নাসরীন আক্তার
পদ্মা নদীবেষ্টিত হওয়ায় রাজবাড়ীকে পদ্মাকন্যা বলা হয়। ১৮৩৩ থেকে ১৮৩৮ সালের মধ্যে ঢাকা-জালালপুর ভেঙে ফরিদপুর জেলা গঠিত হলেও পরবর্তী সময়ে ১৯৮৪ সালের ১ মার্চ রাজবাড়ী জেলার নাম ঘোষণা করা হয়। ব্রিটিশ শাসনামলে ‘গেটওয়ে অব বেঙ্গল’ বা বাংলার দ্বারপথ বলে পরিচিত রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ মহকুমা।
১৮৯৯ সালে ফরিদপুর জেলা সৃষ্টি হলে নাটোরের রাজা রাজবাড়ীকে এর অন্তর্ভুক্ত করেন। ১৭৯৩ সালে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তকালে রাজবাড়ী যশোর জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল। গোয়ালন্দ মহকুমা আলাদা থানা ছিল, রাজবাড়ী নামে কিছুই ছিল না। তবে লক্ষ্মীকোলের রাজা সূর্যকুমার ও বানীবহ জমিদার গিরিজা শংকর মজুমদার বর্তমান রাজবাড়ী পৌর এলাকার সীমানায় নানা স্থাপনা গড়ে তুলে উন্নত জনপদে পরিণত করেন। ১৮৯০ সালে রাজবাড়ী রেলস্টেশনটি স্থাপিত হয় বলে এল এন মিশ্র একটি বইতে উল্লেখ করেন।
১১১৮ দশমিক ৮ বর্গকিলোমিটার বা ৪৩১ দশমিক ১৭ বর্গমাইল এলাকাজুড়ে গঠিত পাঁচটি উপজেলা, তিনটি পৌরসভা ও ৪২টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত রাজবাড়ী জেলার বর্তমান লোকসংখ্যা প্রায় ১২ লাখ। ঢাকা বিভাগে অবস্থিত আয়তনের দিক থেকে বিভাগের জেলাসমূহের ১৫তম এবং দেশের সব জেলার মধ্যে ৫৬তম। এর উত্তরে প্রবহমান প্রমত্ত পদ্মা। পদ্মার ওপারে পাবনা ও মানিকগঞ্জ জেলা। দক্ষিণে গড়াই নদী। গড়াই নদীর পারে মাগুরা ও ঝিনাইদহ। পশ্চিমে কুষ্টিয়া ও পূর্বে ফরিদপুর জেলা অবস্থিত।
জেলার পদ্মার রুপালি ইলিশ, চমচমসহ নানা জাতের মিষ্টি সারা দেশে বিখ্যাত। একসময়কার গোয়ালন্দের ইলিশ ও কালো তরমুজ গোটা ভারতবর্ষে বিখ্যাত ছিল। কিন্তু কালের গহ্বরে কালো তরমুজ হারিয়ে গেছে। মাঝেমধ্যে রুপালি ইলিশের দেখা মিললেও আকাশচুম্বী দামের কারণে এই অঞ্চলের মানুষ সেই স্বাদ নিতে পারে না। তবু পিছিয়ে পড়া সেই রাজবাড়ী জেলায় বর্তমানে গড়ে উঠেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মিল, কলকারখানাসহ আরও অনেক প্রতিষ্ঠান।
পাল, সেন, সুলতান, পাঠান, মোগল, ইংরেজ শাসন স্মৃতি ও ঐতিহ্যের ভূমি রাজবাড়ী। রাজা সীতারাম, মোরাদ খাঁ, মুকুন্দ রাম, সংগ্রাম শাহ, প্রতাপাদিত্য, রাজা রামজীবন, রানীভবানী, রাজা সূর্যকুমার, নবাব মীর মোহাম্মদ আলী, আলীমুজ্জামান চৌধুরী সিআইই, গিরীজাশংকর মজুমদার প্রমুখ ভূপতির শাসন ও স্মৃতিচিহ্ন ধারণ করে আছে জেলাটি। উত্তাল পদ্মার মতো নীল বিদ্রোহ থেকে শুরু করে ফকির-সন্ন্যাস আন্দোলন, খেলাফত-অসহযোগ, ফরাজি, প্রজামুক্তি, আজাদ হিন্দ, কমিউনিস্ট, পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা, ভাষা আন্দোলন, রেলশ্রমিক আন্দোলন, ৬ দফা, ৬৯ সালে গণ-আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ প্রতিটি ক্ষেত্রে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখে এ জেলার মানুষ। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের বিচরণভূমি এবং বাংলা সাহিত্যে ‘বিষাদসিন্দু’র রচয়িতা মীর মশারফ হোসেন চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন পদমদিতে। উপমহাদেশের একসময়ের শ্রেষ্ঠ দাবাড়ু অধ্যাপক কাজী মোতাহার হোসেনের পৈতৃক বাড়ি পাংশার বাগমারা গ্রামে। শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতিতে দেশ ও দেশের বাইরে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছেন কবি মীর মশারফ হোসেন, মোহাম্মদ এয়াকুব আলী চৌধুরী, কাজী আব্দুল ওদুদ, কাজী মোতাহার হোসেন, রাস সুন্দরী দেবী, রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই, চিত্রশিল্পী কাজী আবুল কাশেম, রশিদ চৌধুরী, ডা. আবুল হোসেন, কাঙ্গালিনী সুফিয়া প্রমুখ।
গত কয়েক বছরে রাজবাড়ীতে গড়ে উঠেছে জেলার বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান গোয়ালন্দ টেক্সটাইল মিলস, রাজবাড়ী জুট মিলস, গোল্ড এশিয়া জুট মিলস, সাগর অটো রাইস মিলস ও গোয়ালন্দ হ্যাচারিজ লিমিটেড, দৌলতদিয়া রেকটিফাইড স্পিরিট প্রস্তুত কারখানা, ভিক্টর ফিডস অ্যান্ড ভিক্টর ব্রিডার্স লিমিটেড নামক প্রতিষ্ঠান। রয়েছে বিভিন্ন ট্রেডে কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ।
গোয়ালন্দ উপজেলার প্রত্যন্ত কাশিমা গ্রামে ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে ওঠে ‘মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি সংরক্ষণ জাদুঘর’ প্রভৃতি। পদ্মাকন্যা রাজবাড়ী পর্যটনের জন্য এক অপার বিস্ময়। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম প্রবেশদ্বার জেলার গোয়ালন্দ ঘাট। ঢাকা থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সড়কযোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম এটি। গোয়ালন্দ ঘাট দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য যানবাহন পারাপার হয়। তদানীন্তন ব্রিটিশ ভারতের পশ্চিম আর পূর্বের সেতুবন্ধ হিসেবে বাংলার প্রবেশদ্বার নামে পরিচিত গোয়ালন্দ ঘাট। দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া রুটে প্রস্তাবিত দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মিত হলে এখানে ইকো ট্যুরিজম গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
পরিশেষে বলব, সেদিন বেশি দূরে নয়, পদ্মাকন্যা খ্যাত রাজবাড়ী জেলা একদিন সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দিক দিয়ে দেশের অন্যান্য জেলাকে ছাড়িয়ে যাবে।
নাসরীন আক্তার
প্রভাষক, সরকারি গোয়ালন্দ কামরুল ইসলাম কলেজ
পদ্মা নদীবেষ্টিত হওয়ায় রাজবাড়ীকে পদ্মাকন্যা বলা হয়। ১৮৩৩ থেকে ১৮৩৮ সালের মধ্যে ঢাকা-জালালপুর ভেঙে ফরিদপুর জেলা গঠিত হলেও পরবর্তী সময়ে ১৯৮৪ সালের ১ মার্চ রাজবাড়ী জেলার নাম ঘোষণা করা হয়। ব্রিটিশ শাসনামলে ‘গেটওয়ে অব বেঙ্গল’ বা বাংলার দ্বারপথ বলে পরিচিত রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ মহকুমা।
১৮৯৯ সালে ফরিদপুর জেলা সৃষ্টি হলে নাটোরের রাজা রাজবাড়ীকে এর অন্তর্ভুক্ত করেন। ১৭৯৩ সালে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তকালে রাজবাড়ী যশোর জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল। গোয়ালন্দ মহকুমা আলাদা থানা ছিল, রাজবাড়ী নামে কিছুই ছিল না। তবে লক্ষ্মীকোলের রাজা সূর্যকুমার ও বানীবহ জমিদার গিরিজা শংকর মজুমদার বর্তমান রাজবাড়ী পৌর এলাকার সীমানায় নানা স্থাপনা গড়ে তুলে উন্নত জনপদে পরিণত করেন। ১৮৯০ সালে রাজবাড়ী রেলস্টেশনটি স্থাপিত হয় বলে এল এন মিশ্র একটি বইতে উল্লেখ করেন।
১১১৮ দশমিক ৮ বর্গকিলোমিটার বা ৪৩১ দশমিক ১৭ বর্গমাইল এলাকাজুড়ে গঠিত পাঁচটি উপজেলা, তিনটি পৌরসভা ও ৪২টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত রাজবাড়ী জেলার বর্তমান লোকসংখ্যা প্রায় ১২ লাখ। ঢাকা বিভাগে অবস্থিত আয়তনের দিক থেকে বিভাগের জেলাসমূহের ১৫তম এবং দেশের সব জেলার মধ্যে ৫৬তম। এর উত্তরে প্রবহমান প্রমত্ত পদ্মা। পদ্মার ওপারে পাবনা ও মানিকগঞ্জ জেলা। দক্ষিণে গড়াই নদী। গড়াই নদীর পারে মাগুরা ও ঝিনাইদহ। পশ্চিমে কুষ্টিয়া ও পূর্বে ফরিদপুর জেলা অবস্থিত।
জেলার পদ্মার রুপালি ইলিশ, চমচমসহ নানা জাতের মিষ্টি সারা দেশে বিখ্যাত। একসময়কার গোয়ালন্দের ইলিশ ও কালো তরমুজ গোটা ভারতবর্ষে বিখ্যাত ছিল। কিন্তু কালের গহ্বরে কালো তরমুজ হারিয়ে গেছে। মাঝেমধ্যে রুপালি ইলিশের দেখা মিললেও আকাশচুম্বী দামের কারণে এই অঞ্চলের মানুষ সেই স্বাদ নিতে পারে না। তবু পিছিয়ে পড়া সেই রাজবাড়ী জেলায় বর্তমানে গড়ে উঠেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মিল, কলকারখানাসহ আরও অনেক প্রতিষ্ঠান।
পাল, সেন, সুলতান, পাঠান, মোগল, ইংরেজ শাসন স্মৃতি ও ঐতিহ্যের ভূমি রাজবাড়ী। রাজা সীতারাম, মোরাদ খাঁ, মুকুন্দ রাম, সংগ্রাম শাহ, প্রতাপাদিত্য, রাজা রামজীবন, রানীভবানী, রাজা সূর্যকুমার, নবাব মীর মোহাম্মদ আলী, আলীমুজ্জামান চৌধুরী সিআইই, গিরীজাশংকর মজুমদার প্রমুখ ভূপতির শাসন ও স্মৃতিচিহ্ন ধারণ করে আছে জেলাটি। উত্তাল পদ্মার মতো নীল বিদ্রোহ থেকে শুরু করে ফকির-সন্ন্যাস আন্দোলন, খেলাফত-অসহযোগ, ফরাজি, প্রজামুক্তি, আজাদ হিন্দ, কমিউনিস্ট, পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা, ভাষা আন্দোলন, রেলশ্রমিক আন্দোলন, ৬ দফা, ৬৯ সালে গণ-আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ প্রতিটি ক্ষেত্রে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখে এ জেলার মানুষ। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের বিচরণভূমি এবং বাংলা সাহিত্যে ‘বিষাদসিন্দু’র রচয়িতা মীর মশারফ হোসেন চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন পদমদিতে। উপমহাদেশের একসময়ের শ্রেষ্ঠ দাবাড়ু অধ্যাপক কাজী মোতাহার হোসেনের পৈতৃক বাড়ি পাংশার বাগমারা গ্রামে। শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতিতে দেশ ও দেশের বাইরে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছেন কবি মীর মশারফ হোসেন, মোহাম্মদ এয়াকুব আলী চৌধুরী, কাজী আব্দুল ওদুদ, কাজী মোতাহার হোসেন, রাস সুন্দরী দেবী, রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই, চিত্রশিল্পী কাজী আবুল কাশেম, রশিদ চৌধুরী, ডা. আবুল হোসেন, কাঙ্গালিনী সুফিয়া প্রমুখ।
গত কয়েক বছরে রাজবাড়ীতে গড়ে উঠেছে জেলার বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান গোয়ালন্দ টেক্সটাইল মিলস, রাজবাড়ী জুট মিলস, গোল্ড এশিয়া জুট মিলস, সাগর অটো রাইস মিলস ও গোয়ালন্দ হ্যাচারিজ লিমিটেড, দৌলতদিয়া রেকটিফাইড স্পিরিট প্রস্তুত কারখানা, ভিক্টর ফিডস অ্যান্ড ভিক্টর ব্রিডার্স লিমিটেড নামক প্রতিষ্ঠান। রয়েছে বিভিন্ন ট্রেডে কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ।
গোয়ালন্দ উপজেলার প্রত্যন্ত কাশিমা গ্রামে ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে ওঠে ‘মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি সংরক্ষণ জাদুঘর’ প্রভৃতি। পদ্মাকন্যা রাজবাড়ী পর্যটনের জন্য এক অপার বিস্ময়। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম প্রবেশদ্বার জেলার গোয়ালন্দ ঘাট। ঢাকা থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সড়কযোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম এটি। গোয়ালন্দ ঘাট দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য যানবাহন পারাপার হয়। তদানীন্তন ব্রিটিশ ভারতের পশ্চিম আর পূর্বের সেতুবন্ধ হিসেবে বাংলার প্রবেশদ্বার নামে পরিচিত গোয়ালন্দ ঘাট। দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া রুটে প্রস্তাবিত দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মিত হলে এখানে ইকো ট্যুরিজম গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
পরিশেষে বলব, সেদিন বেশি দূরে নয়, পদ্মাকন্যা খ্যাত রাজবাড়ী জেলা একদিন সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দিক দিয়ে দেশের অন্যান্য জেলাকে ছাড়িয়ে যাবে।
নাসরীন আক্তার
প্রভাষক, সরকারি গোয়ালন্দ কামরুল ইসলাম কলেজ
১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে লন্ডন এবং দিল্লি হয়ে ঢাকায় ফিরলেন। সেদিন অপরাহ্ণে রেসকোর্সে অলিখিত স্বতঃস্ফূর্ত ভাষণ দিয়েছিলেন। যে ভাষণটি আমি শুনেছিলাম—১৭ মিনিটের। ভাষণে একটি জায়গায় তিনি বলেছিলেন, একটা কথা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, বাংলাদেশ একটি আদর্শ রাষ্ট্র হবে,
২৬ মার্চ ২০২৪১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানে যে চার রাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করা হয়েছিল তার একটি সমাজতন্ত্র। সমাজতন্ত্র মানে বৈষম্যের অবসান। সমাজতন্ত্র মানে ন্যায্যতা। সমাজতন্ত্র মানে সবার শিক্ষা, চিকিৎসা, মাথাগোঁজার ঠাঁই, কাজের সুযোগ। সমাজতন্ত্র মানে যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ, প্রয়োজন অনুয
২৬ মার্চ ২০২৪স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্র পরিচালনার চালিকা শক্তি হিসেবে চারটি মৌলনীতি গ্রহণ করেছিলেন। এগুলো হলো: জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র। আজ ৫২ বছর পর দেখছি, এই মৌলনীতিগুলোর প্রতিটির সূচক এত নিচে নেমে গেছে যে, বলা চলে রাষ্ট্র পরিচালনার মৌলনীতি বলে এখন আর কিছু নেই। জাতীয়তা দুই ভাগে বি
২৬ মার্চ ২০২৪বাংলাদেশ সম্পর্কে বলা যেতে পারে, রাষ্ট্র হিসেবে নবীন, কিন্তু এর সভ্যতা সুপ্রাচীন। নদীবেষ্টিত গাঙেয় উপত্যকায় পলিবাহিত উর্বর ভূমি যেমন উপচে পড়া শস্যসম্ভারে জীবনকে সমৃদ্ধ করেছে, তেমনি নদীর ভাঙনের খেলায় রাতারাতি বিলুপ্ত হয়েছে বহু জনপদ। এরপরও সভ্যতার নানা চিহ্ন এখানে খুঁজে পাওয়া যায় এবং বাঙালিত্বের বৈশিষ
২৬ মার্চ ২০২৪