মেহেদী হাসান, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
কুয়াশাচ্ছন্ন ভোরে সবে সূর্যের লাল আভা ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। এমন সময় মাটির তৈরি বিশাল এক চুলায় কড়াই বসিয়ে সেখানে খেজুরের রস জ্বাল করছেন কয়েকজন গাছি। তৈরি করছেন খেজুরের গুড়।
শীত শুরু না হতেই সংগৃহীত খেজুরের রস থেকে গুড় তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন গাছিরা। এ দৃশ্য চোখে পড়ে সীমান্তঘেঁষা জেলা দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার বারকোনা গ্রামের শেষ সীমানায়।
সরেজমিনে দেখা গেল রস থেকে গুড় তৈরির প্রক্রিয়া। রেললাইনের দুপাশে সারি সারি খেজুরের গাছে লটকানো রয়েছে মাটির হাঁড়ি। ভোরের সূর্য ওঠার আগে গাছিরা রসভর্তি মাটির হাঁড়ি গাছ থেকে নামাচ্ছেন। এরপর মাটির তৈরি চুলায় টিনের বড় কড়াইয়ে জ্বাল করে গুড়-পাটালি ও লালি তৈরি করছেন। নতুন খেজুর রসের গুড় তৈরির পর তা চলে যাচ্ছে বাজারে। রস সংগ্রহ, গুড় তৈরি ও বাজারে বিক্রি করতে এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তাঁরা।
তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, রাজশাহীর বাঘা উপজেলার চণ্ডীপুর গ্রামের মো. রবিউল ইসলাম (৪২), হাবিবুর রহমান (৩৫), রবিউল ইসলাম রবি (৩২) খেজুরের গুড় তৈরির কাজে চলে এসেছেন ফুলবাড়ীতে। দীর্ঘদিন ধরেই তাঁরা গুড় তৈরির কাজ করে আসছেন। বছরের পাঁচ মাস তাঁরা এই কাজ করেন দেশের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে। বাকি সময় এলাকায় থেকে অন্য ব্যবসা করেন।
গাছি রবিউল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাপ-দাদার কাছ থেকে এই কাজ শিখেছি। দেশের বিভিন্ন স্থানে খেজুরগাছ কন্ট্রাক্ট নিয়ে রস নামিয়ে গুড় তৈরি করে বিক্রি করি। আশ্বিন মাসের ১৫ তারিখে এবারই প্রথম ফুলবাড়ীতে এসেছি। এটাই আমার মূল ব্যবসা। বাকি সময় আমার এলাকায় অন্য ছোট ব্যবসা বা কৃষিকাজ করি।’
গাছিরা জানালেন, ওই এলাকার রেললাইনের পাশের ২৫০টি খেজুরগাছ থেকে রস সংগ্রহ করেন তাঁরা। তা থেকে খেজুরের গুড় তৈরি করে বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। প্রস্তুত করা প্রতিটি গাছ থেকে প্রতিদিন রস সংগ্রহ করা হয়। প্রতিটি গাছ থেকে শুরুতে এক থেকে দুই কেজি করে রস সংগ্রহ হয় এবং আস্তে আস্তে তা বাড়ে।
প্রথমদিকে প্রতিদিন আনুমানিক ২০-২৫ কেজি করে খেজুরের গুড় তৈরি হয়। এটা পর্যায়ক্রমে বেড়ে ১-২ মণ পর্যন্ত গুড় তৈরি হয়। প্রতি কেজি খেজুরের গুড় বাজারে পাইকারদের কাছে ১৮০ টাকায় এবং খুচরা ২০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
গ্রামের ঘরে ঘরে খেজুর রসের পিঠা, পায়েস, গুড়ের মুড়ি-মুড়কি ও নানা ধরনের মুখরোচক খাবার তৈরির ধুম পড়ে এ সময়। তবে অনেকেই বলছেন, বাজারে চিনির দাম বেশি এবং চিনির দামের থেকে একটু বেশি হলেও সুস্বাদু হওয়ায় খেজুরের গুড়ের চাহিদা রয়েছে বেশ।
ভোরেই গুড় কিনতে এসেছেন রফিকুল ইসলাম নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শীত শুরু হয়েছে। পিঠা-পায়েস খেতে স্বাদে গন্ধে সুস্বাদু খেজুরের গুড়ের জুড়ি নেই। গাছিদের তৈরি গুড় মানসম্মত! সে কারণে এখানে গুড় কিনতে এসেছি।’
কুয়াশাচ্ছন্ন ভোরে সবে সূর্যের লাল আভা ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। এমন সময় মাটির তৈরি বিশাল এক চুলায় কড়াই বসিয়ে সেখানে খেজুরের রস জ্বাল করছেন কয়েকজন গাছি। তৈরি করছেন খেজুরের গুড়।
শীত শুরু না হতেই সংগৃহীত খেজুরের রস থেকে গুড় তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন গাছিরা। এ দৃশ্য চোখে পড়ে সীমান্তঘেঁষা জেলা দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার বারকোনা গ্রামের শেষ সীমানায়।
সরেজমিনে দেখা গেল রস থেকে গুড় তৈরির প্রক্রিয়া। রেললাইনের দুপাশে সারি সারি খেজুরের গাছে লটকানো রয়েছে মাটির হাঁড়ি। ভোরের সূর্য ওঠার আগে গাছিরা রসভর্তি মাটির হাঁড়ি গাছ থেকে নামাচ্ছেন। এরপর মাটির তৈরি চুলায় টিনের বড় কড়াইয়ে জ্বাল করে গুড়-পাটালি ও লালি তৈরি করছেন। নতুন খেজুর রসের গুড় তৈরির পর তা চলে যাচ্ছে বাজারে। রস সংগ্রহ, গুড় তৈরি ও বাজারে বিক্রি করতে এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তাঁরা।
তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, রাজশাহীর বাঘা উপজেলার চণ্ডীপুর গ্রামের মো. রবিউল ইসলাম (৪২), হাবিবুর রহমান (৩৫), রবিউল ইসলাম রবি (৩২) খেজুরের গুড় তৈরির কাজে চলে এসেছেন ফুলবাড়ীতে। দীর্ঘদিন ধরেই তাঁরা গুড় তৈরির কাজ করে আসছেন। বছরের পাঁচ মাস তাঁরা এই কাজ করেন দেশের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে। বাকি সময় এলাকায় থেকে অন্য ব্যবসা করেন।
গাছি রবিউল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাপ-দাদার কাছ থেকে এই কাজ শিখেছি। দেশের বিভিন্ন স্থানে খেজুরগাছ কন্ট্রাক্ট নিয়ে রস নামিয়ে গুড় তৈরি করে বিক্রি করি। আশ্বিন মাসের ১৫ তারিখে এবারই প্রথম ফুলবাড়ীতে এসেছি। এটাই আমার মূল ব্যবসা। বাকি সময় আমার এলাকায় অন্য ছোট ব্যবসা বা কৃষিকাজ করি।’
গাছিরা জানালেন, ওই এলাকার রেললাইনের পাশের ২৫০টি খেজুরগাছ থেকে রস সংগ্রহ করেন তাঁরা। তা থেকে খেজুরের গুড় তৈরি করে বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। প্রস্তুত করা প্রতিটি গাছ থেকে প্রতিদিন রস সংগ্রহ করা হয়। প্রতিটি গাছ থেকে শুরুতে এক থেকে দুই কেজি করে রস সংগ্রহ হয় এবং আস্তে আস্তে তা বাড়ে।
প্রথমদিকে প্রতিদিন আনুমানিক ২০-২৫ কেজি করে খেজুরের গুড় তৈরি হয়। এটা পর্যায়ক্রমে বেড়ে ১-২ মণ পর্যন্ত গুড় তৈরি হয়। প্রতি কেজি খেজুরের গুড় বাজারে পাইকারদের কাছে ১৮০ টাকায় এবং খুচরা ২০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
গ্রামের ঘরে ঘরে খেজুর রসের পিঠা, পায়েস, গুড়ের মুড়ি-মুড়কি ও নানা ধরনের মুখরোচক খাবার তৈরির ধুম পড়ে এ সময়। তবে অনেকেই বলছেন, বাজারে চিনির দাম বেশি এবং চিনির দামের থেকে একটু বেশি হলেও সুস্বাদু হওয়ায় খেজুরের গুড়ের চাহিদা রয়েছে বেশ।
ভোরেই গুড় কিনতে এসেছেন রফিকুল ইসলাম নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শীত শুরু হয়েছে। পিঠা-পায়েস খেতে স্বাদে গন্ধে সুস্বাদু খেজুরের গুড়ের জুড়ি নেই। গাছিদের তৈরি গুড় মানসম্মত! সে কারণে এখানে গুড় কিনতে এসেছি।’
ফেনীর পরশুরামে কলেজছাত্র এমরান হোসেন রিফাত হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে ছয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়। তাঁদের মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করে আজ শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
২২ মিনিট আগেসিলেটে ২৮০ বস্তা ভারতীয় চিনিসহ আকবর মিয়া (৪২) নামের এক ট্রাকচালককে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেটের সীমান্তবর্তী এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে তাঁকে আটক করা হয়।
২৫ মিনিট আগেরাজধানীর আজিমপুরে মেডিকেল স্টাফ কোয়ার্টারের একটি বাসায় দিনদুপুরে ডাকাতিসহ বাচ্চাকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আজ শুক্রবার দুপুরে লালবাগ টাওয়ারের পাশে ফারজানা আক্তার নামের এক নারীর বাসায় এ ঘটনা ঘটে...
৪০ মিনিট আগেবরগুনা সদরের ঘটবাড়িয়া গ্রামের আবদুল লতিফ ফরায়েজীর স্ত্রী জাহানারা বেগমকে (৬০) প্রায় ২৫ বছর পর খুঁজে পেয়েছে তাঁর স্বজনেরা। আজ শুক্রবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার জাঙ্গালিয়া বাজার এলাকা থেকে তাঁকে নিয়ে যান স্বজনেরা। ১৯৯৯ সালে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে নিখোঁজ হয়েছিলেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগে