শাহ বিলিয়া জুলফিকার
উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে প্রত্যেক শিক্ষার্থীরই স্বপ্ন থাকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি আসন নিশ্চিত করার। মেধাবীদের স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অন্যতম হলো বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। বুয়েটে সুযোগ পেতে একজন শিক্ষার্থীকে ভিন্ন রকম চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। কেননা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা থেকে এটি একটু আলাদা। একজন শিক্ষার্থী কীভাবে বুয়েট ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে একটি আসন নিশ্চিত করবে, নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে সেই পরামর্শ দিয়েছেন ২০২১-২২ সেশনে বুয়েট ভর্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয় হওয়া আবির আহমেদ হাসনাইন।
ভর্তি পরীক্ষায় সবচেয়ে বেশি জরুরি মানসিক প্রস্তুতি রাখা। ভর্তির ভিন্ন ভিন্ন প্যাটার্নে একাধিক পরীক্ষা দেওয়া হয়। যথাযথ পরিকল্পনা ও মানসিক প্রস্তুতির অভাবে পরীক্ষার জন্য পূর্বপ্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও পরীক্ষায় ভালো করা যায় না। পরীক্ষাভীতি দূর করা এবং সময় ব্যবস্থাপনা করে মানসিক প্রস্তুতি ভালো করার সর্বোত্তম উপায় হলো নিয়মিত মডেল টেস্ট দেওয়া।
পরীক্ষা পদ্ধতি
বর্তমানে বুয়েট ভর্তি পরীক্ষা দুভাবে হয়ে থাকে। প্রথমে মাধ্যমিক পরীক্ষার গণিত, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়ন বিষয়ের ফলাফলের ভিত্তিতে আবেদনকারীদের প্রথম ২০ হাজার জন প্রাক্-নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। এমসিকিউ পদ্ধতিতে মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা হবে। এরপর প্রাক্-নির্বাচনী পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে প্রথম ৬ হাজার জন চূড়ান্ত ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। মূল ভর্তি পরীক্ষায় কোনো এমসিকিউ প্রশ্ন থাকবে না এবং সব প্রশ্ন প্রচলিত লিখিত পদ্ধতিতে হবে। পরীক্ষা হবে দুটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে। গ্রুপ ‘ক’ হলো ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগসমূহ এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ এবং গ্রুপ’ খ’ হলো ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগসমূহ, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ এবং স্থাপত্য বিভাগ।
গণিতের প্রস্তুতি
যেহেতু প্রাক্-নির্বাচনী, মূল ভর্তি পরীক্ষার তিন বিষয়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নম্বর বরাদ্দ থাকে গণিতে। তাই গণিতে অধিক গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে। এমসিকিউ দ্রুত সমাধান করার জন্য যথাযথ ব্যাখ্যাসহ সংক্ষিপ্ত পদ্ধতি অনুশীলন করা জরুরি। আর ভর্তি পরীক্ষায় যেহেতু ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যায়, ফলে ক্যালকুলেটরের কৌশলগত ব্যবহার সম্পর্কেও পূর্ণ ধারণা রাখতে হবে। প্রতিবছর যে অধ্যায়গুলো থেকে বেশি প্রশ্ন আসে, সেগুলো মনোযোগসহকারে পড়তে হবে। গণিতে ভালো করতে অনুশীলনের বিকল্প নেই।
পদার্থবিজ্ঞানের প্রস্তুতি
অধিকাংশ শিক্ষার্থীর সবচেয়ে বেশি ভীতি কাজ করে পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে। কিন্তু ভালো প্রস্তুতি নিলে এ বিষয়ে ভালো করা সম্ভব। বিগত বছর ও বোর্ড বইয়ের অনুশীলনমূলক গাণিতিক সমস্যা বুঝে পড়ার বিকল্প নেই। পাশাপাশি এমসিকিউ অংশে ভালো করতে ব্যাখ্যাসহ ট্রিক্স অবশ্যই মনে রাখতে হবে। প্রতিটি অধ্যায়ের সূত্রগুলো আলাদা মুখস্থ করার থেকে গাণিতিক সমস্যা অনুশীলনের মাধ্যমে মনে রাখতে পারলে ভালো হয়। বইয়ের প্রতিটি অধ্যায়ের খুঁটিনাটি বিষয় মনোযোগসহকারে এবং অবশ্যই বুঝে পড়তে হবে। থিওরিগুলো সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকতে হবে। তাহলে সহজে মনে থাকবে।
রসায়নের প্রস্তুতি
