গোলাম সরওয়ার টুকু
ইলিশ বাংলাদেশের—গোটা দুনিয়া আমাদের এ স্বীকৃতি দিয়েছে। কারণ, ওয়ার্লড ফিসের তথ্যমতে বিশ্বের ৮৫ ভাগ ইলিশ উৎপাদিত হয় বাংলাদেশে। গোটা দুনিয়ায় ইলিশ উৎপাদনের শীর্ষে বাংলাদেশ। এ অর্জন ও সাফল্য সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র সরকারের সঠিক পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের কারণেই। ইলিশ নিয়ে আমরা বাংলাদেশিরা এখন গর্ব করতেই পারি। বাংলাদেশ যেমন ইলিশের দেশ, তেমনি বাংলাদেশেও তেমনি ইলিশের জেলা বরগুনা।
হ্যাঁ, এমন ঘোষণা আসে বরগুনার একটি ইলিশ উৎসব থেকে। ২০১৯ সালে অক্টোবর মাসের শুরুতে বরগুনায় আয়োজন করা হয় ইলিশ উৎসবের। জেলার ৬টি উপজেলা থেকে জেলে ও ব্যবসায়ীরা এ উৎসবে ইলিশ নিয়ে আসেন, বিক্রি করেন দিনভর। এই উৎসব থেকেই ঘোষণা করা হয় ‘ইলিশের জেলা বরগুনা’। একই সাথে দাবিও তোলা হয় এই ঘোষণাকে সরকারি স্বীকৃতি দেয়ার।
ইলিশ মানেই পদ্মার, ইলিশ মানেই চাঁদপুরের—প্রচলিত এই কথাটিতে বরগুনাবাসীর আপত্তি নেই। কিন্ত দাবি আছে আমাদের। সেই দাবি কতটা যৌক্তিক তা প্রমাণের জন্য একবার পরিসংখ্যানের দিকে চোখ বোলানো যাক:
মৎস্য বিভাগের পরিসংখ্যান থেকে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বরগুনার বিষখালী, পায়রা ও বলেশ্বর থেকে আহরণ করা হয় ৪ হাজার ৯০০ মেট্রিক টন ও বরগুনার জেলেরা সাগর থেকে আহরণ করে ৯১,০০০ মেট্রিক টন। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বরগুনা জেলা থেকে আহরিত ইলিশের মোট পরিমাণ হচ্ছে ৯৫ হাজার ৯৩৮ মেট্রিক টন। ২০১৭ থেকে ২০২০ সাল টানা তিন বছর বরগুনায় গড়ে প্রায় এক লাখ মেট্রিক টন ইলিশের উৎপাদন হয় বরগুনা জেলা থেকে।
বরগুনার ইলিশকে বিশ্বব্যাপী পরিচিত করে তুলতে ও ইলিশের ভান্ডার হিসেবে খ্যাত বরগুনায় দেশি বিদেশি পর্যটককে ইকোট্যুরিজমে আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে ২০১৯ সালের ২ অক্টোবর বরগুনা জেলা প্রশাসন ও টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের উদ্যোগে বরগুনা সার্কিট হাউস মাঠে ১ম বারের মত দেশের বৃহত্তম ইলিশ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে ইলিশের যে জাতীয় গুরুত্ব রয়েছে, তা এই অনুষ্ঠানে তুলে ধরা হয়। পাশাপাশি এই উৎসবে মৎস্য খাতের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ ও জাটকা ইলিশ সংরক্ষণ, এই এলাকার নদী সমূহকে ইলিশের অভয়ারণ্য হিসেবে গড়ে তোলা এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্যে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, সাধারণ জ্ঞানের প্রতিযোগিতা, নাটক, জারিগান, পুথি-পাঠ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ ইলিশের উপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। উৎসবের বিশেষ আকর্ষণ ছিল অনুষ্ঠানস্থলে বিষখালী, বলেশ্বর ও পায়রা নদী এবং সমুদ্র মোহনার তাজা ইলিশ বিক্রির ব্যবস্থা। প্রথম বারের মত আয়োজিত দেশের সর্ববৃহৎ এ ইলিশ উৎসবে বরগুনার ৬টি উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী জেলার লক্ষাধিক দর্শনার্থী ভিড় করেন। স্টলগুলোতে ছিল রান্না করা ইলিশের শতাধিক ধরনের বাহারি খাবারের সমাহার। আগত দর্শনার্থীরা বরগুনাকে ইলিশের জেলা হিসেবে ঘোষণার দাবী জানান। বরগুনা জেলায় প্রতি বছর প্রায় এক লক্ষ মেট্রিক টন ইলিশ আহরিত হয়, যার বাজার মূল্য প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা।
