মুনতাসির সিয়াম
শরীয়তপুরের ছেলে জাকির। ইউনিভার্সিটি পার্শিয়াল স্কলারশিপ পেয়ে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিষয়ে ব্যাচেলর ডিগ্রি অর্জনের লক্ষ্যে পড়ছেন চীনের ইউনান ইউনিভার্সিটিতে। নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে এ দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য চীনে উচ্চশিক্ষাবিষয়ক তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
দেশ বাছাই
চীনে আন্তর্জাতিক মানের উচ্চশিক্ষার জন্য প্রায় ২ হাজার ৮৫০টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যাই যার মধ্যে প্রায় আড়াই হাজার। এ ছাড়া বিশেষায়িত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে তিন শর মতো। স্বাভাবিকভাবেই চীনে কম খরচে উন্নতমানের শিক্ষাব্যবস্থা। সেই সঙ্গে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে আইইএলটিএস, জিআরই কিংবা টোফেল দরকার পড়ে না। তুলনামূলক কম রেজাল্ট নিয়ে ভর্তির সুযোগ ও ভিসা পাওয়া সহজ। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষার্থীদের জন্য উন্নতমানের আবাসনের ব্যবস্থাও করে থাকে। শিক্ষার্থীদের খাবার বাবদ উপযুক্ত সংখ্যক ক্যানটিনের পাশাপাশি মুসলিমদের জন্য আলাদা ক্যানটিন সেবাও রয়েছে। সেশনজটের কোনো বালাই নেই। এমনকি শিক্ষকদের আন্তরিকতায় করোনা মহামারির মধ্যেও শিক্ষা কার্যক্রম চলমান ছিল পুরোদমে। ইন্টারকালচারাল কমিউনিকেশন, মানসম্মত শিক্ষাব্যবস্থা, বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য, ইংরেজি মাধ্যমে পড়ার সুবিধা প্রভৃতি বিবেচনায় আমি উচ্চশিক্ষার জন্য চীন দেশ বেছে নিয়েছি।
আইইএলটিএস প্রস্তুতি
আইইএলটিএসের জন্য কেমব্রিজের বইগুলো বেশ সহায়ক। অনলাইনে https://ieltsliz.com ওয়েবসাইট অনুসরণের মাধ্যমে ভালো স্কোর অর্জন সম্ভব। রিডিং সেকশন আমাদের অনেকের জন্যই দুরূহ। তাই রিডিংয়ে ভালো করার জন্য ‘আসাদ ইয়াকুব’ ইউটিউব চ্যানেলটি অনুসরণ করা যেতে পারে। তবে টপ র্যাঙ্কের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনেক সময় আইইএলটিএস চাইলেও, চীনের বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়েই কিন্তু ভর্তির জন্য আইইএলটিএসের প্রয়োজন পড়ে না; আর কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি প্রফিসিয়েন্সি সার্টিফিকেট দেখাতে হয়।
আবেদনের প্রক্রিয়া
চীনে বছরে শিক্ষার্থী নেওয়া হয় দুটি সেশনে। মার্চ ও সেপ্টেম্বর ইনটেক। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা বাছাই করেন সেপ্টেম্বর সেশনটি। বিশ্ববিদ্যালয়ভেদে আবেদনের সময় ভিন্ন। কাজেই আবেদন শুরু ও শেষের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে জানতে হবে। আবেদনের প্রায় দুই সপ্তাহ পর বিশ্ববিদ্যালয় একটি প্রি-অ্যাডমিশন লেটার এবং তার প্রায় এক মাস পর একটি অ্যাডমিশন লেটার এবং Jw202/Jw201 পেপার পাঠায়; যেগুলো ভিসার জন্য অ্যাম্বাসিতে জমা দেওয়ার নিয়ম। ও হ্যাঁ, চীনের বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়েই কিন্তু আবেদন ফির প্রয়োজন নেই।
ভর্তির সুযোগ
ভিসা নিয়ে চীনে যাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাডমিশন অফিসে গিয়ে এনরোল হতে হয়। সে সময় চাইলে মেজর পরিবর্তনের জন্যও আবেদন করা যায়।
স্কলারশিপ
বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য চীনের স্কলারশিপ হচ্ছে—ক্লাস টাওয়াস স্কলারশিপ, চায়নিজ স্কলারশিপ কাউন্সিল (সিএসসি), বেল্ট অ্যান্ড রোড স্কলারশিপ, মফকম স্কলারশিপ, কনফুসিয়াস স্কলারশিপ, চায়নিজ লোকাল গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ, ফরেন গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ, বিশ্ববিদ্যালয় স্কলারশিপ, ইয়েস চায়না স্কলারশিপ এবং এন্টারপ্রাইজ স্কলারশিপ। তবে সবচেয়ে বেশি স্কলারশিপ দেয় সিএসসি। স্কলারশিপের আবেদনসংক্রান্ত সব তথ্য পাওয়া যাবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে। যেমন সিএসসি স্কলারশিপের জন্য www.csc.edu.cn, কাস টাওয়ার স্কলারশিপের জন্য www. twas.org, স্কলারশিপের জন্য cscscholarship.org/mofcom. বলে রাখা ভালো, চীনে স্কলারশিপের মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী টিউশন ফ্রি কিংবা আংশিক টিউশন ফি দিয়ে পড়াশোনা করতে পারেন। স্কলারশিপগুলো অনেক সময় আবাসনব্যবস্থার পাশাপাশি মাসিক স্টাইপেন্ড হিসেবে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার ৫০০ আরএমবি (প্রায় ৩৫,০০০-৪৫,০০০ টাকা) দেয়। তবে এ ধরনের স্কলারশিপে কোনো বিষয়ে অকৃতকার্য হওয়া যাবে না, পরীক্ষায় ৭০-৮০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে, শৃঙ্খলা ভঙ্গ করা যাবে না—এমন কিছু শর্ত রয়েছে। যাঁদের কাছে শর্তগুলো কঠিন মনে হবে, তাঁদের জন্য রয়েছে আনকন্ডিশনাল স্কলারশিপ।
কাজের সুযোগ
বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য চীনে এযাবৎ পার্টটাইম কাজের সুযোগ ছিল না। কর্তৃপক্ষ প্রায় সব শিক্ষার্থীকেই স্কলারশিপ দিয়ে থাকে, যার বেশির ভাগই টিউশন ফি এবং আবাসন খরচের বড় একটি অংশ মেটায়। তবে ইদানীং শর্তসাপেক্ষে কিছু পার্টটাইম কাজের সুযোগ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে চাইনিজ ভাষা জানা জরুরি, যা কিনা প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়েই বিনা মূল্যে শেখানো হয়।
অনুলিখন: মুনতাসির সিয়াম
স্কলারশিপ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
শরীয়তপুরের ছেলে জাকির। ইউনিভার্সিটি পার্শিয়াল স্কলারশিপ পেয়ে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিষয়ে ব্যাচেলর ডিগ্রি অর্জনের লক্ষ্যে পড়ছেন চীনের ইউনান ইউনিভার্সিটিতে। নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে এ দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য চীনে উচ্চশিক্ষাবিষয়ক তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
দেশ বাছাই
চীনে আন্তর্জাতিক মানের উচ্চশিক্ষার জন্য প্রায় ২ হাজার ৮৫০টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যাই যার মধ্যে প্রায় আড়াই হাজার। এ ছাড়া বিশেষায়িত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে তিন শর মতো। স্বাভাবিকভাবেই চীনে কম খরচে উন্নতমানের শিক্ষাব্যবস্থা। সেই সঙ্গে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে আইইএলটিএস, জিআরই কিংবা টোফেল দরকার পড়ে না। তুলনামূলক কম রেজাল্ট নিয়ে ভর্তির সুযোগ ও ভিসা পাওয়া সহজ। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষার্থীদের জন্য উন্নতমানের আবাসনের ব্যবস্থাও করে থাকে। শিক্ষার্থীদের খাবার বাবদ উপযুক্ত সংখ্যক ক্যানটিনের পাশাপাশি মুসলিমদের জন্য আলাদা ক্যানটিন সেবাও রয়েছে। সেশনজটের কোনো বালাই নেই। এমনকি শিক্ষকদের আন্তরিকতায় করোনা মহামারির মধ্যেও শিক্ষা কার্যক্রম চলমান ছিল পুরোদমে। ইন্টারকালচারাল কমিউনিকেশন, মানসম্মত শিক্ষাব্যবস্থা, বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য, ইংরেজি মাধ্যমে পড়ার সুবিধা প্রভৃতি বিবেচনায় আমি উচ্চশিক্ষার জন্য চীন দেশ বেছে নিয়েছি।
আইইএলটিএস প্রস্তুতি
আইইএলটিএসের জন্য কেমব্রিজের বইগুলো বেশ সহায়ক। অনলাইনে https://ieltsliz.com ওয়েবসাইট অনুসরণের মাধ্যমে ভালো স্কোর অর্জন সম্ভব। রিডিং সেকশন আমাদের অনেকের জন্যই দুরূহ। তাই রিডিংয়ে ভালো করার জন্য ‘আসাদ ইয়াকুব’ ইউটিউব চ্যানেলটি অনুসরণ করা যেতে পারে। তবে টপ র্যাঙ্কের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনেক সময় আইইএলটিএস চাইলেও, চীনের বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়েই কিন্তু ভর্তির জন্য আইইএলটিএসের প্রয়োজন পড়ে না; আর কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি প্রফিসিয়েন্সি সার্টিফিকেট দেখাতে হয়।
আবেদনের প্রক্রিয়া
চীনে বছরে শিক্ষার্থী নেওয়া হয় দুটি সেশনে। মার্চ ও সেপ্টেম্বর ইনটেক। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা বাছাই করেন সেপ্টেম্বর সেশনটি। বিশ্ববিদ্যালয়ভেদে আবেদনের সময় ভিন্ন। কাজেই আবেদন শুরু ও শেষের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে জানতে হবে। আবেদনের প্রায় দুই সপ্তাহ পর বিশ্ববিদ্যালয় একটি প্রি-অ্যাডমিশন লেটার এবং তার প্রায় এক মাস পর একটি অ্যাডমিশন লেটার এবং Jw202/Jw201 পেপার পাঠায়; যেগুলো ভিসার জন্য অ্যাম্বাসিতে জমা দেওয়ার নিয়ম। ও হ্যাঁ, চীনের বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়েই কিন্তু আবেদন ফির প্রয়োজন নেই।