কয়েক বছর ধরে সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন সহজ হচ্ছে রসায়ন বিষয়ে। মূল বইয়ের ব্যাখ্যামূলক তথ্য-উপাত্তের পাশাপাশি সাধারণ গাণিতিক সমস্যাগুলো অনুশীলনের মাধ্যমে এ বিষয়ের প্রস্তুতি জোরদার করা সম্ভব; বিশেষ করে নানা বিষয়ের ব্যতিক্রমী নিয়মাবলি রসায়নের জন্য ভালো করে পড়তে হবে। তা ছাড়া জৈব রসায়ন অংশের বিক্রিয়া ও রূপান্তর এবং সংকেত গুরুত্বসহকারে অধ্যয়ন করতে হবে। রসায়নের প্রশ্ন যদিও গণিত বা পদার্থবিজ্ঞানের মতো এতটা কঠিন হয় না; তবু বিষয়টিতে অনেক সময় দিতে হবে, বিশেষ করে জৈব রসায়নে। রসায়ন যত বেশি চর্চা করবে, তত ভালো করা সম্ভব।
লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি
বুয়েট মূল ভর্তি পরীক্ষা তথা লিখিত পরীক্ষার মূল বিষয় হলো, এখানে প্রশ্নপত্রের নিচে নির্ধারিত বক্সের ভেতরে উত্তর করতে হয়। তাই শুরু থেকে স্বল্প জায়গায় গণিত, পদার্থ ও রসায়নের সমস্যাবলি সমাধানের চেষ্টা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সময়ও মাথায় রাখতে হবে। কেননা ভর্তি পরীক্ষায় সময়ও অধিক গুরুত্বপূর্ণ। একই পরীক্ষা যেটি বোর্ড পরীক্ষায় বিস্তারিত এবং বড় করে উত্তর করতে হতো, সেটি স্বল্প সময়ে দ্রুত উত্তর করতে হবে। কেননা নির্ধারিত সময়ের ভেতর সবকিছু লেখা দক্ষতার বিষয়।
অনুলিখন: শাহ বিলিয়া জুলফিকার
উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে প্রত্যেক শিক্ষার্থীরই স্বপ্ন থাকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি আসন নিশ্চিত করার। মেধাবীদের স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অন্যতম হলো বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। বুয়েটে সুযোগ পেতে একজন শিক্ষার্থীকে ভিন্ন রকম চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। কেননা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা থেকে এটি একটু আলাদা। একজন শিক্ষার্থী কীভাবে বুয়েট ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে একটি আসন নিশ্চিত করবে, নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে সেই পরামর্শ দিয়েছেন ২০২১-২২ সেশনে বুয়েট ভর্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয় হওয়া আবির আহমেদ হাসনাইন।
ভর্তি পরীক্ষায় সবচেয়ে বেশি জরুরি মানসিক প্রস্তুতি রাখা। ভর্তির ভিন্ন ভিন্ন প্যাটার্নে একাধিক পরীক্ষা দেওয়া হয়। যথাযথ পরিকল্পনা ও মানসিক প্রস্তুতির অভাবে পরীক্ষার জন্য পূর্বপ্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও পরীক্ষায় ভালো করা যায় না। পরীক্ষাভীতি দূর করা এবং সময় ব্যবস্থাপনা করে মানসিক প্রস্তুতি ভালো করার সর্বোত্তম উপায় হলো নিয়মিত মডেল টেস্ট দেওয়া।
পরীক্ষা পদ্ধতি
বর্তমানে বুয়েট ভর্তি পরীক্ষা দুভাবে হয়ে থাকে। প্রথমে মাধ্যমিক পরীক্ষার গণিত, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়ন বিষয়ের ফলাফলের ভিত্তিতে আবেদনকারীদের প্রথম ২০ হাজার জন প্রাক্-নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। এমসিকিউ পদ্ধতিতে মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা হবে। এরপর প্রাক্-নির্বাচনী পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে প্রথম ৬ হাজার জন চূড়ান্ত ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। মূল ভর্তি পরীক্ষায় কোনো এমসিকিউ প্রশ্ন থাকবে না এবং সব প্রশ্ন প্রচলিত লিখিত পদ্ধতিতে হবে। পরীক্ষা হবে দুটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে। গ্রুপ ‘ক’ হলো ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগসমূহ এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ এবং গ্রুপ’ খ’ হলো ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগসমূহ, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ এবং স্থাপত্য বিভাগ।
গণিতের প্রস্তুতি
