নজরুল ইসলাম
করোনাভাইরাসের সংক্রমণে গোটা বিশ্বই বেহাল। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। এই পরিস্থিতির মধ্যেও বাংলাদেশ তার লক্ষ্যে অবিচল। যার সুফল পাচ্ছে জয়পুরহাট জেলাও।
জয়পুরহাটে নানা অবকাঠামো ও সড়ক যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান। চার লেন রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পের বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া এগিয়েছে অনেক দূর। বিশেষত যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নের ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে সামগ্রিক জনজীবনে। ব্যক্তিগত পরিসরে নেওয়া উদ্যোগগুলো এখন আগের চেয়ে সহজে বিস্তার পাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে।
কৃষিক্ষেত্রে বেশ আগে থেকেই জয়পুরহাট বিশেষ স্থান দখল করে আছে। এটি আলু উৎপাদনে দ্বিতীয় বৃহত্তম জেলা। এখানে রয়েছে দেশের অন্যতম বড় চিনি কারখানা জয়পুরহাট সুগার মিলস লিমিটেড। জেলার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে হয় আখের চাষ। সাম্প্রতিক সময়ে উৎপাদন কিছুটা কমে এলেও সম্ভাবনা অনেক।
দেশে মেয়েদের জন্য যে তিনটি ক্যাডেট কলেজ রয়েছে, তার একটি জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজ। প্রতিষ্ঠানটি এই অঞ্চলের মেয়েদের শিক্ষায় বড় অবদান রাখছে। স্থানীয় অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি হিসেবে রয়েছে পোলট্রি শিল্প। এ খাতে জেলাটির সাফল্য অসাধারণ। এই সাফল্যের যাত্রা শুরু হয়েছিল সরকারি উদ্যোগেই।
১৯৩৭ সালে প্রতিষ্ঠিত সরকারি জামালগঞ্জ পোলট্রি ফার্ম প্রথম এই সাফল্যের বীজ বোনে। সরকারি এই খামারের বাচ্চা অত্যন্ত প্রসিদ্ধ, যার ভিতে দাঁড়িয়ে স্বাবলম্বী হয়েছে হাজারো মানুষ। এই খামারকে কেন্দ্র করে শুধু জয়পুরহাট নয়, নওগাঁ, বগুড়ার কিছু অংশ, গাইবান্ধা ও দিনাজপুরে বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে উঠেছে হাজার হাজার পোলট্রি খামার। তৈরি হয়েছে হাজারো মানুষের কর্মসংস্থান।
রয়েছে বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে ওঠা শিশু উদ্যান। ভ্রমণপিপাসু মানুষের চাহিদার জোগান দিচ্ছে এ উদ্যান। দেশের নানা প্রান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ এই উদ্যানে আসে পিকনিক করতে। এই উদ্যানও বহু মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
গত কয়েক বছরে জয়পুরহাটে ব্যাপক অবকাঠামো উন্নয়ন হয়েছে। বিশেষত যোগাযোগব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন এসেছে। আর এটি ব্যক্তি পর্যায়ে বহু উদ্যোক্তাকে উদ্যোগ গ্রহণে উদ্দীপ্ত করেছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, মাহমুদুল হকের কথা। তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন পরিত্যক্ত প্লাস্টিক দিয়ে বস্তা তৈরির কারখানা। নিজে স্বাবলম্বী হয়েছেন। সঙ্গে দুই শতাধিক মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছেন। এলাকার দরিদ্র ও বেকার নারী–পুরুষ এ কারখানায় কাজ করছেন। এ কারখানায় উৎপাদিত নানা রকম প্লাস্টিকের বস্তা এখন সরবরাহ করা হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। উদ্যোক্তা মাহমুদুল হক কয়েক বছর আগে চীনে গিয়ে সেখানকার নারীশ্রমিকদের নিয়ে পরিচালিত এমন একটি কারখানা দেখে উদ্বুদ্ধ হন। দেশে ফিরে ২০১৩ সালে জয়পুরহাট সদরের পুরানাপৈল ইউনিয়নের গতন শহর এলাকায় প্রতিষ্ঠা করেন ‘হক বাংলা টেক’ নামের এই কারখানা। মাত্র ২০–২৫ জন কর্মী নিয়ে শুরু করা প্রতিষ্ঠানটিতে আজ দুই শতাধিক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। এতে পরিত্যক্ত প্লাস্টিক কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করায় তা পরিবেশের জন্যও ইতিবাচক। প্লাস্টিকের দূষণ বাড়ার বদলে ব্যবহৃত প্লাস্টিক পুনর্ব্যবহারের আওতায় নিয়ে আসছে প্রতিষ্ঠানটি।
দেখা মিলছে জগদিশ চন্দ্র জনকের মতো তরুণ উদ্যোক্তার। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করে চাকরির পেছনে না ছুটে সামান্য পুঁজি নিয়ে আক্কেলপুর পৌর এলাকায় জগদিশ গড়ে তুলেছেন ইলেকট্রনিকস ডিভাইস তৈরির প্রতিষ্ঠান বিসিপি ইলেকট্রনিকস টেকনোলজি। গত ১০ বছরে ২৭টি ক্যাটাগরির ২০১ ধরনের ইলেকট্রিক ডিভাইস তৈরি করে বাজারজাত করেছেন জগদিশ। তাঁর আবিষ্কৃত পাওয়ার সেভিং অটোমেটিক ডিভাইস সাড়া ফেলেছে সারা দেশে। তাঁর প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ৫০ তরুণের কর্মসংস্থান হয়েছে এখন পর্যন্ত। সামনে রয়েছে আরও বড় সম্ভাবনা।
তরুণেরা বরাবরই স্বপ্নবান। জয়পুরহাটের তরুণেরা আগেও নিশ্চয় স্বপ্ন দেখতেন। ছোট ছোট উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে সবাইকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সামর্থ্যও তাঁদের হয়তো ছিল। কিন্তু সেসব স্বপ্নের অধিকাংশই হয়তো অঙ্কুরে ঝরে যেত। কে না জানে স্বপ্নকে বেড়ে উঠতে দিতে হয়। এ জন্য তাকে যথাযথ পুষ্টি দিতে হয়। আর এই পুষ্টি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হয় গোটা ব্যবস্থাকে। জয়পুরহাটের তরুণেরা যেভাবে এখন নতুন নতুন উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে আসছেন, তাতে এটা বলা যায় যে ব্যবস্থাটি কাজ করছে। বিশেষত যোগাযোগ ও অবকাঠামো উন্নয়ন তরুণদের নতুন উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রেরণা দিচ্ছে। তবে এখনো অনেক সম্ভাবনা অনাবিষ্কৃত রয়ে গেছে। এসব সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হলে সরকারি উদ্যোগগুলো মানুষের দোরগোড়ায় নিয়ে যেতে হবে।
নজরুল ইসলাম
শিক্ষক, জয়পুরহাট শহীদ জিয়া ডিগ্রি কলেজ
করোনাভাইরাসের সংক্রমণে গোটা বিশ্বই বেহাল। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। এই পরিস্থিতির মধ্যেও বাংলাদেশ তার লক্ষ্যে অবিচল। যার সুফল পাচ্ছে জয়পুরহাট জেলাও।
জয়পুরহাটে নানা অবকাঠামো ও সড়ক যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান। চার লেন রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পের বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া এগিয়েছে অনেক দূর। বিশেষত যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নের ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে সামগ্রিক জনজীবনে। ব্যক্তিগত পরিসরে নেওয়া উদ্যোগগুলো এখন আগের চেয়ে সহজে বিস্তার পাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে।
কৃষিক্ষেত্রে বেশ আগে থেকেই জয়পুরহাট বিশেষ স্থান দখল করে আছে। এটি আলু উৎপাদনে দ্বিতীয় বৃহত্তম জেলা। এখানে রয়েছে দেশের অন্যতম বড় চিনি কারখানা জয়পুরহাট সুগার মিলস লিমিটেড। জেলার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে হয় আখের চাষ। সাম্প্রতিক সময়ে উৎপাদন কিছুটা কমে এলেও সম্ভাবনা অনেক।
দেশে মেয়েদের জন্য যে তিনটি ক্যাডেট কলেজ রয়েছে, তার একটি জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজ। প্রতিষ্ঠানটি এই অঞ্চলের মেয়েদের শিক্ষায় বড় অবদান রাখছে। স্থানীয় অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি হিসেবে রয়েছে পোলট্রি শিল্প। এ খাতে জেলাটির সাফল্য অসাধারণ। এই সাফল্যের যাত্রা শুরু হয়েছিল সরকারি উদ্যোগেই।
১৯৩৭ সালে প্রতিষ্ঠিত সরকারি জামালগঞ্জ পোলট্রি ফার্ম প্রথম এই সাফল্যের বীজ বোনে। সরকারি এই খামারের বাচ্চা অত্যন্ত প্রসিদ্ধ, যার ভিতে দাঁড়িয়ে স্বাবলম্বী হয়েছে হাজারো মানুষ। এই খামারকে কেন্দ্র করে শুধু জয়পুরহাট নয়, নওগাঁ, বগুড়ার কিছু অংশ, গাইবান্ধা ও দিনাজপুরে বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে উঠেছে হাজার হাজার পোলট্রি খামার। তৈরি হয়েছে হাজারো মানুষের কর্মসংস্থান।
রয়েছে বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে ওঠা শিশু উদ্যান। ভ্রমণপিপাসু মানুষের চাহিদার জোগান দিচ্ছে এ উদ্যান। দেশের নানা প্রান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ এই উদ্যানে আসে পিকনিক করতে। এই উদ্যানও বহু মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
গত কয়েক বছরে জয়পুরহাটে ব্যাপক অবকাঠামো উন্নয়ন হয়েছে। বিশেষত যোগাযোগব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন এসেছে। আর এটি ব্যক্তি পর্যায়ে বহু উদ্যোক্তাকে উদ্যোগ গ্রহণে উদ্দীপ্ত করেছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, মাহমুদুল হকের কথা। তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন পরিত্যক্ত প্লাস্টিক দিয়ে বস্তা তৈরির কারখানা। নিজে স্বাবলম্বী হয়েছেন। সঙ্গে দুই শতাধিক মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছেন। এলাকার দরিদ্র ও বেকার নারী–পুরুষ এ কারখানায় কাজ করছেন। এ কারখানায় উৎপাদিত নানা রকম প্লাস্টিকের বস্তা এখন সরবরাহ করা হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। উদ্যোক্তা মাহমুদুল হক কয়েক বছর আগে চীনে গিয়ে সেখানকার নারীশ্রমিকদের নিয়ে পরিচালিত এমন একটি কারখানা দেখে উদ্বুদ্ধ হন। দেশে ফিরে ২০১৩ সালে জয়পুরহাট সদরের পুরানাপৈল ইউনিয়নের গতন শহর এলাকায় প্রতিষ্ঠা করেন ‘হক বাংলা টেক’ নামের এই কারখানা। মাত্র ২০–২৫ জন কর্মী নিয়ে শুরু করা প্রতিষ্ঠানটিতে আজ দুই শতাধিক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। এতে পরিত্যক্ত প্লাস্টিক কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করায় তা পরিবেশের জন্যও ইতিবাচক। প্লাস্টিকের দূষণ বাড়ার বদলে ব্যবহৃত প্লাস্টিক পুনর্ব্যবহারের আওতায় নিয়ে আসছে প্রতিষ্ঠানটি।
দেখা মিলছে জগদিশ চন্দ্র জনকের মতো তরুণ উদ্যোক্তার। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করে চাকরির পেছনে না ছুটে সামান্য পুঁজি নিয়ে আক্কেলপুর পৌর এলাকায় জগদিশ গড়ে তুলেছেন ইলেকট্রনিকস ডিভাইস তৈরির প্রতিষ্ঠান বিসিপি ইলেকট্রনিকস টেকনোলজি। গত ১০ বছরে ২৭টি ক্যাটাগরির ২০১ ধরনের ইলেকট্রিক ডিভাইস তৈরি করে বাজারজাত করেছেন জগদিশ। তাঁর আবিষ্কৃত পাওয়ার সেভিং অটোমেটিক ডিভাইস সাড়া ফেলেছে সারা দেশে। তাঁর প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ৫০ তরুণের কর্মসংস্থান হয়েছে এখন পর্যন্ত। সামনে রয়েছে আরও বড় সম্ভাবনা।
তরুণেরা বরাবরই স্বপ্নবান। জয়পুরহাটের তরুণেরা আগেও নিশ্চয় স্বপ্ন দেখতেন। ছোট ছোট উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে সবাইকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সামর্থ্যও তাঁদের হয়তো ছিল। কিন্তু সেসব স্বপ্নের অধিকাংশই হয়তো অঙ্কুরে ঝরে যেত। কে না জানে স্বপ্নকে বেড়ে উঠতে দিতে হয়। এ জন্য তাকে যথাযথ পুষ্টি দিতে হয়। আর এই পুষ্টি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হয় গোটা ব্যবস্থাকে। জয়পুরহাটের তরুণেরা যেভাবে এখন নতুন নতুন উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে আসছেন, তাতে এটা বলা যায় যে ব্যবস্থাটি কাজ করছে। বিশেষত যোগাযোগ ও অবকাঠামো উন্নয়ন তরুণদের নতুন উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রেরণা দিচ্ছে। তবে এখনো অনেক সম্ভাবনা অনাবিষ্কৃত রয়ে গেছে। এসব সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হলে সরকারি উদ্যোগগুলো মানুষের দোরগোড়ায় নিয়ে যেতে হবে।
নজরুল ইসলাম
শিক্ষক, জয়পুরহাট শহীদ জিয়া ডিগ্রি কলেজ
১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে লন্ডন এবং দিল্লি হয়ে ঢাকায় ফিরলেন। সেদিন অপরাহ্ণে রেসকোর্সে অলিখিত স্বতঃস্ফূর্ত ভাষণ দিয়েছিলেন। যে ভাষণটি আমি শুনেছিলাম—১৭ মিনিটের। ভাষণে একটি জায়গায় তিনি বলেছিলেন, একটা কথা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, বাংলাদেশ একটি আদর্শ রাষ্ট্র হবে,
২৬ মার্চ ২০২৪১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানে যে চার রাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করা হয়েছিল তার একটি সমাজতন্ত্র। সমাজতন্ত্র মানে বৈষম্যের অবসান। সমাজতন্ত্র মানে ন্যায্যতা। সমাজতন্ত্র মানে সবার শিক্ষা, চিকিৎসা, মাথাগোঁজার ঠাঁই, কাজের সুযোগ। সমাজতন্ত্র মানে যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ, প্রয়োজন অনুয
২৬ মার্চ ২০২৪স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্র পরিচালনার চালিকা শক্তি হিসেবে চারটি মৌলনীতি গ্রহণ করেছিলেন। এগুলো হলো: জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র। আজ ৫২ বছর পর দেখছি, এই মৌলনীতিগুলোর প্রতিটির সূচক এত নিচে নেমে গেছে যে, বলা চলে রাষ্ট্র পরিচালনার মৌলনীতি বলে এখন আর কিছু নেই। জাতীয়তা দুই ভাগে বি
২৬ মার্চ ২০২৪বাংলাদেশ সম্পর্কে বলা যেতে পারে, রাষ্ট্র হিসেবে নবীন, কিন্তু এর সভ্যতা সুপ্রাচীন। নদীবেষ্টিত গাঙেয় উপত্যকায় পলিবাহিত উর্বর ভূমি যেমন উপচে পড়া শস্যসম্ভারে জীবনকে সমৃদ্ধ করেছে, তেমনি নদীর ভাঙনের খেলায় রাতারাতি বিলুপ্ত হয়েছে বহু জনপদ। এরপরও সভ্যতার নানা চিহ্ন এখানে খুঁজে পাওয়া যায় এবং বাঙালিত্বের বৈশিষ
২৬ মার্চ ২০২৪