অনলাইন ডেস্ক
বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গাইল শাড়ি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পণ্য হিসেবে নিবন্ধিত হওয়ার পর জিআই শব্দটি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। এর আগেও বাংলাদেশের ইলিশসহ বেশ কিছু পণ্যের জিআই পাওয়া নিয়ে সংবাদের শিরোনাম হলেও এতটা নজর কাড়েনি। এ পর্যন্ত বাংলাদেশের মোট ২১টি পণ্য জিআই ট্যাগ পেয়েছে।
জিওগ্র্যাফিক্যাল ইন্ডিকেশন (জিআই) বা ভৌগোলিক নির্দেশক আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এমন এক চিহ্ন, যা ভৌগোলিকভাবে ও ঐতিহ্যগতভাবে পাওয়া পণ্যে ব্যবহার করা হয়। সেই সব পণ্য উৎপাদনে নির্দিষ্ট পরিবেশ, আবহাওয়া ও সংস্কৃতি ভূমিকা রাখে বলে এই ট্যাগ দেওয়া হয়। জিআই ট্যাগ পাওয়া পণ্যে ভৌগোলিক গুণ, মান ও স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য থাকে। কোনো পণ্য জিআই ট্যাগ পেলে সেটিকে বিশ্বজুড়ে ব্র্যান্ডিং করা সহজ হয়।
তখন দেশে-বিদেশে পণ্যগুলোর বিশেষ গুরুত্ব তৈরি হয়। জিআই ট্যাগ পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট দেশ পণ্যটি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করার অধিকারসহ আইনি সুরক্ষা পায়। তখন অন্য কোনো দেশ বা অন্য কেউ পণ্যটির মালিকানা বা স্বত্ব দাবি করতে পারে না।
নিয়ম অনুযায়ী, কৃষিপণ্য, প্রকৃতি থেকে আহরিত সম্পদ ও কুটিরশিল্পকে জিআই ট্যাগ দেওয়া হয়। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত যেসব জিআই পণ্য আছে, সেখানে এর সব ধরনই রয়েছে।
জিআই ট্যাগের জন্য আবেদন যেভাবে
২০১৩ সালের আগে বাংলাদেশে জিআই ট্যাগ বিষয়ে আইনি কাঠামো ছিল না। ওই বছর ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (নিবন্ধন ও সুরক্ষা) আইন প্রণয়নের পর ২০১৫ সালে সম্পূরক বিধিমালা তৈরি হয়।
এরপর আইন ও বিধিমালার অধীনে শিল্প মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান প্যাটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধন নেওয়ার আহ্বান জানায়।
আইন অনুযায়ী, জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধনের জন্য পর্যাপ্ত প্রমাণ ও তথ্য-উপাত্তসহ কোনো ব্যক্তিসংঘ, প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনকে ডিপিডিটিতে আবেদন করতে হয়। আবেদনপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কোনো ভুলভ্রান্তি থাকলে পরিবর্তন বা সংশোধনের জন্য আবেদনকারীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়।
আবেদনপত্রের সঙ্গে যেসব তথ্য দেওয়া হয়েছে, সেগুলো বিবেচনা করার পর সব ঠিক থাকলে জিআই জার্নালে প্রকাশ করা হয়। জার্নালে প্রকাশিত হওয়ার পর কেউ যদি সেই পণ্যের বিরোধিতা করতে চায়, তাহলে তার জন্য সর্বোচ্চ দুই মাস সময় ধরা আছে। এসব কিছুর সর্বশেষ ধাপ হলো জিআই সনদ বা নিবন্ধন সার্টিফিকেট প্রাপ্তি।
আন্তর্জাতিক মেধাস্বত্ববিষয়ক সংস্থা ‘ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি রাইটস অর্গানাইজেশন’-এর (ডব্লিউআইপিও) নিয়ম মেনে ডিপিডিটি জিআই নিবন্ধন দিয়ে থাকে।
জিআই যেভাবে সুরক্ষিত হয়
আন্তর্জাতিক চুক্তি ও জাতীয় আইন অনুসারে জিআই পণ্য সুরক্ষা পেয়ে থাকে।
* ভৌগোলিক নির্দেশক বা উৎপত্তির আবেদন রক্ষায় বিশেষ আইন
* কালেক্টিভ ট্রেড মার্ক বা সার্টিফিকেশন মার্ক আকারে ট্রেডমার্ক আইন
* অসম প্রতিযোগিতার বিরুদ্ধে আইন (প্রতিযোগিতা আইন)
* ভোক্তা সুরক্ষা আইন বা
* ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআইকে কেন্দ্র করে নির্দিষ্ট আইন
