার পাশাপাশি দেশের সম্মানও রাখবে। ইউনিভার্সিটির কাছাকাছি কাজ পাওয়াটা ভাগ্যের ব্যাপার। আমি নিজেও রেস্টুরেন্টে কাজ করেছি। আবার পড়াশোনার ক্ষতি হলে কাজ বাদ দিয়েছি।
জার্মানিতে চাকরির সুযোগ
যে সাবজেক্টে উচ্চশিক্ষা নেবে জার্মানিতে সেই সাবজেক্টে চাকরি খুঁজতে হবে। সে জন্য পড়াশোনার পর প্রায় ১৮ মাস জার্মান সরকার সময় দিয়ে থাকে। এর মধ্যে জার্মান ভাষা বি-১ লেভেলে নিয়ে গেলে সেটা প্রমাণ করতে হবে। চাকরির সুবাদে জার্মানিতে সেটেল্ড হওয়া যায়। লেখাপড়ার পাশাপাশি অনেক বাংলাদেশি সেখানে চাকরি করছেন। তবে চাকরি খুঁজে না পেলে নিরাশ হওয়ার কিছু নেই। অনেক সাবজেক্টে পড়াশোনার পাশাপাশি ইন্টার্নশিপ করতে হয়। গ্র্যাজুয়েশনের পর সেসব প্রতিষ্ঠানে এমনিতে চাকরি হয়ে যায়। প্রতিষ্ঠানগুলো তখন ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর ক্ষেত্রে সহযোগিতা করে থাকে। এ ছাড়া অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে। ভাষা সমস্যা ও শারীরিক অক্ষমতা না থাকলে ১৮ মাসের মধ্যে জার্মানিতে চাকরি পাওয়া কঠিন বিষয় নয়।
অনুলিখন: আনিসুল ইসলাম নাঈম
সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি ২০২৪ সালের ফল সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়েছে। ১৩ ও ১৪ নভেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়টির মাল্টিপার হলে আয়োজিত মোট চারটি সেশনে বিভিন্ন বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেওয়া হয়।
৫ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল এবং গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের আইকিউএসি’র যৌথ উদ্যোগে ‘প্রিপারেশন ফর অ্যাক্রেডিটেশন: ডকুমেন্টেশন অ্যান্ড এভিডেন্স’ শীর্ষক একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার গ্রিন ইউনিভার্সিটির সিন্ডিকেট রুমে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
১৯ ঘণ্টা আগেএইচএসসি পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফল পুনর্নিরীক্ষণে ৯ টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে ৪ হাজার ৪০৫ জন শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে। ফেল থেকে পাস করেছেন ৮৭২ জন, নতুন করে জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন ৫৯২ জন। আর ফেল থেকে জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন ২ জন।
১ দিন আগেমেরিন ফিশারিজ একাডেমি (এমএফএ) বা বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ একাডেমি (বিএমএফএ) মৎস্য শিল্প, বণিক জাহাজ এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট মেরিটাইম শিল্পগুলোতে প্রবেশ করতে আগ্রহী ক্যাডেটদের জন্য বাংলাদেশ সরকারের একটি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান। এটি বাংলাদেশের একমাত্র সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বা
১ দিন আগে