মন্টি বৈষ্ণব
নারী উদ্যোক্তা মৌরী নাজনীন। শখের বশে ছোটবেলায় থেকে ছবি আঁকতেন। স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। কিন্তু একপর্যায়ে পড়ালেখা, করপোরেট চাকরিতে সময় দিতে গিয়ে আঁকাআঁকি থেকে অনেক দূরে চলে যান। ফলে দীর্ঘসময় ক্যানভাস থেকে দূরে সরে যান তিনি। এ সময়টাতে ছবি আঁকতে না পারায় তাঁর মধ্যে এক ধরনের বিষণ্নতা ভর করে। বিষণ্নতা কাটিয়ে উঠতে আবার আঁকার কাছেই ফেরা। কাজের সঙ্গে ভালো লাগাকে মিলিয়ে নিতেই অনলাইনভিত্তিক শপিং প্ল্যাটফর্ম ‘ঈহা’-এর যাত্রা করেন।
‘ঈহা’ শব্দের অর্থ ‘ইচ্ছা’। নিজের ইচ্ছেটাকে প্রাধান্য দিতেই ঈহার মাধ্যমে মৌরী তাঁর কাজ শুরু করেন। প্রথমে তিনি হ্যান্ড পেইন্টের পণ্য দিয়ে কাজ শুরু করেন। নিজের ইচ্ছা, আর স্বাধীনতাকে প্রাধান্য দিয়ে ক্যানভাস তৈরির স্বপ্ন থেকেই ঈহার যাত্রা শুরু।
শুরুর গল্প সম্পর্কে মৌরী নাজনীন বলেন, ‘উদ্যোক্তা হওয়ার শুরুটা আসলে নিজের মতো কিছু কাজ করার ইচ্ছে থেকে। ঈহার কাজ শুরু করেছিলাম চাকরির পাশাপাশি। কিন্তু আস্তে আস্তে কাজের চাপ বাড়তে থাকে। চাকরি ও ব্যবসা পাশাপাশি চালানোটা কঠিন হয়ে যাচ্ছিল। কারণ উদ্যোক্তা হয়ে কাজ চালিয়ে যাওয়াটা বেশ সময়সাপেক্ষ। বিশেষ করে যেখানে আমাদের প্রতিটি পণ্য নিজেদের তৈরি করতে হয়। এ ছাড়া পরিকল্পনা, ডিজাইনিং থেকে শুরু করে পণ্য ক্রেতার কাছে পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত প্রক্রিয়াটা বেশ লম্বা আর সময়সাপেক্ষ বিষয়। চাকরির পাশাপাশি ঈহার কাজ করা কঠিন হয়ে যাওয়ায় যেকোনো মাধ্যমের মধ্যে একটা বেছে নিতে হলো। এ ছাড়া চাকরিজীবন ও উদ্যোক্তার জীবন অনেকাংশে আলাদা। কারণ, চাকরি আসলে একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য। কর্মস্থলের কাজ শেষে বাসায় চলে গেলে তেমন কোনো কাজ থাকে না। কিন্তু উদ্যোক্তার জীবনটা তো অনেক বিশাল। এ কাজ-সে কাজের চিন্তা ২৪ ঘণ্টা চলতে থাকে। আবার উদ্যোক্তা হিসেবে স্বাধীনভাবে কাজ করা যায়। কাজের জন্য নিজের মতো করে এদিক-সেদিক ছুটে যাওয়া যায়। সবকিছু মিলিয়ে এক ধরনের ভালো লাগার জায়গা থেকে আমার উদ্যোক্তা হওয়া।’
নাজনীন ঈহার মাধ্যমে মূলত নারীদের পোশাক, শাড়ি, কামিজ নিয়ে কাজ করেন। পাশাপাশি উৎসব ভেদে পুরুষ ও শিশুদের পোশাকও তৈরি করেন। তবে, সম্প্রতি ঈহার নতুন সাব ব্র্যান্ড–‘নৈ’ যাত্রা করেছে। ‘নৈ’ মূলত তৈরি পোশাক ও ব্যাগ নিয়ে কাজ করছে।
এই যে চাকরি বাদ দিয়ে নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা, এর পথটা কতটা মসৃণ ছিল? মৌরি বলেন, ‘আসলে উদ্যোক্তা হওয়ার পেছনে একটা লড়াই সব সময় কাজ করে। এই প্রতিযোগিতার বাজারে শুরু করার পর টিকে থাকা। কোনোভাবেই পিছু না হটে নিজের কাজ ঠিকঠাকমতো চালিয়ে যাওয়াটাই সবচেয়ে বড় লড়াই। উদ্যোক্তা নারী হলে সেই লড়াইয়ের সঙ্গে সামাজিক চাপ, কাজে বাধাবিপত্তি আরও বেড়ে যায়। সামাজিকভাবে নারী ব্যবসায়ীর গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও একটা যুদ্ধ চালাতে হয়। আমার নিজের ক্ষেত্রে আমি করপোরেট চাকরি ছেড়ে পুরোপুরি ব্যবসায় এসেছি। তাই প্রথম দিকে এটাও একটা ইস্যু ছিল। কিন্তু মনোযোগটা আমার সব সময় কাজেই ছিল। তাই এসব ব্যাপার খুব একটা গায়ে লাগেনি আমার। এ ছাড়া এটা এমন এক যুদ্ধ, যেখানে প্রতিষ্ঠানের কাজের ওপর আরও কিছু মানুষের রুটি-রুজি নির্ভর করে। তখন আসলে অন্য চাপকে আমলে নেওয়ার খুব একটা সুযোগ থাকে না।’
স্বামী, বাবা-মা চার বোন নিয়ে মৌরী নাজনীনের পরিবার। কাজের ক্ষেত্রে তিনি তাঁর পরিবার থেকে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা পেয়েছেন। পরিবারের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার কাজে আমার স্বামী সব সময় সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। আর সবচেয়ে বেশি অনুপ্রেরণা পাই আম্মুর কাছ থেকে।’
এত কাজের ভিড়ে চলার পথে প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়েছেন কিনা জানতে চাইলে মৌরী বলেন, ‘সব কাজেই তো প্রতিবন্ধকতা আছে। কাজের ভার যত বেশি, প্রতিবন্ধকতাও তত বেশি। আমাদের প্রতিটা পণ্য আমাদের নিজেদের তৈরি। তাই পণ্য তৈরি এবং বাজারজাতের পুরো প্রক্রিয়াটা বেশ লম্বা। আর ছোট উদ্যোক্তা হিসেবে আমাদের সীমাবদ্ধতাও অনেক। চাইলেও আমরা বড় পরিসরে যেতে পারি না। প্রতিবন্ধকতা টপকে টিকে থাকাটাই হলো উদ্যোক্তা জীবন। এখানেই লড়াইয়ের সার্থকতা।’
নারীর জন্য উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশ কতটা কঠিন? প্রশ্নটি উঠতেই মৌরী বলেন, ‘উদ্যোক্তা জীবনে ধাপে ধাপে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতে হয়। পাশাপাশি নিজের অধিকার আদায়ের কাজও করে নিতে হয়। তাই নারী হিসেবে শ্রমটা একটু বেশিই দিতে হয়। আমাদের দেশের কোনো কিছুই আসলে নারীবান্ধব না। সেটা গণপরিবহন থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রেই। উদ্যোক্তা জীবনে বড় একটা সময় বিভিন্ন সোর্সিং, কাঁচামাল সংগ্রহসহ বিভিন্ন কাজে যুক্ত থাকতে হয়। সেটা যতই অনলাইন উদ্যোগ হোক না কেন, এ ক্ষেত্রে লড়াইটা করতে হয় ভিন্ন মাত্রা থেকে। তাই আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে নারীদের কিছু করাটাই তো চ্যালেঞ্জিং।’
করোনা মহামারির মধ্যেও লড়াইটা জারি রেখেছেন মৌরী। এই সময় জনসমাগম কম থাকায় কাজ করাটা কিছুটা সহজ হয়ে গিয়েছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বললেন, ‘প্রথম দিকে দু-তিন মাস এবং কঠোর লকডাউনের সময়গুলো ছাড়া যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমাদের স্টুডিও খোলা ছিল। এই সময়টাতে আমাদের সঙ্গে ক্রেতাদের যোগাযোগও ছিল। এই করোনা মহামারির মধ্যেই আমরা আমাদের স্টুডিওর কাজ শুরু করি। যেহেতু জনসমাগমের ভয় ছিল না। ফলে কাজ চালাতেও তেমন কোনো অসুবিধা হয়নি। মহামারি তো একটা লম্বা সময় পর্যন্ত চলছে। জীবন তো থেমে থাকবে না। আমাদের কর্মীদের কর্মসংস্থানের জায়গা ঈহা। তাই আমাদের কাজ চালিয়ে যেতে হয়েছে। বরং এই ভেবে আনন্দিত যে, এই কঠিন সময়ে আমরা অল্প হলেও কিছু নতুন মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পেরেছি। আমাদের স্টুডিওর কর্মীদের বেতন, শ্রমিকদের মজুরি, কাঁচামাল সংগ্রহের পাশাপাশি স্টুডিও-সংক্রান্ত সব খরচের পরও মাসে ঈহার অর্থনৈতিক যাত্রা মোটামুটি মসৃণই বলা যায়।’
কথা বলতে বলতে একপর্যায়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে মৌরি বলেন, ‘ঈহা ও নৈ-এর কাজে ১০ থেকে ১৫ জন শ্রমিক সার্বক্ষণিক কাজ করছেন। আমাদের নিজস্ব অফিস ঈহা স্টুডিও। সেখানে ডিজাইনিং এবং অন্যান্য কাজ হয়। ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে, আরও ভিন্নধর্মী পণ্য নিয়ে নিজস্ব শোরুম নিয়ে কাজ করতে চাই।’
নারী উদ্যোক্তা মৌরী নাজনীন। শখের বশে ছোটবেলায় থেকে ছবি আঁকতেন। স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। কিন্তু একপর্যায়ে পড়ালেখা, করপোরেট চাকরিতে সময় দিতে গিয়ে আঁকাআঁকি থেকে অনেক দূরে চলে যান। ফলে দীর্ঘসময় ক্যানভাস থেকে দূরে সরে যান তিনি। এ সময়টাতে ছবি আঁকতে না পারায় তাঁর মধ্যে এক ধরনের বিষণ্নতা ভর করে। বিষণ্নতা কাটিয়ে উঠতে আবার আঁকার কাছেই ফেরা। কাজের সঙ্গে ভালো লাগাকে মিলিয়ে নিতেই অনলাইনভিত্তিক শপিং প্ল্যাটফর্ম ‘ঈহা’-এর যাত্রা করেন।
‘ঈহা’ শব্দের অর্থ ‘ইচ্ছা’। নিজের ইচ্ছেটাকে প্রাধান্য দিতেই ঈহার মাধ্যমে মৌরী তাঁর কাজ শুরু করেন। প্রথমে তিনি হ্যান্ড পেইন্টের পণ্য দিয়ে কাজ শুরু করেন। নিজের ইচ্ছা, আর স্বাধীনতাকে প্রাধান্য দিয়ে ক্যানভাস তৈরির স্বপ্ন থেকেই ঈহার যাত্রা শুরু।
শুরুর গল্প সম্পর্কে মৌরী নাজনীন বলেন, ‘উদ্যোক্তা হওয়ার শুরুটা আসলে নিজের মতো কিছু কাজ করার ইচ্ছে থেকে। ঈহার কাজ শুরু করেছিলাম চাকরির পাশাপাশি। কিন্তু আস্তে আস্তে কাজের চাপ বাড়তে থাকে। চাকরি ও ব্যবসা পাশাপাশি চালানোটা কঠিন হয়ে যাচ্ছিল। কারণ উদ্যোক্তা হয়ে কাজ চালিয়ে যাওয়াটা বেশ সময়সাপেক্ষ। বিশেষ করে যেখানে আমাদের প্রতিটি পণ্য নিজেদের তৈরি করতে হয়। এ ছাড়া পরিকল্পনা, ডিজাইনিং থেকে শুরু করে পণ্য ক্রেতার কাছে পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত প্রক্রিয়াটা বেশ লম্বা আর সময়সাপেক্ষ বিষয়। চাকরির পাশাপাশি ঈহার কাজ করা কঠিন হয়ে যাওয়ায় যেকোনো মাধ্যমের মধ্যে একটা বেছে নিতে হলো। এ ছাড়া চাকরিজীবন ও উদ্যোক্তার জীবন অনেকাংশে আলাদা। কারণ, চাকরি আসলে একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য। কর্মস্থলের কাজ শেষে বাসায় চলে গেলে তেমন কোনো কাজ থাকে না। কিন্তু উদ্যোক্তার জীবনটা তো অনেক বিশাল। এ কাজ-সে কাজের চিন্তা ২৪ ঘণ্টা চলতে থাকে। আবার উদ্যোক্তা হিসেবে স্বাধীনভাবে কাজ করা যায়। কাজের জন্য নিজের মতো করে এদিক-সেদিক ছুটে যাওয়া যায়। সবকিছু মিলিয়ে এক ধরনের ভালো লাগার জায়গা থেকে আমার উদ্যোক্তা হওয়া।’
নাজনীন ঈহার মাধ্যমে মূলত নারীদের পোশাক, শাড়ি, কামিজ নিয়ে কাজ করেন। পাশাপাশি উৎসব ভেদে পুরুষ ও শিশুদের পোশাকও তৈরি করেন। তবে, সম্প্রতি ঈহার নতুন সাব ব্র্যান্ড–‘নৈ’ যাত্রা করেছে। ‘নৈ’ মূলত তৈরি পোশাক ও ব্যাগ নিয়ে কাজ করছে।
এই যে চাকরি বাদ দিয়ে নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা, এর পথটা কতটা মসৃণ ছিল? মৌরি বলেন, ‘আসলে উদ্যোক্তা হওয়ার পেছনে একটা লড়াই সব সময় কাজ করে। এই প্রতিযোগিতার বাজারে শুরু করার পর টিকে থাকা। কোনোভাবেই পিছু না হটে নিজের কাজ ঠিকঠাকমতো চালিয়ে যাওয়াটাই সবচেয়ে বড় লড়াই। উদ্যোক্তা নারী হলে সেই লড়াইয়ের সঙ্গে সামাজিক চাপ, কাজে বাধাবিপত্তি আরও বেড়ে যায়। সামাজিকভাবে নারী ব্যবসায়ীর গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও একটা যুদ্ধ চালাতে হয়। আমার নিজের ক্ষেত্রে আমি করপোরেট চাকরি ছেড়ে পুরোপুরি ব্যবসায় এসেছি। তাই প্রথম দিকে এটাও একটা ইস্যু ছিল। কিন্তু মনোযোগটা আমার সব সময় কাজেই ছিল। তাই এসব ব্যাপার খুব একটা গায়ে লাগেনি আমার। এ ছাড়া এটা এমন এক যুদ্ধ, যেখানে প্রতিষ্ঠানের কাজের ওপর আরও কিছু মানুষের রুটি-রুজি নির্ভর করে। তখন আসলে অন্য চাপকে আমলে নেওয়ার খুব একটা সুযোগ থাকে না।’
স্বামী, বাবা-মা চার বোন নিয়ে মৌরী নাজনীনের পরিবার। কাজের ক্ষেত্রে তিনি তাঁর পরিবার থেকে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা পেয়েছেন। পরিবারের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার কাজে আমার স্বামী সব সময় সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। আর সবচেয়ে বেশি অনুপ্রেরণা পাই আম্মুর কাছ থেকে।’
এত কাজের ভিড়ে চলার পথে প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়েছেন কিনা জানতে চাইলে মৌরী বলেন, ‘সব কাজেই তো প্রতিবন্ধকতা আছে। কাজের ভার যত বেশি, প্রতিবন্ধকতাও তত বেশি। আমাদের প্রতিটা পণ্য আমাদের নিজেদের তৈরি। তাই পণ্য তৈরি এবং বাজারজাতের পুরো প্রক্রিয়াটা বেশ লম্বা। আর ছোট উদ্যোক্তা হিসেবে আমাদের সীমাবদ্ধতাও অনেক। চাইলেও আমরা বড় পরিসরে যেতে পারি না। প্রতিবন্ধকতা টপকে টিকে থাকাটাই হলো উদ্যোক্তা জীবন। এখানেই লড়াইয়ের সার্থকতা।’
নারীর জন্য উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশ কতটা কঠিন? প্রশ্নটি উঠতেই মৌরী বলেন, ‘উদ্যোক্তা জীবনে ধাপে ধাপে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতে হয়। পাশাপাশি নিজের অধিকার আদায়ের কাজও করে নিতে হয়। তাই নারী হিসেবে শ্রমটা একটু বেশিই দিতে হয়। আমাদের দেশের কোনো কিছুই আসলে নারীবান্ধব না। সেটা গণপরিবহন থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রেই। উদ্যোক্তা জীবনে বড় একটা সময় বিভিন্ন সোর্সিং, কাঁচামাল সংগ্রহসহ বিভিন্ন কাজে যুক্ত থাকতে হয়। সেটা যতই অনলাইন উদ্যোগ হোক না কেন, এ ক্ষেত্রে লড়াইটা করতে হয় ভিন্ন মাত্রা থেকে। তাই আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে নারীদের কিছু করাটাই তো চ্যালেঞ্জিং।’
করোনা মহামারির মধ্যেও লড়াইটা জারি রেখেছেন মৌরী। এই সময় জনসমাগম কম থাকায় কাজ করাটা কিছুটা সহজ হয়ে গিয়েছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বললেন, ‘প্রথম দিকে দু-তিন মাস এবং কঠোর লকডাউনের সময়গুলো ছাড়া যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমাদের স্টুডিও খোলা ছিল। এই সময়টাতে আমাদের সঙ্গে ক্রেতাদের যোগাযোগও ছিল। এই করোনা মহামারির মধ্যেই আমরা আমাদের স্টুডিওর কাজ শুরু করি। যেহেতু জনসমাগমের ভয় ছিল না। ফলে কাজ চালাতেও তেমন কোনো অসুবিধা হয়নি। মহামারি তো একটা লম্বা সময় পর্যন্ত চলছে। জীবন তো থেমে থাকবে না। আমাদের কর্মীদের কর্মসংস্থানের জায়গা ঈহা। তাই আমাদের কাজ চালিয়ে যেতে হয়েছে। বরং এই ভেবে আনন্দিত যে, এই কঠিন সময়ে আমরা অল্প হলেও কিছু নতুন মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পেরেছি। আমাদের স্টুডিওর কর্মীদের বেতন, শ্রমিকদের মজুরি, কাঁচামাল সংগ্রহের পাশাপাশি স্টুডিও-সংক্রান্ত সব খরচের পরও মাসে ঈহার অর্থনৈতিক যাত্রা মোটামুটি মসৃণই বলা যায়।’
কথা বলতে বলতে একপর্যায়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে মৌরি বলেন, ‘ঈহা ও নৈ-এর কাজে ১০ থেকে ১৫ জন শ্রমিক সার্বক্ষণিক কাজ করছেন। আমাদের নিজস্ব অফিস ঈহা স্টুডিও। সেখানে ডিজাইনিং এবং অন্যান্য কাজ হয়। ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে, আরও ভিন্নধর্মী পণ্য নিয়ে নিজস্ব শোরুম নিয়ে কাজ করতে চাই।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিমের আওতায় তারল্য ঘাটটি মেটাতে দুর্বল সাতটি ব্যাংককে ৬ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা তারল্য সহায়তা দিয়েছে সবল ৯টি ব্যাংক। তবে এসব দুর্বল ব্যাংক থেকে চাওয়া হয়েছিল ১১ হাজার ১০০ কোটি টাকা। গতকাল বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আ
৭ ঘণ্টা আগেদেশে চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ভেজাল, নকল, মানহীন, অনুমোদনহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ প্রসাধনী সামগ্রী। বাংলাদেশ যেন বিদেশি এসব পণ্যের ডাম্পিং স্টেশন। প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়ায় দিন দিন এসব পণ্যে সয়লাব হচ্ছে বাজার। বিদেশ থেকে চোরাই পথে বিপুল পরিমাণে নিম্নমানের ভেজাল প্রসাধনী ঢুকছে দেশে।
৯ ঘণ্টা আগেরাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী নির্মাণ, আবাসন, বিদ্যুৎ ও সংশ্লিষ্ট সরঞ্জামকেন্দ্রিক দেশের সবচেয়ে বড় ছয়টি পৃথক আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী। চলবে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত
১১ ঘণ্টা আগেব্রোকারেজ হাউস সাবভ্যালি সিকিউরিটিজের সব ধরনের কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। মূলধন ঋণাত্মক ও বিনিয়োগের বিপরীতে দেওয়া ঋণের অনুপাত অনেক বেশি হওয়ায় এই নির্দেশ দিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ।
১২ ঘণ্টা আগে