ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী বাবার জন্মের ১১ বছর আগে জন্ম হয়েছে ছেলের। সেই হিসাবে ছেলের চেয়ে বয়সে ১১ বছরের ছোট বাবা। জন্ম তারিখের এমন অসংগতি দেখা গেছে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর চর ভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর আলী ও তাঁর ছেলে আমির হোসেনের জাতীয় পরিচয়পত্রে।
জানা গেছে, ভূরুঙ্গামারীর চর ভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের ধুলার কুটি গ্রামের মৃত বাবন শেখের ছেলে আকবর আলী প্রায় ৪৩ বছর বয়সে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ওই সময় তিনি বিবাহিত ছিলেন। তাঁর সাত সন্তানের মধ্যে তিন সন্তান মুক্তিযুদ্ধের আগেই জন্মগ্রহণ করেছিল।
মুক্তিযোদ্ধাদের ভারতীয় তালিকার ১৭ নম্বর বইয়ের ৪০১৪৭ ক্রমিকে, লাল মুক্তিবার্তায় ৩১৬০৪০৫২০ ক্রমিকে এবং ২০০৫ সালের ২১ মে বেসামরিক গেজেটের ৩৭৯১ পৃষ্ঠায় গেজেট নম্বর ১০৬৪-এ আকবর আলীর নাম রয়েছে।
তিনি ২০০৮ সালের ১ অক্টোবর থেকে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পেয়ে আসছিলেন। কিন্তু ২০২০ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের তথ্য অনলাইনে পূরণ করতে গিয়ে জন্মতারিখের ত্রুটির কারণে ভাতা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হন তিনি। পরিবারের সদস্যদের দাবি, জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোনো কাজ হয়নি। অর্থাভাবে বিনা চিকিৎসায় মারা গেছেন ৯৪ বছর বয়সী বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর আলী।
জন্ম সনদ অনুযায়ী আকবর আলীর জন্ম ১৯২৮ সালের ১১ আগস্ট। কিন্তু ২০০৮ সালে জাতীয় পরিচয়পত্রে তাঁর জন্ম তারিখ দেখানো হয়েছে ১৯৭১ সালের ১০ মে। অন্যদিকে তাঁর বড় ছেলে আমির হোসেনের জাতীয় পরিচয়পত্রে জন্ম তারিখ দেখানো হয়েছে ১৯৬০ সালের ২ মার্চ। জন্ম তারিখ সংশোধনের জন্য নির্বাচন অফিসসহ বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরেও কোনো লাভ হয়নি আকবর আলীর সন্তানদের। জন্ম তারিখ সংশোধন হওয়ার আগেই চলতি বছরের গত ৪ ফেব্রুয়ারি মারা যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর আলী।
বীর মুক্তিযোদ্ধা হযরত আলী বলেন, আকবর আলী, লস্কর আলী ও আমি সম্পর্কে চাচাতো ভাই। তিনজনই যুদ্ধ করেছি। মুক্তিযোদ্ধার ভাতাও পেয়েছি। ভোটার আইডির সমস্যায় আকবর আলীর ভাতা বন্ধ হয়ে যায়।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর আলীর দ্বিতীয় স্ত্রী সুফিয়া বেওয়া বলেন, ‘ভাতা বন্ধ হওয়ার পরে উনি অসুস্থ হইয়া পড়ল। ঠিকমতো চিকিৎসাপাতি করাইতে পারলাম না। অসুস্থ হইয়া উনি মইরাই গেল। অফিসে-অফিসে অনেক দৌড়াইছি কেউ সাড়া দেয় নাই।’
বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর আলীর বড় ছেলে আমির হোসেন বলেন, ‘জাতীয় পরিচয়পত্র করার সময় বাবার জন্ম সাল দিছে ১৯৭১। আমাদের ভাই-বোনদের জন্ম সাল দিছে ১৯৫০, ১৯৬০। জন্ম তারিখ ঠিক করার জন্য যেখানেই গেছি খালি ট্যাহা-ট্যাহা করে। বাবার জন্ম তারিখ ঠিক হয়নি। আমরা ব্যর্থ হইয়া গেছি।’
বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর আলীর নাতি রঞ্জু বলেন, ‘আমার দাদা-দাদি ২০০৮ সালে এনআইডি করতে গেলে তাঁদের বয়স ভুল তোলা হয়েছিল। দাদার বয়স ঠিক করতে আমরা ঢাকা গেছি। সেখানে বলা হয় এটা রংপুর থেকে ঠিক করবে। রংপুরে গেছি, সেখানে আমরা পাত্তাই পাই নাই। দাদা মারাই গেল। ভাতা বন্ধ হয়ে রয়েছে। অন্যের ভুলের খেসারত এখন আমাদের দিতে হচ্ছে।’
