নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান দেশের অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড। রক্ত সঞ্চালনের মাধ্যমে হৃৎপিণ্ড ভালো থাকে। বর্তমানে আমাদের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ভালো নেই। অনেক ব্যাংক আশানুরূপ আমানত পাচ্ছে না। তাদের ঋণগ্রহীতাও ঝুঁকিপূর্ণ। বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের ব্যাংকগুলো ভালো পারফরমেন্স দেখাতে পারছে না। যার অন্যতম কারণ, ব্যাংকের সংখ্যা বাজারের চাহিদার তুলনায় বেশি।
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আজ শনিবার ‘ব্যাংকিং অ্যালমানাক’ পঞ্চম সংস্করণ গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘এখন প্রশ্ন উঠেছে কিছু ব্যাংক কমিয়ে আনার। একটি ব্যাংকের সঙ্গে অপর ব্যাংকে একীভূত করা। কিন্তু নতুন প্রজন্মের ব্যাংকগুলোকে যখন অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল তখন বহুবার আমরা বলেছি, বাংলাদেশের বাজারে এত বেশি ব্যাংকের জায়গা নেই। কিন্তু সেদিকে গুরুত্ব না দিয়ে নতুন প্রজন্মের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল প্রভাবশালীদের দাপটে। সেই ব্যাংকগুলো যে খুব বেশি আমানত সংগ্রহ করতে পারেনি, এটা ঠিকই দৃশ্যমান হয়েছে। এক হাজার কোটি টাকার আমানতও অনেকে সংগ্রহ করতে পারিনি। এভাবে তারা টিকে থাকতে পারবে না। এখন প্রশ্ন উঠেছে, ওই ব্যাংকগুলো আবার একত্রিত করা হোক বা কমিয়ে দেওয়া হোক।’
বাংলাদেশের ঋণ-মানে আন্তর্জাতিকভাবে অবনমনের নেপথ্যেও আর্থিক খাত রয়েছে বলে উল্লেখ করে এ অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘একটা সময় ব্যাংকে রোডম্যাপ (রূপরেখা) ছিল। কিন্তু স্বার্থান্বেষী মহলের কারণে তা আলোর মুখ দেখেনি। অতীতের শিক্ষা ভুলে ব্যাংক খাতে সুশাসন ফেরাতে রোডম্যাপ করা হয়। কিন্তু না বুঝে রোডম্যাপ করলে কোনো কাজ হবে না।’
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘সুদহার বেঁধে দেওয়া বিষয় নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছিল। তখন এর পক্ষে-বিপক্ষে লেখালেখি হয়। আইএমএফ-বিশ্বব্যাংক এই সুদহার বাজারের ওপর ছেড়ে দিতে পরামর্শ দেয়। পরে নয়-ছয় করে আবারও বেঁধে দেওয়া হয়। অনেক দিন ধরে বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। যদিও উচিত ছিল পরিস্থিতি বুঝে আগের সীমা প্রত্যাহার। আবার বাজারভিত্তিক করা হলো পুরোনো যুক্তিগুলোর বিশ্লেষণ ছাড়াই। যদিও আইএমএফ-বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের এই বাস্তবতা বোঝে না। কেননা, সুদ শতভাগ বাজারভিত্তিক হলে ছোট ও নাজুক ব্যাংকগুলো আমানত পায় না। এমনকি ভালো গ্রাহকও পায় না।’
আমানত ও ঋণের দিক থেকে বড় ব্যাংকগুলোতে ঋণ কেলেঙ্কারি হয়েছে উল্লেখ করে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘এরপরও এগুলোতে আমানত কমেনি। তার মানে, আমানতকারীরা কোন ব্যাংকে কেলেঙ্কারি হচ্ছে—সেটা দেখে না। একটা অলিখিত নিয়ম দেখেন আমানতকারীরা, ব্যাংকে টাকা রেখে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সুরক্ষায় ভরসা রাখেন। এখন আমাদের মতো দেশে আমানতকারীর স্বার্থে গ্রাহকের আস্থা ধরে রাখতে ব্যাংক টিকে রাখতে হয়। দু-একটা ব্যাংক ধসে গেলে পুরো ব্যাংক খাত ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তবে সব সময় টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না।’
এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘প্রতিবছর খেলাপি ঋণ বাড়ছে। খেলাপি ঋণের বিদ্যমান পরিমাণের বাইরে প্রতিবছর বিরাট অঙ্কের খেলাপি ঋণকে রাইট অব (ঋণ অবলোপন) করা হচ্ছে, যেটা ব্যালেন্স শিট থেকে বাদ দেওয়া হয়। অবলোপন করা এসব ঋণ ব্যালেন্স শিটের অন্তর্ভুক্ত থাকে না বলেই খেলাপি ঋণ হিসেবেও প্রকাশ করা হয় না। পাশাপাশি একটা বড় অঙ্কের খেলাপি ঋণ বিভিন্ন মেয়াদে পুনঃতফসিল করা হয়। এ ক্ষেত্রে গ্রাহক খেলাপি হলেও পুনঃতফসিলের কারণে আর খেলাপি হচ্ছেন না। অথচ বিশ্বের অনেক দেশে খেলাপি হলে তিনি নানা প্রতিবন্ধকতায় মারা যান। ঋণখেলাপি বাড়ি ভাড়া নিতে পারেন না। ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতে পারেন না। আমাদের খেলাপিরা মহা আনন্দে রয়েছেন। এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।’
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান দেশের অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড। রক্ত সঞ্চালনের মাধ্যমে হৃৎপিণ্ড ভালো থাকে। বর্তমানে আমাদের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ভালো নেই। অনেক ব্যাংক আশানুরূপ আমানত পাচ্ছে না। তাদের ঋণগ্রহীতাও ঝুঁকিপূর্ণ। বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের ব্যাংকগুলো ভালো পারফরমেন্স দেখাতে পারছে না। যার অন্যতম কারণ, ব্যাংকের সংখ্যা বাজারের চাহিদার তুলনায় বেশি।
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আজ শনিবার ‘ব্যাংকিং অ্যালমানাক’ পঞ্চম সংস্করণ গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘এখন প্রশ্ন উঠেছে কিছু ব্যাংক কমিয়ে আনার। একটি ব্যাংকের সঙ্গে অপর ব্যাংকে একীভূত করা। কিন্তু নতুন প্রজন্মের ব্যাংকগুলোকে যখন অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল তখন বহুবার আমরা বলেছি, বাংলাদেশের বাজারে এত বেশি ব্যাংকের জায়গা নেই। কিন্তু সেদিকে গুরুত্ব না দিয়ে নতুন প্রজন্মের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল প্রভাবশালীদের দাপটে। সেই ব্যাংকগুলো যে খুব বেশি আমানত সংগ্রহ করতে পারেনি, এটা ঠিকই দৃশ্যমান হয়েছে। এক হাজার কোটি টাকার আমানতও অনেকে সংগ্রহ করতে পারিনি। এভাবে তারা টিকে থাকতে পারবে না। এখন প্রশ্ন উঠেছে, ওই ব্যাংকগুলো আবার একত্রিত করা হোক বা কমিয়ে দেওয়া হোক।’
বাংলাদেশের ঋণ-মানে আন্তর্জাতিকভাবে অবনমনের নেপথ্যেও আর্থিক খাত রয়েছে বলে উল্লেখ করে এ অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘একটা সময় ব্যাংকে রোডম্যাপ (রূপরেখা) ছিল। কিন্তু স্বার্থান্বেষী মহলের কারণে তা আলোর মুখ দেখেনি। অতীতের শিক্ষা ভুলে ব্যাংক খাতে সুশাসন ফেরাতে রোডম্যাপ করা হয়। কিন্তু না বুঝে রোডম্যাপ করলে কোনো কাজ হবে না।’
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘সুদহার বেঁধে দেওয়া বিষয় নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছিল। তখন এর পক্ষে-বিপক্ষে লেখালেখি হয়। আইএমএফ-বিশ্বব্যাংক এই সুদহার বাজারের ওপর ছেড়ে দিতে পরামর্শ দেয়। পরে নয়-ছয় করে আবারও বেঁধে দেওয়া হয়। অনেক দিন ধরে বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। যদিও উচিত ছিল পরিস্থিতি বুঝে আগের সীমা প্রত্যাহার। আবার বাজারভিত্তিক করা হলো পুরোনো যুক্তিগুলোর বিশ্লেষণ ছাড়াই। যদিও আইএমএফ-বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের এই বাস্তবতা বোঝে না। কেননা, সুদ শতভাগ বাজারভিত্তিক হলে ছোট ও নাজুক ব্যাংকগুলো আমানত পায় না। এমনকি ভালো গ্রাহকও পায় না।’
আমানত ও ঋণের দিক থেকে বড় ব্যাংকগুলোতে ঋণ কেলেঙ্কারি হয়েছে উল্লেখ করে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘এরপরও এগুলোতে আমানত কমেনি। তার মানে, আমানতকারীরা কোন ব্যাংকে কেলেঙ্কারি হচ্ছে—সেটা দেখে না। একটা অলিখিত নিয়ম দেখেন আমানতকারীরা, ব্যাংকে টাকা রেখে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সুরক্ষায় ভরসা রাখেন। এখন আমাদের মতো দেশে আমানতকারীর স্বার্থে গ্রাহকের আস্থা ধরে রাখতে ব্যাংক টিকে রাখতে হয়। দু-একটা ব্যাংক ধসে গেলে পুরো ব্যাংক খাত ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তবে সব সময় টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না।’
এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘প্রতিবছর খেলাপি ঋণ বাড়ছে। খেলাপি ঋণের বিদ্যমান পরিমাণের বাইরে প্রতিবছর বিরাট অঙ্কের খেলাপি ঋণকে রাইট অব (ঋণ অবলোপন) করা হচ্ছে, যেটা ব্যালেন্স শিট থেকে বাদ দেওয়া হয়। অবলোপন করা এসব ঋণ ব্যালেন্স শিটের অন্তর্ভুক্ত থাকে না বলেই খেলাপি ঋণ হিসেবেও প্রকাশ করা হয় না। পাশাপাশি একটা বড় অঙ্কের খেলাপি ঋণ বিভিন্ন মেয়াদে পুনঃতফসিল করা হয়। এ ক্ষেত্রে গ্রাহক খেলাপি হলেও পুনঃতফসিলের কারণে আর খেলাপি হচ্ছেন না। অথচ বিশ্বের অনেক দেশে খেলাপি হলে তিনি নানা প্রতিবন্ধকতায় মারা যান। ঋণখেলাপি বাড়ি ভাড়া নিতে পারেন না। ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতে পারেন না। আমাদের খেলাপিরা মহা আনন্দে রয়েছেন। এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।’
দীর্ঘদিন ধরেই ডলারের অস্থিরতা ও সংকটে ভুগছিল দেশ। সেটি এখনো পুরোপুরি দূর হয়নি। তবে, প্রায় আড়াই বছরের বেশি সময় পর এখন বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে কিছুটা স্বস্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেসোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের ৫২১ তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গত ১৪ নভেম্বর এই সভার আয়োজন করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগেএসিআই পাওয়ার সলিউশন ২৬ তম পাওয়ার বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক এক্সপোতে অংশগ্রহণ করেছে। এটি ১৪-১৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকার আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায়। এসিআই পাওয়ার সলিউশনের এক্সপোতে অংশগ্রহণের মূল লক্ষ্য সব নতুন পণ্য সম্পর্কে গ্রাহকদের জানানো। যার মধ্যে রেইকেম কেবল এক্সেসরিজ, স্নেইডার সার্কিট ব্র
৩ ঘণ্টা আগেচলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর (তৃতীয়) প্রান্তিকে দেশের ১৭টি সাধারণ বিমা কোম্পানির মুনাফা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে একই সময়ে ২৩ কোম্পানির মুনাফা কমেছে। এ তথ্য ৪০টি সাধারণ বিমা কোম্পানির ১ জুলাই থেকে ৩০ অক্টোবর ২০২৪ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
৩ ঘণ্টা আগে