সুলতান উদ্দিন আহমেদ
বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে এখন উন্নয়নশীল দেশের কাতারে। এই অর্জন এক দিনে হয়নি। এর পেছনে রয়েছে সরকারের সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও আন্তরিক প্রচেষ্টা। গ্রাম, শহর কিংবা মহানগর—সবখানেই পরিবর্তন স্পষ্ট। দেশের রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়ন এখন চোখে পড়ার মতো। বদলে গেছে স্কুল–কলেজ, সরকারি–বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আদল। মানুষের জীবনাচরণ, পোশাক–পরিচ্ছদ ও মানসিকতায় একধরনের পরিবর্তন এসেছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলেও মিলছে উন্নত যানবাহন, মানুষের হাতে হাতে মোবাইল, উন্নত প্রযুক্তি—সব মিলিয়ে এ এক নতুন বাংলাদেশ।
একসময় উত্তরাঞ্চলের গাইবান্ধা জেলা বেশ পিছিয়ে ছিল। যোগাযোগব্যবস্থা উন্নত না হওয়ায় গাইবান্ধা জেলা শহরের গায়ে পকেট শহরের তকমা সেঁটে ছিল। জেলার সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা, ফুলছড়ি উপজেলা ছিল নদী ভাঙনপ্রবণ এলাকা। প্রতিবছর হাজার হাজার ঘরবাড়ি বিলীন হতো নদীগর্ভে। নদীভাঙনের কারণে অনেক মানুষ ভিটেমাটি সব খুইয়ে একদম নিঃস্ব হয়ে পড়ত। প্রতিবছর এই অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হতো এই অঞ্চলের মানুষকে।
কিন্তু ২০ বছর ধরে এসব এলাকায় উন্নতির ছোঁয়া লাগছে। বিশেষ করে যারা মঙ্গাপীড়িত মানুষ, তারা এখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এ অঞ্চলের নদীগুলো এখন নাব্য হারিয়েছে। আগের সেই তিস্তা এখন আর নেই। তিস্তা অববাহিকায় এখন নতুন নতুন চর। এটি একদিকে এই অঞ্চলের মানুষকে পানির সংকটে ফেলছে। আবার এই শুকনো তিস্তার বুকেই চলছে আবাদ।
কৃষিজমি বাড়ায় কিষান–কিষানির কর্মসংস্থান হয়েছে। এখন সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা প্রভৃতি উপজেলায় ফসল উৎপাদন বেড়েছে। এখানে ব্যাপকভাবে চাষ হচ্ছে ভুট্টা, বাদাম, মিষ্টিকুমড়া, মরিচ, বেগুন, আলু, পটোল ইত্যাদি।
কৃষির এই এগিয়ে যাওয়ার পেছনে রয়েছেন কৃষিবিজ্ঞানীরা। নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন হওয়ায় এখন এই এলাকায় ফসলের উৎপাদন আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। বিশেষত ধানের নতুন জাত আসায় বড় সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। প্রতিবছর বন্যায় ফসলহানি একটা সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছিল। এখন সেই সংকট থেকে মুক্তি পেয়েছে এই অঞ্চলের মানুষ। নতুন জাতের ধান বর্ষার আগেই পাকে বলে বন্যা আসার আগেই তা ঘরে তুলতে পারছেন কৃষকেরা। এখন তিস্তাপারের সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটায় বিপুল পরিমাণ ফসল উৎপাদিত হচ্ছে।
আগের চেয়ে অনেক উন্নত হয়েছে জেলার যোগাযোগব্যবস্থা। অচিরেই এর সঙ্গে যুক্ত হতে যাচ্ছে তিস্তা সেতু, যা সুন্দরগঞ্জ থেকে চিলমারী বন্দর পর্যন্ত যাতায়াতের সুযোগ সৃষ্টি করবে। পলাশবাড়ী থেকে গাইবান্ধা পর্যন্ত ডাবল লেন সড়ক নির্মিত হয়েছে এরই মধ্যে। গাইবান্ধা শহরে নির্মিত হচ্ছে ফোর লেন রাস্তা। শহরের অবয়বেও বদল আসবে খুব শিগগির।
শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, বালাসীঘাট থেকে দেওয়ানগঞ্জ পর্যন্ত টানেল তৈরি হবে, যেখানে থাকবে রেলপথও। এই টানেল বাস্তবায়িত হলে সমগ্র উত্তরাঞ্চলের অগ্রগতি সাধিত হবে। অনেকে সরাসরি বালাসীঘাট থেকে রেলপথ নির্মাণের দাবি জানাচ্ছেন। এটা সময়ের দাবি। টানেল কিংবা রেলপথ—যেটাই হোক, তা নির্মাণ করা উচিত। এটি হলে শুধু গাইবান্ধা জেলা নয়, লালমনিরহাট, রংপুর, নীলফামারী, দিনাজপুর জেলার জনগণের সুযোগ–সুবিধা বৃদ্ধি পাবে। গোটা অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্য অনেক এগিয়ে যাবে।
আগে তিস্তামুখ ঘাট থেকে বাহাদুরাবাদ ঘাট পর্যন্ত যখন রেল ওয়াগন দিয়ে মালামাল পারাপার হতো, তখন এখানকার মানুষ কম খরচে যাতায়াত ও মালামাল
আনা–নেওয়া করতে পারত। এই একই সুযোগ তৈরি করতে পারে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে।
বর্তমান সরকার কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ করছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে প্রতিবছর ৬৩ লাখ গাড়ি চলাচল করবে এই টানেল দিয়ে। টানেলের মাধ্যমে দুই সিটি সক্রিয় থাকলে পাল্টে যাবে চট্টগ্রামসহ বাংলাদেশেরে অর্থনীতি। এমন টানেল গাইবান্ধায় নির্মিত হলে এই অঞ্চলেরও বৈপ্লবিক পরিবর্তন হবে।
আগেই বলা হয়েছে, দেশের পিছিয়ে পড়া জেলাগুলোর মধ্যে একসময় গাইবান্ধা ছিল শীর্ষে। আজ গাইবান্ধা এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের অগ্রগতির সঙ্গে গাইবান্ধার অর্থনীতির চাকাও ঘুরছে। এখন গাইবান্ধা আর্থসামাজিকভাবে উন্নত হয়েছে। গাইবান্ধার যোগাযোগব্যবস্থা, শিক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্য, সাধারণ মানুষের জীবন আগের চেয়ে উন্নত হয়েছে। জীবন–জীবিকার ক্ষেত্র, কর্মসংস্থান, নারীর ক্ষমতায়ন এখন আর মুখের বুলি নয়।
গাইবান্ধায় বেকারত্ব এখন আগের তুলনায় অনেক কম। কৃষিকাজ, হাঁস-মুরগির খামার, গরুর খামার, মাছ চাষসহ নানা ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান হচ্ছে তরুণদের। এখানকার কৃষকেরা সফল হচ্ছেন। তাঁদের এই সাফল্য গাইবান্ধাকে একদিন উত্তরাঞ্চলের শস্যভান্ডার হওয়ার স্বপ্ন দেখাচ্ছে। সব মিলিয়ে গাইবান্ধাও এগিয়ে যাচ্ছে। এখন এগিয়ে যাওয়ারই সময়।
সুলতান উদ্দিন আহমেদ
সাহিত্যিক ও সাবেক উপপরিচালক
সমাজসেবা অধিদপ্তর
বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে এখন উন্নয়নশীল দেশের কাতারে। এই অর্জন এক দিনে হয়নি। এর পেছনে রয়েছে সরকারের সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও আন্তরিক প্রচেষ্টা। গ্রাম, শহর কিংবা মহানগর—সবখানেই পরিবর্তন স্পষ্ট। দেশের রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়ন এখন চোখে পড়ার মতো। বদলে গেছে স্কুল–কলেজ, সরকারি–বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আদল। মানুষের জীবনাচরণ, পোশাক–পরিচ্ছদ ও মানসিকতায় একধরনের পরিবর্তন এসেছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলেও মিলছে উন্নত যানবাহন, মানুষের হাতে হাতে মোবাইল, উন্নত প্রযুক্তি—সব মিলিয়ে এ এক নতুন বাংলাদেশ।
একসময় উত্তরাঞ্চলের গাইবান্ধা জেলা বেশ পিছিয়ে ছিল। যোগাযোগব্যবস্থা উন্নত না হওয়ায় গাইবান্ধা জেলা শহরের গায়ে পকেট শহরের তকমা সেঁটে ছিল। জেলার সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা, ফুলছড়ি উপজেলা ছিল নদী ভাঙনপ্রবণ এলাকা। প্রতিবছর হাজার হাজার ঘরবাড়ি বিলীন হতো নদীগর্ভে। নদীভাঙনের কারণে অনেক মানুষ ভিটেমাটি সব খুইয়ে একদম নিঃস্ব হয়ে পড়ত। প্রতিবছর এই অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হতো এই অঞ্চলের মানুষকে।
কিন্তু ২০ বছর ধরে এসব এলাকায় উন্নতির ছোঁয়া লাগছে। বিশেষ করে যারা মঙ্গাপীড়িত মানুষ, তারা এখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এ অঞ্চলের নদীগুলো এখন নাব্য হারিয়েছে। আগের সেই তিস্তা এখন আর নেই। তিস্তা অববাহিকায় এখন নতুন নতুন চর। এটি একদিকে এই অঞ্চলের মানুষকে পানির সংকটে ফেলছে। আবার এই শুকনো তিস্তার বুকেই চলছে আবাদ।
কৃষিজমি বাড়ায় কিষান–কিষানির কর্মসংস্থান হয়েছে। এখন সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা প্রভৃতি উপজেলায় ফসল উৎপাদন বেড়েছে। এখানে ব্যাপকভাবে চাষ হচ্ছে ভুট্টা, বাদাম, মিষ্টিকুমড়া, মরিচ, বেগুন, আলু, পটোল ইত্যাদি।
কৃষির এই এগিয়ে যাওয়ার পেছনে রয়েছেন কৃষিবিজ্ঞানীরা। নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন হওয়ায় এখন এই এলাকায় ফসলের উৎপাদন আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। বিশেষত ধানের নতুন জাত আসায় বড় সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। প্রতিবছর বন্যায় ফসলহানি একটা সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছিল। এখন সেই সংকট থেকে মুক্তি পেয়েছে এই অঞ্চলের মানুষ। নতুন জাতের ধান বর্ষার আগেই পাকে বলে বন্যা আসার আগেই তা ঘরে তুলতে পারছেন কৃষকেরা। এখন তিস্তাপারের সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটায় বিপুল পরিমাণ ফসল উৎপাদিত হচ্ছে।
আগের চেয়ে অনেক উন্নত হয়েছে জেলার যোগাযোগব্যবস্থা। অচিরেই এর সঙ্গে যুক্ত হতে যাচ্ছে তিস্তা সেতু, যা সুন্দরগঞ্জ থেকে চিলমারী বন্দর পর্যন্ত যাতায়াতের সুযোগ সৃষ্টি করবে। পলাশবাড়ী থেকে গাইবান্ধা পর্যন্ত ডাবল লেন সড়ক নির্মিত হয়েছে এরই মধ্যে। গাইবান্ধা শহরে নির্মিত হচ্ছে ফোর লেন রাস্তা। শহরের অবয়বেও বদল আসবে খুব শিগগির।
শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, বালাসীঘাট থেকে দেওয়ানগঞ্জ পর্যন্ত টানেল তৈরি হবে, যেখানে থাকবে রেলপথও। এই টানেল বাস্তবায়িত হলে সমগ্র উত্তরাঞ্চলের অগ্রগতি সাধিত হবে। অনেকে সরাসরি বালাসীঘাট থেকে রেলপথ নির্মাণের দাবি জানাচ্ছেন। এটা সময়ের দাবি। টানেল কিংবা রেলপথ—যেটাই হোক, তা নির্মাণ করা উচিত। এটি হলে শুধু গাইবান্ধা জেলা নয়, লালমনিরহাট, রংপুর, নীলফামারী, দিনাজপুর জেলার জনগণের সুযোগ–সুবিধা বৃদ্ধি পাবে। গোটা অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্য অনেক এগিয়ে যাবে।
আগে তিস্তামুখ ঘাট থেকে বাহাদুরাবাদ ঘাট পর্যন্ত যখন রেল ওয়াগন দিয়ে মালামাল পারাপার হতো, তখন এখানকার মানুষ কম খরচে যাতায়াত ও মালামাল
আনা–নেওয়া করতে পারত। এই একই সুযোগ তৈরি করতে পারে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে।
বর্তমান সরকার কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ করছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে প্রতিবছর ৬৩ লাখ গাড়ি চলাচল করবে এই টানেল দিয়ে। টানেলের মাধ্যমে দুই সিটি সক্রিয় থাকলে পাল্টে যাবে চট্টগ্রামসহ বাংলাদেশেরে অর্থনীতি। এমন টানেল গাইবান্ধায় নির্মিত হলে এই অঞ্চলেরও বৈপ্লবিক পরিবর্তন হবে।
আগেই বলা হয়েছে, দেশের পিছিয়ে পড়া জেলাগুলোর মধ্যে একসময় গাইবান্ধা ছিল শীর্ষে। আজ গাইবান্ধা এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের অগ্রগতির সঙ্গে গাইবান্ধার অর্থনীতির চাকাও ঘুরছে। এখন গাইবান্ধা আর্থসামাজিকভাবে উন্নত হয়েছে। গাইবান্ধার যোগাযোগব্যবস্থা, শিক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্য, সাধারণ মানুষের জীবন আগের চেয়ে উন্নত হয়েছে। জীবন–জীবিকার ক্ষেত্র, কর্মসংস্থান, নারীর ক্ষমতায়ন এখন আর মুখের বুলি নয়।
গাইবান্ধায় বেকারত্ব এখন আগের তুলনায় অনেক কম। কৃষিকাজ, হাঁস-মুরগির খামার, গরুর খামার, মাছ চাষসহ নানা ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান হচ্ছে তরুণদের। এখানকার কৃষকেরা সফল হচ্ছেন। তাঁদের এই সাফল্য গাইবান্ধাকে একদিন উত্তরাঞ্চলের শস্যভান্ডার হওয়ার স্বপ্ন দেখাচ্ছে। সব মিলিয়ে গাইবান্ধাও এগিয়ে যাচ্ছে। এখন এগিয়ে যাওয়ারই সময়।
সুলতান উদ্দিন আহমেদ
সাহিত্যিক ও সাবেক উপপরিচালক
সমাজসেবা অধিদপ্তর
১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে লন্ডন এবং দিল্লি হয়ে ঢাকায় ফিরলেন। সেদিন অপরাহ্ণে রেসকোর্সে অলিখিত স্বতঃস্ফূর্ত ভাষণ দিয়েছিলেন। যে ভাষণটি আমি শুনেছিলাম—১৭ মিনিটের। ভাষণে একটি জায়গায় তিনি বলেছিলেন, একটা কথা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, বাংলাদেশ একটি আদর্শ রাষ্ট্র হবে,
২৬ মার্চ ২০২৪১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানে যে চার রাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করা হয়েছিল তার একটি সমাজতন্ত্র। সমাজতন্ত্র মানে বৈষম্যের অবসান। সমাজতন্ত্র মানে ন্যায্যতা। সমাজতন্ত্র মানে সবার শিক্ষা, চিকিৎসা, মাথাগোঁজার ঠাঁই, কাজের সুযোগ। সমাজতন্ত্র মানে যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ, প্রয়োজন অনুয
২৬ মার্চ ২০২৪স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্র পরিচালনার চালিকা শক্তি হিসেবে চারটি মৌলনীতি গ্রহণ করেছিলেন। এগুলো হলো: জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র। আজ ৫২ বছর পর দেখছি, এই মৌলনীতিগুলোর প্রতিটির সূচক এত নিচে নেমে গেছে যে, বলা চলে রাষ্ট্র পরিচালনার মৌলনীতি বলে এখন আর কিছু নেই। জাতীয়তা দুই ভাগে বি
২৬ মার্চ ২০২৪বাংলাদেশ সম্পর্কে বলা যেতে পারে, রাষ্ট্র হিসেবে নবীন, কিন্তু এর সভ্যতা সুপ্রাচীন। নদীবেষ্টিত গাঙেয় উপত্যকায় পলিবাহিত উর্বর ভূমি যেমন উপচে পড়া শস্যসম্ভারে জীবনকে সমৃদ্ধ করেছে, তেমনি নদীর ভাঙনের খেলায় রাতারাতি বিলুপ্ত হয়েছে বহু জনপদ। এরপরও সভ্যতার নানা চিহ্ন এখানে খুঁজে পাওয়া যায় এবং বাঙালিত্বের বৈশিষ
২৬ মার্চ ২০২৪