হবিগঞ্জ ও নবীগঞ্জ প্রতিনিধি
গরম শুরু হতে না হতেই বিদ্যুদ্বিভ্রাটে (লোডশেডিং) অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন হবিগঞ্জের বাসিন্দারা। প্রতি এক ঘণ্টা পর পর লোডশেডিংয়ের ফলে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তর, আদালত, কলকারখানা, গৃহস্থলির সব ধরনের কাজে ব্যাঘাত হচ্ছে।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের হবিগঞ্জ নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলায় দিনে ১৪ ও রাতে ১৬ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে। তবে চাহিদার কখনো অর্ধেক আবার কখনো অর্ধেকেরও কম বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় জাতীয় গ্রিড থেকে। যার কারণে ৭টির ফিডারে ১ ঘণ্টা বিদ্যুৎ এবং ১ ঘণ্টা লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে। ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা জানান, রমজান মাসে ইফতার সাহ্রি ও তারাবি নামাজের সময়ও লোডশেডিং হচ্ছে।
জানা গেছে, সম্প্রতি বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্রের প্যানেল বোর্ডে আগুন ধরে গেলে প্যানেলসহ ট্রান্সফরমারের ব্যাপক ক্ষতি হয়। ভেঙে পড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা। এতে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থায় আরও বিঘ্ন ঘটে।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের হবিগঞ্জ নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ের সহকারি প্রকৌশলী চাঁদনী আক্তার জানান, পুড়ে যাওয়া ট্রান্সফরমার ও প্যানেলের যন্ত্রপাতি ঢাকা থেকে এনে কাজ শুরু হয়েছে। কবে নাগাদ শেষ হবে, তা বলা যাচ্ছে না। তবে ঈদের আগে নতুন প্যানেল বোর্ড ও ট্রান্সফরমার স্থাপন শেষ করার চেষ্টা চলছে।
এদিকে হবিগঞ্জে একটি বিদ্যুৎ সাব-স্টেশনের নির্মাণকাজ দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে আছে। শহরের আধুনিক স্টেডিয়ামের কাছে ২-৩ বছর আগে সাব-স্টেশনের নির্মাণকাজ শুরু হলেও তা শেষ হয়নি। ঢিমেতালে চলা এই কাজ কবে শেষ হবে, তা জানাতে পারেননি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
তোফায়েল আহমেদ নামের এক গ্রাহক বলেন, ‘ঘন ঘন বিদ্যুৎ আসা-যাওয়ার কারণে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম নষ্ট হচ্ছে। পাম্পের সাহায্যে পানি তোলা যাচ্ছে না। প্রিপেইড মিটার ব্যবহার করার পরেও যদি বিদ্যুৎ না পাই, তাহলে এ দুঃখ রাখি কোথায়?’
এদিকে নবীগঞ্জ উপজেলায় ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে লোডশেডিং। তীব্র গরমের মধ্যে ঝড়ের প্রভাব ও বিদ্যুৎবিভ্রাটের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে মানুষ। মানুষের মাঝে হাঁসফাঁস দেখা দিয়েছে। চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ না পাওয়ায় এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা। অন্যদিকে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনায় ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার দুপুরে নবীগঞ্জ উপজেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল থেকে সারা দিন বিদ্যুৎ ছিল না উপজেলা বেশির ভাগ গ্রামে।
গজনাইপুর ইউনিয়নের কায়স্থ গ্রামের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ফয়ছল আহমেদ বলেন, ‘রোববার রাত থেকে আজ (বুধবার) বিকেল পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মনে হয় ৮-৯ ঘণ্টা বিদ্যুৎ ছিল।’
দেবপাড়ার শেখ রাসেল বলেন, ‘গত তিন দিনে প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ২০-২১ ঘণ্টাই বিদ্যুৎ ছিল না।’
নবীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের উপমহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ ফয়জুল্লাহ বলেন, ‘অতিরিক্ত লোডশেডিং হচ্ছে। চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাচ্ছে না।’
গরম শুরু হতে না হতেই বিদ্যুদ্বিভ্রাটে (লোডশেডিং) অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন হবিগঞ্জের বাসিন্দারা। প্রতি এক ঘণ্টা পর পর লোডশেডিংয়ের ফলে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তর, আদালত, কলকারখানা, গৃহস্থলির সব ধরনের কাজে ব্যাঘাত হচ্ছে।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের হবিগঞ্জ নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলায় দিনে ১৪ ও রাতে ১৬ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে। তবে চাহিদার কখনো অর্ধেক আবার কখনো অর্ধেকেরও কম বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় জাতীয় গ্রিড থেকে। যার কারণে ৭টির ফিডারে ১ ঘণ্টা বিদ্যুৎ এবং ১ ঘণ্টা লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে। ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা জানান, রমজান মাসে ইফতার সাহ্রি ও তারাবি নামাজের সময়ও লোডশেডিং হচ্ছে।
