নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আবশ্যকীয় পণ্য হওয়ায় বাজারে দাম বাড়লেও চালের ভোগ কমে না। এতে চরম কষ্টে থাকে নিম্ন আয়ের চরম দরিদ্র মানুষেরা। কারণ, তাদের খাবারের ব্যয়ের ৩২ শতাংশ যায় চালের পেছনে। তাই বাড়তি ব্যয় মেটাতে তারা সবজি নির্ভর হয়ে পড়ে। মাছ, মাংস, ফলমূল তাদের কাছে বিলাসী খাবার। এমন তথ্য উঠে এসেছে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) গবেষণায়।
গতকাল বুধবার শেরেবাংলা নগরের বিআইডিএস সম্মেলন কক্ষে এক সেমিনারে গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
‘হোয়াট ডু উই লার্ন অ্যাবাউট হাউস হোল্ড ফুড ডিমান্ড পেটেন্টস অ্যান্ড ইলাস্টিসিটিস ফ্রম মাইক্রো-ডেটা ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন ড. ওয়াসেল বিন সাদাত। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বিআইডিএসের মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন।
মূল প্রবন্ধে ড. সাদাত বলেন, ‘চরম দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করা মানুষের মোট খাদ্য ব্যয়ের ৩২ শতাংশ যায় চালের পেছনে। জাতীয়ভাবে এই হার ২১ শতাংশ। তাই ব্যয় বাড়লে বা আয় কমলে চরম দরিদ্ররা সবার আগে মাছ–মাংস–ফলমূল বা পুষ্টিকর খাবার কেনা কমিয়ে দেয় বা চরম পর্যায়ে বন্ধ করে। ফলে তাঁরা মারাত্মক পুষ্টি ঘাটতিতে পড়েন। গ্রাম ও শহর উভয় এলাকার গরিব মানুষের কাছে মাংস, মাছ ও ফলমূল বিলাসী খাবার। তবে ডিম সবাই গ্রহণ করেন। মাংস কেনায় সবচেয়ে এগিয়ে শহরের মানুষ এবং ধনীরা। শাক ও সবজি কেনার ক্ষেত্রে গ্রাম-শহর প্রায় সমান।
ড. সাদাত বলেন, ‘অনেক সময় বলা হয় যে, মুরগির দাম বেড়ে গেলে মানুষ মাছ খাবে বেশি, কিন্তু বাস্তবে তা ঘটে না। মাছের দাম বাড়লে ডালের ভোগ বাড়ে। আবার মাংসের দাম বাড়লে সবকিছুর ভোগ কমে আসে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনা মহামারির সময় প্রথম লকডাউনে বিভিন্ন পণ্যের দাম ১১ শতাংশ দাম বেড়ে যায়। এ সময় জাতীয়ভাবে আয় কমে যায় ৭০ শতাংশ। দ্বিতীয় লকডাউনের সময় পণ্য মূল্য বেড়ে যায় ২০ শতাংশের মতো। তৃতীয় লকডাউনের সময় পণ্য মূল্য বেড়ে যায় ১৬ শতাংশ। তবে লকডাউন উঠে গেলে আয় হ্রাসের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪ শতাংশে।’
সংস্থাটির মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন বলেন, ‘দাম বাড়লে মানুষের পুষ্টিকর খাবারের ক্ষেত্রে এক ধরনের ছাড় দিতে হয়। পণ্যের দাম ১০ শতাংশ বাড়লে মাছ-মাংসের চাহিদা কমে গিয়ে বেড়ে যায় সবজির চাহিদা। পুরুষের তুলনায় নারী পুষ্টিকর খাবার কম গ্রহণ করে থাকে।’
গবেষণার সুপারিশে বলা হয়, চালের দাম বাড়লে গরিব মানুষ পুষ্টিকর খাবার কেনা বাদ দেয়, তাই সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি বাড়াতে হবে, পাশাপাশি খোলা বাজারে চাল বিক্রিও বাড়াতে হবে। যখন আয় কমে যাবে তখন আয়বর্ধক কর্মসূচি গ্রহণ করা দরকার।
আবশ্যকীয় পণ্য হওয়ায় বাজারে দাম বাড়লেও চালের ভোগ কমে না। এতে চরম কষ্টে থাকে নিম্ন আয়ের চরম দরিদ্র মানুষেরা। কারণ, তাদের খাবারের ব্যয়ের ৩২ শতাংশ যায় চালের পেছনে। তাই বাড়তি ব্যয় মেটাতে তারা সবজি নির্ভর হয়ে পড়ে। মাছ, মাংস, ফলমূল তাদের কাছে বিলাসী খাবার। এমন তথ্য উঠে এসেছে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) গবেষণায়।