এখন প্রশ্ন উঠতে পারে, সবচেয়ে বেশী ইলিশ উৎপাদনের জেলা ভোলা তবে কেন ইলিশের জেলা নয়? এর কিছু যৌক্তিকতা তুলে ধরতে চাই। মৎস্য বিভাগের তথ্যমতে, বরগুনা জেলার ৬টি উপজেলার প্রায় ৪০ হাজার মৎস্যজীবী রয়েছেন, যারা সারাবছরই (সরকারি নিষেধাজ্ঞা ব্যতিরেকে) স্থানীয় নদী ও বঙ্গোপসাগরে ইলিশ শিকার করে আনেন। বরগুনার ইলিশ অন্য যেকোনো জেলার ইলিশের চাইতে সুস্বাদু।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইলিশ অবতরণ কেন্দ্র বরগুনার পাথরঘাটায় অবস্থিত। ইলিশের মৌসুমে আপনি যদি সময় করতে পারেন, একবার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ঘুরে আসবেন। একইসাথে বরগুনার বিষখালী নদীতে জেলে নৌকায় ইলিশ শিকারের দৃশ্য স্বচক্ষে দেখতে পারেণ। বিষখালী, বলেশ্বর ও পায়রা বরগুনার তিন নদীর ইলিশই সুস্বাদু। নদী তিনটির মধ্যে কেবল বিষখালীতে অল্প উজানে এলেই মিষ্টি পানি। দিনে ও রাতে দুই বেলা জোয়ারের প্রবাহ বেশি বলে এই নদীর পানিও স্বচ্ছ। কিন্তু পায়রা ও বলেশ্বরের মিঠাপানি আরও অনেক বেশি উজানে। তা ছাড়া যে নদীর পানি যত স্বচ্ছ, সে নদীর ইলিশের পিঠের দিকও তত কালচে ও পুরু। নদীর পানি ঘোলা হলে ইলিশের পিঠের কালচে রং গাঢ় হয় না। যেসব ইলিশের পিঠের রং কালচে, সেগুলোর স্বাদও বেশি। এ জন্যই বিষখালীর ইলিশ পরিপুষ্ট, উজ্জ্বল ও বেশি স্বাদযুক্ত বলে মনে করা হয়।
ইলিশ গবেষক ও মৎস্যবিষয়ক আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা ওয়ার্ল্ডফিশের ইকো-ফিশ প্রকল্পের দলনেতা আবদুল ওহাব বলেন, বিষখালীর ইলিশের সুখ্যাতি আছে। ইলিশের দুটি ভান্ডার বঙ্গোপসাগর ও পদ্মা-মেঘনার ইলিশ নিয়ে গবেষণা হয়েছে। বিষখালীর ইলিশ নিয়ে গবেষণা হলে আরেকটি নতুন বৈশিষ্ট্যের ইলিশের ভান্ডারের সন্ধান পাওয়া যেতে পারে।’
ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর কিনা, এ নিয়ে আমাদের কোনো বিতর্ক নেই। তবে ইলিশের জেলা কেন যে বরগুনাকে দাবি করা হয়, আশা করি লেখাটি পড়ার পর কারোই আপত্তি থাকবেনা। আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন, গোটা দুনিয়ার স্বীকৃতি ‘ইলিশ বাংলাদেশের’।
গোলাম সরওয়ার টুকু
রাজনীতিবিদ
ইলিশ বাংলাদেশের—গোটা দুনিয়া আমাদের এ স্বীকৃতি দিয়েছে। কারণ, ওয়ার্লড ফিসের তথ্যমতে বিশ্বের ৮৫ ভাগ ইলিশ উৎপাদিত হয় বাংলাদেশে। গোটা দুনিয়ায় ইলিশ উৎপাদনের শীর্ষে বাংলাদেশ। এ অর্জন ও সাফল্য সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র সরকারের সঠিক পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের কারণেই। ইলিশ নিয়ে আমরা বাংলাদেশিরা এখন গর্ব করতেই পারি। বাংলাদেশ যেমন ইলিশের দেশ, তেমনি বাংলাদেশেও তেমনি ইলিশের জেলা বরগুনা।
হ্যাঁ, এমন ঘোষণা আসে বরগুনার একটি ইলিশ উৎসব থেকে। ২০১৯ সালে অক্টোবর মাসের শুরুতে বরগুনায় আয়োজন করা হয় ইলিশ উৎসবের। জেলার ৬টি উপজেলা থেকে জেলে ও ব্যবসায়ীরা এ উৎসবে ইলিশ নিয়ে আসেন, বিক্রি করেন দিনভর। এই উৎসব থেকেই ঘোষণা করা হয় ‘ইলিশের জেলা বরগুনা’। একই সাথে দাবিও তোলা হয় এই ঘোষণাকে সরকারি স্বীকৃতি দেয়ার।
