অনলাইন ডেস্ক
ডি-ডলারাইজেশন প্রক্রিয়া জোরেশোরেই এগিয়ে নিচ্ছে চীন। অন্তত তথ্য-উপাত্ত তাই বলছে। ২০১০ সাল পর্যন্তও চীনের আন্তসীমান্ত বাণিজ্যের বেশির ভাগই ডলারে হলেও ২০২৩ সালে এসে সেরকমটা আর মনে হচ্ছে না। ব্লুমবার্গসহ বিভিন্ন বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বরাত দিয়ে ভিজুয়াল ক্যাপিটালিস্ট নামে একটি সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে।
২০১০ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত চীনের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে লেনদেনের জন্য ডলার ও ইউয়ান তথা রেনমিনবির ব্যবহারের একটি তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরেছে ব্লুমবার্গ। তথ্য-উপাত্ত বলছে, ২০১০ সালের পর থেকে চীনের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ডলারের আধিপত্য ক্রমাগত কমে গিয়ে রেনমিনবির প্রভাব বাড়াছে।
চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত এক বছরে চীনা বৈদেশিক বাণিজ্যে ৫২ দশমিক ৯ শতাংশ লেনদেন হয় রেনমিনবিতে। এই সময়ে ডলারে লেনদেন হয়েছে ৪২ দশমিক ৮ শতাংশ। অথচ ২০১০ সালের মার্চে চীন নিজ মুদ্রা রেনমিনবিতে লেনদেন করেছে মাত্র দশমিক ৩ শতাংশ। সে সময় ডলারের লেনদেন ছিল ৮৪ দশমিক ৩ শতাংশ এবং অন্যান্য মুদ্রায় লেনদেন হয়েছে ১৫ দশমিক ৪ শতাংশ।
২০২৩ সালের মার্চ মাসে প্রথমবারের মতো চীনের নিজস্ব মুদ্রা রেনমিনবিতে লেনদেন ডলারে লেনদেনকে ছাড়িয়ে যায়। সে মাসে চীন রেনমিনবিতে লেনদেন করেছিল ৪৮ দশমিক ৪ শতাংশ, ডলারে করেছিল ৪৬ দশমিক ৭ শতাংশ এবং অন্যান্য মুদ্রায় লেনদেন করেছিল ৪ দশমিক ৯ শতাংশ।
বাজার বিশ্লেষণী প্রতিষ্ঠান ও বিনিয়োগ ব্যাংক গোল্ডম্যান স্যাচের মতে, বিদেশি ব্যবসায়ীদের রেনমিনবিতে লেনদেন করার ক্রমাগত প্রবণতা ডি-ডলারাইজেশনে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। এছাড়া গত বছরের শুরুর দিকে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনাও রেনমিনবিতে বাণিজ্যিক লেনদেনের ঘোষণা দেয়।
চীন নিজ বাণিজ্যিক লেনদেনে রেনমিনবি বেশি ব্যবহার করলেও বিশ্ব বাণিজ্যের লেনদেনে ডলার এখনও প্রথম পছন্দ। এরপর আছে ইউরো এবং জাপানি মুদ্রা ইয়েন। বৈশ্বিক লেনদেনে চীনা মুদ্রা রেনমিনবির দখল এখনও খুব সামান্য। তবে বিগত দশকে রেনমিনবিতে বৈশ্বিক লেনদেন অনেক বেড়েছে।
ব্যাংক ফর ইন্টারন্যাশনাল সেটেলমেন্ট বলছে, ২০১৩ সালে যেখানে (মোট ২০০ শতাংশের মধ্যে) বৈশ্বিক লেনদেন ৮৭ শতাংশ হতো ডলারে সেখানে এক দশকে তা দেড় শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৮ দশমিক ৫ শতাংশে। আবার ইউরোর ব্যবহার এক দশকে ২ দশমিক ৯ শতাংশ কমে ৩৩ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে ৩০ দশমিক ৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। একইভাবে ইয়েনের ব্যবহার কমেছে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ। বিপরীতে এক দশকে রেনমিনবির ব্যবহার বেড়েছে ৪ দশমিক ৮ শতাংশ।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, বিশ্বজুড়ে রেনমিনবির উত্থান অব্যাহত থাকবে এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ডলারের আধিপত্য আস্তে আস্তে কমে যেতে থাকবে। তবে ডলারের আধিপত্য হ্রাসের প্রভাব কেমন হবে তা নিয়ে এখনো অনিশ্চয়তা আছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এর প্রভাব হবে জটিল এবং অনিশ্চিত। তবে এর ফলে যে মার্কিন ডলার মূল্যমান কমবে এবং পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার সক্ষমতা কমবে সে বিষয়ে প্রায় সবাই একমত।
যাই হোক, আন্তর্জাতিক লেনদেন রেনমিনবির প্রভাব ব্যাপকভাবে বাড়ছে। তবে খুব শিগগির তা ডলারকে প্রতিস্থাপন করে সম্পূর্ণ ডি-ডলারাইজেশন ঘটিয়ে ফেলবে এমনটা সম্ভব নয়।
ডি-ডলারাইজেশন প্রক্রিয়া জোরেশোরেই এগিয়ে নিচ্ছে চীন। অন্তত তথ্য-উপাত্ত তাই বলছে। ২০১০ সাল পর্যন্তও চীনের আন্তসীমান্ত বাণিজ্যের বেশির ভাগই ডলারে হলেও ২০২৩ সালে এসে সেরকমটা আর মনে হচ্ছে না। ব্লুমবার্গসহ বিভিন্ন বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বরাত দিয়ে ভিজুয়াল ক্যাপিটালিস্ট নামে একটি সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে।
২০১০ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত চীনের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে লেনদেনের জন্য ডলার ও ইউয়ান তথা রেনমিনবির ব্যবহারের একটি তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরেছে ব্লুমবার্গ। তথ্য-উপাত্ত বলছে, ২০১০ সালের পর থেকে চীনের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ডলারের আধিপত্য ক্রমাগত কমে গিয়ে রেনমিনবির প্রভাব বাড়াছে।
চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত এক বছরে চীনা বৈদেশিক বাণিজ্যে ৫২ দশমিক ৯ শতাংশ লেনদেন হয় রেনমিনবিতে। এই সময়ে ডলারে লেনদেন হয়েছে ৪২ দশমিক ৮ শতাংশ। অথচ ২০১০ সালের মার্চে চীন নিজ মুদ্রা রেনমিনবিতে লেনদেন করেছে মাত্র দশমিক ৩ শতাংশ। সে সময় ডলারের লেনদেন ছিল ৮৪ দশমিক ৩ শতাংশ এবং অন্যান্য মুদ্রায় লেনদেন হয়েছে ১৫ দশমিক ৪ শতাংশ।
২০২৩ সালের মার্চ মাসে প্রথমবারের মতো চীনের নিজস্ব মুদ্রা রেনমিনবিতে লেনদেন ডলারে লেনদেনকে ছাড়িয়ে যায়। সে মাসে চীন রেনমিনবিতে লেনদেন করেছিল ৪৮ দশমিক ৪ শতাংশ, ডলারে করেছিল ৪৬ দশমিক ৭ শতাংশ এবং অন্যান্য মুদ্রায় লেনদেন করেছিল ৪ দশমিক ৯ শতাংশ।
বাজার বিশ্লেষণী প্রতিষ্ঠান ও বিনিয়োগ ব্যাংক গোল্ডম্যান স্যাচের মতে, বিদেশি ব্যবসায়ীদের রেনমিনবিতে লেনদেন করার ক্রমাগত প্রবণতা ডি-ডলারাইজেশনে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। এছাড়া গত বছরের শুরুর দিকে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনাও রেনমিনবিতে বাণিজ্যিক লেনদেনের ঘোষণা দেয়।
চীন নিজ বাণিজ্যিক লেনদেনে রেনমিনবি বেশি ব্যবহার করলেও বিশ্ব বাণিজ্যের লেনদেনে ডলার এখনও প্রথম পছন্দ। এরপর আছে ইউরো এবং জাপানি মুদ্রা ইয়েন। বৈশ্বিক লেনদেনে চীনা মুদ্রা রেনমিনবির দখল এখনও খুব সামান্য। তবে বিগত দশকে রেনমিনবিতে বৈশ্বিক লেনদেন অনেক বেড়েছে।
