সিলেট প্রতিনিধি
সিলেটের ওসমানীনগরে ‘রহস্যজনকভাবে’ মারা যাওয়া যুক্তরাজ্যপ্রবাসী বাবা-ছেলের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটায় পারিবারিক কবরস্থানে তাঁদের দাফন করা হয়।
এর আগে বেলা সোয়া ২টায় উপজেলার দয়ামীর ইউনিয়নের পারকুল মাদ্রাসা মাঠে জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় উপস্থিত ছিলেন—সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, ওসমানীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান চৌধুরী ও দায়মীর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এসটিএম ফখর উদ্দিনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
এদিকে একই ঘটনায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রফিকুল ইসলামের স্ত্রী হোসনে আরা বেগম (৪৫) ও সাদিকুল ইসলামের (২৫) অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তবে মেয়ে সামিরা ইসলামের (২০) অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ বৃহস্পতিবার বিকেলে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখনো সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ পাওয়া যায়নি। আমাদের এখানে তাদের ডোপ টেস্ট করা হয়েছে। তবে রিপোর্ট নেগেটিভ। প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।’
ডা. আবুল কালাম আজাদ আরও বলেন, ‘কারণ অনুসন্ধান ও চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. শিশির চক্রবর্তীকে প্রধান করে একটি মেডিকেল টিমও গঠন করা হয়েছে। ছেলের অবস্থা প্রথম থেকেই ভালো ছিল। আজ মা’র অবস্থার উন্নতি করেছে। তবে মেয়েটার অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক।’
অচেতন অবস্থায় ৫ যুক্তরাজ্যপ্রবাসীকে উদ্ধারের পর বাবা-ছেলের মৃত্যুর ঘটনার তিন দিনেও রহস্য উদ্ঘাটন হয়নি। ঘটনার পর থেকে তদন্তে নেমেছে পুলিশ, সিআইডি, পিবিআই, র্যাবসহ গোয়েন্দারা। তারা ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।
গত মঙ্গলবার দুপুরে ওসমানীনগর উপজেলার তাজপুর স্কুল রোডের একটি বাসা থেকে একই উপজেলার দয়ামীর ইউনিয়নের ধিরারাই খাতুপুর গ্রামের আবদুল জব্বারের ছেলে যুক্তরাজ্যপ্রবাসী রফিকুল ইসলাম (৫০), তাঁর স্ত্রী হোসনে আরা বেগম (৪৫), ছেলে মাইকুল ইসলাম (১৬) ও সাদিকুল ইসলাম (২৫) এবং মেয়ে সামিরা ইসলামকে (২০) অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম ও তাঁর ছেলে মাইকুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকি তিনজন এখনো হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত ১২ জুলাই রফিকুল ইসলাম পরিবারের সদস্যদের নিয়ে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরেন। এরপর ঢাকায় এক সপ্তাহ থেকে গত ১৮ জুলাই তাজপুর স্কুল রোড এলাকার একটি ভাড়া বাসায় ওঠেন। সোমবার রাতের খাবার খেয়ে স্ত্রী, ছেলে ও মেয়েদের নিয়ে বাসার একটি কক্ষে রফিকুল এবং অপর দুটি কক্ষে শ্বশুর, শাশুড়ি, শ্যালক, শ্যালকের স্ত্রী ও শ্যালকের মেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে বাসার অন্যান্য কক্ষে থাকা আত্মীয়রা ডাকাডাকি করে রফিকুলদের কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে ‘৯৯৯’ নম্বরে ফোন দেন। খবর পেয়ে দুপুর ১২টার দিকে ওসমানীনগর থানা-পুলিশের একটি দল গিয়ে দরজা ভেঙে অচেতন অবস্থায় পাঁচ যুক্তরাজ্যপ্রবাসীকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
এক সঙ্গে পরিবারের পাঁচ সদস্যের অচেতন হওয়া এবং দুজনের মৃত্যুবরণের কারণ রহস্যের বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এখনো ঘটনার কোনো ক্লু উদ্ঘাটন করতে পারেনি।
প্রাথমিকভাবে পুলিশ ও চিকিৎসকদের ধারণা, বিষক্রিয়ার কারণে ঘটনাটি ঘটতে পারে। তবে এ বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়।
এ ঘটনায় নিহত রফিক মিয়ার শ্বশুর আনফর আলী, শাশুড়ি বদরুন্নেছা, শ্যালক দেলোয়ার হোসেন ও তাঁর স্ত্রী শোভা বেগম এবং বাসার কেয়ারটেকারসহ মোট ১২ জনকে মঙ্গলবার রাতে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছেলের অবস্থা ভালো হলেও ওনার সঙ্গে কথা বলে মনে হচ্ছে, তিনি এখনো মানসিকভাবে সুস্থ নয়। কোনো কিছু পাওয়াও যায়নি। আমরা আশা করছি, মা হোসনে আরা বেগমের অবস্থার উন্নতি হয়েছে। উনি সুস্থ হলে ওনার সঙ্গে কথা বলে হয়তো কিছু পাওয়া যাবে। তবে সার্বিক বিষয় বিবেচনায় নিয়ে আমাদের তদন্ত কার্যক্রম চলছে।’
সিলেটের ওসমানীনগরে ‘রহস্যজনকভাবে’ মারা যাওয়া যুক্তরাজ্যপ্রবাসী বাবা-ছেলের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটায় পারিবারিক কবরস্থানে তাঁদের দাফন করা হয়।
এর আগে বেলা সোয়া ২টায় উপজেলার দয়ামীর ইউনিয়নের পারকুল মাদ্রাসা মাঠে জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় উপস্থিত ছিলেন—সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, ওসমানীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান চৌধুরী ও দায়মীর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এসটিএম ফখর উদ্দিনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
এদিকে একই ঘটনায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রফিকুল ইসলামের স্ত্রী হোসনে আরা বেগম (৪৫) ও সাদিকুল ইসলামের (২৫) অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তবে মেয়ে সামিরা ইসলামের (২০) অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ বৃহস্পতিবার বিকেলে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখনো সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ পাওয়া যায়নি। আমাদের এখানে তাদের ডোপ টেস্ট করা হয়েছে। তবে রিপোর্ট নেগেটিভ। প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।’
ডা. আবুল কালাম আজাদ আরও বলেন, ‘কারণ অনুসন্ধান ও চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. শিশির চক্রবর্তীকে প্রধান করে একটি মেডিকেল টিমও গঠন করা হয়েছে। ছেলের অবস্থা প্রথম থেকেই ভালো ছিল। আজ মা’র অবস্থার উন্নতি করেছে। তবে মেয়েটার অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক।’
অচেতন অবস্থায় ৫ যুক্তরাজ্যপ্রবাসীকে উদ্ধারের পর বাবা-ছেলের মৃত্যুর ঘটনার তিন দিনেও রহস্য উদ্ঘাটন হয়নি। ঘটনার পর থেকে তদন্তে নেমেছে পুলিশ, সিআইডি, পিবিআই, র্যাবসহ গোয়েন্দারা। তারা ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।
গত মঙ্গলবার দুপুরে ওসমানীনগর উপজেলার তাজপুর স্কুল রোডের একটি বাসা থেকে একই উপজেলার দয়ামীর ইউনিয়নের ধিরারাই খাতুপুর গ্রামের আবদুল জব্বারের ছেলে যুক্তরাজ্যপ্রবাসী রফিকুল ইসলাম (৫০), তাঁর স্ত্রী হোসনে আরা বেগম (৪৫), ছেলে মাইকুল ইসলাম (১৬) ও সাদিকুল ইসলাম (২৫) এবং মেয়ে সামিরা ইসলামকে (২০) অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম ও তাঁর ছেলে মাইকুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকি তিনজন এখনো হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত ১২ জুলাই রফিকুল ইসলাম পরিবারের সদস্যদের নিয়ে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরেন। এরপর ঢাকায় এক সপ্তাহ থেকে গত ১৮ জুলাই তাজপুর স্কুল রোড এলাকার একটি ভাড়া বাসায় ওঠেন। সোমবার রাতের খাবার খেয়ে স্ত্রী, ছেলে ও মেয়েদের নিয়ে বাসার একটি কক্ষে রফিকুল এবং অপর দুটি কক্ষে শ্বশুর, শাশুড়ি, শ্যালক, শ্যালকের স্ত্রী ও শ্যালকের মেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে বাসার অন্যান্য কক্ষে থাকা আত্মীয়রা ডাকাডাকি করে রফিকুলদের কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে ‘৯৯৯’ নম্বরে ফোন দেন। খবর পেয়ে দুপুর ১২টার দিকে ওসমানীনগর থানা-পুলিশের একটি দল গিয়ে দরজা ভেঙে অচেতন অবস্থায় পাঁচ যুক্তরাজ্যপ্রবাসীকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
এক সঙ্গে পরিবারের পাঁচ সদস্যের অচেতন হওয়া এবং দুজনের মৃত্যুবরণের কারণ রহস্যের বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এখনো ঘটনার কোনো ক্লু উদ্ঘাটন করতে পারেনি।
প্রাথমিকভাবে পুলিশ ও চিকিৎসকদের ধারণা, বিষক্রিয়ার কারণে ঘটনাটি ঘটতে পারে। তবে এ বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়।
এ ঘটনায় নিহত রফিক মিয়ার শ্বশুর আনফর আলী, শাশুড়ি বদরুন্নেছা, শ্যালক দেলোয়ার হোসেন ও তাঁর স্ত্রী শোভা বেগম এবং বাসার কেয়ারটেকারসহ মোট ১২ জনকে মঙ্গলবার রাতে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছেলের অবস্থা ভালো হলেও ওনার সঙ্গে কথা বলে মনে হচ্ছে, তিনি এখনো মানসিকভাবে সুস্থ নয়। কোনো কিছু পাওয়াও যায়নি। আমরা আশা করছি, মা হোসনে আরা বেগমের অবস্থার উন্নতি হয়েছে। উনি সুস্থ হলে ওনার সঙ্গে কথা বলে হয়তো কিছু পাওয়া যাবে। তবে সার্বিক বিষয় বিবেচনায় নিয়ে আমাদের তদন্ত কার্যক্রম চলছে।’
খুলনায় অগ্নিকাণ্ডে একটি পাটের বস্তার গোডাউনসহ ১০টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর বড় বাজারের বার্মাশীল এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
৬ মিনিট আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিহত আবদুল্লাহকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় বেনাপোল পৌর বল ফিল্ড মাঠে গার্ড অব অনার শেষে পাশের বড় আঁচড়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হয়।
২৪ মিনিট আগেপাবনার চাটমোহরে নিখোঁজের ২৪ ঘণ্টা পর গোলজার হোসেন (৫৩) নামের এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের খলিশাগাড়ী বিলের কাজীর নালা থেকে ভাসমান অবস্থায় তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
২৮ মিনিট আগেঘন কুয়াশার কারণে নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ ওঠানামায় বিঘ্ন ঘটছে। আজ শুক্রবার ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়ে রানওয়ে।
৩০ মিনিট আগে