ভর্তির সুযোগ
ভিসা নিয়ে চীনে যাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাডমিশন অফিসে গিয়ে এনরোল হতে হয়। সে সময় চাইলে মেজর পরিবর্তনের জন্যও আবেদন করা যায়।
স্কলারশিপ
বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য চীনের স্কলারশিপ হচ্ছে—ক্লাস টাওয়াস স্কলারশিপ, চায়নিজ স্কলারশিপ কাউন্সিল (সিএসসি), বেল্ট অ্যান্ড রোড স্কলারশিপ, মফকম স্কলারশিপ, কনফুসিয়াস স্কলারশিপ, চায়নিজ লোকাল গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ, ফরেন গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ, বিশ্ববিদ্যালয় স্কলারশিপ, ইয়েস চায়না স্কলারশিপ এবং এন্টারপ্রাইজ স্কলারশিপ। তবে সবচেয়ে বেশি স্কলারশিপ দেয় সিএসসি। স্কলারশিপের আবেদনসংক্রান্ত সব তথ্য পাওয়া যাবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে। যেমন সিএসসি স্কলারশিপের জন্য www.csc.edu.cn, কাস টাওয়ার স্কলারশিপের জন্য www. twas.org, স্কলারশিপের জন্য cscscholarship.org/mofcom. বলে রাখা ভালো, চীনে স্কলারশিপের মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী টিউশন ফ্রি কিংবা আংশিক টিউশন ফি দিয়ে পড়াশোনা করতে পারেন। স্কলারশিপগুলো অনেক সময় আবাসনব্যবস্থার পাশাপাশি মাসিক স্টাইপেন্ড হিসেবে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার ৫০০ আরএমবি (প্রায় ৩৫,০০০-৪৫,০০০ টাকা) দেয়। তবে এ ধরনের স্কলারশিপে কোনো বিষয়ে অকৃতকার্য হওয়া যাবে না, পরীক্ষায় ৭০-৮০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে, শৃঙ্খলা ভঙ্গ করা যাবে না—এমন কিছু শর্ত রয়েছে। যাঁদের কাছে শর্তগুলো কঠিন মনে হবে, তাঁদের জন্য রয়েছে আনকন্ডিশনাল স্কলারশিপ।
কাজের সুযোগ
বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য চীনে এযাবৎ পার্টটাইম কাজের সুযোগ ছিল না। কর্তৃপক্ষ প্রায় সব শিক্ষার্থীকেই স্কলারশিপ দিয়ে থাকে, যার বেশির ভাগই টিউশন ফি এবং আবাসন খরচের বড় একটি অংশ মেটায়। তবে ইদানীং শর্তসাপেক্ষে কিছু পার্টটাইম কাজের সুযোগ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে চাইনিজ ভাষা জানা জরুরি, যা কিনা প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়েই বিনা মূল্যে শেখানো হয়।
অনুলিখন: মুনতাসির সিয়াম
স্কলারশিপ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল-কলেজ) শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ইলেকট্রিক ফান্ড ট্রান্সফারের (ইএফটি) মাধ্যমে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ফলে নির্দিষ্ট সময়ে শিক্ষক-কর্মচারীরা স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে বেতন-ভাতা ব্যাংক হিসাব থেকে উত্তোলন করতে পারবেন
১২ ঘণ্টা আগে২০২৬ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার সিলেবাস নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্তে হয়নি বলে জানিয়েছে আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। আজ শুক্রবার আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এ তথ্য জানান
১৩ ঘণ্টা আগেআগামী বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হবে আগামী ১ ডিসেম্বর। বিলম্ব ফি ছাড়া ফরম পূরণ করা যাবে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর ফি পরিশোধ করা যাবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর বিলম্ব ফিসহ ফি জমা দেওয়া যাবে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত
১৪ ঘণ্টা আগেসাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি ২০২৪ সালের ফল সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়েছে। ১৩ ও ১৪ নভেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়টির মাল্টিপার হলে আয়োজিত মোট চারটি সেশনে বিভিন্ন বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেওয়া হয়।
১৯ ঘণ্টা আগে