নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
এসএসসি পরীক্ষার নির্ধারিত সময় শেষে পরীক্ষার্থীর উত্তরপত্র এবং ওএমআর শিট পূরণ করে দিয়েছেন কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা দুই শিক্ষক। সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং আমির মিয়া উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার চারটি ভিডিওচিত্র ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
এদিকে ঘটনা জানাজানির পর সিলেটজুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। এ ঘটনায় গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত অর্থনীতি/জীববিজ্ঞান (তত্ত্বীয়) এবং রোববার অনুষ্ঠিত বিজ্ঞান/উচ্চতর গণিত (তত্ত্বীয়) বিষয়ের এমসিকিউ ওএমআর উত্তরপত্র পূরণ করেন আল মেহরাব ও কাওসার আহমদ নামের দুই শিক্ষক। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর চলতি এসএসসি পরীক্ষার এমসিকিউ ওএমআর উত্তরপত্র পূরণ করেন তাঁরা। ঘটনাগুলোর ভিডিওচিত্র ফাঁস হয়েছে। ভিডিওগুলো গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং আমির মিয়া উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের।
ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেয় পাশের হাজী সোহরাব আলী উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে। পরীক্ষা শেষে তাদের খাতা মূল কেন্দ্র আমির মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে পৌঁছে দেওয়ার পর ওই প্রতিষ্ঠানের দুজন খণ্ডকালীন শিক্ষক ওই কাজ করেন। আজকের পত্রিকার হাতে আসা ভিডিওগুলো গত বৃহস্পতিবার ও রোববার পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর গোয়াইনঘাটের জাফলং আমির মিয়া উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের।
একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, পরীক্ষা শেষে আমির মিয়া উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে কিছু শিক্ষার্থী অবস্থান করছে। অফিসে একাধিক শিক্ষার্থীকে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। এক ছাত্রকে রেজিস্ট্রেশন নম্বর নিয়ে বাবু স্যারের সঙ্গে দেখা করতে বলেন এক শিক্ষক। আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, দুজন শিক্ষক বৃত্ত ভরাট করছেন। ২ মিনিট ১২ সেকেন্ডের আরেকটি ভিডিওতে দেখা গেছে, এক ছাত্রীকে বিভাগ জিজ্ঞাসা করছেন এক শিক্ষক।
আরেক ছাত্রকে কেউ একজন ধমক দিচ্ছেন। ওএমআর শিট ঠিক করে রাখতে দেখা গেছে একজনকে। প্রায় ৪১ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, দুজন শিক্ষক জীববিজ্ঞান পাঠ্যবই ও উত্তরপত্র দেখে দেখে এমসিকিউ ওএমআর উত্তরপত্রের বৃত্ত ভরাট করছেন।
তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন শিক্ষক আল মেহরাব ও কাওসার আহমদ। তাঁরা সরাসরি তাঁদের সঙ্গে দেখা করে কথা বলতে বলেন। অন্যথায় প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে আলাপ করতে বলেন।
এদিকে প্রতি কেন্দ্রের খাতা যথাসময়ে পৌঁছে দেওয়া হলেও আমির মিয়া উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের খাতা দেরিতে ডাক অফিসে পৌঁছায়। তাতে সন্দেহ হওয়ার পর গোপনে কে বা কারা কেন্দ্রে অবস্থান নিয়ে ভিডিও ধারণ করেন। ওইসব ভিডিও গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট অনেকের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। রোববার রাতে ফেসবুকে এসব ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে আমির মিয়া উচ্চবিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিব ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এইচ এম মনিরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন। এখন এ বিষয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না।
জানতে চাইলে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিলুর রহমান এ ঘটনাকে দুঃখজনক উল্লেখ করে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ভিডিও ক্লিপ পাওয়ার পর রোববার রাতে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে প্রাথমিক সত্যতা পাই। তাৎক্ষণিকভাবে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে সে অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসএসসি পরীক্ষার নির্ধারিত সময় শেষে পরীক্ষার্থীর উত্তরপত্র এবং ওএমআর শিট পূরণ করে দিয়েছেন কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা দুই শিক্ষক। সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং আমির মিয়া উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার চারটি ভিডিওচিত্র ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
