আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা: দেশের বড় শিল্প খাত বিসিআইয়ের সদস্য। তারা করোনাকালে কীভাবে চলছে?
প্রীতি চক্রবর্তী: বিসিআই মূলত বড় শিল্পকারখানার উদ্যোক্তাদের নিয়ে কাজ করে। এখানে ট্রেডার কেউ নেই। বড় হলে তাদের ধস নামতেও একটু সময় লাগে। এরা কোনো না–কোনোভাবে টিকে রয়েছে। যদি আমার কথাই বলি; সবচেয়ে ভাইব্রেন্ট আছে হেলথ সেক্টর। মানে হাসপাতাল, মেডিসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, ফার্মেসি। আমরা দেখছি এরা এই মুহূর্তে ভাইব্রেন্ট। এরপরও আপনি যদি আমার এখানে আসেন দেখবেন সাধারণ রোগী কমে গেছে। কভিডের রোগী বেড়ে গেছে। তাদের আবার খরচ অনেক বেশি। ফলে রেভিনিউ যাই হোক না কেন আমি কিন্তু ক্ষতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। তারপরও আমি চলতে পারছি।
আজকের পত্রিকা: লোকসান থেকে পুনরুদ্ধার কীভাবে সম্ভব?
প্রীতি চক্রবর্তী: আমাদের সঙ্গে যারা আছে, তাদের প্রত্যেকেরই দুই–তিনটা করে প্রতিষ্ঠান আছে। এক জায়গা থেকে এনে আরেক জায়গায় দিয়ে সমন্বয় করে চলছে। এখন শুধু টিকে আছে। আমরা আশা করছি, সামনের বছরের জুনের মধ্যে ৮০ শতাংশের হার্ড ইমিউনিটি চলে আসবে। তখন হয়তো যারা ব্রেকইভেনে এসেছিল তাদের আরও দুই বছর লাগবে। যার মুনাফা শুরু হয়েছিল তার মুনাফা শেষ হয়ে লোকসান শুরু হবে। কিন্তু টিকে যাবে, হয়তো বা একটা ইন্ডাস্ট্রি বন্ধ হয়ে যাবে। তিনটার জায়গায় দুইটা থাকবে। যার দুইটা আছে তার হয়তো একটা হয়ে যাবে। বিসিআই থেকে বলতে পারি যে তাদের লম্বা সময় অপেক্ষা করতে হবে আগের জায়গায় ফিরে আসতে।
আজকের পত্রিকা: ঋণখেলাপি না হওয়ার জন্য কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে?
প্রীতি চক্রবর্তী: প্রাথমিকভাবে আমরা ফেডারেশন থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে চিঠি দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়েও চিঠি দেওয়া হয়েছে। ব্যাংকঋণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক একটা সুবিধা দিয়েছিল। যারা ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে পারে করবে, যারা পারবে না তাদের খেলাপি করা যাবে না। এখন সার্কুলার এসেছে আগামী আগস্টের ৩১ তারিখের মধ্যে ব্যাংকগুলোর যে বকেয়া আছে তার ২০ শতাংশ পরিশোধ করতে হবে। আর আর্থিক খাতে দিতে হবে ৫০ শতাংশ। আমি নিশ্চিত যে, ৯০ শতাংশই করতে পারবে না। এটা ইচ্ছাকৃত নয়; বরং ইচ্ছে না থাকার পরও ৯০ শতাংশ পরিশোধ করতে পারবে না। এটা সবার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। এতে অর্থনীতির মূল ভিত্তি বড় রকমের ঝাঁকুনি খাবে বলে মনে করছি।
আজকের পত্রিকা: কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাহলে কী করতে পারে?
প্রীতি চক্রবর্তী: আমি বলতে চাই, আগস্টের ৩১ তারিখের মধ্যে গড়ে ৫ শতাংশ এবং ডিসেম্বরে গিয়ে আরও ৫ শতাংশ বকেয়া ঋণ পরিশোধের নির্দেশনা দেওয়া যেতে পারে। আমার ২০ বছরের ব্যবসায়ী জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, আপনি যদি কোনো কারণে এক বছর ব্যবসা না করতে পারেন, এটাকে ঠিক জায়গায় আনতে তিন বছর সময় লেগে যায়। আর আমরা আজকে দেড় বছরের বেশি সময় ধরে একটা কঠিন অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করছি। তবু আমরা ভাগ্যবান যে প্রধানমন্ত্রী আমাদের জন্য একটা প্রণোদনার ব্যবস্থা করেছেন।
আজকের পত্রিকা: সরকার কী নীতি সহায়তা দিতে পারে?
প্রীতি চক্রবর্তী: একটু একটু করে সহায়তা দিয়ে এগিয়ে নিতে হবে। কারণ, বাংলাদেশের প্রাণ হচ্ছে বেসরকারি শিল্প। প্রধানমন্ত্রী বিষয়গুলো বোঝেন বলে নিজে পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। এটা সম্মিলিত একটা প্রয়াস। আমরা পরস্পর পরস্পরের সম্পূরক। বেসরকারি খাত অর্থনীতিকে সচল রাখবে, সরকার পাশে থাকবে–এভাবেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
আজকের পত্রিকা: অনেকে বলেন যে স্বাস্থ্য খাতের ব্যবসা ভালো চলছে। আসল চিত্রটা কী?
প্রীতি চক্রবর্তী: প্রতিবছর আমরা ৫ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হিসাব করি। ৫ শতাংশ মূল্যস্ফীতি ধরে যদি হিসাব করেন তাহলে আমার গ্রোথ হতে হবে অন্তত ১০ শতাংশ। কিন্তু আপনার যদি গ্রোথ হয় ৩ শতাংশ, তখন আপনি কোথায় আছেন? এখন খালি চোখে দেখা এক জিনিস, আর ভেতরে গিয়ে দেখা আরেক জিনিস। ফাইন্যান্সিয়াল অ্যানালিস্ট দিয়ে যদি হিসাব করে দেখেন, তাহলেই চিত্রটা জানা যাবে। আসলে হেলথ সেক্টরকে মানুষের জীবন বাঁচাতে কাজ করে যেতে হচ্ছে। তারা সেই দায়িত্বরত অবস্থায় আছে। তারা সেটা করার জন্য আর কোনো দিকে তাকাচ্ছে না। টিকে থেকে সেবা দিয়ে যাচ্ছে।
আজকের পত্রিকা: দেশের বড় শিল্প খাত বিসিআইয়ের সদস্য। তারা করোনাকালে কীভাবে চলছে?
প্রীতি চক্রবর্তী: বিসিআই মূলত বড় শিল্পকারখানার উদ্যোক্তাদের নিয়ে কাজ করে। এখানে ট্রেডার কেউ নেই। বড় হলে তাদের ধস নামতেও একটু সময় লাগে। এরা কোনো না–কোনোভাবে টিকে রয়েছে। যদি আমার কথাই বলি; সবচেয়ে ভাইব্রেন্ট আছে হেলথ সেক্টর। মানে হাসপাতাল, মেডিসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, ফার্মেসি। আমরা দেখছি এরা এই মুহূর্তে ভাইব্রেন্ট। এরপরও আপনি যদি আমার এখানে আসেন দেখবেন সাধারণ রোগী কমে গেছে। কভিডের রোগী বেড়ে গেছে। তাদের আবার খরচ অনেক বেশি। ফলে রেভিনিউ যাই হোক না কেন আমি কিন্তু ক্ষতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। তারপরও আমি চলতে পারছি।
আজকের পত্রিকা: লোকসান থেকে পুনরুদ্ধার কীভাবে সম্ভব?
প্রীতি চক্রবর্তী: আমাদের সঙ্গে যারা আছে, তাদের প্রত্যেকেরই দুই–তিনটা করে প্রতিষ্ঠান আছে। এক জায়গা থেকে এনে আরেক জায়গায় দিয়ে সমন্বয় করে চলছে। এখন শুধু টিকে আছে। আমরা আশা করছি, সামনের বছরের জুনের মধ্যে ৮০ শতাংশের হার্ড ইমিউনিটি চলে আসবে। তখন হয়তো যারা ব্রেকইভেনে এসেছিল তাদের আরও দুই বছর লাগবে। যার মুনাফা শুরু হয়েছিল তার মুনাফা শেষ হয়ে লোকসান শুরু হবে। কিন্তু টিকে যাবে, হয়তো বা একটা ইন্ডাস্ট্রি বন্ধ হয়ে যাবে। তিনটার জায়গায় দুইটা থাকবে। যার দুইটা আছে তার হয়তো একটা হয়ে যাবে। বিসিআই থেকে বলতে পারি যে তাদের লম্বা সময় অপেক্ষা করতে হবে আগের জায়গায় ফিরে আসতে।
আজকের পত্রিকা: ঋণখেলাপি না হওয়ার জন্য কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে?
প্রীতি চক্রবর্তী: প্রাথমিকভাবে আমরা ফেডারেশন থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে চিঠি দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়েও চিঠি দেওয়া হয়েছে। ব্যাংকঋণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক একটা সুবিধা দিয়েছিল। যারা ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে পারে করবে, যারা পারবে না তাদের খেলাপি করা যাবে না। এখন সার্কুলার এসেছে আগামী আগস্টের ৩১ তারিখের মধ্যে ব্যাংকগুলোর যে বকেয়া আছে তার ২০ শতাংশ পরিশোধ করতে হবে। আর আর্থিক খাতে দিতে হবে ৫০ শতাংশ। আমি নিশ্চিত যে, ৯০ শতাংশই করতে পারবে না। এটা ইচ্ছাকৃত নয়; বরং ইচ্ছে না থাকার পরও ৯০ শতাংশ পরিশোধ করতে পারবে না। এটা সবার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। এতে অর্থনীতির মূল ভিত্তি বড় রকমের ঝাঁকুনি খাবে বলে মনে করছি।
আজকের পত্রিকা: কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাহলে কী করতে পারে?
প্রীতি চক্রবর্তী: আমি বলতে চাই, আগস্টের ৩১ তারিখের মধ্যে গড়ে ৫ শতাংশ এবং ডিসেম্বরে গিয়ে আরও ৫ শতাংশ বকেয়া ঋণ পরিশোধের নির্দেশনা দেওয়া যেতে পারে। আমার ২০ বছরের ব্যবসায়ী জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, আপনি যদি কোনো কারণে এক বছর ব্যবসা না করতে পারেন, এটাকে ঠিক জায়গায় আনতে তিন বছর সময় লেগে যায়। আর আমরা আজকে দেড় বছরের বেশি সময় ধরে একটা কঠিন অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করছি। তবু আমরা ভাগ্যবান যে প্রধানমন্ত্রী আমাদের জন্য একটা প্রণোদনার ব্যবস্থা করেছেন।
আজকের পত্রিকা: সরকার কী নীতি সহায়তা দিতে পারে?
প্রীতি চক্রবর্তী: একটু একটু করে সহায়তা দিয়ে এগিয়ে নিতে হবে। কারণ, বাংলাদেশের প্রাণ হচ্ছে বেসরকারি শিল্প। প্রধানমন্ত্রী বিষয়গুলো বোঝেন বলে নিজে পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। এটা সম্মিলিত একটা প্রয়াস। আমরা পরস্পর পরস্পরের সম্পূরক। বেসরকারি খাত অর্থনীতিকে সচল রাখবে, সরকার পাশে থাকবে–এভাবেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
আজকের পত্রিকা: অনেকে বলেন যে স্বাস্থ্য খাতের ব্যবসা ভালো চলছে। আসল চিত্রটা কী?
প্রীতি চক্রবর্তী: প্রতিবছর আমরা ৫ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হিসাব করি। ৫ শতাংশ মূল্যস্ফীতি ধরে যদি হিসাব করেন তাহলে আমার গ্রোথ হতে হবে অন্তত ১০ শতাংশ। কিন্তু আপনার যদি গ্রোথ হয় ৩ শতাংশ, তখন আপনি কোথায় আছেন? এখন খালি চোখে দেখা এক জিনিস, আর ভেতরে গিয়ে দেখা আরেক জিনিস। ফাইন্যান্সিয়াল অ্যানালিস্ট দিয়ে যদি হিসাব করে দেখেন, তাহলেই চিত্রটা জানা যাবে। আসলে হেলথ সেক্টরকে মানুষের জীবন বাঁচাতে কাজ করে যেতে হচ্ছে। তারা সেই দায়িত্বরত অবস্থায় আছে। তারা সেটা করার জন্য আর কোনো দিকে তাকাচ্ছে না। টিকে থেকে সেবা দিয়ে যাচ্ছে।
এসিআই পাওয়ার সলিউশন ২৬ তম পাওয়ার বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক এক্সপোতে অংশগ্রহণ করেছে। এটি ১৪-১৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকার আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায়। এসিআই পাওয়ার সলিউশনের এক্সপোতে অংশগ্রহণের মূল লক্ষ্য সব নতুন পণ্য সম্পর্কে গ্রাহকদের জানানো। যার মধ্যে রেইকেম কেবল এক্সেসরিজ, স্নেইডার সার্কিট ব্র
১৪ মিনিট আগেচলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর (তৃতীয়) প্রান্তিকে দেশের ১৭টি সাধারণ বিমা কোম্পানির মুনাফা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে একই সময়ে ২৩ কোম্পানির মুনাফা কমেছে। এ তথ্য ৪০টি সাধারণ বিমা কোম্পানির ১ জুলাই থেকে ৩০ অক্টোবর ২০২৪ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
১ ঘণ্টা আগেপ্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে শুরু হয়েছে বছরের সবচেয়ে বড় সেল ইভেন্ট দারাজ ১১.১১। প্রথম দিনেই ক্রেতাদের ভিড় জমে উঠেছে দারাজে। সারা দেশের মানুষ মেতে উঠেছে উৎসবের আমেজে, যেখানে পছন্দের পণ্যে মেলে দারুণ সব অফার, আর কেনাকাটার অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে চলেছে সবাই।
১ ঘণ্টা আগেবাংলা ভাষা নিয়ে মেধাভিত্তিক টিভি রিয়্যালিটি শো ‘ইস্পাহানি মির্জাপুর বাংলাবিদ-ষষ্ঠ বর্ষ’-এর চট্টগ্রাম বিভাগের বাছাইপর্ব আগামীকাল শনিবার চট্টগ্রাম শহরের ইস্পাহানি পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে। এই প্রতিযোগিতার উদ্যোগ, পরিকল্পনা ও পৃষ্ঠপোষকতা করছে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ড ইস
১ ঘণ্টা আগে