অনুমোদিত সীমার বেশি ঋণ বিতরণ করে ফেঁসে গেছে সরকারি-বেসরকারি খাতের ১৩ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের জুন পর্যন্ত হালনাগাদ তথ্য পর্যালোচনা থেকে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। জনগণের কাছ থেকে আমানত তুলে এসব ব্যাংক বেশি লাভের আশায়, যাকে-তাকে মাত্রাতিরিক্ত ঋণ দিয়েছে।
কঠোর নজরদারির মধ্যেও ইউনিয়ন ব্যাংক থেকে থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকার আমানত সরিয়ে ফেলছে এস আলম গ্রুপ। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদন অনুসারে, চট্টগ্রামে ব্যাংকটির বিভিন্ন শাখা থেকে এই আমানত তুলে নিয়েছে গ্রুপটি।
ব্যাংকে সঞ্চিত অর্থ যে কেউ বিনিয়োগ করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে যাঁর অর্থসম্পদ বেশি, ব্যাংকে তাঁর বিনিয়োগও বেশি। জনগণের থেকে নেওয়া এই বিনিয়োগ ব্যাংকগুলোর কাছে আমানত। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বিভিন্ন কর্মকাণ্ড সচল রাখতে ব্যাংকগুলো ওই আমানতের অর্থই বিভিন্ন খাতে ঋণ হিসেবে পুনর্বিনিয়োগ করে। এর জন্য নির্দিষ্ট
শ্রমঘন এলাকার ৪০ লাখ শ্রমিকের মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ভর্তুকি মূল্যের পণ্য দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার থেকে পণ্য বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করা হবে
অনিয়ম আর অব্যবস্থাপনায় রীতিমতো খুঁড়িয়ে চলছে নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো (এনবিএফআই)। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণ ৯০ শতাংশ অতিক্রম করেছে। এতে দুর্বল হয়ে পড়েছে আর্থিক ভিত্তি। অনেক প্রতিষ্ঠান গ্রাহকের টাকাও ফেরত দিতে পারছে না। এর প্রভাবে গ্রাহকদের আস্থা কমে গেছে। ফলে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন আমানতকার
১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালোটাকা সাদা করার সুবিধা বাতিল করেছে সরকার। আজ সোমবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ–সংক্রান্ত একটি আদেশ (এসআরও) জারি করেছে। এনবিআর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির রাজ্য হিসেবে পরিচিত গুজরাট। এই রাজ্যেরই মাধাপার গ্রাম এখন এশিয়ার সবচেয়ে ধনী গ্রাম হিসেবে পরিচিত পেয়েছে। বৃহস্পতিবার টাইমস নাও-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রামটিতে কম করে হলেও ১৭টি ব্যাংক রয়েছে।
বিভিন্ন সঞ্চয়পত্রের সরকারনির্ধারিত বর্তমান সুদহার সর্বোচ্চ ১১ শতাংশ। অপরদিকে ব্যাংকের ঋণ ও আমাতের সুদহার যথাক্রমে ১৮ শতাংশ ও ১৫ শতাংশের কাছাকাছি। আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বেলায় ঋণের সুদহার দাঁড়িয়েছে ২০-২২ শতাংশে। অর্থাৎ সঞ্চয়পত্রে সুদহার তুলনামূলক কম হওয়ায় সঞ্চয়ধারীর
ব্যাংক খাতে আমানতের অর্থ লুটে খাচ্ছে কয়েকটি গোষ্ঠী। সরকারের সহযোগিতায় তাঁরা পুষ্ট হয়ে উঠেছে। তাঁদের কারণেই এখন আর্থিক খাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। এমন মন্তব্য করেছেন গবেষণা সংস্থা পিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক ও অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর
কোটিপতিদের হিসাবের সংখ্যা সম্প্রতি কমলেও প্রান্তিক মানুষের জন্য বিশেষ সুবিধার আওতাধীন নো ফ্রিলস অ্যাকাউন্টের (এনএফএ) ১০, ৫০ ও ১০০ টাকার ব্যাংক হিসাব বেড়েছে। চলতি বছরের মার্চ মাস শেষে এসব ব্যাংক হিসাবে আমানত বেড়েছে ২২৫ কোটি টাকা। একই সঙ্গে তিন মাসে হিসাবসংখ্যা বেড়েছে ২৮ হাজার ৩০১টি। বাংলাদেশ ব্যাংকের
ব্যাংকিং খাতের মতো দুর্দিনে ঘুরপাক খাচ্ছে ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানও (এনবিএফআই)। এসব প্রতিষ্ঠানের আমানতে ব্যাপক টান পড়েছে। আস্থার সংকট এবং নানা অনিশ্চয়তায় আর্থিক প্রতিষ্ঠান ছেড়ে যাচ্ছেন আমানতকারী। এসব প্রতিষ্ঠানে এক বছরে আমানতকারী কমেছে প্রায় ৫৯ হাজার। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতি
রেকর্ড খেলাপি ঋণসহ নানা কারণে দুর্বল হয়ে পড়েছে দেশের ব্যাংক খাত। এসব দুর্বলতা দেখে ব্যাংকে টাকা রাখার মতো আস্থা পাচ্ছেন না অনেক গ্রাহক। অনেকেই আবার তুলে নিচ্ছেন আমানতের টাকা। এ অবস্থায় দৈনন্দিন ব্যাংকিংসেবা ও স্বাভাবিক লেনদেন চালু রাখতে ব্যাপক হারে ধার করতে হচ্ছে ব্যাংকগুলোকে।
কয়েক দফা বাড়ার পরে এবার কমেছে কোটি টাকার ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা। পাশাপাশি এসব হিসাবে আমানতের স্থিতিও কমেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি–মার্চ) কোটি টাকার ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা কমেছে ১ হাজার ১৮টি। আমানত কমেছে ১ হাজার ৩১২ কোটি টাকা।
ব্যাংকে টাকা জমা রাখার খরচ বাড়ছে। ৫০ লাখ টাকার বেশি আমানতে শুল্ক বাড়ানো হতে পারে এবারের বাজেটে। এর ফলে তিন অর্থবছর পর ব্যাংকে রাখা আমানতের ওপর আবগারি শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
দুর্বল ব্যাংকের সঙ্গে সবলের একীভূতকে কেন্দ্র করে পুরো ব্যাংক খাতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে আমানতকারীরা ব্যাংকে টাকা রাখা না-রাখা নিয়ে দ্বিধায় ভুগছেন। অনেক সঞ্চয়কারী ব্যাংক একীভূত হলে টাকা পাবেন না এমন শঙ্কায় ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিচ্ছেন। যার প্রভাবে আমানতে সুদের
শতভাগ রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক বেসিক ব্যাংক লিমিটেডকে বেসরকারি সিটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার ঘোষণা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ নিয়ে বেসিক ব্যাংকের কর্মকর্তা ও গ্রাহকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
সঞ্চয়পত্র ছেড়ে ব্যাংকমুখী হচ্ছে মানুষ। সঞ্চয়পত্রের সুদের হারের চেয়ে সম্প্রতি ব্যাংকে আমানতের সুদের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষ ঝুঁকছে সেদিকে। ফলে বিক্রি কমছে সঞ্চয়পত্রের আর আমানত বাড়ছে ব্যাংকে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রি কমেছে ১ হাজার ২৮৭ কোটি টাকা। অন্যদিক