নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশের অর্থনীতি এখনো চাপে আছে, কিন্তু সঠিক পথেই এগোচ্ছে। তাই বলে কোনোভাবেই অর্থনৈতিক মন্দা বা দুর্ভিক্ষ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে মোট দেশজ উৎপাদন বেশ কমে যাবে। চলমান বাস্তবতায় ঊর্ধ্বগতির মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনতে আরও আট মাস সময় প্রয়োজন হতে পারে। দুর্বল আর্থিক খাতকে টেনে তুলতে আরও ২-৩ বছর লাগবে।
গতকাল সোমবার ‘বৈষম্য, আর্থিক অপরাধ ও বাংলাদেশের অর্থনীতির নিরাময়’ শীর্ষক তৃতীয় অর্থনৈতিক সম্মেলনে যোগ দিয়ে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন গভর্নর। রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে বণিক বার্তা আয়োজিত এই সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। অন্যদের মধ্যে বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান সম্মানিত অতিথির বক্তব্য দেন। এ ছাড়া প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন বিভিন্ন খাতের বরেণ্য ব্যক্তি, শিল্পোদ্যোক্তা ও বিশ্লেষকেরা।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, এক ব্যাংকের ২৭ হাজার কোটি টাকাই নিয়ে গেছে একটি পরিবার। কমবেশি একই অবস্থা হয়েছে অন্যান্য ব্যাংকেরও। এই ধাক্কা সামলাতে হাতে তো ম্যাজিক নেই। তাই সৃষ্ট সমস্যার দ্রুত সুরাহাও হয়তো হবে না, তবে সমাধানের জোর চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রতিদিনই সমস্যাগ্রস্ত ব্যাংকগুলোর নগদ অর্থপ্রবাহ পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। দেওয়া হচ্ছে তারল্য সহায়তাও। তবে কোনো ব্যাংক বন্ধ হবে না। আর্থিক খাতের এই দুর্বলতার ছাপ দেশের অর্থনীতিতে পড়েছে। পরিস্থিতির কারণে এখন পর্যন্ত ভবিষ্যতের কিছু করা সম্ভব হয়নি; বরং আগের জের টানতে হচ্ছে। এখন সেগুলোরই সংশোধনমূলক কাজ করতে হচ্ছে। সবকিছু ঠিক হতে ২-৩ বছর লাগবে।
অর্থনৈতিক মন্দা প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, ‘অর্থনীতির ওপর অনেক ঝড়-ঝঞ্ঝা গেছে। তাই বলে আমরা কিন্তু শ্রীলঙ্কা হইনি। আমাদের প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক হয়নি। অর্থনীতিও ধসে পড়েনি। হতে পারত, কিন্তু হয়নি। এমন ইস্যুতে উপলব্ধি থাকতে হবে যে বাংলাদেশ মন্দা এড়াতে পেরেছে। সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জনের যে চেষ্টা, তা সঠিক পথেই আছে। এ কারণে চলতি অর্থবছরের গত চার মাসে প্রবৃদ্ধি কমেনি। এভাবে অর্থনীতি চললে বাংলাদেশে কোনো দুর্ভিক্ষ হওয়ার সুযোগ নেই।’
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি ৫ থেকে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনতে কাজ চলছে। এর জন্য আমরা শুধু মুদ্রানীতির ওপর নির্ভর করছি না। তাৎক্ষণিক মূল্য কমাতে প্রয়োজনীয় পণ্যের এলসি খোলায় শুল্কও শিথিল করা হয়েছে। অর্থের জোগান কমাতে গত তিন মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা ছাপিয়ে সরকারকে কোনো ঋণ দেয়নি। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখার সব চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। এরপরও সহনীয় পর্যায়ে আনতে আরও ৮ মাস সময় লেগে যেতে পারে।’
ব্যাংক রেজল্যুশন অ্যাক্ট করা হবে, যার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হাতে সব ক্ষমতা চলে আসবে। আইনগতভাবেই তা হবে। ফলে ব্যাংক একীভূতকরণ, অধিগ্রহণসহ সবকিছু করা সম্ভব হবে বলেও জানান গভর্নর।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘এত দিন ডিজিটাল বাংলাদেশ বললেও দুঃখজনক হলেও সত্যি, আমরা সেভাবে ডিজিটালাইজড হতে পারিনি। এখানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি না এলে কোনো কিছুই অর্জন সম্ভব নয়। এ জন্য আমরা মধ্য, শর্ট ও লং টার্ম পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছি। এর মধ্যে আমরা মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করব। দীর্ঘমেয়াদিগুলো নির্বাচিত সরকার এসে বাস্তবায়ন করবে।’
বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিন বলেন, ‘আমাকে যখন উপদেষ্টা হওয়ার জন্য আহ্বান করা হয়, তখন কেউ পক্ষে ছিলেন না। কিন্তু আমার শুধু মনে হয়েছে, একটা পরিবর্তনের জন্য হাজার হাজার প্রাণ চলে গেছে। আমরা যদি না এগিয়ে আসি, তবে কে আসবে? এখন পরিবর্তনের দায়িত্ব নিয়েছি। পরিবর্তন চাই। আমরা যদি পরিবর্তন না করতে পারি, তবে আবার পাঁচ হাজার মানুষ মারা যাবে।’
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, এখনো জমি কেনাবেচার ক্ষেত্রে মিথ্যা হলফনামা দিতে হয়। সত্যিকার লেনদেনের রেকর্ড আসে না। এটা জাতীয় লজ্জা। চাই সত্যিকার লেনদেনের ফিগারই রেকর্ড থাকুক, রেকর্ড হোক। আবার দেখি আমদানির তথ্যে স্বর্ণের পরিমাণ কম। কিন্তু জুয়েলারি স্বর্ণে ভরপুর। টন টন স্বর্ণ জুয়েলারিতে থাকে, যেখানে সত্য তথ্যটা আসা দরকার।
দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, ৪০ শতাংশ বেকারের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার সহজ করার জন্য দ্রব্যমূল্যের দিকে নজর দিতে হবে।
ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, দেশে বেসরকারি খাতে সংকুচিত মুদ্রানীতি নেওয়া হয়, কিন্তু সরকারি খাতে খরচের সময় চলে সম্প্রসারিত নীতি। এ বৈষম্যের কারণে দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এ সংকুচিত মুদ্রানীতি বেসরকারি খাতকে গলা টিপে ধরছে। বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে না।
এমজেএল বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজম জে চৌধুরী বলেন, দেশের জ্বালানি খাতকে গুরুত্ব দিয়ে আধুনিক রিফাইনারি তৈরি করতে হবে। জ্বালানির নিরাপদ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক সায়মা হক, ইনস্টিটিউট অব ইনক্লুসিভ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইএনএম) নির্বাহী পরিচালক মুস্তাফা কে মুজেরী, ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জাভেদ আখতার, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) কান্ট্রি ডিরেক্টর হোয়ে ইউন জিয়ং, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি প্রমুখ।
দেশের অর্থনীতি এখনো চাপে আছে, কিন্তু সঠিক পথেই এগোচ্ছে। তাই বলে কোনোভাবেই অর্থনৈতিক মন্দা বা দুর্ভিক্ষ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে মোট দেশজ উৎপাদন বেশ কমে যাবে। চলমান বাস্তবতায় ঊর্ধ্বগতির মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনতে আরও আট মাস সময় প্রয়োজন হতে পারে। দুর্বল আর্থিক খাতকে টেনে তুলতে আরও ২-৩ বছর লাগবে।
গতকাল সোমবার ‘বৈষম্য, আর্থিক অপরাধ ও বাংলাদেশের অর্থনীতির নিরাময়’ শীর্ষক তৃতীয় অর্থনৈতিক সম্মেলনে যোগ দিয়ে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন গভর্নর। রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে বণিক বার্তা আয়োজিত এই সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। অন্যদের মধ্যে বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান সম্মানিত অতিথির বক্তব্য দেন। এ ছাড়া প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন বিভিন্ন খাতের বরেণ্য ব্যক্তি, শিল্পোদ্যোক্তা ও বিশ্লেষকেরা।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, এক ব্যাংকের ২৭ হাজার কোটি টাকাই নিয়ে গেছে একটি পরিবার। কমবেশি একই অবস্থা হয়েছে অন্যান্য ব্যাংকেরও। এই ধাক্কা সামলাতে হাতে তো ম্যাজিক নেই। তাই সৃষ্ট সমস্যার দ্রুত সুরাহাও হয়তো হবে না, তবে সমাধানের জোর চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রতিদিনই সমস্যাগ্রস্ত ব্যাংকগুলোর নগদ অর্থপ্রবাহ পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। দেওয়া হচ্ছে তারল্য সহায়তাও। তবে কোনো ব্যাংক বন্ধ হবে না। আর্থিক খাতের এই দুর্বলতার ছাপ দেশের অর্থনীতিতে পড়েছে। পরিস্থিতির কারণে এখন পর্যন্ত ভবিষ্যতের কিছু করা সম্ভব হয়নি; বরং আগের জের টানতে হচ্ছে। এখন সেগুলোরই সংশোধনমূলক কাজ করতে হচ্ছে। সবকিছু ঠিক হতে ২-৩ বছর লাগবে।
অর্থনৈতিক মন্দা প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, ‘অর্থনীতির ওপর অনেক ঝড়-ঝঞ্ঝা গেছে। তাই বলে আমরা কিন্তু শ্রীলঙ্কা হইনি। আমাদের প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক হয়নি। অর্থনীতিও ধসে পড়েনি। হতে পারত, কিন্তু হয়নি। এমন ইস্যুতে উপলব্ধি থাকতে হবে যে বাংলাদেশ মন্দা এড়াতে পেরেছে। সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জনের যে চেষ্টা, তা সঠিক পথেই আছে। এ কারণে চলতি অর্থবছরের গত চার মাসে প্রবৃদ্ধি কমেনি। এভাবে অর্থনীতি চললে বাংলাদেশে কোনো দুর্ভিক্ষ হওয়ার সুযোগ নেই।’
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি ৫ থেকে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনতে কাজ চলছে। এর জন্য আমরা শুধু মুদ্রানীতির ওপর নির্ভর করছি না। তাৎক্ষণিক মূল্য কমাতে প্রয়োজনীয় পণ্যের এলসি খোলায় শুল্কও শিথিল করা হয়েছে। অর্থের জোগান কমাতে গত তিন মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা ছাপিয়ে সরকারকে কোনো ঋণ দেয়নি। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখার সব চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। এরপরও সহনীয় পর্যায়ে আনতে আরও ৮ মাস সময় লেগে যেতে পারে।’
ব্যাংক রেজল্যুশন অ্যাক্ট করা হবে, যার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হাতে সব ক্ষমতা চলে আসবে। আইনগতভাবেই তা হবে। ফলে ব্যাংক একীভূতকরণ, অধিগ্রহণসহ সবকিছু করা সম্ভব হবে বলেও জানান গভর্নর।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘এত দিন ডিজিটাল বাংলাদেশ বললেও দুঃখজনক হলেও সত্যি, আমরা সেভাবে ডিজিটালাইজড হতে পারিনি। এখানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি না এলে কোনো কিছুই অর্জন সম্ভব নয়। এ জন্য আমরা মধ্য, শর্ট ও লং টার্ম পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছি। এর মধ্যে আমরা মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করব। দীর্ঘমেয়াদিগুলো নির্বাচিত সরকার এসে বাস্তবায়ন করবে।’
বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিন বলেন, ‘আমাকে যখন উপদেষ্টা হওয়ার জন্য আহ্বান করা হয়, তখন কেউ পক্ষে ছিলেন না। কিন্তু আমার শুধু মনে হয়েছে, একটা পরিবর্তনের জন্য হাজার হাজার প্রাণ চলে গেছে। আমরা যদি না এগিয়ে আসি, তবে কে আসবে? এখন পরিবর্তনের দায়িত্ব নিয়েছি। পরিবর্তন চাই। আমরা যদি পরিবর্তন না করতে পারি, তবে আবার পাঁচ হাজার মানুষ মারা যাবে।’
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, এখনো জমি কেনাবেচার ক্ষেত্রে মিথ্যা হলফনামা দিতে হয়। সত্যিকার লেনদেনের রেকর্ড আসে না। এটা জাতীয় লজ্জা। চাই সত্যিকার লেনদেনের ফিগারই রেকর্ড থাকুক, রেকর্ড হোক। আবার দেখি আমদানির তথ্যে স্বর্ণের পরিমাণ কম। কিন্তু জুয়েলারি স্বর্ণে ভরপুর। টন টন স্বর্ণ জুয়েলারিতে থাকে, যেখানে সত্য তথ্যটা আসা দরকার।
দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, ৪০ শতাংশ বেকারের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার সহজ করার জন্য দ্রব্যমূল্যের দিকে নজর দিতে হবে।
ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, দেশে বেসরকারি খাতে সংকুচিত মুদ্রানীতি নেওয়া হয়, কিন্তু সরকারি খাতে খরচের সময় চলে সম্প্রসারিত নীতি। এ বৈষম্যের কারণে দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এ সংকুচিত মুদ্রানীতি বেসরকারি খাতকে গলা টিপে ধরছে। বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে না।
এমজেএল বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজম জে চৌধুরী বলেন, দেশের জ্বালানি খাতকে গুরুত্ব দিয়ে আধুনিক রিফাইনারি তৈরি করতে হবে। জ্বালানির নিরাপদ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক সায়মা হক, ইনস্টিটিউট অব ইনক্লুসিভ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইএনএম) নির্বাহী পরিচালক মুস্তাফা কে মুজেরী, ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জাভেদ আখতার, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) কান্ট্রি ডিরেক্টর হোয়ে ইউন জিয়ং, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি প্রমুখ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিমের আওতায় তারল্য ঘাটটি মেটাতে দুর্বল সাতটি ব্যাংককে ৬ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা তারল্য সহায়তা দিয়েছে সবল ৯টি ব্যাংক। তবে এসব দুর্বল ব্যাংক থেকে চাওয়া হয়েছিল ১১ হাজার ১০০ কোটি টাকা। গতকাল বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আ
৭ ঘণ্টা আগেদেশে চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ভেজাল, নকল, মানহীন, অনুমোদনহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ প্রসাধনী সামগ্রী। বাংলাদেশ যেন বিদেশি এসব পণ্যের ডাম্পিং স্টেশন। প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়ায় দিন দিন এসব পণ্যে সয়লাব হচ্ছে বাজার। বিদেশ থেকে চোরাই পথে বিপুল পরিমাণে নিম্নমানের ভেজাল প্রসাধনী ঢুকছে দেশে।
৯ ঘণ্টা আগেরাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী নির্মাণ, আবাসন, বিদ্যুৎ ও সংশ্লিষ্ট সরঞ্জামকেন্দ্রিক দেশের সবচেয়ে বড় ছয়টি পৃথক আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী। চলবে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত
১১ ঘণ্টা আগেব্রোকারেজ হাউস সাবভ্যালি সিকিউরিটিজের সব ধরনের কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। মূলধন ঋণাত্মক ও বিনিয়োগের বিপরীতে দেওয়া ঋণের অনুপাত অনেক বেশি হওয়ায় এই নির্দেশ দিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ।
১২ ঘণ্টা আগে