মো. হারুনুর রশিদ
যেকোনো জায়গায় প্রথম হতে পারাটা অবশ্যই আনন্দের। এ ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম নয়। তবে নিজ ক্যাডারে প্রথম হওয়ার চেয়ে ক্যাডার সার্ভিসের মতো মর্যাদাপূর্ণ চাকরির সুযোগ পাওয়াটাকেই আমি বড় করে দেখতে চাই। দেশের এত এত মেধাবী চাকরিপ্রার্থীর মধ্য থেকে এ রকম সুযোগ পাওয়াটাই সৌভাগ্যের বিষয়।
স্বপ্ন দেখা যখন শুরু
একেবারে ছোটবেলায় এই স্বপ্ন দেখেছি এমনটা নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার শেষ দিকে এসে বিসিএস ক্যাডার হতে চেয়েছি।
ক্যাডার হওয়ার গল্প
আসলে পড়াশোনা শেষ করে বিসিএস ক্যাডার হব, এমন চিন্তাভাবনা ছিল না। আমি চেয়েছিলাম ব্যাংকার হতে। এর পেছনের অবশ্য কারণ আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় মনে হতো বিসিএস ক্যাডার হওয়া দুঃসাধ্য ব্যাপার। পরে অনার্স তৃতীয় বর্ষের শেষদিকে এসে আমার কয়েকজন কাছের বড় ভাইকে (বিশ্ববিদ্যালয়ের) বিসিএস ক্যাডার হতে দেখে আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়। তারপর থেকেই মূলত বিসিএসের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করি। অনার্স পরীক্ষার কিছুদিন পরই ৩৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা ছিল। প্রথমবারের চেষ্টায় প্রিলিমিনারি পাস করি। লিখিত পরীক্ষার জন্য হাতে সময় ছিল মাত্র তিন মাসের মতো। নতুন বিপত্তি ঘটল মাস্টার্স পরীক্ষা নিয়ে। মাস্টার্স পরীক্ষার মাত্র ১৫ দিন পরই লিখিত পরীক্ষা ছিল। সে যাত্রায় বেঁচে গেলাম। ভাইভার মাত্র ৬ দিন আগে বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনে (বিএইচবিএফসি) সিনিয়র অফিসারের চাকরি পাই। যা আমাকে আত্মবিশ্বাস নিয়ে ভাইভা বোর্ডে যেতে সাহায্য করেছে। ৩৭তম বিসিএসে আমি বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারে যোগদান করি।
একজন জুনিয়র সহকর্মী হিসেবে সিনিয়র সহকর্মীর সঙ্গে যেভাবে অ্যাপ্রোচ করতে হয় সেভাবে অ্যাপ্রোচ করতে হবে। ভাইভা বোর্ডের সদস্যরা কী জানতে চাইছেন, তা বুঝে উত্তর দেওয়া উচিত।
যোগদানের আগেই ৩৮তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি এবং লিখিত পরীক্ষায় পাস করি। যদিও বিএইচবিএফসিতে চাকরি করে লিখিত পরীক্ষা দিতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছিল। যা হোক, সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় এবং নিজের চেষ্টার বদৌলতে ৩৮তম বিসিএসে রেলওয়ে (পরিবহন ও বাণিজ্যিক) ক্যাডারে নিয়োগ পাই।
সোশ্যাল মিডিয়ার গুরুত্ব
সোশ্যাল মিডিয়া চাকরিপ্রার্থীদের বিভিন্নভাবে সাহায্য করছে। সবচেয়ে বড় সাহায্য করে ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপগুলো। প্রিলিমিনারি, লিখিত ও ভাইভার আলাদা আলাদা গ্রুপে প্রস্তুতির সহায়ক হিসেবে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত, পত্রিকার গুরুত্বপূর্ণ অংশ; মতামত ও বিশ্লেষণ গ্রুপের সদস্যরা নিজেদের মধ্যে শেয়ার করে থাকে। যা থেকে নিজের প্রস্তুতিকে আরও এগিয়ে নেওয়া সহজ হয়। এ ছাড়া মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমেও অনেকে গ্রুপ স্টাডি করা হয়। আমি বিসিএসের গ্রুপগুলো থেকে অনেক সহায়তা পেয়েছি।
ভালো উপস্থাপনা জরুরি
বিসিএসের ভাইভায় ভালো করার গুরুত্ব লিখিতর চেয়ে কোনো অংশেই কম নয়। বর্তমান নম্বর-বিন্যাস কাঠামোয় বরং কিছু ক্ষেত্রে ভাইভা লিখিতর চেয়ে বেশি গুরুত্ব বহন করে। যাঁরা ক্যাডার পান তাঁদের মধ্যে লিখিত পরীক্ষায় নম্বর ব্যবধান খুব বেশি থাকে না। কিন্তু ভাইভায় ভালোভাবে উপস্থাপন করতে পারলে অন্যদের চেয়ে অনেক বেশি নম্বর পাওয়া যায়। ভাইভার ক্ষেত্রে কিছু বিষয়ের প্রতি লক্ষ রাখা উচিত। আঞ্চলিকতা পরিহার করে শুদ্ধ বাংলা এবং ইংরেজিতে কথা বলার দক্ষতা আয়ত্ত করা উচিত। মার্জিত পোশাক পরিধান করা উচিত। ভাইভা বোর্ডে স্যারদের সঙ্গে মার্জিত আচরণ করতে হবে। একজন জুনিয়র সহকর্মী হিসেবে সিনিয়র সহকর্মীর সঙ্গে যেভাবে অ্যাপ্রোচ করতে হয় সেভাবে অ্যাপ্রোচ করতে হবে। ভাইভা বোর্ডের সদস্যরা কী জানতে চাইছেন, তা বুঝে উত্তর দেওয়া উচিত। আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি ভাইভা বোর্ডে না জানা বিষয়ে উত্তর না করে বোর্ডকে বলা উচিত আমার এ বিষয়টি জানা নেই। অমীমাংসিত বা রাজনৈতিক বিষয়ে সরকারি কর্মচারী হিসেবে বিধিমোতাবেক যে ভূমিকা থাকার কথা, সেভাবে উত্তর করতে হবে।
ভাইভায় সাম্প্রতিক বিষয়গুলো জানতে হবে
ভাইভার জন্য কয়েকটি বিষয় লক্ষণীয়। ক্যাডার পছন্দ অনুযায়ী প্রথম দুটি ক্যাডারের চাকরির বিষয়ে একজন চাকরিপ্রার্থী হিসেবে যতটুকু জানা সম্ভব জানতে হবে। বঙ্গবন্ধু, সংবিধান, মুক্তিযুদ্ধ ও সাম্প্রতিক ঘটনাবলি সম্পর্কে জানতে হবে। নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অনার্সে নিজের পঠিত বিষয় সম্পর্কে বেসিক তথ্য মাথায় রাখতে হবে। নিজ জেলা ও জেলার বিখ্যাত ব্যক্তিদের সম্পর্কে জানতে হবে। এ কয়েকটি বিষয়ের ওপর নজর রাখলে একজন চাকরিপ্রার্থী ভাইভা বোর্ডে ভালো করবে বলে আশা করা যায়।
৩৮তম বিসিএসে রেলওয়ে (পরিবহন ও বাণিজ্যিক) ক্যাডারে প্রথম স্থান অধিকারী।
অনুলিখন: আনিসুল ইসলাম নাঈম
যেকোনো জায়গায় প্রথম হতে পারাটা অবশ্যই আনন্দের। এ ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম নয়। তবে নিজ ক্যাডারে প্রথম হওয়ার চেয়ে ক্যাডার সার্ভিসের মতো মর্যাদাপূর্ণ চাকরির সুযোগ পাওয়াটাকেই আমি বড় করে দেখতে চাই। দেশের এত এত মেধাবী চাকরিপ্রার্থীর মধ্য থেকে এ রকম সুযোগ পাওয়াটাই সৌভাগ্যের বিষয়।
স্বপ্ন দেখা যখন শুরু
একেবারে ছোটবেলায় এই স্বপ্ন দেখেছি এমনটা নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার শেষ দিকে এসে বিসিএস ক্যাডার হতে চেয়েছি।
ক্যাডার হওয়ার গল্প
