হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জের বদলপুর ইউনিয়নের পাহাড়পুরে পুকুরে গোসলে নেমে মারা যাওয়া দুই শিশুর লাশ শ্মশানে মাটিচাপা দেওয়া হয়। কিন্তু শ্মশানঘাটে শিশুদের জন্য নির্ধারিত স্থানটি বর্ষায় ডুবে গেছে। সেখানকার পরিবেশ নষ্টের অজুহাত দেখিয়ে পঞ্চায়েত কমিটি চাপ দিয়ে দুই শিশুর লাশ তুলে নদীতে ভাসিয়ে দিতে বাধ্য করেছে।
গত শনিবার (২৯ জনু) সন্ধ্যার দিকে কালনী-কুশিয়ারা বস্তায় ভরে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে দুই শিশুর মরদেহ। এর আগে ওই দিন দুপুরে প্রলয় (৭) ও সূর্য দাস (৬) অন্য শিশুদের সঙ্গে মাহমুদপুর মাঠে ফুটবল খেলা শেষে পুকুরে গোসল করতে নামে। একপর্যায়ে দুই শিশু পা পিছলে পানিতে তলিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাৎক্ষণিক তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
প্রলয় দাসের বাবা গোবিন্দ দাস বলেন, ‘গত ২৯ জুন বেলা সাড়ে তিনটার দিকে আমি আমার ছেলেকে পাহাড়পুর মহাশ্মশানে দেয়াল সংলগ্ন মাটির নিচে সমাধি দেই। কিন্তু গ্রাম পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক দিপেশ দাস, যুগ্ম সম্পাদক নীরঞ্জন তালুকদার ও কোষাধ্যক্ষ অসিত সরকারসহ গ্রাম পঞ্চায়েতের লোকেরা আমাকে ডেকে লাশ তুলে নদীতে ভাসিয়ে দিতে বলেন। আমি লাশ না তোলার জন্য গ্রাম পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষসহ উপস্থিত সবার হাতে পায়ে ধরে কান্নাকাটি করলেও তারা আমার কথা শুনেননি। অবশেষে পঞ্চায়েত কমিটির চাপে বাধ্য হয়ে সন্ধ্যায় আমি ছেলের লাশ তুলে নদীতে ভাসিয়ে দেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি যদি আইনের আশ্রয়ে যাই তাহলে গ্রামবাসী আমার বিরুদ্ধে চলে যাবে। আমাকে গ্রামে থাকতে দিবে না। তাই ভয়ে আইনের সহযোগিতা নেবার সাহস পাচ্ছি না।’
অপর শিশু সূর্য দাসের বাবা রুবেল দাস বলেন, ‘শ্মশানে গোবিন্দ দাসের ছেলের লাশ সমাধিতে বাধার বিষয়টি জানার পর বাধ্য হয়ে আমার ছেলে সূর্যের লাশ বস্তায় ভরে নদীতে ফেলি।’
এ ব্যাপারে গ্রাম পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক দিপেশ দাস, যুগ্ম সম্পাদক নীরঞ্জন তালুকদার ও কোষাধ্যক্ষ অসিত সরকার জানান, এটি গ্রাম কমিটির সবার সিদ্ধান্ত। শ্মশানের পরিবেশ পরিষ্কার রাখার জন্য পাশে কোনো সমাধি করা যাবে না।
বদলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুসেনজিৎ চৌধুরী মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি লোকমুখে শুনেছি। ঘটনাটি অমানবিক। শ্মশান তো মানুষের সৎকারের জন্যই। শ্মশানের পরিচ্ছন্নতার বিষয় কেন আসবে?’
আজমিরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ডালিম আহমেদ বলেন, বিষয়টি জানার পর পাহাড়পুর গ্রামে যান। সেখানে শিশুদের অভিভাবক, স্থানীয় লোকজন ও পঞ্চায়েত নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
ওসি জানান, শিশুদের জন্য শ্মশানের জন্য নির্ধারিত স্থান রয়েছে। বর্ষার কারণে স্থানটি ডুবে যায়। যে কারণে শ্মশানের একটি স্থানে মাটিতে দুই শিশুর মরদেহ পুঁতে রাখতে হয়। কিন্তু ধর্মীয় ও গ্রামের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সেখানে মরদেহ সমাহিত করা যাবে না। এ জন্য গ্রামের পঞ্চায়েতের লোকজন দুই শিশুর বাবাকে চাপ দেয়। একপর্যায়ে মাটির নিচ থেকে তুলে দুই শিশুকে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়।
ওসি মোহাম্মদ ডালিম আহমেদ আরও বলেন, এরপরও যদি কেউ বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ দেন। তাহলে পুলিশ আইন মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জের বদলপুর ইউনিয়নের পাহাড়পুরে পুকুরে গোসলে নেমে মারা যাওয়া দুই শিশুর লাশ শ্মশানে মাটিচাপা দেওয়া হয়। কিন্তু শ্মশানঘাটে শিশুদের জন্য নির্ধারিত স্থানটি বর্ষায় ডুবে গেছে। সেখানকার পরিবেশ নষ্টের অজুহাত দেখিয়ে পঞ্চায়েত কমিটি চাপ দিয়ে দুই শিশুর লাশ তুলে নদীতে ভাসিয়ে দিতে বাধ্য করেছে।
গত শনিবার (২৯ জনু) সন্ধ্যার দিকে কালনী-কুশিয়ারা বস্তায় ভরে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে দুই শিশুর মরদেহ। এর আগে ওই দিন দুপুরে প্রলয় (৭) ও সূর্য দাস (৬) অন্য শিশুদের সঙ্গে মাহমুদপুর মাঠে ফুটবল খেলা শেষে পুকুরে গোসল করতে নামে। একপর্যায়ে দুই শিশু পা পিছলে পানিতে তলিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাৎক্ষণিক তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
প্রলয় দাসের বাবা গোবিন্দ দাস বলেন, ‘গত ২৯ জুন বেলা সাড়ে তিনটার দিকে আমি আমার ছেলেকে পাহাড়পুর মহাশ্মশানে দেয়াল সংলগ্ন মাটির নিচে সমাধি দেই। কিন্তু গ্রাম পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক দিপেশ দাস, যুগ্ম সম্পাদক নীরঞ্জন তালুকদার ও কোষাধ্যক্ষ অসিত সরকারসহ গ্রাম পঞ্চায়েতের লোকেরা আমাকে ডেকে লাশ তুলে নদীতে ভাসিয়ে দিতে বলেন। আমি লাশ না তোলার জন্য গ্রাম পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষসহ উপস্থিত সবার হাতে পায়ে ধরে কান্নাকাটি করলেও তারা আমার কথা শুনেননি। অবশেষে পঞ্চায়েত কমিটির চাপে বাধ্য হয়ে সন্ধ্যায় আমি ছেলের লাশ তুলে নদীতে ভাসিয়ে দেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি যদি আইনের আশ্রয়ে যাই তাহলে গ্রামবাসী আমার বিরুদ্ধে চলে যাবে। আমাকে গ্রামে থাকতে দিবে না। তাই ভয়ে আইনের সহযোগিতা নেবার সাহস পাচ্ছি না।’
অপর শিশু সূর্য দাসের বাবা রুবেল দাস বলেন, ‘শ্মশানে গোবিন্দ দাসের ছেলের লাশ সমাধিতে বাধার বিষয়টি জানার পর বাধ্য হয়ে আমার ছেলে সূর্যের লাশ বস্তায় ভরে নদীতে ফেলি।’
এ ব্যাপারে গ্রাম পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক দিপেশ দাস, যুগ্ম সম্পাদক নীরঞ্জন তালুকদার ও কোষাধ্যক্ষ অসিত সরকার জানান, এটি গ্রাম কমিটির সবার সিদ্ধান্ত। শ্মশানের পরিবেশ পরিষ্কার রাখার জন্য পাশে কোনো সমাধি করা যাবে না।
বদলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুসেনজিৎ চৌধুরী মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি লোকমুখে শুনেছি। ঘটনাটি অমানবিক। শ্মশান তো মানুষের সৎকারের জন্যই। শ্মশানের পরিচ্ছন্নতার বিষয় কেন আসবে?’
আজমিরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ডালিম আহমেদ বলেন, বিষয়টি জানার পর পাহাড়পুর গ্রামে যান। সেখানে শিশুদের অভিভাবক, স্থানীয় লোকজন ও পঞ্চায়েত নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
ওসি জানান, শিশুদের জন্য শ্মশানের জন্য নির্ধারিত স্থান রয়েছে। বর্ষার কারণে স্থানটি ডুবে যায়। যে কারণে শ্মশানের একটি স্থানে মাটিতে দুই শিশুর মরদেহ পুঁতে রাখতে হয়। কিন্তু ধর্মীয় ও গ্রামের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সেখানে মরদেহ সমাহিত করা যাবে না। এ জন্য গ্রামের পঞ্চায়েতের লোকজন দুই শিশুর বাবাকে চাপ দেয়। একপর্যায়ে মাটির নিচ থেকে তুলে দুই শিশুকে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়।
ওসি মোহাম্মদ ডালিম আহমেদ আরও বলেন, এরপরও যদি কেউ বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ দেন। তাহলে পুলিশ আইন মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় গৃহবধূ উম্মে সালমাকে হত্যার পর ডিপ ফ্রিজে রাখার ঘটনাটি নতুন মোড় নিয়েছে। উম্মে সালমার ছেলে সাদ বিন আজিজুর রহমানকে গ্রেপ্তারের পর এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত বলে দাবি করেছিল র্যাব। তবে পুলিশ বলছে, ওই বাড়ির ভাড়াটিয়ারা এ হত্যা ঘটিয়েছেন।
১৫ মিনিট আগেনিহত ফয়সাল খান শুভ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার কাশিপুর এলাকার মো. সেলিম খানের ছেলে। তিনি কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ সম্পন্ন করে নগরীর কেওয়াটখালী পাওয়ার হাউজ রোডে বোন জামাইয়ের বাসায় থেকে চাকরির জন্য চেষ্টা করছিলেন।
২৫ মিনিট আগেরাজধানীর ধানমন্ডিতে নিজ বাসায় তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার সময় ছুরিকাঘাতে যুক্তরাজ্যপ্রবাসী এ কে এম আব্দুর রশিদকে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় হাজারীবাগ মডেল থানায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন।
২ ঘণ্টা আগেসিরাজগঞ্জে বঙ্গবন্ধু ইকোপার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রিপন মিয়াকে চাঁদাবাজির অভিযোগে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে সিরাজগঞ্জ শহরের রহমতগঞ্জে ছয়টি পিকআপ ভ্যানে চাঁদা চাইলে তাঁকে আটক করে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগে