নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ২২ হাজার ২ কোটি টাকা ব্যয়সংবলিত ১৬টি প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অনুমোদনের জন্য বৈঠকে ১৭টি প্রস্তাব পাঠানো হলে তা থেকে ১৬টি প্রস্তাব অনুমোদন পায়, একটি প্রস্তাব ফেরত পাঠানো হয়। আর ১৭টি প্রস্তাবের মোট ব্যয়ের পরিমাণ ধরা হয়েছিল ২২ হাজার ১৫৬ কোটি ৯৭ লাখ ৪১ হাজার ৫০৪ টাকা।
অনুমোদিত ক্রয় প্রস্তাবগুলোর ব্যয়ের মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ব্যয় হবে ২০ হাজার ২৫৮ কোটি ৬৭ লাখ ৫৭ হাজার ৮৩৩ টাকা। বাকি ১ হাজার ৮৯৮ কোটি ২৯ লাখ ৮৩ হাজার ৬৭১ টাকা দেশীয় ব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) থেকে ঋণ বাবদ পাওয়া যাবে।
আজ বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকের পর অর্থমন্ত্রী এসব তথ্য জানান।
অর্থমন্ত্রী জানান, আজকের বৈঠকে অনুমোদিত ১৬ প্রস্তাবের মধ্যে বিদ্যুৎ বিভাগের পাঁচটি, শিল্প মন্ত্রণালয়ের চারটি, কৃষি মন্ত্রণালয়ের তিনটি, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দুটি, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের একটি এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাব রয়েছে। ফেরত দেওয়া প্রস্তাবটি হলো তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের অধীন গাজীপুরের কালিয়াকৈরে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে ফোর টায়ার জাতীয় ডাটা সেন্টারের জন্য নতুন ক্লাউড ক্রয়। এ প্রস্তাবে ব্যয় ধরা হয়েছিল ১৫৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
অনুমোদিত ১৬ ক্রয় প্রস্তাব হলো—
১. বিদ্যুৎ বিভাগের অধীনে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) কর্তৃক গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কাউলতিয়া এলাকায় ৪২ দশমিক ৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বর্জ্য হতে বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপন। এ জন্য চীনের ক্যানভস এনভায়রনমেন্টাল ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানিকে ১৪ হাজার ৪০৮ কোটি এক লাখ টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
২. বিউবো কর্তৃক পাবনার সুজানগর উপজেলাধীন সাগরকান্দি ইউনিয়নে ৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতার সোলার পার্ক প্রকল্প স্থাপন। এ বাবদ বাংলাদেশ-চীন রিনিউয়েবল এনার্জি কোম্পানিকে ১ হাজার ৬৪৯ কোটি ১২ লাখ টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
৩. বিউবো কর্তৃক চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলাধীন কৃষ্ণপুর মৌজায় ৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতার সোলার বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপন। সিঙ্গাপুরের সাইকেলিক্ট এনার্জি প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে ২০ বছর মেয়াদে ১ হাজার ৩২২ কোটি ৪০ লাখ টাকার চুক্তি সম্পাদনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
৪. বিউবো কর্তৃক ভোলা জেলার মনপুরা উপজেলার মনপুরা দ্বীপে তিন মেগাওয়াট ক্ষমতার সোলার-ব্যাটারি-ডিজেল সংবলিত হাইব্রিড বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন। এ জন্য ওয়েস্টার্ন রিনিউয়েবল এনার্জি প্রাইভেট লিমিটেডকে ৪৫৯ কোটি টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