জানা গেছে, সম্প্রতি বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্রের প্যানেল বোর্ডে আগুন ধরে গেলে প্যানেলসহ ট্রান্সফরমারের ব্যাপক ক্ষতি হয়। ভেঙে পড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা। এতে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থায় আরও বিঘ্ন ঘটে।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের হবিগঞ্জ নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ের সহকারি প্রকৌশলী চাঁদনী আক্তার জানান, পুড়ে যাওয়া ট্রান্সফরমার ও প্যানেলের যন্ত্রপাতি ঢাকা থেকে এনে কাজ শুরু হয়েছে। কবে নাগাদ শেষ হবে, তা বলা যাচ্ছে না। তবে ঈদের আগে নতুন প্যানেল বোর্ড ও ট্রান্সফরমার স্থাপন শেষ করার চেষ্টা চলছে।
এদিকে হবিগঞ্জে একটি বিদ্যুৎ সাব-স্টেশনের নির্মাণকাজ দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে আছে। শহরের আধুনিক স্টেডিয়ামের কাছে ২-৩ বছর আগে সাব-স্টেশনের নির্মাণকাজ শুরু হলেও তা শেষ হয়নি। ঢিমেতালে চলা এই কাজ কবে শেষ হবে, তা জানাতে পারেননি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
তোফায়েল আহমেদ নামের এক গ্রাহক বলেন, ‘ঘন ঘন বিদ্যুৎ আসা-যাওয়ার কারণে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম নষ্ট হচ্ছে। পাম্পের সাহায্যে পানি তোলা যাচ্ছে না। প্রিপেইড মিটার ব্যবহার করার পরেও যদি বিদ্যুৎ না পাই, তাহলে এ দুঃখ রাখি কোথায়?’
এদিকে নবীগঞ্জ উপজেলায় ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে লোডশেডিং। তীব্র গরমের মধ্যে ঝড়ের প্রভাব ও বিদ্যুৎবিভ্রাটের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে মানুষ। মানুষের মাঝে হাঁসফাঁস দেখা দিয়েছে। চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ না পাওয়ায় এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা। অন্যদিকে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনায় ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার দুপুরে নবীগঞ্জ উপজেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল থেকে সারা দিন বিদ্যুৎ ছিল না উপজেলা বেশির ভাগ গ্রামে।
গজনাইপুর ইউনিয়নের কায়স্থ গ্রামের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ফয়ছল আহমেদ বলেন, ‘রোববার রাত থেকে আজ (বুধবার) বিকেল পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মনে হয় ৮-৯ ঘণ্টা বিদ্যুৎ ছিল।’
দেবপাড়ার শেখ রাসেল বলেন, ‘গত তিন দিনে প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ২০-২১ ঘণ্টাই বিদ্যুৎ ছিল না।’
নবীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের উপমহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ ফয়জুল্লাহ বলেন, ‘অতিরিক্ত লোডশেডিং হচ্ছে। চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাচ্ছে না।’
গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী পূর্ব থানার হাজতখানার ভেতরে আপসের শর্তে বাদী ও আসামির টাকা লেনদেনের ভিডিও নিয়ে মহানগর পুলিশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া দায়িত্বে অবহেলার কারণে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে শোকজ ও বদলি এবং ডিউটি অফিসারকে শোকজ করা হয়েছ
১ মিনিট আগেরাজধানীর হাজারীবাগের ট্যানারিগুলোকে সাভারের হেমায়েতপুরের চামড়া শিল্পনগরে স্থানান্তর করা হয়েছে প্রায় সাত বছর আগে। কিন্তু ট্যানারির দূষণ এখনো রয়ে গেছে হাজারীবাগে। ওই এলাকায় চামড়া প্রক্রিয়াজাত করতে ব্যবহৃত রাসায়নিকের উৎকট গন্ধ আর খালে প্রবাহিত ট্যানারি বর্জ্য জনজীবনকে দুর্বিষহ করে তুলছে।
১ মিনিট আগেপিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার ভিটাবাড়িয়া ইউনিয়নের শিয়ালকাঠী গ্রামে লোকালয়ে গড়ে ওঠা একটি খামারের কারণে হুমকিতে পড়েছে জনস্বাস্থ্য। গরু, ছাগল ও মুরগির সমন্বয়ে খামারটি করেছেন পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট শহীদুল হক খান পান্না।
১ মিনিট আগেবাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে অভিবাসন, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে যাত্রা করা নাগরিকদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। ইউরোপীয় বিভিন্ন দেশের কনস্যুলেট এবং দূতাবাস কার্যক্রম না থাকায় নাগরিকদের অন্য দেশ অভিমুখী হতে হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে