প্রতিষ্ঠানের সেবা করার মাধ্যমে দেশসেবার আনন্দ পাওয়া যায় বলে মনে করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. মশিউর রহমান। তিনি বলেন, ‘আপনি দেশের জন্য, মানুষের জন্য, সমষ্টির জন্য কতটা করতে পারলেন সেটির আনন্দ অপার। আমরা সম্মিলিতভাবে নতুন নতুন কাজ, নতুন অংশগ্রহণ এবং নতুন ভাবনা নিয়ে এগিয়ে যাব। স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেছেন। স্মার্টনেস আমার কাছে আর কিছু নয়, এটি হচ্ছে ইনোভেশন। এটি ইমপ্লিমেন্ট করার অদম্য ইচ্ছাই স্মার্টনেস।’ 

গতকাল রোববার গাজীপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে একাডেমিক ভবনের ভার্চুয়াল ক্লাস রুমে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সদ্য যোগদান করা প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের ২৭ দিনব্যাপী চলা ‘আইসিটি দক্ষতা বৃদ্ধি ও প্রশাসনিক বিষয়ে’ প্রশিক্ষণের সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন উপাচার্য। 

উপাচার্য মশিউর বলেন, ‘প্রতিষ্ঠান একটি বিমূর্ত জায়গা। আপনার যত্নে, ভালোবাসায় প্রতিষ্ঠান ঋদ্ধ হয়। আপনি যদি নিজেকে সেরা জায়গায় দেখতে চান। নিজেকে ভালো মানুষ হিসেবে দেখতে চান-অনবরত আপনার প্রতিষ্ঠানকে ভালোবাসতে হবে। প্রতিষ্ঠানকে যত্ন করার মধ্য দিয়ে আপনার নিজের ভালো থাকা নিশ্চিত হবে। এ কারণেই প্রতিষ্ঠানের জন্য সব সময় আপনার শুভ কামনা থাকতে হবে।’ 

প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশে উপাচার্য মশিউর বলেন, ‘শেখ হাসিনা রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসীন হওয়ার পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উত্তরোত্তর সমৃদ্ধির দিকে যাচ্ছে। কাজ করার অদম্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে উচ্চশিক্ষার ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। এই উচ্চশিক্ষার ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীকে আমরা যেদিকে ধাবিত করব মূলত বাংলাদেশ উৎকর্ষতায় সেদিকে যাবে। এই জনগোষ্ঠীকে যত দক্ষ, যোগ্য করে গড়ে তুলব বাংলাদেশ তত দ্রুত উন্নয়নের দিকে যাবে।’ 

রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেনের সভাপতিত্বে ও মানবসম্পদ উন্নয়ন ও শুদ্ধাচার দপ্তরের পরিচালক জয়ন্ত ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর নিজামউদ্দিন আহমেদ, ট্রেজারার প্রফেসর আবদুস সালাম হাওলাদার। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন দপ্তরের বিভাগীয় প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন। সদ্য যোগদান করা ১৮ জন প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও ১ জন সাব-টেকনিক্যাল অফিসার প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন।