নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ থাকা ১৮টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকেরা পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে থাকা টাকা ফেরত পায়নি। ফেরত না পাওয়া টাকার পরিমান প্রায় ১৪৪ কোটি।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ‘ই-কমার্স ও ই-সেবা খাতে ভোক্তার অধিকার-আমাদের করণীয় শীর্ষক’ আলোচনা সভায় মূল নিবন্ধে এ সব তথ্য জানানো হয়। বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন এ সভার আয়োজন করে।
সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাজার বিশ্লেষক ও ভোক্তা সংগঠক কাজী আব্দুল হান্নান। তিনি বলেন, ভোক্তাদের অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় আদালত ও সরকারি হস্তক্ষেপে কিছু টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ ব্যাংক, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান এবং গেটওয়ে প্রতিষ্ঠানের যৌথ তালিকা অনুযায়ী টাকা ফেরতের প্রক্রিয়া শুরু করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে তথ্য নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অভিযুক্ত ৩২টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের তালিকা তৈরি করে। ৩২টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের কাছে গ্রাহকদের পাওনার পরিমাণ ৫৩১ কোটি টাকা (শুধুমাত্র গেটওয়েতে আটকে থাকা টাকা)। এর মধ্যে ১৮টি প্রতিষ্ঠানই গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেয়নি। প্রথম বছরে অর্থাৎ ২০২২ সাল জুড়ে টাকা ফেরত দেওয়ার কার্যক্রম ভালোভাবেই চলে। সেবার গ্রাহকেরা ফেরত পান ৩১০ কোটি টাকা। কিন্তু দ্বিতীয় বছরে, অর্থাৎ ২০২৩ সালে ফেরত দেওয়া হয় ৭৭ কোটি টাকা। গ্রাহকেরা এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে ফেরত পেয়েছেন ৩৮৭ কোটি টাকা। এখনো ১৪৪ কোটি টাকা ফেরত পাওয়ার আশায় ঘুরছেন ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা।
সভায় জানানো হয়, বাংলাদেশে ই-কমার্সের বাজার প্রায় ৩০০ কোটি মার্কিন ডলারের। দেশীয় মুদ্রায় প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকার ওপর। বাণিজ্যিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিচার্জ অ্যান্ড মার্কেট ডট কমের মতে, ২০২৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশে এর পরিমান হবে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকার। দেশের সার্বিক খুচরা বিক্রির মাত্র ১ দশমিক ৫ শতাংশের হিস্যা ই-কমার্সের। এশিয়া মহাদেশের মধ্যেই ভারতে এই হার প্রায় ৭ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ায় ১৪ শতাংশ, চীনে ৩০ শতাংশ। আমাদের দেশে স্থানীয় পর্যায়ে সরাসরি কেনার মতো পণ্যের সরবরাহ বেশি। তাই ক্রেতাদের বড় একটি অংশ নগদ টাকায় লেনদেনে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। দামাদামির সুযোগ না থাকায় ই-প্ল্যাটফর্মে পণ্যের দাম বেশি নেওয়ার অভিযোগ অবস্থার পরিবর্তন হওয়ার পথে একটি বড় বাধা। ই-কমার্সের ক্ষেত্রে এক পণ্য দেখিয়ে অন্য পণ্য দেওয়ার অভিযোগ প্রধান অন্তরায়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘কিউকমের রিপন মিয়াকে জেল থেকে বের করে আনার ক্ষেত্রে আমারও হাত ছিল। কারণ সে গ্রাহকদের ৩১১ কোটি টাকার ওপরে ফেরত দিয়েছে ৷ ইভ্যালিও গ্রাহকের ১০ কোটি টাকা ফেরত দিয়েছে। আমি চেয়েছি তারা বিজনেসে ফিরে আসুক। তারা বিজনেসে ফিরে আসলেই ভোক্তার অধিকার রক্ষা করা সম্ভব।’
অতিথি আলোচক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেল ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ। তারপরও আমাকে পাশে রেখে গ্রাহকদের সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। আমি এ জন্য কৃতজ্ঞ। আমি প্রত্যেক গ্রাহকের টাকা পরিশোধ করব।’
সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ। আরও উপস্থিত ছিলেন—বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের পরিচালক গাজী গোলাম তৌসিফ, ক্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, আইএসপিএবির জয়েন্ট সেক্রেটারি আনোয়ার হোসেন অনু, ই-কুরিয়ার লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার ঘোষ প্রমুখ।
আলোচকেরা বলেন, দেশে ই-কমার্স নিয়ে প্রয়োজনীয় আইনের অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়েছে অনেকেই। ভোক্তাদের প্রতারিত করে যে যেমন পেরেছে লুটে নিয়েছে। পর্যাপ্ত আইন না থাকায় এই লুটেরাদের শাস্তি না দিয়ে তাঁদের সঙ্গে সমঝোতা করে ক্ষতিগ্রস্তদের যতটা পারা যায় প্রতিকার দেওয়ার চেষ্টা করতে হয়েছে। এখন পর্যন্ত ই-কমার্স নিয়ে যথাযথ আইন তৈরি দূরে থাক এর স্পষ্ট কোনো সংজ্ঞাই নির্ধারণ করা হয়নি।
গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ থাকা ১৮টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকেরা পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে থাকা টাকা ফেরত পায়নি। ফেরত না পাওয়া টাকার পরিমান প্রায় ১৪৪ কোটি।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ‘ই-কমার্স ও ই-সেবা খাতে ভোক্তার অধিকার-আমাদের করণীয় শীর্ষক’ আলোচনা সভায় মূল নিবন্ধে এ সব তথ্য জানানো হয়। বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন এ সভার আয়োজন করে।
সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাজার বিশ্লেষক ও ভোক্তা সংগঠক কাজী আব্দুল হান্নান। তিনি বলেন, ভোক্তাদের অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় আদালত ও সরকারি হস্তক্ষেপে কিছু টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ ব্যাংক, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান এবং গেটওয়ে প্রতিষ্ঠানের যৌথ তালিকা অনুযায়ী টাকা ফেরতের প্রক্রিয়া শুরু করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে তথ্য নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অভিযুক্ত ৩২টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের তালিকা তৈরি করে। ৩২টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের কাছে গ্রাহকদের পাওনার পরিমাণ ৫৩১ কোটি টাকা (শুধুমাত্র গেটওয়েতে আটকে থাকা টাকা)। এর মধ্যে ১৮টি প্রতিষ্ঠানই গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেয়নি। প্রথম বছরে অর্থাৎ ২০২২ সাল জুড়ে টাকা ফেরত দেওয়ার কার্যক্রম ভালোভাবেই চলে। সেবার গ্রাহকেরা ফেরত পান ৩১০ কোটি টাকা। কিন্তু দ্বিতীয় বছরে, অর্থাৎ ২০২৩ সালে ফেরত দেওয়া হয় ৭৭ কোটি টাকা। গ্রাহকেরা এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে ফেরত পেয়েছেন ৩৮৭ কোটি টাকা। এখনো ১৪৪ কোটি টাকা ফেরত পাওয়ার আশায় ঘুরছেন ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা।
সভায় জানানো হয়, বাংলাদেশে ই-কমার্সের বাজার প্রায় ৩০০ কোটি মার্কিন ডলারের। দেশীয় মুদ্রায় প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকার ওপর। বাণিজ্যিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিচার্জ অ্যান্ড মার্কেট ডট কমের মতে, ২০২৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশে এর পরিমান হবে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকার। দেশের সার্বিক খুচরা বিক্রির মাত্র ১ দশমিক ৫ শতাংশের হিস্যা ই-কমার্সের। এশিয়া মহাদেশের মধ্যেই ভারতে এই হার প্রায় ৭ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ায় ১৪ শতাংশ, চীনে ৩০ শতাংশ। আমাদের দেশে স্থানীয় পর্যায়ে সরাসরি কেনার মতো পণ্যের সরবরাহ বেশি। তাই ক্রেতাদের বড় একটি অংশ নগদ টাকায় লেনদেনে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। দামাদামির সুযোগ না থাকায় ই-প্ল্যাটফর্মে পণ্যের দাম বেশি নেওয়ার অভিযোগ অবস্থার পরিবর্তন হওয়ার পথে একটি বড় বাধা। ই-কমার্সের ক্ষেত্রে এক পণ্য দেখিয়ে অন্য পণ্য দেওয়ার অভিযোগ প্রধান অন্তরায়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘কিউকমের রিপন মিয়াকে জেল থেকে বের করে আনার ক্ষেত্রে আমারও হাত ছিল। কারণ সে গ্রাহকদের ৩১১ কোটি টাকার ওপরে ফেরত দিয়েছে ৷ ইভ্যালিও গ্রাহকের ১০ কোটি টাকা ফেরত দিয়েছে। আমি চেয়েছি তারা বিজনেসে ফিরে আসুক। তারা বিজনেসে ফিরে আসলেই ভোক্তার অধিকার রক্ষা করা সম্ভব।’
অতিথি আলোচক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেল ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ। তারপরও আমাকে পাশে রেখে গ্রাহকদের সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। আমি এ জন্য কৃতজ্ঞ। আমি প্রত্যেক গ্রাহকের টাকা পরিশোধ করব।’
সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ। আরও উপস্থিত ছিলেন—বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের পরিচালক গাজী গোলাম তৌসিফ, ক্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, আইএসপিএবির জয়েন্ট সেক্রেটারি আনোয়ার হোসেন অনু, ই-কুরিয়ার লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার ঘোষ প্রমুখ।
আলোচকেরা বলেন, দেশে ই-কমার্স নিয়ে প্রয়োজনীয় আইনের অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়েছে অনেকেই। ভোক্তাদের প্রতারিত করে যে যেমন পেরেছে লুটে নিয়েছে। পর্যাপ্ত আইন না থাকায় এই লুটেরাদের শাস্তি না দিয়ে তাঁদের সঙ্গে সমঝোতা করে ক্ষতিগ্রস্তদের যতটা পারা যায় প্রতিকার দেওয়ার চেষ্টা করতে হয়েছে। এখন পর্যন্ত ই-কমার্স নিয়ে যথাযথ আইন তৈরি দূরে থাক এর স্পষ্ট কোনো সংজ্ঞাই নির্ধারণ করা হয়নি।
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের ৫২১ তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গত ১৪ নভেম্বর এই সভার আয়োজন করা হয়।
৭ মিনিট আগেএসিআই পাওয়ার সলিউশন ২৬ তম পাওয়ার বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক এক্সপোতে অংশগ্রহণ করেছে। এটি ১৪-১৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকার আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায়। এসিআই পাওয়ার সলিউশনের এক্সপোতে অংশগ্রহণের মূল লক্ষ্য সব নতুন পণ্য সম্পর্কে গ্রাহকদের জানানো। যার মধ্যে রেইকেম কেবল এক্সেসরিজ, স্নেইডার সার্কিট ব্র
২৩ মিনিট আগেচলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর (তৃতীয়) প্রান্তিকে দেশের ১৭টি সাধারণ বিমা কোম্পানির মুনাফা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে একই সময়ে ২৩ কোম্পানির মুনাফা কমেছে। এ তথ্য ৪০টি সাধারণ বিমা কোম্পানির ১ জুলাই থেকে ৩০ অক্টোবর ২০২৪ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
১ ঘণ্টা আগেপ্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে শুরু হয়েছে বছরের সবচেয়ে বড় সেল ইভেন্ট দারাজ ১১.১১। প্রথম দিনেই ক্রেতাদের ভিড় জমে উঠেছে দারাজে। সারা দেশের মানুষ মেতে উঠেছে উৎসবের আমেজে, যেখানে পছন্দের পণ্যে মেলে দারুণ সব অফার, আর কেনাকাটার অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে চলেছে সবাই।
১ ঘণ্টা আগে