ইলিশ মানেই পদ্মার, ইলিশ মানেই চাঁদপুরের—প্রচলিত এই কথাটিতে বরগুনাবাসীর আপত্তি নেই। কিন্ত দাবি আছে আমাদের। সেই দাবি কতটা যৌক্তিক তা প্রমাণের জন্য একবার পরিসংখ্যানের দিকে চোখ বোলানো যাক:
মৎস্য বিভাগের পরিসংখ্যান থেকে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বরগুনার বিষখালী, পায়রা ও বলেশ্বর থেকে আহরণ করা হয় ৪ হাজার ৯০০ মেট্রিক টন ও বরগুনার জেলেরা সাগর থেকে আহরণ করে ৯১,০০০ মেট্রিক টন। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বরগুনা জেলা থেকে আহরিত ইলিশের মোট পরিমাণ হচ্ছে ৯৫ হাজার ৯৩৮ মেট্রিক টন। ২০১৭ থেকে ২০২০ সাল টানা তিন বছর বরগুনায় গড়ে প্রায় এক লাখ মেট্রিক টন ইলিশের উৎপাদন হয় বরগুনা জেলা থেকে।
বরগুনার ইলিশকে বিশ্বব্যাপী পরিচিত করে তুলতে ও ইলিশের ভান্ডার হিসেবে খ্যাত বরগুনায় দেশি বিদেশি পর্যটককে ইকোট্যুরিজমে আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে ২০১৯ সালের ২ অক্টোবর বরগুনা জেলা প্রশাসন ও টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের উদ্যোগে বরগুনা সার্কিট হাউস মাঠে ১ম বারের মত দেশের বৃহত্তম ইলিশ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে ইলিশের যে জাতীয় গুরুত্ব রয়েছে, তা এই অনুষ্ঠানে তুলে ধরা হয়। পাশাপাশি এই উৎসবে মৎস্য খাতের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ ও জাটকা ইলিশ সংরক্ষণ, এই এলাকার নদী সমূহকে ইলিশের অভয়ারণ্য হিসেবে গড়ে তোলা এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্যে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, সাধারণ জ্ঞানের প্রতিযোগিতা, নাটক, জারিগান, পুথি-পাঠ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ ইলিশের উপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। উৎসবের বিশেষ আকর্ষণ ছিল অনুষ্ঠানস্থলে বিষখালী, বলেশ্বর ও পায়রা নদী এবং সমুদ্র মোহনার তাজা ইলিশ বিক্রির ব্যবস্থা। প্রথম বারের মত আয়োজিত দেশের সর্ববৃহৎ এ ইলিশ উৎসবে বরগুনার ৬টি উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী জেলার লক্ষাধিক দর্শনার্থী ভিড় করেন। স্টলগুলোতে ছিল রান্না করা ইলিশের শতাধিক ধরনের বাহারি খাবারের সমাহার। আগত দর্শনার্থীরা বরগুনাকে ইলিশের জেলা হিসেবে ঘোষণার দাবী জানান। বরগুনা জেলায় প্রতি বছর প্রায় এক লক্ষ মেট্রিক টন ইলিশ আহরিত হয়, যার বাজার মূল্য প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা।
এখন প্রশ্ন উঠতে পারে, সবচেয়ে বেশী ইলিশ উৎপাদনের জেলা ভোলা তবে কেন ইলিশের জেলা নয়? এর কিছু যৌক্তিকতা তুলে ধরতে চাই। মৎস্য বিভাগের তথ্যমতে, বরগুনা জেলার ৬টি উপজেলার প্রায় ৪০ হাজার মৎস্যজীবী রয়েছেন, যারা সারাবছরই (সরকারি নিষেধাজ্ঞা ব্যতিরেকে) স্থানীয় নদী ও বঙ্গোপসাগরে ইলিশ শিকার করে আনেন। বরগুনার ইলিশ অন্য যেকোনো জেলার ইলিশের চাইতে সুস্বাদু।