নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশ শর্ত মেনেই তৈরি পোশাক উৎপাদন ও রপ্তানি করে। সুতরাং, এ খাতে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার সুযোগ নেই বলে মনে করেন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। তিনি বলেন, এরপরও যদি যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দেয়, সেটি হবে রাজনৈতিক বিবেচনায়। তখন সরকারের পাশে থাকবে পোশাক ব্যবসায়ীরা।
আজ সোমবার রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিকস রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত সেমিনারে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ নিটওয়্যার প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ইআরএফের প্রধান রেফায়েত উল্লাহ্ মীরধা।
মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) কনভেনশন অনুযায়ী ১০টি শর্তের মধ্যে ৮টি প্রতিপালন করছে বাংলাদেশ। নতুন সংযোজিত দুটি শর্ত বাস্তবায়নের জন্য প্রক্রিয়া চলমান। পোশাকশিল্পের কারখানায় শ্রম ইস্যুতে শর্ত লঙ্ঘন করা হচ্ছে না। সুতরাং, শ্রমিকের অধিকার নিয়ে পোশাক খাতে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার সুযোগ নেই যুক্তরাষ্ট্রের। এমনকি একই ইস্যুতে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেখানোর মতো সাহসও নেই দেশটির। তবে রাজনৈতিক ইস্যু বা ভিন্ন স্বার্থে নিষেধাজ্ঞা দিলে শ্রমিকের ও দেশের ক্ষতি হবে। যা কূটনৈতিক উপায়ে সরকার সমাধান করবে। সরকারের পাশে থাকবে পোশাক ব্যবসায়ীরা।’
এ ব্যবসায়ী নেতা বলেন, ‘আমরা কোনো নিষেধাজ্ঞার ভয় পাই না। কেননা, এমন কিছুই করিনি যার কারণে নিষেধাজ্ঞা দেবে যুক্তরাষ্ট্র। শ্রম ইস্যুতে প্রতিযোগী দেশে চায়নার চেয়েও শ্রম ইস্যুতে আমরা ভালো অবস্থানে রয়েছি। তবুও নিষেধাজ্ঞা দিলে তার ভিন্ন উদ্দেশ্য থাকতে পারে।’
সাম্প্রতিক শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ে বিকেএমইএ সভাপতি বলেন, ‘দায়িত্ববান শ্রমিক সংগঠন বা নেতা হলে তিনি কারখানার ক্ষতি করতে পারেন না। ট্রেড ইউনিয়ন নিয়েও ভয় কাজ করে মালিকপক্ষের মধ্যে। ট্রেড ইউনিয়ন মানেই যখন-তখন কাজ বন্ধ করে দেবে! এসব নিয়ে আমরা ভীত। সম্প্রতি যে শ্রমিকদের আন্দোলন হয়, তা প্রকৃত শ্রমিকদের ছিল না। তবে প্রশ্ন হলো, কারা ভাঙচুর করল? ভাঙচুরে যারা ইন্ধন দিয়েছেন সিসিটিভির ফুটেজ দেখে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। যারা হামলার বাইরে ছিল তাদের মামলা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছি।’
ইআরএফ সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমের সঞ্চালনায় সেমিনারে শ্রম-বাণিজ্য বিশ্লেষক মোস্তফা আবিদ খান বলেন, ‘শ্রম ইস্যু নিয়ে কারখানায় ভয় আছে। শ্রমিকনেতাকে অবশ্যই শ্রমিক হতে হবে। শ্রমিকনেতা শ্রমিক হলেই শ্রমিকের সমস্যা বুঝবেন। আর স্যাংশন নিয়ে আমেরিকার যেটা বলছে, তা স্যাংশন না। বলা হয়েছে ট্রেড পেনাল্টি বা জরিমানার কথা। এসব বিষয়ে লেখালেখি না করাই ভালো। অনুধাবন করতে হবে বিষয়টা কোন দিকে যায়।’
এ সময় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন সভাপতি আমিরুল হক আমিন বলেন, ‘দেশের শ্রম পরিস্থিতি এত খারাপ হয়নি, যেখানে স্যাংশন চলে আসতে পারে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশের শ্রম পরিস্থিতি ভালো রয়েছে। আইএলওর ১২টি ধারার মধ্যে আটটিতে অনুস্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্র করেছে মাত্র ছয়টিতে। শ্রমিক অধিকারের মৌলিক দুটি ধারায় আমেরিকা অনুস্বাক্ষর করেনি।’
তবে ট্রেড ইউনিয়ন নেতা ফজলে শামিম এহসান বলেন, ‘সংশোধিত শ্রম আইনে মালিক-শ্রমিকের সব দিক বিবেচনায় আনা হয়নি, হযবরল অবস্থা ছিল। আর আমেরিকার যে আইনটার কারণে আমাদের ভয়, সেখানে তার দুইটা দিক আছে: একটা পর্দার সামনে অপরটি পর্দার আড়ালে।’
শ্রমিকনেতা তৌহিদুর রহমান বলেন, ‘আমেরিকার শ্রম নীতিকে অবশ্যই বিবেচনায় নিতে হবে। ব্যবসা ধরে রাখতে হলে আমাদের তাদের মেমোরেন্ডাম বিবেচনায় নিতে হবে। আমার কাছে মনে হয়, পশ্চিম আকাশে কালো মেঘের ঘনঘটা। সাম্প্রতিক আন্দোলনে চারজন শ্রমিক হত্যাকাণ্ডের কোনো তদন্ত ও বিচার হচ্ছে না। যদিও শ্রমিকের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে আমেরিকা। বিষয়টি ভাবার বিষয়।’
বিজিএমইএর পরিচালক এ এন সাইফুদ্দিন বলেন, ‘পোশাক ব্যবসার শুরুটা ভালো ছিল। শুরুতে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে কারখানায় লোক নিয়োগ করা হতো। বিদেশি প্রশিক্ষণ ব্যবস্থাও ছিল। এখন তা করা হচ্ছে না। তবে ক্রেতাদের চাহিদামতো পোশাক বানাতে কমপ্লায়েন্সে আসতে হবে।’
বাংলাদেশ শর্ত মেনেই তৈরি পোশাক উৎপাদন ও রপ্তানি করে। সুতরাং, এ খাতে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার সুযোগ নেই বলে মনে করেন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। তিনি বলেন, এরপরও যদি যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দেয়, সেটি হবে রাজনৈতিক বিবেচনায়। তখন সরকারের পাশে থাকবে পোশাক ব্যবসায়ীরা।
আজ সোমবার রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিকস রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত সেমিনারে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ নিটওয়্যার প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ইআরএফের প্রধান রেফায়েত উল্লাহ্ মীরধা।
মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) কনভেনশন অনুযায়ী ১০টি শর্তের মধ্যে ৮টি প্রতিপালন করছে বাংলাদেশ। নতুন সংযোজিত দুটি শর্ত বাস্তবায়নের জন্য প্রক্রিয়া চলমান। পোশাকশিল্পের কারখানায় শ্রম ইস্যুতে শর্ত লঙ্ঘন করা হচ্ছে না। সুতরাং, শ্রমিকের অধিকার নিয়ে পোশাক খাতে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার সুযোগ নেই যুক্তরাষ্ট্রের। এমনকি একই ইস্যুতে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেখানোর মতো সাহসও নেই দেশটির। তবে রাজনৈতিক ইস্যু বা ভিন্ন স্বার্থে নিষেধাজ্ঞা দিলে শ্রমিকের ও দেশের ক্ষতি হবে। যা কূটনৈতিক উপায়ে সরকার সমাধান করবে। সরকারের পাশে থাকবে পোশাক ব্যবসায়ীরা।’
এ ব্যবসায়ী নেতা বলেন, ‘আমরা কোনো নিষেধাজ্ঞার ভয় পাই না। কেননা, এমন কিছুই করিনি যার কারণে নিষেধাজ্ঞা দেবে যুক্তরাষ্ট্র। শ্রম ইস্যুতে প্রতিযোগী দেশে চায়নার চেয়েও শ্রম ইস্যুতে আমরা ভালো অবস্থানে রয়েছি। তবুও নিষেধাজ্ঞা দিলে তার ভিন্ন উদ্দেশ্য থাকতে পারে।’
সাম্প্রতিক শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ে বিকেএমইএ সভাপতি বলেন, ‘দায়িত্ববান শ্রমিক সংগঠন বা নেতা হলে তিনি কারখানার ক্ষতি করতে পারেন না। ট্রেড ইউনিয়ন নিয়েও ভয় কাজ করে মালিকপক্ষের মধ্যে। ট্রেড ইউনিয়ন মানেই যখন-তখন কাজ বন্ধ করে দেবে! এসব নিয়ে আমরা ভীত। সম্প্রতি যে শ্রমিকদের আন্দোলন হয়, তা প্রকৃত শ্রমিকদের ছিল না। তবে প্রশ্ন হলো, কারা ভাঙচুর করল? ভাঙচুরে যারা ইন্ধন দিয়েছেন সিসিটিভির ফুটেজ দেখে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। যারা হামলার বাইরে ছিল তাদের মামলা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছি।’
ইআরএফ সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমের সঞ্চালনায় সেমিনারে শ্রম-বাণিজ্য বিশ্লেষক মোস্তফা আবিদ খান বলেন, ‘শ্রম ইস্যু নিয়ে কারখানায় ভয় আছে। শ্রমিকনেতাকে অবশ্যই শ্রমিক হতে হবে। শ্রমিকনেতা শ্রমিক হলেই শ্রমিকের সমস্যা বুঝবেন। আর স্যাংশন নিয়ে আমেরিকার যেটা বলছে, তা স্যাংশন না। বলা হয়েছে ট্রেড পেনাল্টি বা জরিমানার কথা। এসব বিষয়ে লেখালেখি না করাই ভালো। অনুধাবন করতে হবে বিষয়টা কোন দিকে যায়।’
এ সময় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন সভাপতি আমিরুল হক আমিন বলেন, ‘দেশের শ্রম পরিস্থিতি এত খারাপ হয়নি, যেখানে স্যাংশন চলে আসতে পারে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশের শ্রম পরিস্থিতি ভালো রয়েছে। আইএলওর ১২টি ধারার মধ্যে আটটিতে অনুস্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্র করেছে মাত্র ছয়টিতে। শ্রমিক অধিকারের মৌলিক দুটি ধারায় আমেরিকা অনুস্বাক্ষর করেনি।’
তবে ট্রেড ইউনিয়ন নেতা ফজলে শামিম এহসান বলেন, ‘সংশোধিত শ্রম আইনে মালিক-শ্রমিকের সব দিক বিবেচনায় আনা হয়নি, হযবরল অবস্থা ছিল। আর আমেরিকার যে আইনটার কারণে আমাদের ভয়, সেখানে তার দুইটা দিক আছে: একটা পর্দার সামনে অপরটি পর্দার আড়ালে।’
শ্রমিকনেতা তৌহিদুর রহমান বলেন, ‘আমেরিকার শ্রম নীতিকে অবশ্যই বিবেচনায় নিতে হবে। ব্যবসা ধরে রাখতে হলে আমাদের তাদের মেমোরেন্ডাম বিবেচনায় নিতে হবে। আমার কাছে মনে হয়, পশ্চিম আকাশে কালো মেঘের ঘনঘটা। সাম্প্রতিক আন্দোলনে চারজন শ্রমিক হত্যাকাণ্ডের কোনো তদন্ত ও বিচার হচ্ছে না। যদিও শ্রমিকের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে আমেরিকা। বিষয়টি ভাবার বিষয়।’
বিজিএমইএর পরিচালক এ এন সাইফুদ্দিন বলেন, ‘পোশাক ব্যবসার শুরুটা ভালো ছিল। শুরুতে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে কারখানায় লোক নিয়োগ করা হতো। বিদেশি প্রশিক্ষণ ব্যবস্থাও ছিল। এখন তা করা হচ্ছে না। তবে ক্রেতাদের চাহিদামতো পোশাক বানাতে কমপ্লায়েন্সে আসতে হবে।’
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের ৫২১ তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গত ১৪ নভেম্বর এই সভার আয়োজন করা হয়।
৬ মিনিট আগেএসিআই পাওয়ার সলিউশন ২৬ তম পাওয়ার বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক এক্সপোতে অংশগ্রহণ করেছে। এটি ১৪-১৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকার আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায়। এসিআই পাওয়ার সলিউশনের এক্সপোতে অংশগ্রহণের মূল লক্ষ্য সব নতুন পণ্য সম্পর্কে গ্রাহকদের জানানো। যার মধ্যে রেইকেম কেবল এক্সেসরিজ, স্নেইডার সার্কিট ব্র
২১ মিনিট আগেচলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর (তৃতীয়) প্রান্তিকে দেশের ১৭টি সাধারণ বিমা কোম্পানির মুনাফা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে একই সময়ে ২৩ কোম্পানির মুনাফা কমেছে। এ তথ্য ৪০টি সাধারণ বিমা কোম্পানির ১ জুলাই থেকে ৩০ অক্টোবর ২০২৪ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
১ ঘণ্টা আগেপ্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে শুরু হয়েছে বছরের সবচেয়ে বড় সেল ইভেন্ট দারাজ ১১.১১। প্রথম দিনেই ক্রেতাদের ভিড় জমে উঠেছে দারাজে। সারা দেশের মানুষ মেতে উঠেছে উৎসবের আমেজে, যেখানে পছন্দের পণ্যে মেলে দারুণ সব অফার, আর কেনাকাটার অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে চলেছে সবাই।
১ ঘণ্টা আগে