ব্যাংক ফর ইন্টারন্যাশনাল সেটেলমেন্ট বলছে, ২০১৩ সালে যেখানে (মোট ২০০ শতাংশের মধ্যে) বৈশ্বিক লেনদেন ৮৭ শতাংশ হতো ডলারে সেখানে এক দশকে তা দেড় শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৮ দশমিক ৫ শতাংশে। আবার ইউরোর ব্যবহার এক দশকে ২ দশমিক ৯ শতাংশ কমে ৩৩ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে ৩০ দশমিক ৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। একইভাবে ইয়েনের ব্যবহার কমেছে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ। বিপরীতে এক দশকে রেনমিনবির ব্যবহার বেড়েছে ৪ দশমিক ৮ শতাংশ।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, বিশ্বজুড়ে রেনমিনবির উত্থান অব্যাহত থাকবে এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ডলারের আধিপত্য আস্তে আস্তে কমে যেতে থাকবে। তবে ডলারের আধিপত্য হ্রাসের প্রভাব কেমন হবে তা নিয়ে এখনো অনিশ্চয়তা আছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এর প্রভাব হবে জটিল এবং অনিশ্চিত। তবে এর ফলে যে মার্কিন ডলার মূল্যমান কমবে এবং পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার সক্ষমতা কমবে সে বিষয়ে প্রায় সবাই একমত।
যাই হোক, আন্তর্জাতিক লেনদেন রেনমিনবির প্রভাব ব্যাপকভাবে বাড়ছে। তবে খুব শিগগির তা ডলারকে প্রতিস্থাপন করে সম্পূর্ণ ডি-ডলারাইজেশন ঘটিয়ে ফেলবে এমনটা সম্ভব নয়।
এসিআই পাওয়ার সলিউশন ২৬ তম পাওয়ার বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক এক্সপোতে অংশগ্রহণ করেছে। এটি ১৪-১৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকার আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায়। এসিআই পাওয়ার সলিউশনের এক্সপোতে অংশগ্রহণের মূল লক্ষ্য সব নতুন পণ্য সম্পর্কে গ্রাহকদের জানানো। যার মধ্যে রেইকেম কেবল এক্সেসরিজ, স্নেইডার সার্কিট ব্র
৪ মিনিট আগেচলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর (তৃতীয়) প্রান্তিকে দেশের ১৭টি সাধারণ বিমা কোম্পানির মুনাফা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে একই সময়ে ২৩ কোম্পানির মুনাফা কমেছে। এ তথ্য ৪০টি সাধারণ বিমা কোম্পানির ১ জুলাই থেকে ৩০ অক্টোবর ২০২৪ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
৩৫ মিনিট আগেপ্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে শুরু হয়েছে বছরের সবচেয়ে বড় সেল ইভেন্ট দারাজ ১১.১১। প্রথম দিনেই ক্রেতাদের ভিড় জমে উঠেছে দারাজে। সারা দেশের মানুষ মেতে উঠেছে উৎসবের আমেজে, যেখানে পছন্দের পণ্যে মেলে দারুণ সব অফার, আর কেনাকাটার অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে চলেছে সবাই।
১ ঘণ্টা আগেবাংলা ভাষা নিয়ে মেধাভিত্তিক টিভি রিয়্যালিটি শো ‘ইস্পাহানি মির্জাপুর বাংলাবিদ-ষষ্ঠ বর্ষ’-এর চট্টগ্রাম বিভাগের বাছাইপর্ব আগামীকাল শনিবার চট্টগ্রাম শহরের ইস্পাহানি পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে। এই প্রতিযোগিতার উদ্যোগ, পরিকল্পনা ও পৃষ্ঠপোষকতা করছে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ড ইস
১ ঘণ্টা আগে