সহিবুর রহমান, হবিগঞ্জ
হবিগঞ্জে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দেওয়া হয় ২০১৫ সালে। একই বছর শিক্ষার্থী ভর্তির প্রশাসনিক অনুমোদনও পায়। কিন্তু একাডেমিক ভবন নির্ধারণ না হওয়ায় সে বছর শিক্ষার্থী ভর্তি করা সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত অস্থায়ী ক্যাম্পাস হিসেবে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের দ্বিতীয় ও তৃতীয়তলা নির্ধারণ হলে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে ৫১ জন শিক্ষার্থী ভর্তির মাধ্যমে মেডিকেল কলেজটির যাত্রা শুরু হয়।
বর্তমানে ওই প্রতিষ্ঠানে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। কিন্তু প্রতিষ্ঠার নয় বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো স্থায়ী ক্যাম্পাসে পাঠদান শুরু হয়নি। সদর হাসপাতালে কলেজের কার্যক্রম চলায় রোগীদের জায়গা দেওয়া যাচ্ছে না। পাশাপাশি সীমিত পরিসরে খুবই নাজুক অবস্থায় চলছে কলেজের কার্যক্রম। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ কাজ করছে।
সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদ আমিনুল হক সরকার জানান, হাসপাতালটি ২৫০ শয্যার হলেও এখানে রোগী ভর্তি থাকে ৪০০ থেকে ৫০০ জন। হাসপাতালের দুটি তলায় কলেজের কার্যক্রম পরিচালনা করায় রোগীদের জায়গা দেওয়া যাচ্ছে না।
শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা জানান, ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে প্রথম পাঠদান শুরু হয়। ইতিমধ্যে কলেজটির প্রথম ব্যাচ বের হয়েছে। অথচ স্থায়ী ক্যাম্পাস না থাকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্লাসরুম নেই, হল নেই, ক্যানটিন নেই—নেই সংস্কৃতি ও ক্রীড়াচর্চার কোনো ব্যবস্থাও।
মেডিকেল কলেজে গিয়ে দেখা যায়, সদর আধুনিক হাসপাতালের ১০ তলা নতুন ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় সীমিত আকারে পাঠদান চলে। ছোট ছোট কয়েকটি কক্ষে চলে প্রশাসনিক কার্যক্রম। ক্লাসরুমের সংকটে শিক্ষার্থীদের অপেক্ষায় থাকতে হয়। ছোট ছোট কক্ষে চলছে ল্যাবরেটরি ও লাইব্রেরির কার্যক্রম।
মেডিকেল কলেজের পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী ফারজানা আক্তার মুনমুন বলেন, ‘সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো আমাদের ক্লিনিক্যাল শিক্ষকের সংখ্যা খুবই নগণ্য। ফলে শিক্ষকদের শত চেষ্টার পরও কিছুটা সমস্যা থেকেই যাচ্ছে। কিছু ডিপার্টমেন্ট রয়েছে, যেগুলোতে কোনো শিক্ষকই নেই।’
তাসিয়া আক্তার হলি নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘স্থায়ী ক্যাম্পাস না থাকার কারণে মেয়েদের নিরাপদ আবাসনের ব্যবস্থা হচ্ছে না। বর্তমানে আমাদের শহর থেকে অনেকটা দূরে আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে আমাদের যাতায়াতে প্রচুর সমস্যা হয়। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর যাতায়াত অনেকটা অনিরাপদ।’
মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক কান্তি প্রিয় দাশ বলেন, ‘আমাদের শিক্ষকদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো আবাসন ব্যবস্থা। অনেক সময় দেখা যায় সার্জারি, মেডিসিন বিভাগ, বিশেষ করে ক্লিনিক্যাল বিভাগে সব সময় রোগী ভর্তি থাকে। তাদের সার্বক্ষণিক বিশেষ মনিটরিংয়ের প্রয়োজন পড়ে। রোগীর সেবা নিশ্চিত করার জন্য আসলে প্রথমেই প্রয়োজন চিকিৎসকদের নিরাপদ আবাসন ব্যবস্থা। ল্যাব সমস্যাও আছে; কিন্তু আমরা স্বল্পপরিসরেই চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সুনির্মল রায় বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব ক্যাম্পাস না থাকায় ২৫০ শয্যা আধুনিক হাসপাতালের নতুন ভবনের দুটি ফ্লোর নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছি। আমাদের শিক্ষকের পদ আছে ৭৬টি; কিন্তু বর্তমানে রয়েছেন ৪২ জন। আমাদের জন্য যে জায়গা অধিগ্রহণ করা হয়েছে, সেখানে যদি দ্রুত বেগে কাজ শুরু হয়, তাহলে অনেক সমস্যারই সমাধান হবে।’
অধ্যাপক সুনির্মল রায় আরও বলেন, ‘এ বিষয়ে (স্থায়ী ক্যাম্পাস) আমার কাছে এখনো সঠিক কোনো তথ্য নেই। আমরা প্রতিনিয়তই অধিদপ্তর এবং মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করছি, চিঠিপত্র দিচ্ছি। এটি দ্রুত বাস্তবায়ন হলে হবিগঞ্জে চিকিৎসার মান আরও অনেক বেড়ে যাবে। এখানে আমাদের শিক্ষকদের বাসস্থান তো নেই-ই, বসার স্থান পর্যন্ত দিতে পারছি না। বছরে ৫০ জন শিক্ষার্থী নিয়েই আমাদের পাঠদান কঠিন, অথচ এবার ১০০ জন করে ভর্তির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’
হবিগঞ্জে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দেওয়া হয় ২০১৫ সালে। একই বছর শিক্ষার্থী ভর্তির প্রশাসনিক অনুমোদনও পায়। কিন্তু একাডেমিক ভবন নির্ধারণ না হওয়ায় সে বছর শিক্ষার্থী ভর্তি করা সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত অস্থায়ী ক্যাম্পাস হিসেবে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের দ্বিতীয় ও তৃতীয়তলা নির্ধারণ হলে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে ৫১ জন শিক্ষার্থী ভর্তির মাধ্যমে মেডিকেল কলেজটির যাত্রা শুরু হয়।
বর্তমানে ওই প্রতিষ্ঠানে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। কিন্তু প্রতিষ্ঠার নয় বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো স্থায়ী ক্যাম্পাসে পাঠদান শুরু হয়নি। সদর হাসপাতালে কলেজের কার্যক্রম চলায় রোগীদের জায়গা দেওয়া যাচ্ছে না। পাশাপাশি সীমিত পরিসরে খুবই নাজুক অবস্থায় চলছে কলেজের কার্যক্রম। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ কাজ করছে।
সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদ আমিনুল হক সরকার জানান, হাসপাতালটি ২৫০ শয্যার হলেও এখানে রোগী ভর্তি থাকে ৪০০ থেকে ৫০০ জন। হাসপাতালের দুটি তলায় কলেজের কার্যক্রম পরিচালনা করায় রোগীদের জায়গা দেওয়া যাচ্ছে না।
শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা জানান, ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে প্রথম পাঠদান শুরু হয়। ইতিমধ্যে কলেজটির প্রথম ব্যাচ বের হয়েছে। অথচ স্থায়ী ক্যাম্পাস না থাকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্লাসরুম নেই, হল নেই, ক্যানটিন নেই—নেই সংস্কৃতি ও ক্রীড়াচর্চার কোনো ব্যবস্থাও।
মেডিকেল কলেজে গিয়ে দেখা যায়, সদর আধুনিক হাসপাতালের ১০ তলা নতুন ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় সীমিত আকারে পাঠদান চলে। ছোট ছোট কয়েকটি কক্ষে চলে প্রশাসনিক কার্যক্রম। ক্লাসরুমের সংকটে শিক্ষার্থীদের অপেক্ষায় থাকতে হয়। ছোট ছোট কক্ষে চলছে ল্যাবরেটরি ও লাইব্রেরির কার্যক্রম।
মেডিকেল কলেজের পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী ফারজানা আক্তার মুনমুন বলেন, ‘সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো আমাদের ক্লিনিক্যাল শিক্ষকের সংখ্যা খুবই নগণ্য। ফলে শিক্ষকদের শত চেষ্টার পরও কিছুটা সমস্যা থেকেই যাচ্ছে। কিছু ডিপার্টমেন্ট রয়েছে, যেগুলোতে কোনো শিক্ষকই নেই।’
তাসিয়া আক্তার হলি নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘স্থায়ী ক্যাম্পাস না থাকার কারণে মেয়েদের নিরাপদ আবাসনের ব্যবস্থা হচ্ছে না। বর্তমানে আমাদের শহর থেকে অনেকটা দূরে আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে আমাদের যাতায়াতে প্রচুর সমস্যা হয়। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর যাতায়াত অনেকটা অনিরাপদ।’
মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক কান্তি প্রিয় দাশ বলেন, ‘আমাদের শিক্ষকদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো আবাসন ব্যবস্থা। অনেক সময় দেখা যায় সার্জারি, মেডিসিন বিভাগ, বিশেষ করে ক্লিনিক্যাল বিভাগে সব সময় রোগী ভর্তি থাকে। তাদের সার্বক্ষণিক বিশেষ মনিটরিংয়ের প্রয়োজন পড়ে। রোগীর সেবা নিশ্চিত করার জন্য আসলে প্রথমেই প্রয়োজন চিকিৎসকদের নিরাপদ আবাসন ব্যবস্থা। ল্যাব সমস্যাও আছে; কিন্তু আমরা স্বল্পপরিসরেই চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সুনির্মল রায় বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব ক্যাম্পাস না থাকায় ২৫০ শয্যা আধুনিক হাসপাতালের নতুন ভবনের দুটি ফ্লোর নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছি। আমাদের শিক্ষকের পদ আছে ৭৬টি; কিন্তু বর্তমানে রয়েছেন ৪২ জন। আমাদের জন্য যে জায়গা অধিগ্রহণ করা হয়েছে, সেখানে যদি দ্রুত বেগে কাজ শুরু হয়, তাহলে অনেক সমস্যারই সমাধান হবে।’
অধ্যাপক সুনির্মল রায় আরও বলেন, ‘এ বিষয়ে (স্থায়ী ক্যাম্পাস) আমার কাছে এখনো সঠিক কোনো তথ্য নেই। আমরা প্রতিনিয়তই অধিদপ্তর এবং মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করছি, চিঠিপত্র দিচ্ছি। এটি দ্রুত বাস্তবায়ন হলে হবিগঞ্জে চিকিৎসার মান আরও অনেক বেড়ে যাবে। এখানে আমাদের শিক্ষকদের বাসস্থান তো নেই-ই, বসার স্থান পর্যন্ত দিতে পারছি না। বছরে ৫০ জন শিক্ষার্থী নিয়েই আমাদের পাঠদান কঠিন, অথচ এবার ১০০ জন করে ভর্তির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’
যশোর হর্টিকালচার সেন্টারে বিক্রির তালিকায় থাকা সব গাছ সেন্টারে নেই। উদ্যানে নিজস্বভাবে চারা উৎপাদনের জন্য ‘রিভলভিং’ ফান্ডের মাধ্যমে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া থাকলেও সেটি করা হচ্ছে না। চারা উৎপাদন না করে বাইরে থেকে কম দামে মানহীন চারা এনে উদ্যানে রেখে বিক্রি করা হচ্ছে। সেন্টারে একটি ভার্মি কম্পোস্ট প্ল্যান্ট
১২ মিনিট আগেচট্টগ্রামের রাউজানে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় মাসুদ নামের এক পথচারী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার নোয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১৭ মিনিট আগেগতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত আড়াইটার দিকে ধানমন্ডি–১৫–এর একটি পাঁচতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় ঘটনাটি ঘটে। আহত অবস্থায় বাসার ভাড়াটিয়ারা তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক ভোর পৌনে ৪টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
২৮ মিনিট আগেকিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে প্রথম স্ত্রীর বাসায় যাওয়ায় স্বামীকে তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার গভীর রাতে পৌর এলাকার পশ্চিমপাড়ার ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
৪৪ মিনিট আগে