ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
বাবার ইচ্ছা পূরণে ১০টি গরু-মহিষের গাড়িতে চড়ে বিয়ে করলেন নীরব সাব্বীর নামের এক যুবক। গ্রাম এলাকায় এমন ব্যতিক্রমী বিয়ের আয়োজন দেখে শত শত উৎসুক নারী-পুরুষ সেখানে ভিড় করেছেন। নীরব সাব্বীর ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার খামার নারায়ণপুর গ্রামের কুদ্দুস আলীর ছেলে।
গতকাল শুক্রবার রাতে তার বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে একই উপজেলার দুর্গাপুর এলাকার সিরাজুল ইসলামে মেয়ে ইসরাত জাহান এশা আক্তারের সঙ্গে।
বর নীরব সাব্বীর বলেন, ‘একসময় গ্রামবাংলার মানুষের যাতায়াতের বাহনই ছিল গরু-মহিষের গাড়ি। বাবা ছোট বেলা থেকে বলতেন, বড় হলে আমাকে গরু মহিষের বাহনে চড়িয়ে বর যাত্রী পাঠাবেন। বাবা স্বপ্ন পূরণে তাই ৯টি মহিষের গাড়ি ও ১টি গরুর গাড়ি ব্যবস্থা করে বিয়ে করতে যাই। পরে নববধূকে নিয়ে আবারও একই বাহনে চড়ে বাসায় ফিরি।’
বরের বাবা কুদ্দুস আলী বলেন, ‘আমার স্বপ্ন ছিল ছেলেকে গরু-মহিষের গাড়িতে চড়ে বিয়ে করাব। মহান আল্লাহ আমার ইচ্ছে পূরণ করেছে।’
কনের চাচা জয়নাল আবদিন বলেন, ‘বর এবং তার পরিবারের ইচ্ছানুযায়ী গরু-মহিষের গাড়িতে বরযাত্রী আসার কথা জানালে আমরাও তাদের কথায় সায় দিই। অনেক বছর পর মহিষের গাড়িতে চড়ে বর যাত্রী আসায় খবর শুনে রাস্তায় ও বাড়ির আশেপাশে শত শত মানুষের ঢল নামে।’
নারায়ণপুর গ্রামে রুহুল আমিন নামের এক স্কুলশিক্ষক বলেন, ‘গরু ও মহিষের গাড়িতে চড়ে বিয়ে করতে যাওয়ার দৃশ্য আগে দেখা যেত। এ সংস্কৃতি একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে। বহু বছর পর এমন দৃশ্য পরিবারসহ দেখলাম। এতে হারানো দিনের কথা মনে পড়ে গেল।’
পীরগঞ্জের বৈরচুনা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন বলেন, ‘আধুনিক সভ্যতার যুগেও গুরুত্ব ফুরায়নি পুরোনো ঐতিহ্যের এ বাহনটি। গরু মহিষের গাড়িতে চড়ে বিয়ে করাটি সত্যিকার অর্থে প্রশংসনীয়।’
ঠাকুরগাঁওয়ের বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তি অধ্যাপক মনতোষ কুমার দে বলেন, ‘একসময় গরুর গাড়িতে বিয়ে, বরযাত্রী, পরিবহন, নাইওর আনা-নেওয়া ইত্যাদি হতো খুব জাঁকজমকভাবে। কিন্তু কালের বিবর্তনে সেসব গরু মহিষের গাড়ি এখন বিলীন হয়ে যেতে বসেছে। চিরায়ত বাঙালির এ ঐতিহ্য জিইয়ে রাখতে হলে বিয়ে বা যেকোনো উৎসবের আমেজে গরু ও মহিষের গাড়ি প্রচলন বৃদ্ধি করতে হবে। এভাবেই টিকে থাকবে আমাদের গ্রামবাংলার আবহমান সংস্কৃতি।’
বাবার ইচ্ছা পূরণে ১০টি গরু-মহিষের গাড়িতে চড়ে বিয়ে করলেন নীরব সাব্বীর নামের এক যুবক। গ্রাম এলাকায় এমন ব্যতিক্রমী বিয়ের আয়োজন দেখে শত শত উৎসুক নারী-পুরুষ সেখানে ভিড় করেছেন। নীরব সাব্বীর ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার খামার নারায়ণপুর গ্রামের কুদ্দুস আলীর ছেলে।
গতকাল শুক্রবার রাতে তার বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে একই উপজেলার দুর্গাপুর এলাকার সিরাজুল ইসলামে মেয়ে ইসরাত জাহান এশা আক্তারের সঙ্গে।
বর নীরব সাব্বীর বলেন, ‘একসময় গ্রামবাংলার মানুষের যাতায়াতের বাহনই ছিল গরু-মহিষের গাড়ি। বাবা ছোট বেলা থেকে বলতেন, বড় হলে আমাকে গরু মহিষের বাহনে চড়িয়ে বর যাত্রী পাঠাবেন। বাবা স্বপ্ন পূরণে তাই ৯টি মহিষের গাড়ি ও ১টি গরুর গাড়ি ব্যবস্থা করে বিয়ে করতে যাই। পরে নববধূকে নিয়ে আবারও একই বাহনে চড়ে বাসায় ফিরি।’
বরের বাবা কুদ্দুস আলী বলেন, ‘আমার স্বপ্ন ছিল ছেলেকে গরু-মহিষের গাড়িতে চড়ে বিয়ে করাব। মহান আল্লাহ আমার ইচ্ছে পূরণ করেছে।’
কনের চাচা জয়নাল আবদিন বলেন, ‘বর এবং তার পরিবারের ইচ্ছানুযায়ী গরু-মহিষের গাড়িতে বরযাত্রী আসার কথা জানালে আমরাও তাদের কথায় সায় দিই। অনেক বছর পর মহিষের গাড়িতে চড়ে বর যাত্রী আসায় খবর শুনে রাস্তায় ও বাড়ির আশেপাশে শত শত মানুষের ঢল নামে।’
নারায়ণপুর গ্রামে রুহুল আমিন নামের এক স্কুলশিক্ষক বলেন, ‘গরু ও মহিষের গাড়িতে চড়ে বিয়ে করতে যাওয়ার দৃশ্য আগে দেখা যেত। এ সংস্কৃতি একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে। বহু বছর পর এমন দৃশ্য পরিবারসহ দেখলাম। এতে হারানো দিনের কথা মনে পড়ে গেল।’
পীরগঞ্জের বৈরচুনা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন বলেন, ‘আধুনিক সভ্যতার যুগেও গুরুত্ব ফুরায়নি পুরোনো ঐতিহ্যের এ বাহনটি। গরু মহিষের গাড়িতে চড়ে বিয়ে করাটি সত্যিকার অর্থে প্রশংসনীয়।’
ঠাকুরগাঁওয়ের বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তি অধ্যাপক মনতোষ কুমার দে বলেন, ‘একসময় গরুর গাড়িতে বিয়ে, বরযাত্রী, পরিবহন, নাইওর আনা-নেওয়া ইত্যাদি হতো খুব জাঁকজমকভাবে। কিন্তু কালের বিবর্তনে সেসব গরু মহিষের গাড়ি এখন বিলীন হয়ে যেতে বসেছে। চিরায়ত বাঙালির এ ঐতিহ্য জিইয়ে রাখতে হলে বিয়ে বা যেকোনো উৎসবের আমেজে গরু ও মহিষের গাড়ি প্রচলন বৃদ্ধি করতে হবে। এভাবেই টিকে থাকবে আমাদের গ্রামবাংলার আবহমান সংস্কৃতি।’
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে যৌথবাহিনী রাতভর অভিযান চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি, ককটেল, দেশীয় অস্ত্রসহ যুবদল, ছাত্রদল ও যুবলীগের তিন নেতাকে আটক করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ২টা থেকে আজ শুক্রবার ভোর ৬টা পর্যন্ত উপজেলার পিয়ারপুর ও জগন্নাথপুর গ্রামে এই অভিযান চালানো হয়।
৩ মিনিট আগেবগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় গৃহবধূ উম্মে সালমাকে হত্যার পর ডিপ ফ্রিজে রাখার ঘটনাটি নতুন মোড় নিয়েছে। উম্মে সালমার ছেলে সাদ বিন আজিজুর রহমানকে গ্রেপ্তারের পর এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত বলে দাবি করেছিল র্যাব। তবে পুলিশ বলছে, ওই বাড়ির ভাড়াটিয়ারা এ হত্যা ঘটিয়েছেন।
২৩ মিনিট আগেনিহত ফয়সাল খান শুভ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার কাশিপুর এলাকার মো. সেলিম খানের ছেলে। তিনি কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ সম্পন্ন করে নগরীর কেওয়াটখালী পাওয়ার হাউজ রোডে বোন জামাইয়ের বাসায় থেকে চাকরির জন্য চেষ্টা করছিলেন।
৩২ মিনিট আগেরাজধানীর ধানমন্ডিতে নিজ বাসায় তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার সময় ছুরিকাঘাতে যুক্তরাজ্যপ্রবাসী এ কে এম আব্দুর রশিদকে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় হাজারীবাগ মডেল থানায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন।
২ ঘণ্টা আগে