গতকাল বুধবার শেরেবাংলা নগরের বিআইডিএস সম্মেলন কক্ষে এক সেমিনারে গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
‘হোয়াট ডু উই লার্ন অ্যাবাউট হাউস হোল্ড ফুড ডিমান্ড পেটেন্টস অ্যান্ড ইলাস্টিসিটিস ফ্রম মাইক্রো-ডেটা ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন ড. ওয়াসেল বিন সাদাত। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বিআইডিএসের মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন।
মূল প্রবন্ধে ড. সাদাত বলেন, ‘চরম দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করা মানুষের মোট খাদ্য ব্যয়ের ৩২ শতাংশ যায় চালের পেছনে। জাতীয়ভাবে এই হার ২১ শতাংশ। তাই ব্যয় বাড়লে বা আয় কমলে চরম দরিদ্ররা সবার আগে মাছ–মাংস–ফলমূল বা পুষ্টিকর খাবার কেনা কমিয়ে দেয় বা চরম পর্যায়ে বন্ধ করে। ফলে তাঁরা মারাত্মক পুষ্টি ঘাটতিতে পড়েন। গ্রাম ও শহর উভয় এলাকার গরিব মানুষের কাছে মাংস, মাছ ও ফলমূল বিলাসী খাবার। তবে ডিম সবাই গ্রহণ করেন। মাংস কেনায় সবচেয়ে এগিয়ে শহরের মানুষ এবং ধনীরা। শাক ও সবজি কেনার ক্ষেত্রে গ্রাম-শহর প্রায় সমান।
ড. সাদাত বলেন, ‘অনেক সময় বলা হয় যে, মুরগির দাম বেড়ে গেলে মানুষ মাছ খাবে বেশি, কিন্তু বাস্তবে তা ঘটে না। মাছের দাম বাড়লে ডালের ভোগ বাড়ে। আবার মাংসের দাম বাড়লে সবকিছুর ভোগ কমে আসে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনা মহামারির সময় প্রথম লকডাউনে বিভিন্ন পণ্যের দাম ১১ শতাংশ দাম বেড়ে যায়। এ সময় জাতীয়ভাবে আয় কমে যায় ৭০ শতাংশ। দ্বিতীয় লকডাউনের সময় পণ্য মূল্য বেড়ে যায় ২০ শতাংশের মতো। তৃতীয় লকডাউনের সময় পণ্য মূল্য বেড়ে যায় ১৬ শতাংশ। তবে লকডাউন উঠে গেলে আয় হ্রাসের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪ শতাংশে।’
সংস্থাটির মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন বলেন, ‘দাম বাড়লে মানুষের পুষ্টিকর খাবারের ক্ষেত্রে এক ধরনের ছাড় দিতে হয়। পণ্যের দাম ১০ শতাংশ বাড়লে মাছ-মাংসের চাহিদা কমে গিয়ে বেড়ে যায় সবজির চাহিদা। পুরুষের তুলনায় নারী পুষ্টিকর খাবার কম গ্রহণ করে থাকে।’
গবেষণার সুপারিশে বলা হয়, চালের দাম বাড়লে গরিব মানুষ পুষ্টিকর খাবার কেনা বাদ দেয়, তাই সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি বাড়াতে হবে, পাশাপাশি খোলা বাজারে চাল বিক্রিও বাড়াতে হবে। যখন আয় কমে যাবে তখন আয়বর্ধক কর্মসূচি গ্রহণ করা দরকার।
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
২ ঘণ্টা আগেপণ্যবাহী যানবাহনের জট কমানো এবং বন্দর কার্যক্রমে আরও গতি আনতে চলতি মাসের শেষ দিকে সম্পূর্ণ ডিজিটাল গেট ফি
২ ঘণ্টা আগেবেরিয়ে আসতে শুরু করেছে খেলাপি ঋণের প্রকৃত চিত্র। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, দেশের ব্যাংকগুলোয় চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত খেলাপি ঋণের
৩ ঘণ্টা আগেআসন্ন পবিত্র রমজান উপলক্ষে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। একই সঙ্গে পণ্যের দামও যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে উদ্যোগী হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে