তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় এক মসজিদের ইমাম মুয়াজ্জিনসহ গ্রামের বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে প্রায় ৪০ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা থানায় ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
আজ রোববার দুপুরে উপজেলার ভজনপুর ইউনিয়নের মালিগছ এলাকায় ওই ইমামকে গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও জুতা-ঝাড়ুমিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ওই এলাকার প্রায় ২০টি পরিবার অংশ নেয়। এ সময় মানববন্ধনে ভুক্তভোগীরা প্রতারক ইমামের ছবিতে জুতা ও ঝাড়ু প্রদর্শন করতে দেখা যায়।
স্থানীয়দের মাধ্যমে জানা যায়, জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী প্রতারক ইমামের নাম আতিকুর রহমান। তিনি নাটোর জেলার সদর উপজেলার তেবাড়িয়া গ্রামের মোজাহার আলীর ছেলে। তবে তিনি বিভিন্ন সময় স্থান বদল করে ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে প্রতারণা করেন বলেও অভিযোগ স্থানীয়দের।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, গত বছর ঐতিহ্যবাহী মালিগছ বামনপাড়া জামে মসজিদের জন্য কমিটি একজন ইমামের সন্ধান করলে এলাকার পরিচিত একজনের মাধ্যমে আতিকুর রহমানকে ইমাম হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ওই সময় আতিকুর রহমান নিজের পরিচয় গোপন রেখে মিথ্যা পরিচয়ে ইমামের চাকরি নেন। এর কিছুদিন পর তিনি ইমামতির পাশাপাশি ঠিকাদারি ব্যবসা ও অসুস্থতার কথা বলে সুদের মাধ্যমে অতিরিক্ত টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্নজনের কাছে টাকা ধার নিতে শুরু করেন। এভাবে দেড় বছরে গ্রামের বিভিন্নজনের কাছ থেকে তিনি প্রায় ৪০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। মসজিদের মুয়াজ্জিনের কাছ থেকেও টাকা ধার নিয়েছেন তিনি। ভুক্তভোগীরা টাকা ফেরত দেওয়ার চাপ দিলে ৪ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে পালিয়ে যান ওই ইমাম।
স্থানীয় বাসিন্দা ও ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ইমাম আতিকুর রহমান মসজিদে দায়িত্ব নেওয়ার দু-এক মাস পর আমাকে বলেন, ভাই আমি তো ঠিকাদারি ব্যবসা করি। আপনারা আমাকে একটু সহযোগিতা করেন। আমি দিনাজপুর বিরলে ৪২ কিলোমিটার রাস্তার কাজ, সিরাজগঞ্জ ও পাবনায় ঠিকাদারি করতেছি, টাকা দিয়ে সহযোগিতা করলে ভালো হতো। বিষয়টি জানার পর ভাবলাম, যেহেতু আমাদের মসজিদের ইমাম, তিনি তো প্রতারণা করবেন না। তাই আমি তাঁকে ধার হিসাবে ৩ লাখ টাকা দিয়েছিলাম।’
রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, ‘কিছুদিন আগে টাকা চাইতে গেলে সেপ্টেম্বর মাসে তাঁর বিল হবে এবং তখন দিয়ে দেবেন বলে জানান। এখন দেখি ৪ সেপ্টেম্বর রাতে তিনি পালিয়ে গেছেন। এখন আমি কী করব, টাকা কীভাবে উদ্ধার করব। ইমাম হয়েও এ রকম প্রতারণা করবেন—তা তো জানা ছিল না। আমরা এ প্রতারককে গ্রেপ্তারের দাবিতে আজ রাস্তায় নেমেছি।’
আরেক ভুক্তভোগী শাহিনা বেগম বলেন, ‘হুজুর (ইমাম) আমার বাসায় ভাড়া থাকতেন। আমার পরিবার থেকে তিনি ২ লাখ ২১ হাজার টাকা হাওলাত নিয়েছেন। রাতের অন্ধকারে তিনি ৪ সেপ্টেম্বরে পালিয়ে গেছেন। এখন আমার পরিবার আমাকে টাকার জন্য খুব চাপ দিচ্ছে। কী করব বুঝতে পারছি না। হুজুর হয়ে এ রকম প্রতারণা করতে পারে জানা ছিল না। এই প্রতারকের কঠিন বিচার চাই।’
এ বিষয়ে মসজিদের কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের বলেন, ‘মসজিদের ইমাম হিসেবে আমরা যখন নিয়োগ দিই, তখন তিনি সব কাগজপত্র জমা দিলেও এখন দেখা যাচ্ছে সেগুলা ভুয়া। খোঁজ নিয়ে ওই এলাকায় তাঁকে কেউ চেনে না। ওই প্রতারক আমার কাছেও হাওলাতের কথা বলে টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছেন।’
তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাঈদ চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কাছে ভুক্তভোগীরা এ বিষয়ে অভিযোগ করেছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফজলে রাব্বী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটি একটি বড় ধরনের অপরাধ। আমার কাছে ভুক্তভোগীরা এসে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।’
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় এক মসজিদের ইমাম মুয়াজ্জিনসহ গ্রামের বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে প্রায় ৪০ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা থানায় ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
আজ রোববার দুপুরে উপজেলার ভজনপুর ইউনিয়নের মালিগছ এলাকায় ওই ইমামকে গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও জুতা-ঝাড়ুমিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ওই এলাকার প্রায় ২০টি পরিবার অংশ নেয়। এ সময় মানববন্ধনে ভুক্তভোগীরা প্রতারক ইমামের ছবিতে জুতা ও ঝাড়ু প্রদর্শন করতে দেখা যায়।
স্থানীয়দের মাধ্যমে জানা যায়, জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী প্রতারক ইমামের নাম আতিকুর রহমান। তিনি নাটোর জেলার সদর উপজেলার তেবাড়িয়া গ্রামের মোজাহার আলীর ছেলে। তবে তিনি বিভিন্ন সময় স্থান বদল করে ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে প্রতারণা করেন বলেও অভিযোগ স্থানীয়দের।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, গত বছর ঐতিহ্যবাহী মালিগছ বামনপাড়া জামে মসজিদের জন্য কমিটি একজন ইমামের সন্ধান করলে এলাকার পরিচিত একজনের মাধ্যমে আতিকুর রহমানকে ইমাম হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ওই সময় আতিকুর রহমান নিজের পরিচয় গোপন রেখে মিথ্যা পরিচয়ে ইমামের চাকরি নেন। এর কিছুদিন পর তিনি ইমামতির পাশাপাশি ঠিকাদারি ব্যবসা ও অসুস্থতার কথা বলে সুদের মাধ্যমে অতিরিক্ত টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্নজনের কাছে টাকা ধার নিতে শুরু করেন। এভাবে দেড় বছরে গ্রামের বিভিন্নজনের কাছ থেকে তিনি প্রায় ৪০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। মসজিদের মুয়াজ্জিনের কাছ থেকেও টাকা ধার নিয়েছেন তিনি। ভুক্তভোগীরা টাকা ফেরত দেওয়ার চাপ দিলে ৪ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে পালিয়ে যান ওই ইমাম।
স্থানীয় বাসিন্দা ও ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ইমাম আতিকুর রহমান মসজিদে দায়িত্ব নেওয়ার দু-এক মাস পর আমাকে বলেন, ভাই আমি তো ঠিকাদারি ব্যবসা করি। আপনারা আমাকে একটু সহযোগিতা করেন। আমি দিনাজপুর বিরলে ৪২ কিলোমিটার রাস্তার কাজ, সিরাজগঞ্জ ও পাবনায় ঠিকাদারি করতেছি, টাকা দিয়ে সহযোগিতা করলে ভালো হতো। বিষয়টি জানার পর ভাবলাম, যেহেতু আমাদের মসজিদের ইমাম, তিনি তো প্রতারণা করবেন না। তাই আমি তাঁকে ধার হিসাবে ৩ লাখ টাকা দিয়েছিলাম।’
রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, ‘কিছুদিন আগে টাকা চাইতে গেলে সেপ্টেম্বর মাসে তাঁর বিল হবে এবং তখন দিয়ে দেবেন বলে জানান। এখন দেখি ৪ সেপ্টেম্বর রাতে তিনি পালিয়ে গেছেন। এখন আমি কী করব, টাকা কীভাবে উদ্ধার করব। ইমাম হয়েও এ রকম প্রতারণা করবেন—তা তো জানা ছিল না। আমরা এ প্রতারককে গ্রেপ্তারের দাবিতে আজ রাস্তায় নেমেছি।’
আরেক ভুক্তভোগী শাহিনা বেগম বলেন, ‘হুজুর (ইমাম) আমার বাসায় ভাড়া থাকতেন। আমার পরিবার থেকে তিনি ২ লাখ ২১ হাজার টাকা হাওলাত নিয়েছেন। রাতের অন্ধকারে তিনি ৪ সেপ্টেম্বরে পালিয়ে গেছেন। এখন আমার পরিবার আমাকে টাকার জন্য খুব চাপ দিচ্ছে। কী করব বুঝতে পারছি না। হুজুর হয়ে এ রকম প্রতারণা করতে পারে জানা ছিল না। এই প্রতারকের কঠিন বিচার চাই।’
এ বিষয়ে মসজিদের কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের বলেন, ‘মসজিদের ইমাম হিসেবে আমরা যখন নিয়োগ দিই, তখন তিনি সব কাগজপত্র জমা দিলেও এখন দেখা যাচ্ছে সেগুলা ভুয়া। খোঁজ নিয়ে ওই এলাকায় তাঁকে কেউ চেনে না। ওই প্রতারক আমার কাছেও হাওলাতের কথা বলে টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছেন।’
তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাঈদ চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কাছে ভুক্তভোগীরা এ বিষয়ে অভিযোগ করেছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফজলে রাব্বী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটি একটি বড় ধরনের অপরাধ। আমার কাছে ভুক্তভোগীরা এসে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।’
যশোর হর্টিকালচার সেন্টারে বিক্রির তালিকায় থাকা সব গাছ সেন্টারে নেই। উদ্যানে নিজস্বভাবে চারা উৎপাদনের জন্য ‘রিভলভিং’ ফান্ডের মাধ্যমে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া থাকলেও সেটি করা হচ্ছে না। চারা উৎপাদন না করে বাইরে থেকে কম দামে মানহীন চারা এনে উদ্যানে রেখে বিক্রি করা হচ্ছে। সেন্টারে একটি ভার্মি কম্পোস্ট প্ল্যান্ট
৪৪ মিনিট আগেচট্টগ্রামের রাউজানে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় মাসুদ নামের এক পথচারী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার নোয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেগতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত আড়াইটার দিকে ধানমন্ডি–১৫–এর একটি পাঁচতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় ঘটনাটি ঘটে। আহত অবস্থায় বাসার ভাড়াটিয়ারা তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক ভোর পৌনে ৪টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
১ ঘণ্টা আগেকিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে প্রথম স্ত্রীর বাসায় যাওয়ায় স্বামীকে তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার গভীর রাতে পৌর এলাকার পশ্চিমপাড়ার ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে