সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
সরকারের বরাদ্দ করা হারভেস্টর মেশিন নিয়ে সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা কৃষি অফিসার নয়ন মিয়ার অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে।
আজ রোববার সকালে শহরের স্থানীয় এক দৈনিকের কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী কৃষক বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামের রফিক মিয়া।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে কৃষক রফিক মিয়ার ভাতিজা শরিফ আহমদ বলেন, আমাদের পরিবার আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী না হওয়ায় ২০২১-২২ অর্থবছরে ‘সরকারের সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষিযান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের’ আওতায় ৭০ শতাংশ ভর্তুকি মূল্যে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা কৃষি কার্যালয়ে একটি কম্বাইন্ড হারভেস্টর মেশিনের জন্য আবেদন করি। ২০২১-২২ অর্থবছরে কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণে রফিক মিয়ার নামে একটি হারভেস্টর মেশিন অনুমোদন হয়, এরই প্রেক্ষিতে কৃষি অফিস থেকে প্রত্যয়নপত্র প্রদান করা হলেও পরবর্তীতে জানতে পারি বরাদ্দ করা হারভেস্টর মেশিনটি বাতিল করা হয়েছে।
পরবর্তীতে এ বিষয় নিয়ে আমি বা আমার পরিবার কোনো কথা না বললেও গেল বছরের ২৬ ও ২৮ নভেম্বর রফিক ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের নম্বর থেকে একটি কল আসে। যেটি রিসিভ করেন রফিক মিয়ার স্ত্রী, এ সময় কলের ওপাশে থাকা ব্যক্তি আমাদের জন্য বরাদ্দ কম্বাইন্ড হারভেস্টর মেশিনটি বর্তমানে কি অবস্থায় আছে এবং কোথায় আছে সেটি জানতে চান।
তিনি আরও বলেন, রফিক মিয়ার স্ত্রী ফোনের ওপাশে থাকা ব্যক্তিটিকে আমাদের নামে কোনো হারভেস্টর মেশিন পায়নি জানালে; তিনি আমাদের জানান ২০২১-২২ অর্থ বছরে আমার নামে কৃষিযান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় ৭০ শতাংশ ভর্তুকি মূল্যে একটি কম্বাইন্ড হারভেস্টর মেশিন দেওয়া হয়েছে। এমনি এটি আমরা নিয়েছি। এ খবর শোনার পর বিষয়টি নিয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নয়ন মিয়ার কাছে গেলে তিনি কোনো উত্তর দিতে পারেননি।
এদিকে ফতেপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফারুক মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান কৃষি কার্যালয় থেকেই আমার নামে একটি মেশিন বিক্রি দেখানো হয়েছে। পরে বিষয়টি তদন্তের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর আমরা অভিযোগ করি এবং ইউএনও এটি তদন্তের জন্য জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে পাঠায়। এতে কি তদন্ত হয় আমরা জানতে পারেনি।
এদিকে ইউএনওর কাছে দেওয়া অভিযোগটি প্রত্যাহারের জন্য লোভ দেখান কৃষি কর্মকর্তা নয়ন মিয়া। এতে সফল না হয়ে তিনি প্রতারণার মাধ্যমে একটি লেখাযুক্ত কাগজে স্বাক্ষর নেওয়ার চেষ্টা করেন এবং কৃষক রফিক মিয়াকে প্রাণ নাশেরও হুমকি দেন। তা ছাড়া রফিক মিয়ার শ্যালক শফিউল আলম আমার বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলে তদবির করলে তাঁকেও বিভিন্ন ধরনের হয়রানি করে যাচ্ছেন কৃষি কর্মকর্তা নয়ন মিয়া ও প্রভাবশালী একটি মহল। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি উপজেলা কৃষি অফিসে নিয়ে গিয়ে আমাদের একটি পুরোনো হারভেস্টর মেশিন দেখিয়ে বলেন এটি নাকি আমাদের কিন্তু ওই ভাঙা পুরোনো মেশিনটি আমরা নিইনি।
রফিক মিয়ার শ্যালক শফিউল আলম বলেন, ‘আমার দুলাভাইয়ের মেশিনটির বিষয় জানতে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কাছে গেলে তিনি প্রথমে জানান এটি বাতিল হয়ে গেছে। পরে জানতে পারি এটি নাকি আমার দুলাভাইয়ের নামেই এসেছিল তবে কৃষি কর্মকর্তা এটি আমাদের হস্তান্তর করেননি। বিষয়টি নিয়ে কথা বলায় আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন তিনি।’
অভিযোগের বিষয়ে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নয়ন মিয়া বলেন, ‘আমার ওপর আনা অভিযোগগুলো মিথ্যা। রফিক মিয়ার নামে বরাদ্দ করা হারভেস্টর মেশিনটি উপজেলায় অফিসেই আছে তারা এটি নিচ্ছেন না। এর বেশি কিছু আমি আপনাদের বলতে পারব না।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিমল চন্দ্র সোম বলেন, ‘আমি ছুটিতে আছি, ছুটি থেকে এসে সবকিছুর সমাধান করে দেব।’
সরকারের বরাদ্দ করা হারভেস্টর মেশিন নিয়ে সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা কৃষি অফিসার নয়ন মিয়ার অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে।