যেহেতু প্রাক্-নির্বাচনী, মূল ভর্তি পরীক্ষার তিন বিষয়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নম্বর বরাদ্দ থাকে গণিতে। তাই গণিতে অধিক গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে। এমসিকিউ দ্রুত সমাধান করার জন্য যথাযথ ব্যাখ্যাসহ সংক্ষিপ্ত পদ্ধতি অনুশীলন করা জরুরি। আর ভর্তি পরীক্ষায় যেহেতু ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যায়, ফলে ক্যালকুলেটরের কৌশলগত ব্যবহার সম্পর্কেও পূর্ণ ধারণা রাখতে হবে। প্রতিবছর যে অধ্যায়গুলো থেকে বেশি প্রশ্ন আসে, সেগুলো মনোযোগসহকারে পড়তে হবে। গণিতে ভালো করতে অনুশীলনের বিকল্প নেই।
পদার্থবিজ্ঞানের প্রস্তুতি
অধিকাংশ শিক্ষার্থীর সবচেয়ে বেশি ভীতি কাজ করে পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে। কিন্তু ভালো প্রস্তুতি নিলে এ বিষয়ে ভালো করা সম্ভব। বিগত বছর ও বোর্ড বইয়ের অনুশীলনমূলক গাণিতিক সমস্যা বুঝে পড়ার বিকল্প নেই। পাশাপাশি এমসিকিউ অংশে ভালো করতে ব্যাখ্যাসহ ট্রিক্স অবশ্যই মনে রাখতে হবে। প্রতিটি অধ্যায়ের সূত্রগুলো আলাদা মুখস্থ করার থেকে গাণিতিক সমস্যা অনুশীলনের মাধ্যমে মনে রাখতে পারলে ভালো হয়। বইয়ের প্রতিটি অধ্যায়ের খুঁটিনাটি বিষয় মনোযোগসহকারে এবং অবশ্যই বুঝে পড়তে হবে। থিওরিগুলো সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকতে হবে। তাহলে সহজে মনে থাকবে।
রসায়নের প্রস্তুতি
কয়েক বছর ধরে সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন সহজ হচ্ছে রসায়ন বিষয়ে। মূল বইয়ের ব্যাখ্যামূলক তথ্য-উপাত্তের পাশাপাশি সাধারণ গাণিতিক সমস্যাগুলো অনুশীলনের মাধ্যমে এ বিষয়ের প্রস্তুতি জোরদার করা সম্ভব; বিশেষ করে নানা বিষয়ের ব্যতিক্রমী নিয়মাবলি রসায়নের জন্য ভালো করে পড়তে হবে। তা ছাড়া জৈব রসায়ন অংশের বিক্রিয়া ও রূপান্তর এবং সংকেত গুরুত্বসহকারে অধ্যয়ন করতে হবে। রসায়নের প্রশ্ন যদিও গণিত বা পদার্থবিজ্ঞানের মতো এতটা কঠিন হয় না; তবু বিষয়টিতে অনেক সময় দিতে হবে, বিশেষ করে জৈব রসায়নে। রসায়ন যত বেশি চর্চা করবে, তত ভালো করা সম্ভব।
লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি
বুয়েট মূল ভর্তি পরীক্ষা তথা লিখিত পরীক্ষার মূল বিষয় হলো, এখানে প্রশ্নপত্রের নিচে নির্ধারিত বক্সের ভেতরে উত্তর করতে হয়। তাই শুরু থেকে স্বল্প জায়গায় গণিত, পদার্থ ও রসায়নের সমস্যাবলি সমাধানের চেষ্টা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সময়ও মাথায় রাখতে হবে। কেননা ভর্তি পরীক্ষায় সময়ও অধিক গুরুত্বপূর্ণ। একই পরীক্ষা যেটি বোর্ড পরীক্ষায় বিস্তারিত এবং বড় করে উত্তর করতে হতো, সেটি স্বল্প সময়ে দ্রুত উত্তর করতে হবে। কেননা নির্ধারিত সময়ের ভেতর সবকিছু লেখা দক্ষতার বিষয়।
অনুলিখন: শাহ বিলিয়া জুলফিকার
সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি ২০২৪ সালের ফল সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়েছে। ১৩ ও ১৪ নভেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়টির মাল্টিপার হলে আয়োজিত মোট চারটি সেশনে বিভিন্ন বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেওয়া হয়।
২ ঘণ্টা আগেরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে অনশন করছেন শিক্ষার্থীরা। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জোহা চত্বরে অবস্থান নিয়ে আমরণ অনশন শুরু করেন তিন শিক্ষার্থী। পরে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হন।
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল এবং গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের আইকিউএসি’র যৌথ উদ্যোগে ‘প্রিপারেশন ফর অ্যাক্রেডিটেশন: ডকুমেন্টেশন অ্যান্ড এভিডেন্স’ শীর্ষক একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার গ্রিন ইউনিভার্সিটির সিন্ডিকেট রুমে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
১৬ ঘণ্টা আগেএইচএসসি পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফল পুনর্নিরীক্ষণে ৯ টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে ৪ হাজার ৪০৫ জন শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে। ফেল থেকে পাস করেছেন ৮৭২ জন, নতুন করে জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন ৫৯২ জন। আর ফেল থেকে জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন ২ জন।
১৯ ঘণ্টা আগে