এদিকে ঘটনা জানাজানির পর সিলেটজুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। এ ঘটনায় গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত অর্থনীতি/জীববিজ্ঞান (তত্ত্বীয়) এবং রোববার অনুষ্ঠিত বিজ্ঞান/উচ্চতর গণিত (তত্ত্বীয়) বিষয়ের এমসিকিউ ওএমআর উত্তরপত্র পূরণ করেন আল মেহরাব ও কাওসার আহমদ নামের দুই শিক্ষক। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর চলতি এসএসসি পরীক্ষার এমসিকিউ ওএমআর উত্তরপত্র পূরণ করেন তাঁরা। ঘটনাগুলোর ভিডিওচিত্র ফাঁস হয়েছে। ভিডিওগুলো গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং আমির মিয়া উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের।
ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেয় পাশের হাজী সোহরাব আলী উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে। পরীক্ষা শেষে তাদের খাতা মূল কেন্দ্র আমির মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে পৌঁছে দেওয়ার পর ওই প্রতিষ্ঠানের দুজন খণ্ডকালীন শিক্ষক ওই কাজ করেন। আজকের পত্রিকার হাতে আসা ভিডিওগুলো গত বৃহস্পতিবার ও রোববার পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর গোয়াইনঘাটের জাফলং আমির মিয়া উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের।
একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, পরীক্ষা শেষে আমির মিয়া উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে কিছু শিক্ষার্থী অবস্থান করছে। অফিসে একাধিক শিক্ষার্থীকে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। এক ছাত্রকে রেজিস্ট্রেশন নম্বর নিয়ে বাবু স্যারের সঙ্গে দেখা করতে বলেন এক শিক্ষক। আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, দুজন শিক্ষক বৃত্ত ভরাট করছেন। ২ মিনিট ১২ সেকেন্ডের আরেকটি ভিডিওতে দেখা গেছে, এক ছাত্রীকে বিভাগ জিজ্ঞাসা করছেন এক শিক্ষক।
আরেক ছাত্রকে কেউ একজন ধমক দিচ্ছেন। ওএমআর শিট ঠিক করে রাখতে দেখা গেছে একজনকে। প্রায় ৪১ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, দুজন শিক্ষক জীববিজ্ঞান পাঠ্যবই ও উত্তরপত্র দেখে দেখে এমসিকিউ ওএমআর উত্তরপত্রের বৃত্ত ভরাট করছেন।
তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন শিক্ষক আল মেহরাব ও কাওসার আহমদ। তাঁরা সরাসরি তাঁদের সঙ্গে দেখা করে কথা বলতে বলেন। অন্যথায় প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে আলাপ করতে বলেন।
এদিকে প্রতি কেন্দ্রের খাতা যথাসময়ে পৌঁছে দেওয়া হলেও আমির মিয়া উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের খাতা দেরিতে ডাক অফিসে পৌঁছায়। তাতে সন্দেহ হওয়ার পর গোপনে কে বা কারা কেন্দ্রে অবস্থান নিয়ে ভিডিও ধারণ করেন। ওইসব ভিডিও গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট অনেকের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। রোববার রাতে ফেসবুকে এসব ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে আমির মিয়া উচ্চবিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিব ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এইচ এম মনিরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন। এখন এ বিষয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না।
জানতে চাইলে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিলুর রহমান এ ঘটনাকে দুঃখজনক উল্লেখ করে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ভিডিও ক্লিপ পাওয়ার পর রোববার রাতে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে প্রাথমিক সত্যতা পাই। তাৎক্ষণিকভাবে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে সে অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজধানীর আজিমপুরে মেডিকেল স্টাফ কোয়ার্টারের একটি বাসায় দিনদুপুরে ডাকাতিসহ বাচ্চাকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আজ শুক্রবার দুপুরে লালবাগ টাওয়ারের পাশে ফারজানা আক্তার নামের এক নারীর বাসায় এ ঘটনা ঘটে
৪ মিনিট আগেবরগুনা সদরের ঘটবাড়িয়া গ্রামের আবদুল লতিফ ফরায়েজীর স্ত্রী জাহানারা বেগমকে (৬০) প্রায় ২৫ বছর পর খুঁজে পেয়েছে তাঁর স্বজনেরা। আজ শুক্রবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার জাঙ্গালিয়া বাজার এলাকা থেকে তাঁকে নিয়ে যান স্বজনেরা। ১৯৯৯ সালে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে নিখোঁজ হয়েছিলেন তিনি।
১২ মিনিট আগেসিলেটে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা-গুলির অভিযোগে করা মামলায় সিলেট মহানগর যুবলীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৯)। গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
২৭ মিনিট আগেকবির বলেন, ‘আমার ছেলে তো কোনো রাজনীতি করত না। কোনো অন্যায় করেনি। তাহলে কেন এভাবে তাকে হত্যা করা হলো? সায়েম দেশের জন্য শহীদ হলেও সরকার থেকে বা অন্য কেউ কোনো খবর নিতে আসেনি।’
৩৮ মিনিট আগে