আসলে পড়াশোনা শেষ করে বিসিএস ক্যাডার হব, এমন চিন্তাভাবনা ছিল না। আমি চেয়েছিলাম ব্যাংকার হতে। এর পেছনের অবশ্য কারণ আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় মনে হতো বিসিএস ক্যাডার হওয়া দুঃসাধ্য ব্যাপার। পরে অনার্স তৃতীয় বর্ষের শেষদিকে এসে আমার কয়েকজন কাছের বড় ভাইকে (বিশ্ববিদ্যালয়ের) বিসিএস ক্যাডার হতে দেখে আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়। তারপর থেকেই মূলত বিসিএসের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করি। অনার্স পরীক্ষার কিছুদিন পরই ৩৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা ছিল। প্রথমবারের চেষ্টায় প্রিলিমিনারি পাস করি। লিখিত পরীক্ষার জন্য হাতে সময় ছিল মাত্র তিন মাসের মতো। নতুন বিপত্তি ঘটল মাস্টার্স পরীক্ষা নিয়ে। মাস্টার্স পরীক্ষার মাত্র ১৫ দিন পরই লিখিত পরীক্ষা ছিল। সে যাত্রায় বেঁচে গেলাম। ভাইভার মাত্র ৬ দিন আগে বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনে (বিএইচবিএফসি) সিনিয়র অফিসারের চাকরি পাই। যা আমাকে আত্মবিশ্বাস নিয়ে ভাইভা বোর্ডে যেতে সাহায্য করেছে। ৩৭তম বিসিএসে আমি বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারে যোগদান করি।
একজন জুনিয়র সহকর্মী হিসেবে সিনিয়র সহকর্মীর সঙ্গে যেভাবে অ্যাপ্রোচ করতে হয় সেভাবে অ্যাপ্রোচ করতে হবে। ভাইভা বোর্ডের সদস্যরা কী জানতে চাইছেন, তা বুঝে উত্তর দেওয়া উচিত।
যোগদানের আগেই ৩৮তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি এবং লিখিত পরীক্ষায় পাস করি। যদিও বিএইচবিএফসিতে চাকরি করে লিখিত পরীক্ষা দিতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছিল। যা হোক, সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় এবং নিজের চেষ্টার বদৌলতে ৩৮তম বিসিএসে রেলওয়ে (পরিবহন ও বাণিজ্যিক) ক্যাডারে নিয়োগ পাই।
সোশ্যাল মিডিয়ার গুরুত্ব
সোশ্যাল মিডিয়া চাকরিপ্রার্থীদের বিভিন্নভাবে সাহায্য করছে। সবচেয়ে বড় সাহায্য করে ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপগুলো। প্রিলিমিনারি, লিখিত ও ভাইভার আলাদা আলাদা গ্রুপে প্রস্তুতির সহায়ক হিসেবে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত, পত্রিকার গুরুত্বপূর্ণ অংশ; মতামত ও বিশ্লেষণ গ্রুপের সদস্যরা নিজেদের মধ্যে শেয়ার করে থাকে। যা থেকে নিজের প্রস্তুতিকে আরও এগিয়ে নেওয়া সহজ হয়। এ ছাড়া মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমেও অনেকে গ্রুপ স্টাডি করা হয়। আমি বিসিএসের গ্রুপগুলো থেকে অনেক সহায়তা পেয়েছি।
ভালো উপস্থাপনা জরুরি