মোদ্দাকথা, অননুমোদিত কোনো পক্ষ জিআই ট্যাগ ব্যবহার করতে পারে না। জিআইয়ের অননুমোদিত ব্যবহার ঠেকাতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থেকে শুরু করে ক্ষতিপূরণ ও জরিমানা বা গুরুতর ক্ষেত্রে কারাদণ্ড পর্যন্ত প্রযোজ্য হতে পারে।
আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে জিআই যেভাবে সুরক্ষিত
মেধাসম্পদ স্বত্ব বিষয়ে জাতিসংঘের সংস্থা ওয়ার্ল্ড ইনটেলেকচুয়াল প্রপার্টি রাইটসের (ডব্লিউআইপিও) পরিচালিত বেশ কয়েকটি চুক্তি জিআই সুরক্ষা দেয়। বিশেষ করে শিল্প সম্পদ সুরক্ষার জন্য ১৮৮৩ সালে অনুষ্ঠিত প্যারিস কনভেনশন এবং উৎপত্তির আবেদন সুরক্ষার জন্য লিসবন চুক্তি এবং সেগুলোর আন্তর্জাতিক নিবন্ধন। এ ছাড়া বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিওর) কাঠামোর মধ্যে বাণিজ্যবিষয়ক মেধাস্বত্ব চুক্তি-ট্রিপসের (TRIPS) ২২ থেকে ২৪ ধারা জিআই বা ভৌগোলিক নির্দেশকের সুরক্ষা দেয়।
জিআই সুরক্ষায় ডব্লিউআইপিওর ভূমিকা
বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক চুক্তি বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছে ডব্লিউআইপিও। এসব চুক্তি আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে জিআই সুরক্ষা নিয়ে কাজ করে। বিশেষত প্যারিস কনভেনশন ও লিসবন চুক্তিও এর আওতায় আছে। এ ছাড়া সদস্য রাষ্ট্র ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত ট্রেড মার্কস, শিল্প নকশা ও জিআইবিষয়ক সম্মিলিত এসসিটি আইন সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির কাজের মাধ্যমেও ডব্লিউআইপিও জিআই সুরক্ষা জোরদারের নতুন নতুন উপায় বের করে৷
জিআই পেল বাংলাদেশের যেসব পণ্য
২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর প্রথম বাংলাদেশি পণ্য হিসেবে জিআই নিবন্ধন পায় জামদানি শাড়ি। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) আবেদনে সেটা নিবন্ধিত হয়। এরপর বাংলাদেশের মৎস্য অধিদপ্তরের আবেদনে ২০১৬ সালের ১৩ নভেম্বর দ্বিতীয় পণ্য হিসেবে ‘বাংলাদেশ ইলিশ’ নিবন্ধিত হয়। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ১৭ এপ্রিল জেলা প্রশাসনের আবেদনে কুষ্টিয়ার তিলের খাজা নিবন্ধন হয়। সব মিলে মোট ২১টি পণ্য জিআই পেয়েছে।
জিআই পাওয়া ২১ পণ্য:-
জামদানি শাড়ি
বাংলাদেশের ইলিশ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের খিরসাপাতি আম
বিজয়পুরের সাদা মাটি
দিনাজপুরের কাটারিভোগ
বাংলাদেশের কালোজিরা
রংপুরের শতরঞ্জি
রাজশাহীর সিল্ক
ঢাকার মসলিন
বাংলাদেশের বাগদা চিংড়ি
রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলি আম
বাংলাদেশের শীতলপাটি
বগুড়ার দই
শেরপুরের তুলসীমালা
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ল্যাংড়া আম
চাপাইনবাবগঞ্জের আশ্বিনা আম
বাংলাদেশের ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল
নাটোরের কাঁচাগোল্লা
টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম
কুমিল্লার রসমালাই
কুষ্টিয়ার তিলের খাজা
আরও পড়ুন:
বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গাইল শাড়ি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পণ্য হিসেবে নিবন্ধিত হওয়ার পর জিআই শব্দটি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। এর আগেও বাংলাদেশের ইলিশসহ বেশ কিছু পণ্যের জিআই পাওয়া নিয়ে সংবাদের শিরোনাম হলেও এতটা নজর কাড়েনি। এ পর্যন্ত বাংলাদেশের মোট ২১টি পণ্য জিআই ট্যাগ পেয়েছে।
জিওগ্র্যাফিক্যাল ইন্ডিকেশন (জিআই) বা ভৌগোলিক নির্দেশক আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এমন এক চিহ্ন, যা ভৌগোলিকভাবে ও ঐতিহ্যগতভাবে পাওয়া পণ্যে ব্যবহার করা হয়। সেই সব পণ্য উৎপাদনে নির্দিষ্ট পরিবেশ, আবহাওয়া ও সংস্কৃতি ভূমিকা রাখে বলে এই ট্যাগ দেওয়া হয়। জিআই ট্যাগ পাওয়া পণ্যে ভৌগোলিক গুণ, মান ও স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য থাকে। কোনো পণ্য জিআই ট্যাগ পেলে সেটিকে বিশ্বজুড়ে ব্র্যান্ডিং করা সহজ হয়।
তখন দেশে-বিদেশে পণ্যগুলোর বিশেষ গুরুত্ব তৈরি হয়। জিআই ট্যাগ পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট দেশ পণ্যটি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করার অধিকারসহ আইনি সুরক্ষা পায়। তখন অন্য কোনো দেশ বা অন্য কেউ পণ্যটির মালিকানা বা স্বত্ব দাবি করতে পারে না।
নিয়ম অনুযায়ী, কৃষিপণ্য, প্রকৃতি থেকে আহরিত সম্পদ ও কুটিরশিল্পকে জিআই ট্যাগ দেওয়া হয়। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত যেসব জিআই পণ্য আছে, সেখানে এর সব ধরনই রয়েছে।
জিআই ট্যাগের জন্য আবেদন যেভাবে
২০১৩ সালের আগে বাংলাদেশে জিআই ট্যাগ বিষয়ে আইনি কাঠামো ছিল না। ওই বছর ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (নিবন্ধন ও সুরক্ষা) আইন প্রণয়নের পর ২০১৫ সালে সম্পূরক বিধিমালা তৈরি হয়।
এরপর আইন ও বিধিমালার অধীনে শিল্প মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান প্যাটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধন নেওয়ার আহ্বান জানায়।
আইন অনুযায়ী, জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধনের জন্য পর্যাপ্ত প্রমাণ ও তথ্য-উপাত্তসহ কোনো ব্যক্তিসংঘ, প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনকে ডিপিডিটিতে আবেদন করতে হয়। আবেদনপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কোনো ভুলভ্রান্তি থাকলে পরিবর্তন বা সংশোধনের জন্য আবেদনকারীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়।
আবেদনপত্রের সঙ্গে যেসব তথ্য দেওয়া হয়েছে, সেগুলো বিবেচনা করার পর সব ঠিক থাকলে জিআই জার্নালে প্রকাশ করা হয়। জার্নালে প্রকাশিত হওয়ার পর কেউ যদি সেই পণ্যের বিরোধিতা করতে চায়, তাহলে তার জন্য সর্বোচ্চ দুই মাস সময় ধরা আছে। এসব কিছুর সর্বশেষ ধাপ হলো জিআই সনদ বা নিবন্ধন সার্টিফিকেট প্রাপ্তি।
আন্তর্জাতিক মেধাস্বত্ববিষয়ক সংস্থা ‘ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি রাইটস অর্গানাইজেশন’-এর (ডব্লিউআইপিও) নিয়ম মেনে ডিপিডিটি জিআই নিবন্ধন দিয়ে থাকে।
জিআই যেভাবে সুরক্ষিত হয়
আন্তর্জাতিক চুক্তি ও জাতীয় আইন অনুসারে জিআই পণ্য সুরক্ষা পেয়ে থাকে।
* ভৌগোলিক নির্দেশক বা উৎপত্তির আবেদন রক্ষায় বিশেষ আইন
* কালেক্টিভ ট্রেড মার্ক বা সার্টিফিকেশন মার্ক আকারে ট্রেডমার্ক আইন
* অসম প্রতিযোগিতার বিরুদ্ধে আইন (প্রতিযোগিতা আইন)
* ভোক্তা সুরক্ষা আইন বা
* ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআইকে কেন্দ্র করে নির্দিষ্ট আইন
মোদ্দাকথা, অননুমোদিত কোনো পক্ষ জিআই ট্যাগ ব্যবহার করতে পারে না। জিআইয়ের অননুমোদিত ব্যবহার ঠেকাতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থেকে শুরু করে ক্ষতিপূরণ ও জরিমানা বা গুরুতর ক্ষেত্রে কারাদণ্ড পর্যন্ত প্রযোজ্য হতে পারে।
আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে জিআই যেভাবে সুরক্ষিত
মেধাসম্পদ স্বত্ব বিষয়ে জাতিসংঘের সংস্থা ওয়ার্ল্ড ইনটেলেকচুয়াল প্রপার্টি রাইটসের (ডব্লিউআইপিও) পরিচালিত বেশ কয়েকটি চুক্তি জিআই সুরক্ষা দেয়। বিশেষ করে শিল্প সম্পদ সুরক্ষার জন্য ১৮৮৩ সালে অনুষ্ঠিত প্যারিস কনভেনশন এবং উৎপত্তির আবেদন সুরক্ষার জন্য লিসবন চুক্তি এবং সেগুলোর আন্তর্জাতিক নিবন্ধন। এ ছাড়া বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিওর) কাঠামোর মধ্যে বাণিজ্যবিষয়ক মেধাস্বত্ব চুক্তি-ট্রিপসের (TRIPS) ২২ থেকে ২৪ ধারা জিআই বা ভৌগোলিক নির্দেশকের সুরক্ষা দেয়।
জিআই সুরক্ষায় ডব্লিউআইপিওর ভূমিকা
বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক চুক্তি বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছে ডব্লিউআইপিও। এসব চুক্তি আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে জিআই সুরক্ষা নিয়ে কাজ করে। বিশেষত প্যারিস কনভেনশন ও লিসবন চুক্তিও এর আওতায় আছে। এ ছাড়া সদস্য রাষ্ট্র ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত ট্রেড মার্কস, শিল্প নকশা ও জিআইবিষয়ক সম্মিলিত এসসিটি আইন সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির কাজের মাধ্যমেও ডব্লিউআইপিও জিআই সুরক্ষা জোরদারের নতুন নতুন উপায় বের করে৷
জিআই পেল বাংলাদেশের যেসব পণ্য
২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর প্রথম বাংলাদেশি পণ্য হিসেবে জিআই নিবন্ধন পায় জামদানি শাড়ি। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) আবেদনে সেটা নিবন্ধিত হয়। এরপর বাংলাদেশের মৎস্য অধিদপ্তরের আবেদনে ২০১৬ সালের ১৩ নভেম্বর দ্বিতীয় পণ্য হিসেবে ‘বাংলাদেশ ইলিশ’ নিবন্ধিত হয়। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ১৭ এপ্রিল জেলা প্রশাসনের আবেদনে কুষ্টিয়ার তিলের খাজা নিবন্ধন হয়। সব মিলে মোট ২১টি পণ্য জিআই পেয়েছে।
জিআই পাওয়া ২১ পণ্য:-
জামদানি শাড়ি
বাংলাদেশের ইলিশ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের খিরসাপাতি আম
বিজয়পুরের সাদা মাটি
দিনাজপুরের কাটারিভোগ
বাংলাদেশের কালোজিরা
রংপুরের শতরঞ্জি
রাজশাহীর সিল্ক
ঢাকার মসলিন
বাংলাদেশের বাগদা চিংড়ি
রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলি আম
বাংলাদেশের শীতলপাটি
বগুড়ার দই
শেরপুরের তুলসীমালা
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ল্যাংড়া আম
চাপাইনবাবগঞ্জের আশ্বিনা আম
বাংলাদেশের ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল
নাটোরের কাঁচাগোল্লা
টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম
কুমিল্লার রসমালাই
কুষ্টিয়ার তিলের খাজা
আরও পড়ুন:
দীর্ঘদিন ধরেই ডলারের অস্থিরতা ও সংকটে ভুগছিল দেশ। সেটি এখনো পুরোপুরি দূর হয়নি। তবে, প্রায় আড়াই বছরের বেশি সময় পর এখন বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে কিছুটা স্বস্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেসোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের ৫২১ তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গত ১৪ নভেম্বর এই সভার আয়োজন করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেএসিআই পাওয়ার সলিউশন ২৬ তম পাওয়ার বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক এক্সপোতে অংশগ্রহণ করেছে। এটি ১৪-১৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকার আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায়। এসিআই পাওয়ার সলিউশনের এক্সপোতে অংশগ্রহণের মূল লক্ষ্য সব নতুন পণ্য সম্পর্কে গ্রাহকদের জানানো। যার মধ্যে রেইকেম কেবল এক্সেসরিজ, স্নেইডার সার্কিট ব্র
২ ঘণ্টা আগেচলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর (তৃতীয়) প্রান্তিকে দেশের ১৭টি সাধারণ বিমা কোম্পানির মুনাফা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে একই সময়ে ২৩ কোম্পানির মুনাফা কমেছে। এ তথ্য ৪০টি সাধারণ বিমা কোম্পানির ১ জুলাই থেকে ৩০ অক্টোবর ২০২৪ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
২ ঘণ্টা আগে