মন্টি বৈষ্ণব
সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজন পুষ্টিকর খাদ্যের। কিন্তুবাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষের কাছেই এই পুষ্টিকর খাদ্য এখনো অধরাই রয়ে গেছে। অথচ শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে পুষ্টিকর খাবারের কোনো বিকল্প নেই। এ ক্ষেত্রে সাধ ও সাধ্যের চিরায়ত সমীকরণের ফেরে পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে। তবে, খাবারের পুষ্টিগুণ বিষয়ে ধারণা থাকলে কম মূল্যের খাবার দিয়েও শরীরের পুষ্টির অভাব পূরণ করা যায়। কীভাবে? এই প্রশ্নের উত্তরটিই অনলাইন প্ল্যাটফর্মে দিচ্ছেন পেশায় পুষ্টিবিদ রীদা নাজনীন।
রীদা নাজনীন একজন পুষ্টিবিদ। এ ছাড়া ‘পিরিতি’ নামের অনলাইনভিত্তিক একটি কেনাকাটার প্ল্যাটফর্মের স্বত্বাধিকারী তিনি। সেখানে চলে কাপড়ের ব্যবসা। পাশাপাশি বিভিন্ন খাদ্যের উপকারিতা নিয়ে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে কথা বলেন তিনি।
রীদার জন্ম উত্তরবঙ্গের মফস্বল শহরে। গ্রামের পরিবেশে কেটেছে তাঁর শৈশবকাল। ছোটবেলা থেকে স্বাধীনভাবে নিজের কথা প্রকাশ করতে পছন্দ করতেন তিনি। নিজের মতো করে কাজ করার মধ্যেই খুঁজে পেতেন অফুরান প্রাণশক্তি। আর সেই প্রাণ সঞ্চারের ভাবনা থেকে অনলাইনভিত্তিক কেনাকাটার প্ল্যাটফর্ম ‘পিরিতি’র যাত্রা শুরু করেন। বেড়ে ওঠা মফস্বল শহরে হলেও মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পর খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান বিষয়ে পড়তে চলে আসেন ঢাকায়। তখন থেকে ঢাকায় পড়ালেখার পাশাপাশি অন্যান্য কাজ শুরু করেন। রীদার বাবা সরকারি চাকরিজীবী। আর ভাইবোনেরাও নিজেদের মতো কাজ করতে পছন্দ করেন।
রীদা কাজ করেন বেঁচে থাকার প্রয়োজনীয় দুটি বিষয়—খাদ্য ও পোশাক নিয়ে। এর শুরুর গল্পটা জানতে চাইলে বললেন, ‘পেশায় পুষ্টিবিদ হিসেবে কাজ করছি ২০১২ সাল থেকে। স্বাস্থ্য নিয়ে আমি একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে এক বছর কাজ করেছি। আমার কাজ ছিল খাদ্যের বিষয়ে কাউন্সেলিং করা, সময় দিয়ে সবাইকে খাবারের উপকারিতার বিষয়ে বুঝিয়ে বলা। এভাবে কাজ করতে করতে একদিন চিন্তা করলাম ব্যবসায়িক কোনো প্রতিষ্ঠানে খাদ্যের দরকারি বিষয়ে কথা বলার সুযোগ খুব কম। সেই ভাবনা থেকে স্বাধীনভাবে কাজ করার ইচ্ছা মাথায় আসে। এই ভাবনা থেকেই যৌথ উদ্যোগে একটা হেলথ কেয়ার সেন্টার দিয়েই আমার এই যাত্রার সূচনা।’
রীদা বলেন, ‘বর্তমানে আমি অনলাইনভিত্তিক কাউন্সেলিং করছি। সেখানে সবাইকে বলার চেষ্টা করছি, শারীরিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন কতটা জরুরি। এর চেয়ে আরও জরুরি বিষয় হলো আমাদের জীবনযাপনের পদ্ধতিকে একটু সহজ করে ভাবতে শেখা। রোগ ও ওষুধের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে নিজেকে ভালো রাখার দায়িত্ব নিজের নেওয়া শেখাটা জরুরি।’
রীদা নাজনীন জানালেন, তিনি সব সময় খাবারের বিষয়ে এমন কিছু খাবারের তথ্য খোঁজেন, যা সার্বিকভাবে সবার জন্য সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী। যেমন, কাঠবাদামের বিকল্প হিসেবে রয়েছে একই গুণাগুণসম্পন্ন তিসি। কাঠবাদামের দাম বেশি বলে এটি অনেকে কিনতে পারেন না। বাদামের কেজিপ্রতি দাম ১ হাজার টাকা। অথচ তিসির বাজারমূল্য কেজিতে ২০০ টাকা। এ ছাড়া আমি ৫০ থেকে ২০০ টাকা মধ্যে ঘরে তৈরি বিভিন্ন সবজির ফার্মেন্টেশনও করা যায়, যা সুস্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
কিন্তু শুধু পুষ্টি সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করে তো আর চলা সম্ভব নয়। তাই রীদা উদ্যোক্তা হিসেবেও যাত্রা করেন। মাঝেমধ্যে কলকাতা যেতেন। সেখানে কাপড়ের দাম অনেক কম। আর এখান থেকেই মাথায় ব্যবসার চিন্তা মাথায় আসে। বললেন, কলকাতায় কাপড়ের দাম কম। বিষয়টি আমাকে বেশ নাড়া দেয়। এ ছাড়া দিল্লিতে গেছি একবার একটা প্রফেশনাল কোর্সে অংশ নিতে। সেখানেও দেখলাম পোশাকের দাম অনেক কম। এসব দেখে ২০১৩-১৪ সময়ে বুটিকস করার চিন্তা আসে। ২০১৯ সালে ড্রয়িং ও পেইন্টিং নিয়ে স্নাতক পড়া শুরু করি। ডিজাইন, কালার নিয়ে কাজ শুরু করলে কীভাবে শাড়িতে তা যুক্ত করা যায়, সেটা ভাবতে থাকি। এর পর শুরু হলো, কোথায় কী পাওয়া যায়, তার খোঁজ নেওয়া। ডোবি নকশার শাড়ি, টাঙ্গাইলে ভালো মানের কী আছে, ন্যাচারাল ডাইয়ের কাজ কোথায় হয়। আস্তে আস্তে সবই জানতে শুরু করি। এর পর শুরু করলাম অনলাইনভিত্তিক কেনাকাটার প্ল্যাটফর্ম ‘পিরিতি’-এর যাত্রা।’
রীদা সাশ্রয়ী মূল্যের যে চিন্তা থেকে কাজটা শুরু করেছিলেন, মাঠে নেমে দেখলেন বিষয়টি অনেক কঠিনও বটে। কারণ, এই সময়টাতে সবকিছুই সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি। এ ছাড়া অনলাইন কেন্দ্রিক এমন উদ্যোগ অনেক আছে, যেখানে প্রতিযোগিতাও বাড়ছে প্রতিনিয়ত। কম দামে জিনিস বিক্রি করলে ক্রেতারা ভাবেন পণ্যের গুণগত মান নিয়ে। তবে সময় যত যাচ্ছে, পিরিতির পণ্যের ওপর ক্রেতাদের আস্থা তত বাড়ছে বলে জানালেন রীদা। বললেন, ক্রেতাদের ভালোবাসা পাচ্ছি। পিরিতির প্রতি তাদের ভরসার জায়গা বেড়েছে আগের তুলনায় অনেক বেশি।
যারা উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করতে চান, তাঁদের উদ্দেশ্যে রীদা বলেন, ‘আত্মবিশ্বাস রাখুন নিজের ওপর। আর আপনার কাজকে ভালোবাসুন। দেখবেন, সমস্ত প্রতিবন্ধকতা ছাড়িয়ে আপনি আপনার কাজ নিয়ে অনেক দূর এগিয়ে যাচ্ছেন। আপনি পারবেন, এই শব্দটা নিজেকে বলুন। এই আত্মবিশ্বাস খুব জরুরি। আমি বিশ্বাস করি, মন থেকে চাইলে মানুষ যেকোনো কাজ করতে পারবে। যেমন ধরেন, আমি কোনো দিন ছবি আঁকিনি। শুধু এটুকুই জানি, আমি আঁকতে পারব। আত্মবিশ্বাসের কথা হলো, আজ আমি ছবি আঁকতে পারি।’