বিসিএসের ভাইভায় ভালো করার গুরুত্ব লিখিতর চেয়ে কোনো অংশেই কম নয়। বর্তমান নম্বর-বিন্যাস কাঠামোয় বরং কিছু ক্ষেত্রে ভাইভা লিখিতর চেয়ে বেশি গুরুত্ব বহন করে। যাঁরা ক্যাডার পান তাঁদের মধ্যে লিখিত পরীক্ষায় নম্বর ব্যবধান খুব বেশি থাকে না। কিন্তু ভাইভায় ভালোভাবে উপস্থাপন করতে পারলে অন্যদের চেয়ে অনেক বেশি নম্বর পাওয়া যায়। ভাইভার ক্ষেত্রে কিছু বিষয়ের প্রতি লক্ষ রাখা উচিত। আঞ্চলিকতা পরিহার করে শুদ্ধ বাংলা এবং ইংরেজিতে কথা বলার দক্ষতা আয়ত্ত করা উচিত। মার্জিত পোশাক পরিধান করা উচিত। ভাইভা বোর্ডে স্যারদের সঙ্গে মার্জিত আচরণ করতে হবে। একজন জুনিয়র সহকর্মী হিসেবে সিনিয়র সহকর্মীর সঙ্গে যেভাবে অ্যাপ্রোচ করতে হয় সেভাবে অ্যাপ্রোচ করতে হবে। ভাইভা বোর্ডের সদস্যরা কী জানতে চাইছেন, তা বুঝে উত্তর দেওয়া উচিত। আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি ভাইভা বোর্ডে না জানা বিষয়ে উত্তর না করে বোর্ডকে বলা উচিত আমার এ বিষয়টি জানা নেই। অমীমাংসিত বা রাজনৈতিক বিষয়ে সরকারি কর্মচারী হিসেবে বিধিমোতাবেক যে ভূমিকা থাকার কথা, সেভাবে উত্তর করতে হবে।
ভাইভায় সাম্প্রতিক বিষয়গুলো জানতে হবে
ভাইভার জন্য কয়েকটি বিষয় লক্ষণীয়। ক্যাডার পছন্দ অনুযায়ী প্রথম দুটি ক্যাডারের চাকরির বিষয়ে একজন চাকরিপ্রার্থী হিসেবে যতটুকু জানা সম্ভব জানতে হবে। বঙ্গবন্ধু, সংবিধান, মুক্তিযুদ্ধ ও সাম্প্রতিক ঘটনাবলি সম্পর্কে জানতে হবে। নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অনার্সে নিজের পঠিত বিষয় সম্পর্কে বেসিক তথ্য মাথায় রাখতে হবে। নিজ জেলা ও জেলার বিখ্যাত ব্যক্তিদের সম্পর্কে জানতে হবে। এ কয়েকটি বিষয়ের ওপর নজর রাখলে একজন চাকরিপ্রার্থী ভাইভা বোর্ডে ভালো করবে বলে আশা করা যায়।
৩৮তম বিসিএসে রেলওয়ে (পরিবহন ও বাণিজ্যিক) ক্যাডারে প্রথম স্থান অধিকারী।
অনুলিখন: আনিসুল ইসলাম নাঈম
বিগত কয়েক বছর ধরে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য অফুরন্ত সম্ভাবনার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে হাঙ্গেরি। দেশটিতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা আধুনিক শিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি ক্যারিয়ার গঠনেরও সুযোগ পাচ্ছেন।
১৯ ঘণ্টা আগেসংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ আয়োজন হলো বিতর্ক। ক্রমেই এটি জনপ্রিয় হচ্ছে। সব প্রতিযোগিতায় জয়-পরাজয় রয়েছে। বিতর্কও এর ব্যতিক্রম নয়। একজন উঁচুমানের বিতার্কিকও পরাজয়ের সম্মুখীন হতে পারেন।
১৯ ঘণ্টা আগেআমেরিকান ব্যবসায়ী এবং লেখক রবার্ট তোরু কিয়োসাকির লেখা ‘রিচ ড্যাড পুওর ড্যাড’ বইটি ১৯৯৭ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। বইটি প্রকাশ হওয়ার পর থেকে ব্যক্তিগত আর্থিক উন্নতির বইয়ের ক্যাটাগরিতে বিশ্বের সর্বাধিক বিক্রীত হিসেবে স্বীকৃত।
১৯ ঘণ্টা আগেরাশেদ হোসেন রনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন। ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন বদলে একসময় বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন বোনা শুরু করেন তিনি। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে রনি সফলও হয়েছেন।
১৯ ঘণ্টা আগে