আজ রোববার সকালে শহরের স্থানীয় এক দৈনিকের কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী কৃষক বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামের রফিক মিয়া।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে কৃষক রফিক মিয়ার ভাতিজা শরিফ আহমদ বলেন, আমাদের পরিবার আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী না হওয়ায় ২০২১-২২ অর্থবছরে ‘সরকারের সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষিযান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের’ আওতায় ৭০ শতাংশ ভর্তুকি মূল্যে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা কৃষি কার্যালয়ে একটি কম্বাইন্ড হারভেস্টর মেশিনের জন্য আবেদন করি। ২০২১-২২ অর্থবছরে কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণে রফিক মিয়ার নামে একটি হারভেস্টর মেশিন অনুমোদন হয়, এরই প্রেক্ষিতে কৃষি অফিস থেকে প্রত্যয়নপত্র প্রদান করা হলেও পরবর্তীতে জানতে পারি বরাদ্দ করা হারভেস্টর মেশিনটি বাতিল করা হয়েছে।
পরবর্তীতে এ বিষয় নিয়ে আমি বা আমার পরিবার কোনো কথা না বললেও গেল বছরের ২৬ ও ২৮ নভেম্বর রফিক ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের নম্বর থেকে একটি কল আসে। যেটি রিসিভ করেন রফিক মিয়ার স্ত্রী, এ সময় কলের ওপাশে থাকা ব্যক্তি আমাদের জন্য বরাদ্দ কম্বাইন্ড হারভেস্টর মেশিনটি বর্তমানে কি অবস্থায় আছে এবং কোথায় আছে সেটি জানতে চান।
তিনি আরও বলেন, রফিক মিয়ার স্ত্রী ফোনের ওপাশে থাকা ব্যক্তিটিকে আমাদের নামে কোনো হারভেস্টর মেশিন পায়নি জানালে; তিনি আমাদের জানান ২০২১-২২ অর্থ বছরে আমার নামে কৃষিযান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় ৭০ শতাংশ ভর্তুকি মূল্যে একটি কম্বাইন্ড হারভেস্টর মেশিন দেওয়া হয়েছে। এমনি এটি আমরা নিয়েছি। এ খবর শোনার পর বিষয়টি নিয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নয়ন মিয়ার কাছে গেলে তিনি কোনো উত্তর দিতে পারেননি।
এদিকে ফতেপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফারুক মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান কৃষি কার্যালয় থেকেই আমার নামে একটি মেশিন বিক্রি দেখানো হয়েছে। পরে বিষয়টি তদন্তের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর আমরা অভিযোগ করি এবং ইউএনও এটি তদন্তের জন্য জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে পাঠায়। এতে কি তদন্ত হয় আমরা জানতে পারেনি।
এদিকে ইউএনওর কাছে দেওয়া অভিযোগটি প্রত্যাহারের জন্য লোভ দেখান কৃষি কর্মকর্তা নয়ন মিয়া। এতে সফল না হয়ে তিনি প্রতারণার মাধ্যমে একটি লেখাযুক্ত কাগজে স্বাক্ষর নেওয়ার চেষ্টা করেন এবং কৃষক রফিক মিয়াকে প্রাণ নাশেরও হুমকি দেন। তা ছাড়া রফিক মিয়ার শ্যালক শফিউল আলম আমার বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলে তদবির করলে তাঁকেও বিভিন্ন ধরনের হয়রানি করে যাচ্ছেন কৃষি কর্মকর্তা নয়ন মিয়া ও প্রভাবশালী একটি মহল। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি উপজেলা কৃষি অফিসে নিয়ে গিয়ে আমাদের একটি পুরোনো হারভেস্টর মেশিন দেখিয়ে বলেন এটি নাকি আমাদের কিন্তু ওই ভাঙা পুরোনো মেশিনটি আমরা নিইনি।
রফিক মিয়ার শ্যালক শফিউল আলম বলেন, ‘আমার দুলাভাইয়ের মেশিনটির বিষয় জানতে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কাছে গেলে তিনি প্রথমে জানান এটি বাতিল হয়ে গেছে। পরে জানতে পারি এটি নাকি আমার দুলাভাইয়ের নামেই এসেছিল তবে কৃষি কর্মকর্তা এটি আমাদের হস্তান্তর করেননি। বিষয়টি নিয়ে কথা বলায় আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন তিনি।’
অভিযোগের বিষয়ে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নয়ন মিয়া বলেন, ‘আমার ওপর আনা অভিযোগগুলো মিথ্যা। রফিক মিয়ার নামে বরাদ্দ করা হারভেস্টর মেশিনটি উপজেলায় অফিসেই আছে তারা এটি নিচ্ছেন না। এর বেশি কিছু আমি আপনাদের বলতে পারব না।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিমল চন্দ্র সোম বলেন, ‘আমি ছুটিতে আছি, ছুটি থেকে এসে সবকিছুর সমাধান করে দেব।’
ফেনীর পরশুরামে কলেজছাত্র এমরান হোসেন রিফাত হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে ছয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়। তাঁদের মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করে আজ শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
৫ মিনিট আগেসিলেটে ২৮০ বস্তা ভারতীয় চিনিসহ আকবর মিয়া (৪২) নামের এক ট্রাকচালককে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেটের সীমান্তবর্তী এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে তাঁকে আটক করা হয়।
৮ মিনিট আগেরাজধানীর আজিমপুরে মেডিকেল স্টাফ কোয়ার্টারের একটি বাসায় দিনদুপুরে ডাকাতিসহ বাচ্চাকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আজ শুক্রবার দুপুরে লালবাগ টাওয়ারের পাশে ফারজানা আক্তার নামের এক নারীর বাসায় এ ঘটনা ঘটে...
২৩ মিনিট আগেবরগুনা সদরের ঘটবাড়িয়া গ্রামের আবদুল লতিফ ফরায়েজীর স্ত্রী জাহানারা বেগমকে (৬০) প্রায় ২৫ বছর পর খুঁজে পেয়েছে তাঁর স্বজনেরা। আজ শুক্রবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার জাঙ্গালিয়া বাজার এলাকা থেকে তাঁকে নিয়ে যান স্বজনেরা। ১৯৯৯ সালে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে নিখোঁজ হয়েছিলেন তিনি।
৩১ মিনিট আগে