রীদা ‘পিরিতি’-এর মাধ্যমে দেশি পণ্য নিয়ে কাজ করছেন। আর চেষ্টা করছেন কম বাজেটে মানসম্মত পণ্য সবার হাতে পৌঁছে দিতে। নিজের স্বপ্নের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘পিরিতি নিয়ে কাজ শুরুর পর একটা বিষয় বিশেষভাবে অনুভব করি, সেটা হলো ছোট্ট পরিসরে কাজ করেও অন্যের জন্য কিছু করা যায়। শাড়ি-সুতা তৈরির কারিগর, তাঁতি, ন্যাচারাল ডাই কারখানার কারিগর, উদ্যোক্তা—সবার সঙ্গেই পিরিতি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। করোনাতে এই প্রতিটি পর্যায়ের মানুষ ভুক্তভোগী ছিল। করোনায় পরিচিত এক ডাই কারখানার দাদা, তাঁর পুঁজির সবই হারিয়েছেন। আমি তাঁকে আমার কাজের সঙ্গে যুক্ত করি। বর্তমানে তাঁর প্রতিষ্ঠান আবার আশার আলো দেখছে। পিরিতির সার্বিক কাজের ক্ষেত্রে বেশ কিছু শ্রমিককে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছি। এমনকি করোনাকালে তাঁরা যেন আর্থিকভাবে ভালো থাকেন, সে ব্যবস্থাও করেছি। আমার ভাবতে ভালো লাগে, একটি শাড়ির সঙ্গে কতজনের কর্মসংস্থান জড়িত। তাঁদের পাশে দাঁড়াতে পেরেছে পিরিতি। সবার ভালোবাসা নিয়ে আমরা এগিয়ে যেতে চাই অনেক দূর।’
সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজন পুষ্টিকর খাদ্যের। কিন্তুবাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষের কাছেই এই পুষ্টিকর খাদ্য এখনো অধরাই রয়ে গেছে। অথচ শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে পুষ্টিকর খাবারের কোনো বিকল্প নেই। এ ক্ষেত্রে সাধ ও সাধ্যের চিরায়ত সমীকরণের ফেরে পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে। তবে, খাবারের পুষ্টিগুণ বিষয়ে ধারণা থাকলে কম মূল্যের খাবার দিয়েও শরীরের পুষ্টির অভাব পূরণ করা যায়। কীভাবে? এই প্রশ্নের উত্তরটিই অনলাইন প্ল্যাটফর্মে দিচ্ছেন পেশায় পুষ্টিবিদ রীদা নাজনীন।
রীদা নাজনীন একজন পুষ্টিবিদ। এ ছাড়া ‘পিরিতি’ নামের অনলাইনভিত্তিক একটি কেনাকাটার প্ল্যাটফর্মের স্বত্বাধিকারী তিনি। সেখানে চলে কাপড়ের ব্যবসা। পাশাপাশি বিভিন্ন খাদ্যের উপকারিতা নিয়ে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে কথা বলেন তিনি।
রীদার জন্ম উত্তরবঙ্গের মফস্বল শহরে। গ্রামের পরিবেশে কেটেছে তাঁর শৈশবকাল। ছোটবেলা থেকে স্বাধীনভাবে নিজের কথা প্রকাশ করতে পছন্দ করতেন তিনি। নিজের মতো করে কাজ করার মধ্যেই খুঁজে পেতেন অফুরান প্রাণশক্তি। আর সেই প্রাণ সঞ্চারের ভাবনা থেকে অনলাইনভিত্তিক কেনাকাটার প্ল্যাটফর্ম ‘পিরিতি’র যাত্রা শুরু করেন। বেড়ে ওঠা মফস্বল শহরে হলেও মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পর খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান বিষয়ে পড়তে চলে আসেন ঢাকায়। তখন থেকে ঢাকায় পড়ালেখার পাশাপাশি অন্যান্য কাজ শুরু করেন। রীদার বাবা সরকারি চাকরিজীবী। আর ভাইবোনেরাও নিজেদের মতো কাজ করতে পছন্দ করেন।
রীদা কাজ করেন বেঁচে থাকার প্রয়োজনীয় দুটি বিষয়—খাদ্য ও পোশাক নিয়ে। এর শুরুর গল্পটা জানতে চাইলে বললেন, ‘পেশায় পুষ্টিবিদ হিসেবে কাজ করছি ২০১২ সাল থেকে। স্বাস্থ্য নিয়ে আমি একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে এক বছর কাজ করেছি। আমার কাজ ছিল খাদ্যের বিষয়ে কাউন্সেলিং করা, সময় দিয়ে সবাইকে খাবারের উপকারিতার বিষয়ে বুঝিয়ে বলা। এভাবে কাজ করতে করতে একদিন চিন্তা করলাম ব্যবসায়িক কোনো প্রতিষ্ঠানে খাদ্যের দরকারি বিষয়ে কথা বলার সুযোগ খুব কম। সেই ভাবনা থেকে স্বাধীনভাবে কাজ করার ইচ্ছা মাথায় আসে। এই ভাবনা থেকেই যৌথ উদ্যোগে একটা হেলথ কেয়ার সেন্টার দিয়েই আমার এই যাত্রার সূচনা।’
রীদা বলেন, ‘বর্তমানে আমি অনলাইনভিত্তিক কাউন্সেলিং করছি। সেখানে সবাইকে বলার চেষ্টা করছি, শারীরিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন কতটা জরুরি। এর চেয়ে আরও জরুরি বিষয় হলো আমাদের জীবনযাপনের পদ্ধতিকে একটু সহজ করে ভাবতে শেখা। রোগ ও ওষুধের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে নিজেকে ভালো রাখার দায়িত্ব নিজের নেওয়া শেখাটা জরুরি।’
রীদা নাজনীন জানালেন, তিনি সব সময় খাবারের বিষয়ে এমন কিছু খাবারের তথ্য খোঁজেন, যা সার্বিকভাবে সবার জন্য সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী। যেমন, কাঠবাদামের বিকল্প হিসেবে রয়েছে একই গুণাগুণসম্পন্ন তিসি। কাঠবাদামের দাম বেশি বলে এটি অনেকে কিনতে পারেন না। বাদামের কেজিপ্রতি দাম ১ হাজার টাকা। অথচ তিসির বাজারমূল্য কেজিতে ২০০ টাকা। এ ছাড়া আমি ৫০ থেকে ২০০ টাকা মধ্যে ঘরে তৈরি বিভিন্ন সবজির ফার্মেন্টেশনও করা যায়, যা সুস্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
কিন্তু শুধু পুষ্টি সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করে তো আর চলা সম্ভব নয়। তাই রীদা উদ্যোক্তা হিসেবেও যাত্রা করেন। মাঝেমধ্যে কলকাতা যেতেন। সেখানে কাপড়ের দাম অনেক কম। আর এখান থেকেই মাথায় ব্যবসার চিন্তা মাথায় আসে। বললেন, কলকাতায় কাপড়ের দাম কম। বিষয়টি আমাকে বেশ নাড়া দেয়। এ ছাড়া দিল্লিতে গেছি একবার একটা প্রফেশনাল কোর্সে অংশ নিতে। সেখানেও দেখলাম পোশাকের দাম অনেক কম। এসব দেখে ২০১৩-১৪ সময়ে বুটিকস করার চিন্তা আসে। ২০১৯ সালে ড্রয়িং ও পেইন্টিং নিয়ে স্নাতক পড়া শুরু করি। ডিজাইন, কালার নিয়ে কাজ শুরু করলে কীভাবে শাড়িতে তা যুক্ত করা যায়, সেটা ভাবতে থাকি। এর পর শুরু হলো, কোথায় কী পাওয়া যায়, তার খোঁজ নেওয়া। ডোবি নকশার শাড়ি, টাঙ্গাইলে ভালো মানের কী আছে, ন্যাচারাল ডাইয়ের কাজ কোথায় হয়। আস্তে আস্তে সবই জানতে শুরু করি। এর পর শুরু করলাম অনলাইনভিত্তিক কেনাকাটার প্ল্যাটফর্ম ‘পিরিতি’-এর যাত্রা।’
রীদা সাশ্রয়ী মূল্যের যে চিন্তা থেকে কাজটা শুরু করেছিলেন, মাঠে নেমে দেখলেন বিষয়টি অনেক কঠিনও বটে। কারণ, এই সময়টাতে সবকিছুই সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি। এ ছাড়া অনলাইন কেন্দ্রিক এমন উদ্যোগ অনেক আছে, যেখানে প্রতিযোগিতাও বাড়ছে প্রতিনিয়ত। কম দামে জিনিস বিক্রি করলে ক্রেতারা ভাবেন পণ্যের গুণগত মান নিয়ে। তবে সময় যত যাচ্ছে, পিরিতির পণ্যের ওপর ক্রেতাদের আস্থা তত বাড়ছে বলে জানালেন রীদা। বললেন, ক্রেতাদের ভালোবাসা পাচ্ছি। পিরিতির প্রতি তাদের ভরসার জায়গা বেড়েছে আগের তুলনায় অনেক বেশি।
যারা উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করতে চান, তাঁদের উদ্দেশ্যে রীদা বলেন, ‘আত্মবিশ্বাস রাখুন নিজের ওপর। আর আপনার কাজকে ভালোবাসুন। দেখবেন, সমস্ত প্রতিবন্ধকতা ছাড়িয়ে আপনি আপনার কাজ নিয়ে অনেক দূর এগিয়ে যাচ্ছেন। আপনি পারবেন, এই শব্দটা নিজেকে বলুন। এই আত্মবিশ্বাস খুব জরুরি। আমি বিশ্বাস করি, মন থেকে চাইলে মানুষ যেকোনো কাজ করতে পারবে। যেমন ধরেন, আমি কোনো দিন ছবি আঁকিনি। শুধু এটুকুই জানি, আমি আঁকতে পারব। আত্মবিশ্বাসের কথা হলো, আজ আমি ছবি আঁকতে পারি।’
রীদা ‘পিরিতি’-এর মাধ্যমে দেশি পণ্য নিয়ে কাজ করছেন। আর চেষ্টা করছেন কম বাজেটে মানসম্মত পণ্য সবার হাতে পৌঁছে দিতে। নিজের স্বপ্নের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘পিরিতি নিয়ে কাজ শুরুর পর একটা বিষয় বিশেষভাবে অনুভব করি, সেটা হলো ছোট্ট পরিসরে কাজ করেও অন্যের জন্য কিছু করা যায়। শাড়ি-সুতা তৈরির কারিগর, তাঁতি, ন্যাচারাল ডাই কারখানার কারিগর, উদ্যোক্তা—সবার সঙ্গেই পিরিতি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। করোনাতে এই প্রতিটি পর্যায়ের মানুষ ভুক্তভোগী ছিল। করোনায় পরিচিত এক ডাই কারখানার দাদা, তাঁর পুঁজির সবই হারিয়েছেন। আমি তাঁকে আমার কাজের সঙ্গে যুক্ত করি। বর্তমানে তাঁর প্রতিষ্ঠান আবার আশার আলো দেখছে। পিরিতির সার্বিক কাজের ক্ষেত্রে বেশ কিছু শ্রমিককে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছি। এমনকি করোনাকালে তাঁরা যেন আর্থিকভাবে ভালো থাকেন, সে ব্যবস্থাও করেছি। আমার ভাবতে ভালো লাগে, একটি শাড়ির সঙ্গে কতজনের কর্মসংস্থান জড়িত। তাঁদের পাশে দাঁড়াতে পেরেছে পিরিতি। সবার ভালোবাসা নিয়ে আমরা এগিয়ে যেতে চাই অনেক দূর।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিমের আওতায় তারল্য ঘাটটি মেটাতে দুর্বল সাতটি ব্যাংককে ৬ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা তারল্য সহায়তা দিয়েছে সবল ৯টি ব্যাংক। তবে এসব দুর্বল ব্যাংক থেকে চাওয়া হয়েছিল ১১ হাজার ১০০ কোটি টাকা। গতকাল বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আ
৬ ঘণ্টা আগেদেশে চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ভেজাল, নকল, মানহীন, অনুমোদনহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ প্রসাধনী সামগ্রী। বাংলাদেশ যেন বিদেশি এসব পণ্যের ডাম্পিং স্টেশন। প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়ায় দিন দিন এসব পণ্যে সয়লাব হচ্ছে বাজার। বিদেশ থেকে চোরাই পথে বিপুল পরিমাণে নিম্নমানের ভেজাল প্রসাধনী ঢুকছে দেশে।
৯ ঘণ্টা আগেরাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী নির্মাণ, আবাসন, বিদ্যুৎ ও সংশ্লিষ্ট সরঞ্জামকেন্দ্রিক দেশের সবচেয়ে বড় ছয়টি পৃথক আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী। চলবে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত
১১ ঘণ্টা আগেব্রোকারেজ হাউস সাবভ্যালি সিকিউরিটিজের সব ধরনের কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। মূলধন ঋণাত্মক ও বিনিয়োগের বিপরীতে দেওয়া ঋণের অনুপাত অনেক বেশি হওয়ায় এই নির্দেশ দিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ।
১১ ঘণ্টা আগে