৫. বিউবো কর্তৃক সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় ৬৮ মেগাওয়াট ক্ষমতার সোলার পার্ক প্রকল্প স্থাপন। বাংলাদেশ-চায়না রিনিউয়েবল এনার্জি কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে ২০ বছর মেয়াদে এক হাজার ৭৯৮ কোটি ৪৮ লাখ টাকার চুক্তি সম্পাদনের অনুমোদন।
৬. শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) ৩০ হাজার মেট্রিক টন ফসফরিক অ্যাসিড ২১৫ কোটি ৪৪ লাখ ৩৮ হাজার টাকায় ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে মেসার্স সান ইন্টারন্যাশনাল এফজেডই, ইউএই (লোকাল এজেন্ট: অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ ইনপুট, ঢাকা) থেকে ১০ হাজার মেট্রিক টন এবং মেসার্স জেনট্রেড এফজেডই, ইউএই (লোকাল এজেন্ট: মেসার্স দেশ ট্রেডিং করপোরেশন, ঢাকা) থেকে ২০ হাজার মেট্রিক টন ফসফরিক অ্যাসিড কেনা হবে।
৭. বিসিআইসির মাধ্যমে ৩০ হাজার মেট্রিক টন (১০ শতাংশের বেশি) বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার কেনার জন্য ২৪৮ কোটি ১০ লাখ ৫৬ হাজার ৪১৫ টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফার্টিগ্লোব ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড থেকে রাষ্ট্র পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে এ সার আমদানি করা হবে।
৮. বিসিআইসির মাধ্যমে ৩০ হাজার মেট্রিক টন (১০ শতাংশের বেশি) ব্যাগড প্রিল্ড ইউরিয়া সার আমদানি করতে ২৫০ কোটি ৯৩ লাখ ৮৬ হাজার ৯১৫ টাকায় আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। কাতারের মুনতাজাত থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে এ সার আমদানি করা হবে।
৯. বিসিআইসির মাধ্যমে ৩০ হাজার মেট্রিক টন (১০ শতাংশের বেশি) বাল্ক গ্র্যানুলার (অপশনাল) ইউরিয়া সার আমদানি। এ জন্য ২৪৮ কোটি ১০ লাখ ৫৬ হাজার ৪১৫ টাকা ব্যয়। সৌদি আরবের সৌদি বেসিক ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (এসএবিআইসি) থেকে রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে এ সার আমদানি করা হবে।
১০. এ ছাড়া কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) কর্তৃক কানাডার কানাডিয়ান কমার্শিয়াল করপোরেশন থেকে এক লটে ৩০ হাজার (১০ শতাংশের বেশি) মেট্রিক টন এমওপি সাঁর আমদানি। এ লক্ষ্যে ১৪৬ কোটি ৮০ লাখ ৩৫ হাজার টাকায় আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
১১. বিএডিসি কর্তৃক কানাডার কানাডিয়ান কমার্শিয়াল করপোরেশন থেকে দুই লটে ৩০ হাজার (১০ শতাংশের বেশি) মেট্রিক টন এমওপি সার আমদানি। এ লক্ষ্যে ১৫৯ কোটি ৩ লাখ ৭১ হাজার ২৫০ টাকায় আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
১২. বিএডিসি কর্তৃক রাশিয়ার জেএসসি ফরেন ইকোনমিক অ্যাসোসিয়েশন প্রডিন্টরগ থেকে এক লটে ৩০ হাজার (১০ শতাংশের বেশি) মেট্রিক টন এমওপি সার কিনতে ১৫৯ কোটি ৩ লাখ ৭১ হাজার ২৫০ টাকায় আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
১৩. এ ছাড়া ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের রোলিং স্টক অপারেশন উন্নয়ন (রোলিং স্টক সংগ্রহ)’ প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর-জিডি-৪-এর আওতায় ৫৮০টি মিটারগেজ ওয়াগন চীনের সিআরআরসি শানডং কোম্পানি লিমিটেড থেকে ৩৯৭ কোটি ৭২ লাখ ৪৬ হাজার ৫০৪ টাকায় ক্রয়ের অনুমোদন।
১৪. রেলপথ মন্ত্রণালয়ের আরেক প্রস্তাবে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের রোলিং স্টক অপারেশন উন্নয়ন (রোলিং স্টক সংগ্রহ)’ প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর-জিডি-৫-এর আওতায় ৪২০টি ব্রডগেজ ওয়াগন আমদানি। ভারতের হিন্দুস্থান ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড থেকে ২৮৮ কোটি ৫৪ লাখ ৫৯ হাজার ৯২২ টাকারএ প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
১৫. আরেক প্রস্তাব হলো সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অধীন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরর কর্তৃক ‘কুমিল্লা (টমছম ব্রিজ)-নোয়াখালী (বেগমগঞ্জ) আঞ্চলিক মহাসড়ক ৪-লেনে উন্নীতকরণ’ প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর-পিডব্লিউ-৫-এর পূর্ত কাজ হাসান টেকনো বিল্ডার্স লিমিটেডের কাছ থেকে ৩৫ কোটি ২৪ লাখ ৪৩ হাজার ১৬১ টাকার অনুমোদন।
১৬. অনুমোদিত আরেক প্রস্তাব হলো—প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি-৪) এর আওতায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিতরণের লক্ষ্যে ওয়ালটন ডিজিটেক ইন্ডাস্ট্রিজ থেকে ১০টি লটে ৪১ হাজার ল্যাপটপ ২০১ কোটি ৬৫ লাখ ১৯ হাজার ২৩২ টাকায় এবং গ্লোবাল ব্রান্ড প্রাইভেট লিমিটেড থেকে ১০টি লটে ৪১ হাজার স্পিকার ১৪ কোটি ৫২ লাখ ৫৭ হাজার ৪৪০ টাকায় ক্রয়ের প্রস্তাবের অনুমোদন।
সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ২২ হাজার ২ কোটি টাকা ব্যয়সংবলিত ১৬টি প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অনুমোদনের জন্য বৈঠকে ১৭টি প্রস্তাব পাঠানো হলে তা থেকে ১৬টি প্রস্তাব অনুমোদন পায়, একটি প্রস্তাব ফেরত পাঠানো হয়। আর ১৭টি প্রস্তাবের মোট ব্যয়ের পরিমাণ ধরা হয়েছিল ২২ হাজার ১৫৬ কোটি ৯৭ লাখ ৪১ হাজার ৫০৪ টাকা।
অনুমোদিত ক্রয় প্রস্তাবগুলোর ব্যয়ের মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ব্যয় হবে ২০ হাজার ২৫৮ কোটি ৬৭ লাখ ৫৭ হাজার ৮৩৩ টাকা। বাকি ১ হাজার ৮৯৮ কোটি ২৯ লাখ ৮৩ হাজার ৬৭১ টাকা দেশীয় ব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) থেকে ঋণ বাবদ পাওয়া যাবে।
আজ বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকের পর অর্থমন্ত্রী এসব তথ্য জানান।
অর্থমন্ত্রী জানান, আজকের বৈঠকে অনুমোদিত ১৬ প্রস্তাবের মধ্যে বিদ্যুৎ বিভাগের পাঁচটি, শিল্প মন্ত্রণালয়ের চারটি, কৃষি মন্ত্রণালয়ের তিনটি, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দুটি, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের একটি এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাব রয়েছে। ফেরত দেওয়া প্রস্তাবটি হলো তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের অধীন গাজীপুরের কালিয়াকৈরে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে ফোর টায়ার জাতীয় ডাটা সেন্টারের জন্য নতুন ক্লাউড ক্রয়। এ প্রস্তাবে ব্যয় ধরা হয়েছিল ১৫৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
অনুমোদিত ১৬ ক্রয় প্রস্তাব হলো—
১. বিদ্যুৎ বিভাগের অধীনে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) কর্তৃক গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কাউলতিয়া এলাকায় ৪২ দশমিক ৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বর্জ্য হতে বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপন। এ জন্য চীনের ক্যানভস এনভায়রনমেন্টাল ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানিকে ১৪ হাজার ৪০৮ কোটি এক লাখ টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
২. বিউবো কর্তৃক পাবনার সুজানগর উপজেলাধীন সাগরকান্দি ইউনিয়নে ৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতার সোলার পার্ক প্রকল্প স্থাপন। এ বাবদ বাংলাদেশ-চীন রিনিউয়েবল এনার্জি কোম্পানিকে ১ হাজার ৬৪৯ কোটি ১২ লাখ টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
৩. বিউবো কর্তৃক চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলাধীন কৃষ্ণপুর মৌজায় ৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতার সোলার বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপন। সিঙ্গাপুরের সাইকেলিক্ট এনার্জি প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে ২০ বছর মেয়াদে ১ হাজার ৩২২ কোটি ৪০ লাখ টাকার চুক্তি সম্পাদনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
৪. বিউবো কর্তৃক ভোলা জেলার মনপুরা উপজেলার মনপুরা দ্বীপে তিন মেগাওয়াট ক্ষমতার সোলার-ব্যাটারি-ডিজেল সংবলিত হাইব্রিড বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন। এ জন্য ওয়েস্টার্ন রিনিউয়েবল এনার্জি প্রাইভেট লিমিটেডকে ৪৫৯ কোটি টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
৫. বিউবো কর্তৃক সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় ৬৮ মেগাওয়াট ক্ষমতার সোলার পার্ক প্রকল্প স্থাপন। বাংলাদেশ-চায়না রিনিউয়েবল এনার্জি কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে ২০ বছর মেয়াদে এক হাজার ৭৯৮ কোটি ৪৮ লাখ টাকার চুক্তি সম্পাদনের অনুমোদন।
৬. শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) ৩০ হাজার মেট্রিক টন ফসফরিক অ্যাসিড ২১৫ কোটি ৪৪ লাখ ৩৮ হাজার টাকায় ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে মেসার্স সান ইন্টারন্যাশনাল এফজেডই, ইউএই (লোকাল এজেন্ট: অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ ইনপুট, ঢাকা) থেকে ১০ হাজার মেট্রিক টন এবং মেসার্স জেনট্রেড এফজেডই, ইউএই (লোকাল এজেন্ট: মেসার্স দেশ ট্রেডিং করপোরেশন, ঢাকা) থেকে ২০ হাজার মেট্রিক টন ফসফরিক অ্যাসিড কেনা হবে।
৭. বিসিআইসির মাধ্যমে ৩০ হাজার মেট্রিক টন (১০ শতাংশের বেশি) বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার কেনার জন্য ২৪৮ কোটি ১০ লাখ ৫৬ হাজার ৪১৫ টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফার্টিগ্লোব ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড থেকে রাষ্ট্র পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে এ সার আমদানি করা হবে।
৮. বিসিআইসির মাধ্যমে ৩০ হাজার মেট্রিক টন (১০ শতাংশের বেশি) ব্যাগড প্রিল্ড ইউরিয়া সার আমদানি করতে ২৫০ কোটি ৯৩ লাখ ৮৬ হাজার ৯১৫ টাকায় আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। কাতারের মুনতাজাত থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে এ সার আমদানি করা হবে।
৯. বিসিআইসির মাধ্যমে ৩০ হাজার মেট্রিক টন (১০ শতাংশের বেশি) বাল্ক গ্র্যানুলার (অপশনাল) ইউরিয়া সার আমদানি। এ জন্য ২৪৮ কোটি ১০ লাখ ৫৬ হাজার ৪১৫ টাকা ব্যয়। সৌদি আরবের সৌদি বেসিক ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (এসএবিআইসি) থেকে রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে এ সার আমদানি করা হবে।
১০. এ ছাড়া কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) কর্তৃক কানাডার কানাডিয়ান কমার্শিয়াল করপোরেশন থেকে এক লটে ৩০ হাজার (১০ শতাংশের বেশি) মেট্রিক টন এমওপি সাঁর আমদানি। এ লক্ষ্যে ১৪৬ কোটি ৮০ লাখ ৩৫ হাজার টাকায় আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
১১. বিএডিসি কর্তৃক কানাডার কানাডিয়ান কমার্শিয়াল করপোরেশন থেকে দুই লটে ৩০ হাজার (১০ শতাংশের বেশি) মেট্রিক টন এমওপি সার আমদানি। এ লক্ষ্যে ১৫৯ কোটি ৩ লাখ ৭১ হাজার ২৫০ টাকায় আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
১২. বিএডিসি কর্তৃক রাশিয়ার জেএসসি ফরেন ইকোনমিক অ্যাসোসিয়েশন প্রডিন্টরগ থেকে এক লটে ৩০ হাজার (১০ শতাংশের বেশি) মেট্রিক টন এমওপি সার কিনতে ১৫৯ কোটি ৩ লাখ ৭১ হাজার ২৫০ টাকায় আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
১৩. এ ছাড়া ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের রোলিং স্টক অপারেশন উন্নয়ন (রোলিং স্টক সংগ্রহ)’ প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর-জিডি-৪-এর আওতায় ৫৮০টি মিটারগেজ ওয়াগন চীনের সিআরআরসি শানডং কোম্পানি লিমিটেড থেকে ৩৯৭ কোটি ৭২ লাখ ৪৬ হাজার ৫০৪ টাকায় ক্রয়ের অনুমোদন।
১৪. রেলপথ মন্ত্রণালয়ের আরেক প্রস্তাবে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের রোলিং স্টক অপারেশন উন্নয়ন (রোলিং স্টক সংগ্রহ)’ প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর-জিডি-৫-এর আওতায় ৪২০টি ব্রডগেজ ওয়াগন আমদানি। ভারতের হিন্দুস্থান ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড থেকে ২৮৮ কোটি ৫৪ লাখ ৫৯ হাজার ৯২২ টাকারএ প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
১৫. আরেক প্রস্তাব হলো সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অধীন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরর কর্তৃক ‘কুমিল্লা (টমছম ব্রিজ)-নোয়াখালী (বেগমগঞ্জ) আঞ্চলিক মহাসড়ক ৪-লেনে উন্নীতকরণ’ প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর-পিডব্লিউ-৫-এর পূর্ত কাজ হাসান টেকনো বিল্ডার্স লিমিটেডের কাছ থেকে ৩৫ কোটি ২৪ লাখ ৪৩ হাজার ১৬১ টাকার অনুমোদন।
১৬. অনুমোদিত আরেক প্রস্তাব হলো—প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি-৪) এর আওতায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিতরণের লক্ষ্যে ওয়ালটন ডিজিটেক ইন্ডাস্ট্রিজ থেকে ১০টি লটে ৪১ হাজার ল্যাপটপ ২০১ কোটি ৬৫ লাখ ১৯ হাজার ২৩২ টাকায় এবং গ্লোবাল ব্রান্ড প্রাইভেট লিমিটেড থেকে ১০টি লটে ৪১ হাজার স্পিকার ১৪ কোটি ৫২ লাখ ৫৭ হাজার ৪৪০ টাকায় ক্রয়ের প্রস্তাবের অনুমোদন।
বাংলাদেশের দুটি কিডনিই খেয়ে ফেলা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ও অর্থনীতির শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য
২ ঘণ্টা আগেঅক্টোবরে ভারতের তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৩৫ শতাংশ, আর টেক্সটাইল রপ্তানি বেড়েছে ১১ দশমিক ৫৬ শতাংশ। বাংলাদেশে অস্থিরতা শুরুর পর ভারতে পোশাক রপ্তানির অর্ডার বেড়েছে বলে দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়।
৪ ঘণ্টা আগেনেপাল প্রথমবারের মতো ভারতের বিদ্যুৎ সংযোগ অবকাঠামোর মাধ্যমে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি শুরু করেছে। এটিকে উপ–আঞ্চলিক বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সহযোগিতার ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। এই ঘটনা তৃতীয় কোনো দেশের সঙ্গে নেপালের বিদ্যুৎ বাণিজ্যের প্রথম দৃষ্টান্ত।
৭ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও নজিরবিহীন বন্যার প্রভাবে মূল্যস্ফীতি হার দুই অঙ্কের ঘর ছাড়িয়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদহার বাড়ানোসহ কঠোর মুদ্রানীতি অনুসরণ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু জিনিসপত্রের দাম আকাশচুম্বী। নিম্ন আয়ের দরিদ্র মানুষদের খেয়ে পরে বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে।
২০ ঘণ্টা আগে