চর ভূরুঙ্গামারী ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার জামাল উদ্দিন বলেন, ‘মরহুম আকবর আলী একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। তাঁর বয়স ঠিক করার জন্য আমরা বহু চেষ্টা করেছি। কিন্তু কেন হলো না তার সঠিক কারণ আমরা জানি না। সঠিক তদন্ত করে মৃত আকবর আলীর ভাতা যেন পুনরায় চালুর ব্যবস্থা নেওয়া হয়, এটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের দাবি।’
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম রাকিব বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর আলীর জন্ম তারিখ সংশোধনের আবেদনটি ‘গ' ক্যাটাগরির অন্তর্ভুক্ত। এরই মধ্যে আবেদনটি নিষ্পত্তি করার জন্য প্রয়োজনীয় তদন্ত সম্পন্ন করে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।
রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা জি এম সাহাতাব উদ্দিন বলেন, দ্রুত বিষয়টির সমাধান করা হবে।
জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী বাবার জন্মের ১১ বছর আগে জন্ম হয়েছে ছেলের। সেই হিসাবে ছেলের চেয়ে বয়সে ১১ বছরের ছোট বাবা। জন্ম তারিখের এমন অসংগতি দেখা গেছে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর চর ভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর আলী ও তাঁর ছেলে আমির হোসেনের জাতীয় পরিচয়পত্রে।
জানা গেছে, ভূরুঙ্গামারীর চর ভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের ধুলার কুটি গ্রামের মৃত বাবন শেখের ছেলে আকবর আলী প্রায় ৪৩ বছর বয়সে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ওই সময় তিনি বিবাহিত ছিলেন। তাঁর সাত সন্তানের মধ্যে তিন সন্তান মুক্তিযুদ্ধের আগেই জন্মগ্রহণ করেছিল।
মুক্তিযোদ্ধাদের ভারতীয় তালিকার ১৭ নম্বর বইয়ের ৪০১৪৭ ক্রমিকে, লাল মুক্তিবার্তায় ৩১৬০৪০৫২০ ক্রমিকে এবং ২০০৫ সালের ২১ মে বেসামরিক গেজেটের ৩৭৯১ পৃষ্ঠায় গেজেট নম্বর ১০৬৪-এ আকবর আলীর নাম রয়েছে।
তিনি ২০০৮ সালের ১ অক্টোবর থেকে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পেয়ে আসছিলেন। কিন্তু ২০২০ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের তথ্য অনলাইনে পূরণ করতে গিয়ে জন্মতারিখের ত্রুটির কারণে ভাতা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হন তিনি। পরিবারের সদস্যদের দাবি, জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোনো কাজ হয়নি। অর্থাভাবে বিনা চিকিৎসায় মারা গেছেন ৯৪ বছর বয়সী বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর আলী।
জন্ম সনদ অনুযায়ী আকবর আলীর জন্ম ১৯২৮ সালের ১১ আগস্ট। কিন্তু ২০০৮ সালে জাতীয় পরিচয়পত্রে তাঁর জন্ম তারিখ দেখানো হয়েছে ১৯৭১ সালের ১০ মে। অন্যদিকে তাঁর বড় ছেলে আমির হোসেনের জাতীয় পরিচয়পত্রে জন্ম তারিখ দেখানো হয়েছে ১৯৬০ সালের ২ মার্চ। জন্ম তারিখ সংশোধনের জন্য নির্বাচন অফিসসহ বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরেও কোনো লাভ হয়নি আকবর আলীর সন্তানদের। জন্ম তারিখ সংশোধন হওয়ার আগেই চলতি বছরের গত ৪ ফেব্রুয়ারি মারা যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর আলী।
বীর মুক্তিযোদ্ধা হযরত আলী বলেন, আকবর আলী, লস্কর আলী ও আমি সম্পর্কে চাচাতো ভাই। তিনজনই যুদ্ধ করেছি। মুক্তিযোদ্ধার ভাতাও পেয়েছি। ভোটার আইডির সমস্যায় আকবর আলীর ভাতা বন্ধ হয়ে যায়।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর আলীর দ্বিতীয় স্ত্রী সুফিয়া বেওয়া বলেন, ‘ভাতা বন্ধ হওয়ার পরে উনি অসুস্থ হইয়া পড়ল। ঠিকমতো চিকিৎসাপাতি করাইতে পারলাম না। অসুস্থ হইয়া উনি মইরাই গেল। অফিসে-অফিসে অনেক দৌড়াইছি কেউ সাড়া দেয় নাই।’
বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর আলীর বড় ছেলে আমির হোসেন বলেন, ‘জাতীয় পরিচয়পত্র করার সময় বাবার জন্ম সাল দিছে ১৯৭১। আমাদের ভাই-বোনদের জন্ম সাল দিছে ১৯৫০, ১৯৬০। জন্ম তারিখ ঠিক করার জন্য যেখানেই গেছি খালি ট্যাহা-ট্যাহা করে। বাবার জন্ম তারিখ ঠিক হয়নি। আমরা ব্যর্থ হইয়া গেছি।’
বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর আলীর নাতি রঞ্জু বলেন, ‘আমার দাদা-দাদি ২০০৮ সালে এনআইডি করতে গেলে তাঁদের বয়স ভুল তোলা হয়েছিল। দাদার বয়স ঠিক করতে আমরা ঢাকা গেছি। সেখানে বলা হয় এটা রংপুর থেকে ঠিক করবে। রংপুরে গেছি, সেখানে আমরা পাত্তাই পাই নাই। দাদা মারাই গেল। ভাতা বন্ধ হয়ে রয়েছে। অন্যের ভুলের খেসারত এখন আমাদের দিতে হচ্ছে।’
চর ভূরুঙ্গামারী ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার জামাল উদ্দিন বলেন, ‘মরহুম আকবর আলী একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। তাঁর বয়স ঠিক করার জন্য আমরা বহু চেষ্টা করেছি। কিন্তু কেন হলো না তার সঠিক কারণ আমরা জানি না। সঠিক তদন্ত করে মৃত আকবর আলীর ভাতা যেন পুনরায় চালুর ব্যবস্থা নেওয়া হয়, এটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের দাবি।’
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম রাকিব বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর আলীর জন্ম তারিখ সংশোধনের আবেদনটি ‘গ' ক্যাটাগরির অন্তর্ভুক্ত। এরই মধ্যে আবেদনটি নিষ্পত্তি করার জন্য প্রয়োজনীয় তদন্ত সম্পন্ন করে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।
রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা জি এম সাহাতাব উদ্দিন বলেন, দ্রুত বিষয়টির সমাধান করা হবে।
ফেনীর পরশুরামে কলেজছাত্র এমরান হোসেন রিফাত হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে ছয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়। তাঁদের মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করে আজ শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
১২ মিনিট আগেসিলেটে ২৮০ বস্তা ভারতীয় চিনিসহ আকবর মিয়া (৪২) নামের এক ট্রাকচালককে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেটের সীমান্তবর্তী এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে তাঁকে আটক করা হয়।
১৫ মিনিট আগেরাজধানীর আজিমপুরে মেডিকেল স্টাফ কোয়ার্টারের একটি বাসায় দিনদুপুরে ডাকাতিসহ বাচ্চাকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আজ শুক্রবার দুপুরে লালবাগ টাওয়ারের পাশে ফারজানা আক্তার নামের এক নারীর বাসায় এ ঘটনা ঘটে...
৩০ মিনিট আগেবরগুনা সদরের ঘটবাড়িয়া গ্রামের আবদুল লতিফ ফরায়েজীর স্ত্রী জাহানারা বেগমকে (৬০) প্রায় ২৫ বছর পর খুঁজে পেয়েছে তাঁর স্বজনেরা। আজ শুক্রবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার জাঙ্গালিয়া বাজার এলাকা থেকে তাঁকে নিয়ে যান স্বজনেরা। ১৯৯৯ সালে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে নিখোঁজ হয়েছিলেন তিনি।
৩৮ মিনিট আগে