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইলিশ অবতরণ কেন্দ্র বরগুনার পাথরঘাটায় অবস্থিত। ইলিশের মৌসুমে আপনি যদি সময় করতে পারেন, একবার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ঘুরে আসবেন। একইসাথে বরগুনার বিষখালী নদীতে জেলে নৌকায় ইলিশ শিকারের দৃশ্য স্বচক্ষে দেখতে পারেণ। বিষখালী, বলেশ্বর ও পায়রা বরগুনার তিন নদীর ইলিশই সুস্বাদু। নদী তিনটির মধ্যে কেবল বিষখালীতে অল্প উজানে এলেই মিষ্টি পানি। দিনে ও রাতে দুই বেলা জোয়ারের প্রবাহ বেশি বলে এই নদীর পানিও স্বচ্ছ। কিন্তু পায়রা ও বলেশ্বরের মিঠাপানি আরও অনেক বেশি উজানে। তা ছাড়া যে নদীর পানি যত স্বচ্ছ, সে নদীর ইলিশের পিঠের দিকও তত কালচে ও পুরু। নদীর পানি ঘোলা হলে ইলিশের পিঠের কালচে রং গাঢ় হয় না। যেসব ইলিশের পিঠের রং কালচে, সেগুলোর স্বাদও বেশি। এ জন্যই বিষখালীর ইলিশ পরিপুষ্ট, উজ্জ্বল ও বেশি স্বাদযুক্ত বলে মনে করা হয়।
ইলিশ গবেষক ও মৎস্যবিষয়ক আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা ওয়ার্ল্ডফিশের ইকো-ফিশ প্রকল্পের দলনেতা আবদুল ওহাব বলেন, বিষখালীর ইলিশের সুখ্যাতি আছে। ইলিশের দুটি ভান্ডার বঙ্গোপসাগর ও পদ্মা-মেঘনার ইলিশ নিয়ে গবেষণা হয়েছে। বিষখালীর ইলিশ নিয়ে গবেষণা হলে আরেকটি নতুন বৈশিষ্ট্যের ইলিশের ভান্ডারের সন্ধান পাওয়া যেতে পারে।’
ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর কিনা, এ নিয়ে আমাদের কোনো বিতর্ক নেই। তবে ইলিশের জেলা কেন যে বরগুনাকে দাবি করা হয়, আশা করি লেখাটি পড়ার পর কারোই আপত্তি থাকবেনা। আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন, গোটা দুনিয়ার স্বীকৃতি ‘ইলিশ বাংলাদেশের’।
গোলাম সরওয়ার টুকু
রাজনীতিবিদ
১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে লন্ডন এবং দিল্লি হয়ে ঢাকায় ফিরলেন। সেদিন অপরাহ্ণে রেসকোর্সে অলিখিত স্বতঃস্ফূর্ত ভাষণ দিয়েছিলেন। যে ভাষণটি আমি শুনেছিলাম—১৭ মিনিটের। ভাষণে একটি জায়গায় তিনি বলেছিলেন, একটা কথা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, বাংলাদেশ একটি আদর্শ রাষ্ট্র হবে,
২৬ মার্চ ২০২৪১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানে যে চার রাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করা হয়েছিল তার একটি সমাজতন্ত্র। সমাজতন্ত্র মানে বৈষম্যের অবসান। সমাজতন্ত্র মানে ন্যায্যতা। সমাজতন্ত্র মানে সবার শিক্ষা, চিকিৎসা, মাথাগোঁজার ঠাঁই, কাজের সুযোগ। সমাজতন্ত্র মানে যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ, প্রয়োজন অনুয
২৬ মার্চ ২০২৪স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্র পরিচালনার চালিকা শক্তি হিসেবে চারটি মৌলনীতি গ্রহণ করেছিলেন। এগুলো হলো: জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র। আজ ৫২ বছর পর দেখছি, এই মৌলনীতিগুলোর প্রতিটির সূচক এত নিচে নেমে গেছে যে, বলা চলে রাষ্ট্র পরিচালনার মৌলনীতি বলে এখন আর কিছু নেই। জাতীয়তা দুই ভাগে বি
২৬ মার্চ ২০২৪বাংলাদেশ সম্পর্কে বলা যেতে পারে, রাষ্ট্র হিসেবে নবীন, কিন্তু এর সভ্যতা সুপ্রাচীন। নদীবেষ্টিত গাঙেয় উপত্যকায় পলিবাহিত উর্বর ভূমি যেমন উপচে পড়া শস্যসম্ভারে জীবনকে সমৃদ্ধ করেছে, তেমনি নদীর ভাঙনের খেলায় রাতারাতি বিলুপ্ত হয়েছে বহু জনপদ। এরপরও সভ্যতার নানা চিহ্ন এখানে খুঁজে পাওয়া যায় এবং বাঙালিত্বের বৈশিষ
২৬ মার্চ ২০২৪